নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,সবার আমি ছাত্র।

স্ট্রাটাজেম

মানব জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষুদ্রানুক্ষুদ্র উপাদানে চরমভাবে কৌতুহলী একজন অতিমাত্রাই সাধারন মানুষ ....................................

স্ট্রাটাজেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সব পোকা মরে গেলে কী হবে?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

পোকা সব মরে গেলে কী হবে? খুব ভালো হবে! একেবারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাঁচবেন আপনি। কিন্তু আসলে কী তাই? সব পোকা মরে যাবার ফলাফল কী ভালো হবে, নাকি খারাপ?

পোকা যেমনই হোক না কেন, তার প্রতি মানুষের ঘৃণার ভাবটা একই রয়ে যায়। নেহায়েত প্রজাপতি ধরণের সুন্দর কোন পোকা না হলে ছিঃ ছিঃ করে ওঠেন সবাই। আসলে কিন্তু আমাদের ক্ষতি করে এমন পোকা নেহায়েতই কম। আর পৃথিবীতে পোকা না থাকলে আমাদের জীবনটাই হতো অন্যরকম।

“সব পোকা অদৃশ্য হয়ে গেলে আমাদের পৃথিবী ধ্বসে পড়বে- আর কোনোভাবে এটা বলার উপায় নেই” জানান গজি ডেভিডোভিচ, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার এক অধ্যাপক।

এটা সত্যি যে সব পোকা মারা গেলে আমাদের আর মশার কামড়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হবার সমস্যা থাকবে না। মাথার চুলে উকুন হবে না। কৃষকদেরও মাথে কীটনাশক ছড়ানো লাগবে না। কিন্তু এসব উপকার হলেও আসলে তার কোন মানে থাকবে না। কারণ সব পোকা মরে গেলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে!

কী কারণে এই কথা বলছি? তার মূল কারণ হলো গাছপালা। পৃথিবীর ৮০ শতাংশ গাছ হলো অ্যাঞ্জিওস্পার্ম বা সপুষ্পক, অর্থাৎ এদের বংশবিস্তারের জন্য ফুল ফোটে। সেই ফুল থেকে ফল হবার জন্য পরাগায়ন হতে হয় আর এর জন্য দরকার হয় পোকামাকড়ের। অল্প কিছু ক্ষেত্রে বাতাস, পানি, পাখি বা বাদুড় এমনকি মানুষের মাধ্যমে পরাগায়ন হয় বটে। কিন্তু তা নেহায়েতই কম। কিন্তু বিপুল পরিমাণে পরাগায়নের জন্য মৌমাছি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য পোকার ওপরই আমাদের ভরসা করতে হয়। পোকা না থাকলে এসব গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে একটা সময়। এসব গাছ থেকে মানুষের খাদ্যের ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ আসে। এর মাঝে ধান ও গমের মতো প্রধান খাদ্যগুলো আছে। আবার আমরা যেসব গবাদি পশু, হাস-মুরগী এবং মাছ খাই তাদেরও খাবার আসে বিভিন্ন গাছ থেকে। সুতরাং পোকা না থাকলে এই বিপুল পরিমাণ খাদ্যে ঘাটতি পড়বে, মানুষ না খেয়ে মারা পড়বে। প্রচুর পরিমাণে স্তন্যপায়ী এবং পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

শুধু তাই না, যখন পোকা-বিহীন এই পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে মৃত গাছপালা এবং প্রাণী পড়ে থাকবে, তখন এদের পচে যেতেও সময় লাগবে বেশি। কারণ ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঞ্জাই এর পাশাপাশি পোকারাও ডিকম্পোজার হিসেবে কাজ করে

এগুলো তো গেলো বড় বড় সব দুর্যোগের কথা। এবার ছোট একটা অভাবের কথা বলি। পোকা না থাকলে আমাদের বিলাসিতার অন্যতম দুই উপাদান হাওয়া হয়ে যাবে। এই দুইটি হলো রেশমি কাপড় আর মধু। আপনি যে শখ করে সিল্কের শাড়ি বা পাঞ্জাবি শরীরে চড়াচ্ছেন, তা আসছে রেশম পোকা থেকে। আর মধু যে মৌমাছি থেকে আসে তা সবাই জানে।

পোকামাকড় মরে যাবার এই জিনিসটা অবশ্য একেবারে অবাস্তব নয়। বর্তমানে যে পরিমাণে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে এতে অনেক পোকা বিলুপ্তির পথে হাঁটছে। শুধু তাই না, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণেও অনেক পোকার জীবনচক্রে দেখা দিচ্ছে বিচ্যুতি। পোকারা শীতকালে ঘুমিয়ে পড়ে বটে। কিন্তু এখন যে অবস্থা হচ্ছে, তাতে মনে হয় তারা আর সেই ঘুম থেকে নাও উঠতে পারে

সোর্স- Click This Link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:




বইপোাকা মরে গেলে কি হতে পারে?

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

স্ট্রাটাজেম বলেছেন: এইটা তো মনে হয় আপনিই ভালো বলতে পারবেন

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪২

মহা সমন্বয় বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ শিক্ষনীয় পোষ্ট কিন্তু কমেন্ট নেই কেন ???
আসলে ভারসম্য রক্ষার জন্য পৃথিবীতে সবকিছুরই দরকার আছে একটি ছাড়া আরেকটি অচল। সূক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে প্রকৃতিতে যা কিছু ছিল এবং আছে সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার অতি উত্তম এক ভারসম্য লক্ষ করা যায় যা এক মহা সমন্বয় বলে আমি মনে করি।

:-P আর আমি গবেষণা করে আরেকটি বিষয় বের করছি আর তা হল সারা পৃথিবীর কোথাও যদি টানা ৫ বছর বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে এই পৃথিবী সমুলে ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকেই মুলত পরবর্তীতে সময়ের জন্য টিকে থাকার শক্তি অর্জন করে আমাদের এই পৃথিবী।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪

স্ট্রাটাজেম বলেছেন: ২য় প্যারায় দারুন কথা বলেছেন তো। কখনও তো এইভাবে ভাবি নাই

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর বইপোাকা মরে গেলেও ব্যাপক ভারসম্য ব্যহত হবে- বহু মানুষের জিবিকা পরিবর্তন করতে হবে ফলশ্রুতিতে বিশাল এক পরিবর্তন হতে বাধ্য।
প্রকৃতিক দূর্যোগ ও হইতে পারে ভুমিকম্প হবার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। =p~

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

তার আর পর নেই… বলেছেন: ছোটবেলায় কিছু কিছু প্রাণী দেখলে খুব ভয় লাগতো। তখন মনে হতো এইসব প্রাণী না থাকলেই তো ভাল হতো।
প্রাণীজগতের প্রত্যেকটা প্রাণী এক একটা সাইকল মেইনটেইন করে। এই সাইকলের কোন একটা স্তর যদি বিনষ্ট হয় তাহলে প্রাণিজগতও আশংকার মুখোমুখি হবে।
আপনার লিখাও ভাল লেগেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

স্ট্রাটাজেম বলেছেন: আসলে ছোটবেলা সবাই ঠিক এমনটাই ভাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.