![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মানুষ হিসাবে কিছু সহজাতপ্রবৃত্তি দ্বারা আবদ্ধ। এই সমস্ত প্রবৃত্তির মধ্য স্মৃতিচারণ বলে একটা ব্যাপার আছে। আমরা সকলেই আমাদের সুখকর স্মৃতি মনে করে সুখী হই এবং বাজে স্মৃতি গুলো ভুলে যেতেই ভালোবাসি। এই ২০২২ সালে এই পোষ্ট লিখতে বসে আজ কত কথাই মনে হচ্ছে। আমার ইন্টারনেট অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমি ফেসবুকের অনেক আগে সমুব্লগের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। তখন গ্রাম এলাকাতে মোবাইলে নেটওয়ার্ক ঠিকমত ছিলো না আর ফোর-জি তো কল্পনাও জনতাম না। তখন টুজি নেট এ একটা স্যাম্বিয়ান মোবইলে অপেরামিনি দিয়ে গুগোল এ গল্প কবিতা ছবি এ সমস্ত নিয়ে সার্চ করতাম। আসলে তখন পড়াশোনা করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলোনা। এখন যেমন ডাটা অন করে ফেসবুকে ঢু মারলেই হাসির খোরাকের অভাব হয় না কিস্তু তখন হাসতে হলেও পড়ে পড়ে হাসতে হতো। কত কত লেখা যে পড়তাম কত গল্প আর কত জোক্স আনন্দ জোগান দিয়ে গেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। এমন কি সে সময় একটা দুষ্টু ছেলের মনের আকুতি মেটানোর মাধ্যম ছিলো পড়াশোনা। সে তার কল্পনার অস্পরীকে খুজতো চটি গল্পে। সেখানে তার সেই কামনা ভরা কল্পিত সেই সুন্দরীকেও খুজতে হতো বই পড়ে কিংবা কোন ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ পড়ে। আমি তো একবার খুজতে খুজতে ব্লাক ম্যাজিক করতে হয়, কি করে মনের মানুষ জিতে নিতে হয় এই ধরণের একটা সাইট পেয়ে গিয়েছিলাম। তো যাই হোক সে সময় আপনাকে আপনার বিনোদন ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্য অনলাইনে আসলেও আপনাকে পড়তে হতো। আমার এলাকার খুব কম মানুষই ফেইসবুক কি তা জানতো আর সারাদিন ধরে কেও অনলাইনে পড়ে থাকতো না । এমন ফোন কল ও পেয়েছি ‘‘দোস্ত একটু অনলাইনে আসবি, ?’’ তখন ভিডিও কলও হতো না অডিও কল ও না।যেহেতু নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেম জটিলতার কারণে কলিং সিস্টেম ছিলোনা, তো আপনাকে পড়েই বুঝতে হয়েছে চ্যাট এ বন্ধু আমার কি লিখেছে?এখন আমার কি রিপ্লে দেওয়া দরকার। চাইলেই তখন ভিপিএন একটিভ করে দেশান্তরি হওয়া যেত না । ক’বছরের ভার্চুয়াল এই অভিজ্ঞতাই দেখেছি : তারপর দিন গুলো কত দ্রুত কেটে যেতে শুরু করলো। মোবাইল গুলো কয়েক ইঞ্চি থেকে কয়েক হাত পর্যন্ত উসারো হতে শুরু করলো। পুলাপান স্কুলে না যেয়ে অনলাইন এ ক্লাস করার সুবিধা পেয়ে গেলো, লাটিম চালানো, ঢাংগুলি, মারবেল , ফুটবল আর ক্রিকেট এর স্থান দখল করে নিলো ফ্রি-ফায়ার গেম। আমি বাপের পকেট থেকে টাকা চুরি করে বিস্কুট-চানাচুর খেতাম, আর এখন ওরা বাপের পকেট মেরে গেমে ডায়মন্ড টপআপ করে।মোবাইল যত বড় হলো স্কুলের ক্লাস অনলাইনে করা তত সহজ হলো আর ওদের ভাড় গোবর দিয়ে ভর্তি হওয়া শুরু হলো। এখন তো আর সরকারি স্কুল গুলোতে হাতের লেখা জমা নেওয়া দেখিনা। ম্যাট্টিক পাশ দেওয়া এক ছেলে ঋ বর্ণ আর ঝ বর্ণের পার্থক্য জানে না। আমি তো এদরে কে কানা বলি, এরা এক প্রকার কানা, এরা যখন মোবাইল দেখে এদের সামনে দিয়ে কে চলে গেলো তাও এরা দেখতে পাইনা। আমার একটা ধারণা এদের ফোন থেকে যদি ইউটিউব এ্যাপ আর ফেসবুক এ্যাপ ডিলিট করে দেওয়া হয় এরা আর ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারবে না। এরা ব্রাউজারের ব্যাবহার জানে না। আচ্ছা আসলে এরা কি পারে এরা তাও জানেও না। কুইজ প্রতিযোগীতায় জিপিএ ৫ পাওয়া এক ছাত্রীকে বলা হলো বলো তো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি কে? উত্তর: জাননিা ম্যাম। ম্যাম তখন ক্লুদিয়ে বললেন তিনার নামের শেষে বিল শব্দটি আছে। ছাত্রী তখন উত্তর দিলেঅ বিলকিচ। সেদিন পর আর কোনো কুইজ প্রতিযোগীতা দেখে আর হাসি পাইনি। আচ্ছা এরা এমন কেনো হয়ে গেলো এখানে কাদের দোষ এখন করণীয় কী। আর একটা কথা আমি লেখালেখিতে একদম নতুন, কিছু ভুল হলে সংশোধন করে দিয়েন।
©somewhere in net ltd.