নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরদেশী মেঘ

পরদেশী মেঘ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি পুলিশী সংবাদভাষ্য ও কিছু প্রশ্ন

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

প্রথম আলোর সংবাদ:

খুলনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ বনদস্যু নিহত

খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হয়েছে। আজ রোববার ভোরে ও দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, তারা সবাই সুন্দরবনের বনদস্যু। এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।

খুলনার পুলিশ সুপার হাবিবুবুর রহমানের ভাষ্য, আজ ভোরে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কারিমুল (৪০) ও হবি (৪২) নামের দুজন বনদস্যু নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে সুন্দরবনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চলাকালে বনদস্যু কাশেম বাহিনীর সদস্যরা ওই ১৩ জনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে কাশেম বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময় হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন বনদস্যুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশের ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন হাবিবুর রহমান।

এর আগে ভোরে ঝিলবুনিয়া গ্রাম থেকে ছয়টি বন্দুক ও ২৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

ঈদের এই সময়ে মোট ১৫টি পরিবারের শুধু ঈদ আনন্দ যে মাটি করে দেওয়া হল তাই নয়, অনেকগুলো পরিবার কে বলা যায় ধ্বংশ করে দেয়া হল। খুলনার পুলিশ সুপারের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর আশা করছি।

(১) তারা সবাই সুন্দরবনের বনদস্যু।
বনদস্যু হলেই কী তাদের বিনা বিচারে হত্যা করা হবে?

(২) এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন
দয়া করে তাদের সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত জানাবেন কি? যেমন তাদের শরীরের ঠিক কোথায় গুলি লেগেছে? তারা কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন? তাদের জন্য কোন রক্ত দেয়ার দরকার পড়েছিল কি না?

(৩) ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে সুন্দরবনে অভিযান চালায় পুলিশ।
১৩ জন আটক হওয়া বন্দী কে নিয়ে আপনারা অভিযান চালাতে গেলেন কেন? তাদের মধ্য থেকে এক বা দুইজন কে নিয়ে গেলে কী হত না? ১৩জন আটক বন্দীকে আপনারা যখন অভিযানে নিয়ে যান তখন ঠিক কতজন পুলিশ সদস্য ছিলেন? নিশ্চয়ই শ'খানেক। মানে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল কী?

(৪) অভিযান চলাকালে বনদস্যু কাশেম বাহিনীর সদস্যরা ওই ১৩ জনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে কাশেম বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময় হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন বনদস্যুর লাশ উদ্ধার করে।

একই উপসংহার আপনাদের সবগুলো সরকারী ভাষ্যে আসে কী করে। মানে এর ব্যত্যয় হওয়া কি সম্ভব নয়? কখনো তো কোন পুলিশ সদস্য মারা যেতে শুনি নি।

বন্ধ হোক এই প্রশাসনিক হত্যাকান্ড। এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছু করার নাই।

চলছে চলবে চলছে চলবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পরদেশী মেঘ বলেছেন: আমরা আছি হীরক রাজার দেশে
নির্বিচারে মানুষ হত্যা চলছে চলবে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.