নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

❑ কাব্য: সবুজ তাপস (২০১৫)\n— বিশ্ব-সাহিত্যের ইতিহাসে কবি ও কাব্যগ্রন্থের নাম একই — এটাই প্রথম ঘটনা।\n-\n❑ দর্শন: দৃষ্টান্তবাদ [Drishtantoism]\n-\n❑ সম্পাদনা: ঢেউ

কবি সবুজ তাপস

মাঝেমাঝে চিন্তা করতে-করতে আমি অনেকদূর চলে যাই, প্লুটো টপকেও অনেকদূর। যদি কখনো ফিরতে না পারি তোমাদের কাছে, শহিদ বলো না।

কবি সবুজ তাপস › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিমালয়ের গায়ে প্রশ্রাব করে দিয়েছি কয়েকবার...

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

আনন্দে ফেটে পড়লাম। হিমালয়ের এই-শিখরে ওঠা কেমন কষ্টের কাজ, তা আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি। হিমালয়ের গায়ে প্রশ্রাব করে দিয়েছি কয়েকবার। তবু বিরত রাখিনি প্রচেষ্টা। পাখি হতে ইচ্ছে করেছিলো কয়েকবার। পাখি হতে পারিনি। আবার সমতলে নেমে আসার সময় কেমন কষ্ট করতে হয়, গতরাতে আমি তাও টের পেয়েছি। হাত-পা একটু ফসকে গেলে নির্ঘাত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে বাধ্য যে কোনো আরোহী। কয়জন মারা গেলো ইতোপূর্বে, কে জানে! এভারেস্ট চূড়া থেকে সমতল ভূমিকে অন্যরকম দেখলাম। বাড়িঘর কিংবা গাছপালাকে ঘাসের মতোন আগাছা মনে হল। এ আগাছা পরিষ্কার করা জরুরি মনে হবে আরোহীর। দেখলাম- নিচের দিক থেকে উঠে আসছে সকালের সুরুজ, যেন আমাকে দেখতে আসছে কোনো অগ্নিপুরুষ। আমার সমান উচ্চতায় পৃথিবীর কোন মানুষ নেই- এই অহংবোধ কিছুক্ষণের জন্য আমাকে দখলে রাখল। ভাবলাম, সংসারজীবন ছেড়ে এখানে থেকে গেলে মন্দ হয় না। কিন্তু এও তো সত্য, সংসারের বাইরে মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবু কেনো তখন সংসারের সুখ-দুঃখের ঘেরাটোপ থেকে মুক্ত থাকার বাঞ্চাবোধ খেলা করেছিলো আমার ভেতর, বুঝলাম না। হঠাৎ দীর্ঘ শরীরের মধ্যবয়সি মানুষ এক আমার সামনে এসে দৃশ্যমান হলো। আমি ভীত হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম। গড়িয়ে নিচে পড়ে যাবার ভয়ে পালাতে পারিনি। যা হবার হবে এই মনোবল নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। বললেন, আমি শিঙ্গাটা এখান থেকেই বাজাবো, যেখানে দাঁড়িয়ে আছো তুমি। তোমার কোনো ভয় নেই; যা করে যাচ্ছো, মানবকল্যাণের জন্যই, করে যাও। দেখলাম- শিঙ্গাটা বেশি বড় নয়, মহিষের শিঙের মতোন বাঁকানো, কালশিটে। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললাম আপনি কে, কোনো সাধু না ফেরেস্তা? বললেন, আমি না সাধু না ফেরেস্তা; আমারও বায়োডাটা আছে তোমার মতো, তোমার মতো আমিও এক দীর্ঘ ইতিহাসের ফসল। আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে দেখে বললেন, খিদে-তৃষ্ণা পেয়েছে? মাথা নাড়লে বললেন, নাও। তোমরাতো আবার বাতাসে তৃপ্ত নও। বেশিক্ষণ এ এলাকায় থেকো না, নেমে পড়ো, সংসারে ফিরো, কল্যাণের কাজ করে যাও। আমি নামতে নামতে জেগে গেলাম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: হিমালয় যারা জয় করতে যায় তারা হিমালয়ের গায়েই তো প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করে। হিমালয় বিজয়কে হুদাই সময়, অর্থ এবং শক্তির অপচয় মনে হয় আমার কাছে।
বেশিক্ষণ এ এলাকায় থেকো না, নেমে পড়ো, সংসারে ফিরো, কল্যাণের কাজ করে যাও।,,, এইটা সঠিক উপদেশ,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.