নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা সবই পারি, একটু চেষ্টা দরকার

ভাইরাস সবুজ

আমি একজোন ছাত্র, কম্পিউটের সাইন্স নিয়ে ডিপ্লোমা করার পর বিএসসি শেস করেছি।আর একজন দেশপ্রেমিক , দেশ কে ভালবাসি।মা কে ভালবাসি সবচেয়ে বেশি।

ভাইরাস সবুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলির সুড়ঙ্গ একদিন, আলিকদম (আলি গুহা)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

পাহাড় জঙ্গলে ঘুরাঘুরির নেশা পুরোনো, সময় পেলেই ছুটে খুজে বেড়াই কোন নতুন পাহাড়, সুড়ঙ্গ কিনবা ঝরনা এর।হরতালে বের হওয়ার তেমন সুযোগ না হওয়ায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি বন্ধের দিনে ঠিক করি আলিকদমের আলির সুড়ঙ্গে যাওয়া যায়। যেই চিন্তা সেই কাজ

সকালেই বেড়িয়ে পড়ি চট্রগ্রাম থেকে চকরিয়ার এর উদ্দ্যেশে। আগে একবার যাওয়ায় সবকিছু চেনা ছিল। নতুন ব্রিজ থেকে চট্রগ্রাম – কক্সবাজার এর বাসে করে চকরিয়া নেমে হালকা নাস্তা করে উঠে পরি জিপে(চান্দের গাড়ি)। সেখান থেকে আলিকদম নেমে হালকা কিছু শুকনো খাবার আর কেরোশিন নিয়ে টমটমে করে চলে যায় আলির সুড়ঙ্গের পাশে টায়াইন খাল এর পাড়ে।

গতবার আমের ছড়াছড়ি থাকলেও এবার মাত্র আমের মুকুম এসেছে। তবে গাছ ভর্তি বড়ই লাল হয়ে আছে। একটা ঝাকি দিতেই অনেকগুলি পড়ল। কয়েকটা মুখে আর কয়েকটা হাতে গুজে নেমে পড়ি টায়াইন খালে। এবার পানি অনেক কম। কোন রকম কষ্ট ছাড়াই পার হয়ে যায় হেঁটে।

এবার শুরু হল আমাদের আসল গন্তব্যে চলা। শুরুতেই একটা সাইন বোর্ড আমাদের স্বাগত জানাল।

একটু উপরে উঠে বসার কিছু জায়গা আছে। কিন্তু আমরা না বসে নিচের দিকে নেমে পড়ি গুহার উদ্দ্যেশ্যে।
ছোট একটা গাছ বাঁশের মই এর মত সিড়ি পার হতে হয়।

এর পরেই হিমশীতল ঠান্ডা। হবেই না বা কেন? এখানে বছরে বার মাসই সূর্যের আলো আসে না। দুই পাশে উচা পাহাড় আর নিচে করদমাক্ত পিচ্ছিল পথ সাথে ঠান্ডা হাওয়া এভাবে চলছিল আমাদের যাত্রা।

একটু পরেই প্রথম গুহার সিড়ি।প্রথম গুহায় যেতে তেমন কোন কষ্ট নেই। একটু সাবধানে কিছুক্ষন হেঁটে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। ভয়ঙ্কর গুহা। শত শত চামচিকা উরাউড়ি করছে। একটা বাঁশের উপরে কেরোসিন নিয়ে সেখানে পাঠের রশির সাহায্য মশাল বানিয়ে আমরা গুহার ভিতরে ঢুকে পড়ি। ৬০-৭০ ফুট মত গভীরে ঢুকার পরে আর যাওয়ার জায়গা নেই। সেখানে কিছু ফটোসেশন করে আমরা নেমে যায়

এবার গন্তব্য দ্বিতীয় গুহা, সরু পথে দড়ি আর বাঁশের সাহায্যে এগিয়ে চলি সামনের দিকে। তিন-চার টে ১৫-২০ ফুট উচা সরু পথ ডিঙ্গানোর পর দ্বিতীয় গুহার মুখ দেখতে পাই। এটিও অনেক উচুতে হলেও কোন সিড়ি নেই। পিছলা খাড়া মাটি বেয়ে অনেক কষ্ট করে আমি উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা উঠে নাই।


এবার গন্তব্য তিন নাম্বার গুহা। ঠান্ডা পানি তে পা গুল জমে যাচ্ছিলো। আরো কিছুক্ষন ট্রেকিং করার পর তৃতীয় গুহার সন্ধান পেলাম। এখানে প্রথমে কিছু খাবার খেয়ে ব্যাগ হালকা করে নিলাম। তারপর মশাল জালিয়ে ডুকে পরি ভিতরে। কিন্তু হতাশ। এটার ও কোন বের হওয়ার পথ নেই। তাই পুরনো পথেই ফিরে আসি।



আসার সময় টায়াইন খালে গা এলিয়ে গোসল করি। সবচেয়ে আরামের ছিল গোসল টা। গা এলিয়ে পানিতে শুয়ে থাকা।স্বচ্ছ পানিতে ঝাপাঝাপি। এরপর ফিরার পথে.......


এখানে সন্ধ্যা তা বেশ উপভোগ্য
ফিরতে ইচ্ছে করে না
থেকে যেতে ইচ্ছে করে সারাজীবন ........

যাওয়ার পথঃ
ঢাকা থেকেঃ চট্রগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের বাসে করে আলিকদম স্টেশনে (চকরিয়ার একটু পরে)৬-৭০০টাকা > আলিকদমের বাস অথবা জিপ(চান্দের গাড়ি)৬০-৭০টাকা>টমটম করে টায়াইন খালের পাড়ে ৮০-১০০ টাকা (রিজার্ভ)

আরো ছবিঃ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.