নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারন ভাবে অসাধারন মানুষের সাথে থাকতে চাই.

অতিসাধারন

অতিসাধারন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় মানুষকে নিয়ে এলোমেলো কিছু কথা

২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮



আমি লিখতে পছন্দ করি না। এই ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা।আমার পড়তেই বেশি ভাল লাগে।কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আমার কিছুর লেখার আছে।ছাড়া ছাড়া ভাবে কিছু এলোমেলো কথা লিখলাম।



আমিই মনে নয় খবরটা সবার পড়ে পাই। কাল রাতে আমি ১১ টায় ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে অফিস আছে তাই তাড়াতাড়ি উঠেই দরজা খুলে পেপারটা দেখি। আমি জানি না কখন আমার দুচোখ ভিজে উঠলো। আমি মানতেই পারছিলাম না যে উনি নাই।উনি আমার .. কেউ হন না কিন্তু তার পরও অনেক কিছু।



হুমায়ুন আহমেদ স্যারের প্রথম “বোতল ভূত” বইটি আমাকে আমার মা আমাকে দেন যখন আমার বয়স ৭।



বইটা পড়ে আমার বার বার মনে হতো আমার যদি একটা বোতল ভূত থাকতো, আমি সেই সময় সত্যিই ভেবেছিলাম ভূতটাকে।



মনে আছে, স্যারের “নীল হাতি” বইটি ছিল আমার অনেক প্রিয়, বার বার পড়তাম। আমাদের দুই বোনেরই প্রিয় ছিল। আর একবার বইটি হারিয়ে যায়, হায় কি কান্নাটাই না কেঁদেছিলাম আমি সেইদিন, মনে হচ্ছিলো নীলুর নীল হাতির মত বুঝি বইটাও হারিয়ে গেলো। আমাকে শান্ত করতে আরো বই দিল আমার মা।



কি বলে নিজেকে মানাবো আমি আজ।সেই ৭ বছর থেকে এই মানুষটার সাথে আমার পরিচয়। উনি একজন শুধু লেখক নন আমার জীবনে..এর থেকে অনেক বেশি কিছু তিনি। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে আমি উনার বই থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। অনেক কিছু.. যখন আমার কাছে কেউ ছিলো না তখন উনি ছিলাম। উনার বইগুলোর মধ্যে আমি উনাকেই দেখি।



জ়ীবনে প্রেমে পড়াটাও বুঝি উনার থেকেই শিখা..জোৎন্সা যে এত মধুর হয় তা তো আগে উনার থেকেই শিখলাম। কাউকে যে মারাত্তক ভালবাসা যায় তাও তো উনার থেকেই শিখা..উনার বইয়ের সাদামাটা মেয়েগুলোকে দেখেই তো নিজেকে এখনো অনেকের থেকে আলাদা মনে হয়।



স্যারের “দারুচিনি দ্বীপ”র আনুশকাকে যতবার মনে পড়ে আমার ওর মত হতে ইচ্ছা হয়। “মৃন্ময়ী” র মতো আমিও চা-পাগল মেয়ে আর আমিও যেন একটু মনভোলা, মাঝে মাঝে নিজেকে শুধু একা দেখতে ভাললাগে।



“শুভ্র”র মতো এত্ত মোটা একটা চশমা আমার চোখে সব সময়…আমিও ওর মতো মাইওপিয়া রোগী। চমশা ছাড়া পৃথিবী কেমন তা আমিও শুভ্রর মতো বুঝি।

হায় আমার হিমু। কতো বার তোমার প্রেমে পড়লাম, জানি না। মনে মনে ধরেই নিয়েছিলাম প্রেম করলে হিমুর মতো কারো সাথেই করবো নয়তো না। মাঝে মাঝে হিমুর খামখেয়ালিতে রাগও হতো..কিসের এত অহংকার!!



নুহাশ পল্লীর মতো একটা বৃষ্টি বিলাশ আর কেউ বানাবে না। আর কেউ হবে না যে প্রকৃতির সব নির্মল আন্দদগুলোকে এত সন্দুর করে তুলে ধরবেন, বাবা-মেয়ের মধ্যে ভালবাসা থেকে মনে হয় উনি একজন ভাল পিতা ছিলেন।



প্রতিবার বইমেলাতে অন্যপ্রকাশের স্টলে তুমুল ভিড় কিন্তু ওই ভিড়টা আমার অনেক ভাল লাগতো। ভির ঠেলে যখন বই নিয়ে আসতাম সেই আনন্দটা অনেক ছিল। মাঝে মাঝে ভাবতাম হুমায়ুন আহমেদ যদি না জন্মাতো তা হলে বাংলাদেশের বইমেলা চলতো কেমন করে!! আজ মনে হচ্ছে আসলেই .. আমি কার বই কিনতে যাব এখন!?



নাহ..দুঃখ করবো না আর। প্রিয় লেখক, প্রিয় ব্যক্তিত, প্রিয় মানুষ হিসেবে উনি সারাজীবন থাকবেন আমার হৃদয়ে।কষ্ট আছে যে আর কোনো হুমায়ুন আহমেদ হবে না, ভাল মানুষগুলোকে কেন আগে আগে চলে যেতে হয়…



বার বার একই কথা কথা মনে হচ্ছে…



“ঘর খুলিয়া বাইর হইয়া

জোছনা ধরতে যাই

আমার হাত ভর্তি চাঁদের আলো

ধরতে গেলেই নাই !!”

প্রিয় মানুষকে নিয়ে এলোমেলো কিছু কথা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২

shfikul বলেছেন: স্যার যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক এই কামনা করি।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৮

সকাল রয় বলেছেন:
কে বলে তিনি নেই তিনি আছেন
আসবে ফিরেএকদিন সে আবার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.