নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাটি

ধুলোময়বৃষ্টি

কয়দিন ঘুরাঘুরি।

ধুলোময়বৃষ্টি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি কত টা যুক্তিযুক্ত এবং কিভাবে হ্যান্ডল করা উচিত

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:২৪

দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলন করতেছে - এখন উনাদের দাবি গুলা নিয়ে আলোচনা না করে - কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অসম্ভব বা কোনটা একটু মডিফাই করা যায় এভাবে আলাপ না করে ডাইরেক্ট ১৩০০ বছর দেশ পিছায়ে যাবে এই কথা বলে দেশেকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া মোটেই দূরদর্শী আর সঠিক সিদ্ধান্ত নয় ।



কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে কিছু দাবি মডিফাই করে আর কিছু দাবি ঝুলায়ে রেখে আর কিছু দাবি পারব না এবং কেন পারবনা বুঝায়ে বলে , সরি বলে এই সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সহজেই সম্ভব ।



১৩ দফা দাবি নিয়ে আমার মতে এমন জটিল কিছু না আমার বিশ্লেষণ দেখেন আপনার মতামত দেন ।



হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি-

সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল। এই দাবির ব্যাপারে বলা যেতে পারে ইটা নিয়ে কাজ করব ২য ধাপে এটা দেখা হবে ।





কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয়নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা। আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।



আল্লাহ , নবী , কৃষ্ণ , যিশু , গৌতম বুদ্ধ , শেখ মুজিব এমন ব্যক্তিত্ব দের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা করলে শাস্তির বিধান করতে আপত্তি থাকা উচিত নয় । আইন পাস করা যেতে পারে ।



রাসূলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা। সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।



এখানে কোনো নির্দিষ্ট কিছু নাই তাই এটা মানা না মানা একই কথা - বললেই হলো যে ওকে মেনে নিলাম :)



জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসলি¬মদের নির্বিঘে নামাজ আদায় বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।



এইটা না মানার তো কোনো কারণ দেখি না - সমস্ত ধর্মের বেলাতেই প্রযোজ্য - শুধু ইসলাম ধর্মই নয়।



ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।



--- উনাদের কে বলতে হবে এই ব্যাপারে কাজ করতে হবে আপনাদের প্রতিনিধি দেন আমরা সন্ক্স্কৃতি মন্ত্রানলায়ের সাথে একসাথে কাজ করব ।





সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।



- এখানেও ওই একই কথা বলা যেতে পারে যে প্রতিনিধি দেন, কাদিয়ানীদের ও প্রতিনিধি দিতে বলব তার পরে একসাথে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করব ।



মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা। -- মূর্তির ব্যাপারে আলোচনা করলে সমাধান সম্ভব



ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।

- এরকম ২/১ টা দাবি ঝুলায়া রাখা সমস্যা হওয়ার কথা না



অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

-- মিথ্যামামলা হইলে প্রত্যাহার করে নেয়া তো সমস্যা না , বললেই হলো ওকে ঠিক আছে :)





রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিচয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।



-- - এটা মানা না মানা একই কথা - বললেই হলো যে ওকে মেনে নিলাম ।





পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিও এবং খৃস্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তরকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। -- কেমনে বন্ধ করব উনাদের কে বলতে বলেন



মূল কথা হচ্ছে আল্লাহ এবং নবী(স: ) এর ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা এর বিরুদ্ধে আইন করলেই উনাদের থামায়ে রাখা সম্ভব এবং এটা কোনো অযৌক্তিক দাবি ও নয় -





আর এমন ভাবে উনাদের সাথে কোনো আলোচনা নাই , দেশ ১৩০০ বছর পিছায়া যাবে উল্টা পাল্টা দায়িত্ব জ্ঞানহীন কথা বলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা অগণতান্ত্রিক এবং দেশের জন্য অমঙ্গলজনক



উনারা আলোচনার এবং চিন্তা ভাবনা করার জন্য যথেষ্ট সময় দিয়েছেন , কথা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে মতিঝিল ছেড়ে গেছেন , শান্তিপূর্ণ ভাবে সারা দেশে সমাবেশ করেছেন - আর আপনারা উনাদের কথা কানেই তুলছেন না এটা কোনভাবেই সভ্যতার পর্যায়ে পরে না ।



আপনার ভাবনা শেয়ার করেন আমাদের সাথে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:০৩

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।

এই ব্যাপারে আমার কিছু কথা আছে, আর তা হচ্ছে হুজুরদেরকে বলা হোক যে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং আরো যত প্রকার সাবজেক্ট আছে এগুলো সবগুলোরে নিয়ে ওনারা যদি পড়ালেখা করে তাহলে সাধারণ শিক্ষানীতিতেও ইসলাম শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। আগে মাদ্রাসার পড়ালেখাতে কিন্তু সব ছিল এই আকামিলা হুজুররা বলছে যে এগুলা একসাথে পড়া কঠিন তাই বাদ দিয়েছিল

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

ধুলোময়বৃষ্টি বলেছেন: হা বিভিন্ন কথা বা প্রস্তবা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে , হুজুরদের টেকনিক্যাল কিছু বিষয়ে শেখা উচিত যেন হাফেজ হয়ে বা আলেম হয়ে ও পরে কিছু একটা করে খেতে পারে।

তবে ভাই উনারা যদি বলে ওকে তাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ইসলাম ধর্ম এর উপরে ৪ ক্রেডিটের কোর্স রাখতে হবে তাহলে প্যাচ লেগে যেতে পারে , তবে আমি মনে করি এগুলা রাখা যেতে পারে

২| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:২৩

আমার স্বপ্নগুলি বলেছেন: ভাল বলছেন... কিন্তু যেহেতু হেফাজতে বলছে এই ১৩ দফা না মানলে ক্ষমতায় থাকতে পারবা না, ক্ষমতায় আসতে এবং থাকতে হইলে এই ১৩ দফা মানতে হবে - এই কথাটা হাসিনার ইগোতে এক্কেবারে ০ পয়েন্টে লাইগা গেসে। তাই মনে হয় এখন আর এক দফাও মানতে রাজী না।

তারচেয়ে বরং বিএনপির সাথে সংলাপকেই সহজ মনে করতেছে, তাই এখন সংলাপের কথা তুলতেছে...

দেখা যায় বল কোনদিকে যায়।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

ধুলোময়বৃষ্টি বলেছেন: তারা হুজুরদের কে মানুষের পর্যায়েই মনে করে না ।
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন ৫ মে rater অপারেশনের নাম কি দিয়েছিল ?

অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট - অনেক টা বাথরুম সেরে কমোডে ফ্ল্যাশ করে যেমন ময়লা দূর করে তেমন ভাবে ওরা আলেমদের কে ওই ময়লার (মল) সাথে তুলনা করেছে

অন্য মিনিং ও থাকতে পারে , তবে উনাদের কে হ্যান্ডল করার অনেক শান্তিপূর্ণ পথ খোলা ছিল।

সমাজবিজ্ঞানীরা , মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা , আর্মি অফিসারের প্রতিকুল পরিবেশে কিভাবে ঝামেলা ছাড়া কাজ করে উদ্দেশ্য হাসিল করে বের হয়ে আসা যায় তা ভালো করেই জানেন। মাথা ঠান্ডা রেখে দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা রেখে কাজ করলে হত্যাকান্ড এড়ানো যেত

৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:২৫

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে এই সরকার 'দাদা' দের ইশারায় ওঠে বসে। তাই দফাগুলো মেনে নিতে পারছে না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

ধুলোময়বৃষ্টি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.