![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
কবি জসিম উদ্দিন
<><><><><><><><><><><><>
জসিম উদ্দিন ১৮৯৩- ১৯৫৩ একক অবদানে বাংলা কাব্য কে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন ।
তিনি একাধারে পল্লী কবি নামে খ্যাতি লাভ করেছেন ।
ময়মন সিংহ গীতিকা এবং অপরাপর লক সাহিত্যর সঙ্গে তার কাব্য দর্শের নিবিড় এক্য পরিলক্ষিত হয় ।
গ্রাম বাংলার জীবনালেখ্য তার কাব্য সহজ সরল ভাবে ফুটে উটে ।
নকশী কাঁথার মাঠ , রাখলি , বালুচর , ধানক্ষেত ,সুজন বাধিয়ার ঘাট ,
মাটির কান্না , হাসু , রঙ্গিলা নায়ের মাঝি ,এক পয়সার বাঁশি , রূপবতী ,
গাঙ্গের পাড় , সকিনা , মা যে জননী কান্দে , সুচনয়ি , প্রভৃতি তার
কাব্য ।
তিনি নাটক এবং অসংখ্য গানের স্রষ্টা , যা যুগযুগ ধরে বাংলা
সাহিত্যর রত্নভাণ্ডার ।
তার সৃষ্টি ও তার কবিত্ব সাধনা সার্থক বাংলার সাহিত্য ফসল ।
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
তার অমর সৃষ্টিতে আমার লেখা কাব্য টি তার জন্ম বার্ষিকীতে
অনন্ত শ্রদ্ধার সহিত উৎসর্গ করলুম ।
৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳
গ্রামীণ কাব্য কথা
ধান শালিকের মন
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! <><><><><><><><><><><>
রচনা এম ,জি, আর মাসুদ রানা , কবি ও সাহিত্যিক গবেষক ।
************************
এক
দুচোখ জুড়ায় শ্যামল ছায়ায় এমন গাঁয়ের ছবি
সবুজ মাঠে তরুছায়া মুগ্ধ লাগে সবি
মেটু পথের ডানে বায়ে দুলে বনলতা
জড়াজড়ি করে হেন কহে মনের কথা
বাঁশবন বেতবন মিশে রয় হেথা আপন করে
সাজে পাতা পত্তর কোমল ও বাহারে
বুনু ফুলে মৌ মৌ গন্ধে কত আকুলতা মনে
ভ্রমর অলি প্রজাপতি মধু লোভে ওড়ে গুঞ্জনে ।
গাছের শাখায় পাখ পাখালি গায় মধুর গান
মাঠে রাখালিয়া বাজায় বাঁশি তুলে সুরের তান
পাড়ায় পাড়ায় অপরূপ সাজ পার্শে রয় ছুট বিল
জলের আরশিতে সূর্য কিরণ করে ঝিল্মিল
মাঠের বুকে চিত্র আঁকে শস্য ও ফসলের মেলা
নিত্য নতুন চমক আনে সাজে সবুজ ঢালা ।
ছোট্ট নদী নিরবধি বয়ে যায় সুদুরে
গাঁয়ের নামটি সৈয়দপুর জাগে নিত্য ভোরে
এই গাঁ খানি চাঁদনী রাতে জোছনা কত মাখে
কৃষাণ জেলে সবাই মিলে সেথা কত স্বপ্ন আঁকে । ।
দুই
এই গাঁয়ের কিশোর মনাই কাঁচা সোনা মুখ
ঝাঁকড়া চুলে রূপের ছটা দেখলে জুড়ায় বুক।
দুচোখে তার স্বপ্ন ছায়া মায়া ভরা টান
মুখে সদাই হাসির ঝলক দেখলে জুড়ায় প্রান ।
রাখালিয়া বাঁশির মত কণ্ঠে যে তার ঝরে মধুর লয়
নিমিষেই সব মানুষের মন করিত জয় ।
সাহস কত চওড়া বুকে চিবুক পড়ত নজরে
সঙ্গি সাথি লয়ে খেলায় মজত সাড়া টি প্রহরে ।
কভু কারও ফল বাগানে সুযোগ একটু বুঝে
মগ ডালে বসে পাকা ফল পুড়ত মুখে তাই মজাসে ।
ভারি খেয়াল চাপত যখন না শুনিত মানা
গাছের শাখায় খুজে ফিরত শালিক ময়নার ছানা ।
দল বেধে নদীর জলে অবাধে কাটত গিয়ে সাতার
কভু মাছের সাড়া পেলে ফেলে বড়শি করত তাই শিকার ।
কভু গাঁয়ের বিশ্রিত মাটে ওড়াইত ঘুড়ি
দূর আকাশের সাথে মিতালি আঁকত লাটাই সুতু ছাড়ি ।
মাঠের যত রাখাল বালক মান্য করত তারে
সাড়া গা খানি রাখত সরব তার চঞ্চল নজরে ।
তিন
পায়ে চলা পথ যে গেছে বহু দূর গাঁয়
গঞ্জ হাটে মাটে বাটে পথিকের আনাগোনা তায়
এই পথেরই বায়ে জাগে বনেদি বাড়ী মোড়ল পাড়া
সানাই বাধা পুকুর আর ফুলের বাগান শোভায় নজর খাঁড়া ।
এই বাড়ীরই মোড়ল জালু মিয়া দেশ কেশে তার নাম
অভাব নাহি ছিল তার তবু হল বিঁধি বাম
পুত্র লাভের আশে তব সংসার পাতে দুই খানি
অবশেষে এক কন্যার মুখ দেখে জুড়ায় নয়ন মনি
সেই আদরের দুলালী কন্যার নাম টি চমৎকার
শশি বলে ডাকে তারে কত রূপের বাহার ।
কাল ভ্রমর আখির পাতায় দেখতে নজর খাড়া
শ্যমল বরন চিবুক তাহার বধন মায়া ভরা ।
সখিদের লয়ে সারাটা দিন বাগান বাড়ী এসে
খেলত খেলা পুতুল বিয়ে তায় আনন্দে ভেসে
পুতুল বরের লাগি সাজায়ে রাখত গেথে ফুলের মালা
কনের বাড়ী দিত উপহার লতা পাতায় খাস্য পানের ঢালা ।
আয়েশ করে তামেদারির কত খোরমা পুলাও রাধে
কনে বিদায় করে তারা মিছামিছি রোধন করে কাঁদে ।
চার
লোকে বলত দস্যি মেয়ে দুসটমিতে জুড়ী মেলা ভার
তবুও তারে সব মানুষে করত স্নেহে আদর
পাড়ার রসুই বুড়ির অসুখ হলে করত গিয়ে সেবা
ঔষধ খাবার দিয়ে আসত ভাবত দুকুলে রয় তার কেবা ।
বুড়ি তারে করত দোয়া চিবুক খানি তুলে
রাজ পুত্রের মত জুটুক বর চান মুখি কপালে
শশি কহে ওহে বুড়ি নাই কি মনে ভয়
এমন কথার ছিরি আজও যমের ব্যারাম হয় ।
মোড়ল বাড়িএসে পড়ায় এক পণ্ডিত মশায়
জ্বেলে দিত অক্ষর জ্ঞান ছেলেমেয়েদের মাথায়
একত্রে শশি তুলি মধু , বেলি , মনাই আরও যত সাথি
বাঁশের কঞ্চি মাটির স্লেটে লিখত অক্ষর করে মাতামাতি ।
একটু বেজায় শিক্ষণীয় এদিক অদিক হলে
পণ্ডিত মশায় গর্জে গিয়ে দিত বেখাপ্পা কান মলে ।
কাকের টেং বকের টেং যাদের হত লেখা
তাই নিয়ে তামাশা কত হতো মজাসে পাঠ শেখা ।
পাঁচ
হেয়ালি মনাই করে কামাই বিদ্যালয়ে গমন
মারবেল খেলায় মন মজায় দাবিয়ে চৈত্র লগন
অনেক গুটি হেঁড়ে জিদ চাপে গাঁড়ে
আবার ছুটে বাড়ী করে চাল চুরি জিততে হবেই এবারে ।
এদিক অদিক চোখ মেলে পাকা দেখে ঘর
গামছায় লুকায় সের খানি চাল ভয়ে চকিত হয় অধর
অজান্তেই লেগে গায়ে ঢাকনা বাজে ঝন ঝন
আঁচ পেয়ে মামি সুধায় কি হলরে বাচাধন
কিসের শব্দ হল রে বাঁচা অলুক্ষনে ঘরে
মনাই কয় ওগো মামি বিড়াল ইঁদুর ধরে ।
ও তাই আমি ভাবলুম না জানি হয় কিবা
তা বাছাধন এ রুদ্দুরে ঘর ছাড়া না হইবা
মিথ্যা কহে মনাই মামি কে আসব আর যাব এ বেলায়
ফাঁকি দিয়ে এই যে ছুটে আর তারে কে পায় ।
ছয়
কিনে কতক খেলার গুটি সোনা গাজির দোকান থেকে
খেলা জমায় গাছের তলায় ধুলু বালি মেখে
সাগর সামসু টগর বকুল সবাইকে হারিয়ে
জুলা ভরে মনের সুখে কতক শক্তি দেখায়ে
না জিতিয়া ধূর্ত নুরু মনাইয়ের গুটি খাঁড়ি
এক ছুটে ত্রিসিমানা জমায় দৌড়ে পাড়ি ।
সাথিদের শাসায় যা ধরে আন মনাই রোষে গর্জে উটে
সঙ্গীরা তারে আনে বেধে তক্ষনি সে দুঘা বেত লাগায় পিটে ।
পাঠশালারই ঘণ্টা বাজে শশিরা আসে সে ক্ষনে
মনাই হয় অতি নিরব চেয়ে সখির পানে
শশি কহে অহে মনাই দিলি কেন স্কুল ফাকি
বলে দেব স্যার কে কেমন এ চালাকি
লক্ষ্মীটি ধরি কানে তবুও বলিস না কাউরে
মেলা থেকে লালা ফিতা কিনে দেব তোরে
শশি এবার নিকটে ভিড়ে ফিক করে হাসে
সেই হাসিটা লুটায়ে পড়ে মন পবনে মিশে ।
গাছের ফাকে সূর্যের আলো ঘোমটা কভু মেলে
ধান শালিকের মাঠে মাঠে স্বপ্ন ছায়া খেলে ।
সংক্ষেপিত ।
বাকি অংশ পরে প্রকাশ করা হবে ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু
শুভকামনা
ভাল দিন যাক
তাই বাসনা
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২
বিডি আমিনুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানালাম পল্লী কবি কে । সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুভকামনায় হে পাঠক
রইল অন্তরে একরাশ ফুলেল অভিনন্দন
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
শার্লক বলেছেন: ১৮৯৩-১৯৫৩? উনার জন্মসাল তো ১৯০৩ আর মৃত্যু ১৯৭৬ সালে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একটা ইংরেজি আর অন্যটা বাংলা
শারলক মনে হয় রহস্যর গন্ধ আধারে তন্ময়
ভাললাগা তাই সব সময়
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
ভুদাই আমি বলেছেন: +++++
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু
ভাল থাক শুভেচ্ছা কামনা
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: কবিতাগুলো পড়লাম। কবিকে শ্রদ্ধা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ তাই
শুভকামনা অনেক অনেক
ভাল যাক দিন
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
শার্লক বলেছেন: কি কন? কোনটা বাংলা কোনটা ইংরেজি? বুঝান।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১৯০৩ -১৯৭৬ একদম টিক
ধন্যবাদ শুভকামনা বন্ধু , উপাধির সাথে আজ কাজের মিল
পাইলাম স্যলুট ।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: কবিকে গভীর শ্রদ্ধান্জলী। পোষ্টে ++++++
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ১ম ভালোলাগা । কবির প্রতি শ্রদ্ধা রইল ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই+
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৭
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য দেখে আমি বলতে নিয়েছিলাম যে এই বিষয়ক একটা পোষ্ট দেন। অনেক ভাল লেগেছে পোষ্ট। আমার অনেক প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন, উনি আমাকে কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে এসব তথ্য দিতেন। পোষ্ট প্রিয়তে ও আমার কবিতা বিষয়ক একটা পোষ্টে যুক্ত করে দিব।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: স্বর্ণা এখনও তুমি আধারেই আছ ।
তুমি লিখেছ আমার অনেক প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন , উনি আমাকে কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে এসব তথ্য দিতেন ।
তাহলে পরিবেশ বন্ধু কে ?
আবিস্কার করিবে তারে যেদিন কথা থাকল সখি
প্রিয় পংতি মালা সাজিয়ে ভিজাইব দু আঁখি
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
আরজু পনি বলেছেন:
কবির প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।
পোস্টে কবির একটা ছবি দিলে বেশি ভালো হতো।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অনন্ত শ্রদ্ধা তার প্রাপ্য অন্তত বাংলা ভাষাভাষীদের নিকট যুগ যুগ
অনন্ত সময়ে ।
ভাল থাকুন আপুমনি
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ছবি সংযোগ দিলাম
অসংখ্য শুভেচ্ছা
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
ইখতামিন বলেছেন: গাছের ফাকে সূর্যের আলো ঘোমটা কভু মেলে
ধান শালিকের মাঠে মাঠে স্বপ্ন ছায়া খেলে ।
পরিবেশের বন্ধু সে তো অনেক পদ্য লেখে
পড়ে পড়ে মন হারালাম গাঁয়ের স্বপ্ন দেখে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ হৃদয় গহন থেকে যেখানে লুকিয়ে রয় অনন্ত ভাললাগা
শুভেচ্ছা ইখতামিন
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২১
সাইফ সামির বলেছেন:
কবি জসিমউদ্দিনের কবিতা পড়ে চোখে পানি আসেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কবিকে সব সময় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
*পোস্টে পল্লী কবির জন্ম-মৃত্যু সালটা (১৯০৩ -১৯৭৬) ঠিক করে দিন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের ১১০ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কবির
মহানুভব স্বত্বায় জানাই অসীম শ্রদ্ধা নিবেদন
অতঃপর দুর্লভ ছবিটি পাঠানোর জন্য সাইফ সামির কে জানাই
অন্তরের ভিতর থেকে জাগ্রত শুভেচ্ছা ।
তার অমর কবিতার অংশ বিশেষ
কবর
এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের তলে
তিরিশ বছর বিছায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে ।
অথবা
আমার ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি বাধি তার ঘর
আপন লভিয়া খুজিয়া বেড়াই যে করেছে মোর পর ।
অনেক মর্ম স্পর্শী তাই না
ধন্যবাদ অনেক
১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
নেক্সাস বলেছেন: বাংলার অন্যতম সেরা কবি। শ্রদ্ধাঞ্জলি..
পোষ্টে প্লাস
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তার অমর জাগ্রত চেতনায় শুধুই অসীম শ্রদ্ধা
ধন্যবাদ বন্ধু
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আরও +
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: @**********%%##ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ ধান শালিলের মন " গ্রামিন কাব্য র বাকি অংশ
এম জি আর মাসুদ রানা
সাত
মনাই থাকে মামার বাড়ী দুকুলে তার নাই বাপ মাও
ছুট বেলায় এতিম করে তারা ছাড়ল জগত জীবন নাও
মামা তার করিম বক্স মেহনতি কৃষকের কাণ্ডার
বিদ্রোহ করে বসে উচ্ছেদ করতে ব্রিটিশ শোষক জমিদার ।
নিঃসন্তান করিম বক্স পুত্র স্নেহে মনাইকে করত অতি আদর
ছিল না অভাব জমি জিরাত ও বাগান বাড়ি ঘর
আজি হাট থেকে বাড়ী ফিরে মনাইয়ের মামা
তার লাগি কিনে আনে রঙিন উলের জামা
আনে আরও কত কি যে মুড়ি , খেলনা মিষ্টি গজা
তাই লয়ে মামি বসে করে কত মজা
সব এনেছ ওগো তুমি আননি গুড় কলা
শশি কহে বুড়ু দুষ্ট ছেলে দেব যে কান মলা ।
ওরে দুষ্টু বাকি রইল কেন মামির পাতা পান
ভুলের লাগি দুষ্ট ভোলা ধড়তে হবে কান ।
হু হু করে হাসে তারা শশির কথা শুনে
করিম বক্স কহে বুড়ূ ছেলে বেজায় ভুলে চলি আনমনে ।
হে রাবেয়া দাও এদের বকসিস এদের মিটিয়ে
নয়ত বেজায় এই না বেলায় দেবে মগ পিটিয়ে ।
মনাই শশি দুইয়ে মিলে নাড়ু গজা খায় চুপিসারে
মামা মামি দেখে ওদের স্বপ্ন মজায় অন্তরে ।
মামি তায় আচমকা খিলখিলিয়ে হাসে
সাদা পাতার ময়লা খানি ফোকলা দাঁতে ভাসে ।
আট
পাঠশালাতে মস্ত গোল পড়া ফেলে একছুট
খেলায় মজে দুষ্ট নুরু শশির গাঁয়ে ছিটায় ধুলু খড় খুট
মনাই এসে হটাৎ তারে কিল ঘুসি ছাড়ে
উস্তাদ এলে জানায় আর্জি খরগ নুরুর গারে
ব্যাপার বুঝে কঞ্চি ভাঙ্গে কতক তার পিটে
বিদ্যাপাঠ থেকে চুকিয়ে দেয় লেনদেন গোল যায় মিটে
একটু সুযোগ পেয়ে শশি মনাই খেলায় মজে বনের ফাঁকে
একলা বেলা কাল সাঝে কোকিল কু কুহ ডাকে ।
বাজে কভু সুরের দ্বারা রাখালিয়া মন হরা বাঁশি
ছুটে আসে প্রানের টানে নাওয়া খাওয়া ভুলে তায় শশি
কে যায় গো সুধায় বুড়ী ছুট বনের কুটিরে বসে
ঝনঝনা ঝন শুকনো পাতা ধবল পায়ে পিষে
শশি কহে হে বুড়ি খুজি পাখির বাসা
আমার মত নাছ দেখাবে বৃথাই মনে আশা ।
সেই দিন যদি ওহে বুড়ি পাইতে চাও ফিরে
আমার নামটি লইয়া চল চড়ি গাছের আগার পরে ।
বুড়ি কহে বুঝতে পারবি ওরে আসিলে কঠিন দিন
তোদের চাইতে কম ছিলাম না ভয়ে পালাইত ভুত জীন ।
সব সখিরা তাই শুনে গড়িয়ে লূটায় হেসে
আবার ছুটে বন বাধারে শ্যামল ছায়ায় মিশে ।
নয়
আরও + হবে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাকি অংশ
ধান শালিকের মন
নয়
সেলবরষ পরগনার জমিদার বাদশা মিয়া প্রতাব কত আঁট
তার হাতি ঘোড়ার খোরের গায়ে কাঁপত বালির মাঠ
সাতলাখি যত প্রজা খাজনা দিত ভয়ে
শত শত পাইক পেয়াদা লুটাইত তার পায়ে
খাস মহল রঙ মহলে গিজ গিজ করত দাস দাসি
সোনা দানা হিরার পোশাক গায়ে ঝলমলে উটত ভাসি
সারা এলাকায় ত্রাস ছিল খাজনা লইত জুড়ে
ভয়ে কাঁপত কতজনের প্রান তাপিত অন্তরে
পাশের গ্রাম সৈয়দ পুর কভু দিত হানা
এই লয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদ চলত একটানা
শস্য ক্ষেতে দিত ছেড়ে জমিদারের হাতি
ভাঙ্গত কত বাগান বাড়ি অযথা ফসলের করত ক্ষতি ।
গায়ের লোকজন মিলে একদিন বসে ফন্দি আঁটে
সুযোগ বুঝে তাইত সবে নেমে আসে মাঠে
রাত বারটায় তাই ছুটে মোড়লের নির্দেশে
সয়ং জমিদারের হাতি এলে লাগে তার ত্রাসে
জাল দিয়ে চতুর্দিক থেকে হাতি ঘিরে ফেলে ফাঁদে
পাছ মনি কোটারের গা চালায় মাথায় উটে
এভাবে জমিদারের হাতির প্রান লিলা করে সাঙ্গ
সকলে ছুটে আপন বাড়ী দিয়ে রনে ভঙ্গ ।
দশ
তুতা মিয়ার কানে খবর পউছে রাত পোহাবার আগে
প্রিয় হাতি কে মারে জ্বলে দ্বিগুণ ক্ষোভ আর রাগে ।
লাটিয়ালদের হুকুম চালায় রক্ত চক্ষু ঘুরে
কার এত দুঃসাহস এক্ষুনি আন ধরে
সৈয়দ পুরের মাঠ কাঁপে ঘোড়ার ক্ষুরের গায়ে
কেউবা করে ছুটা ছুটি কেউবা পালায় ভয়ে ।
লাটিয়াল দের গায়ে কারও ঘর কারও বাড়ী
অন্যায় ভাবে ভেঙ্গে চুরে কাউরে পিটায় মারি
মোড়ল অতি চতুর লোক গুঁজব দেয় রটায়ে
গায়ের মানুষ গুম হয়েছে লাটিয়ালের গাঁয়ে
খুনের কথা নানা মুখে গুজব হয়ে ফিরে
জনতার উগ্র মূর্তি দেখে লাটিয়াল পালায় দূরে
জালু মোড়ল রহিম সরদার প্রমুখেরা সাজায়ে ডিঙ্গি নাও
সুনামগঞ্জ আদালতে চলে বাড়ায় বুদ্ধির দুটো পাও
কোর্টে গিয়ে মামলা টুঁকে ৩০২ দ্বারায়
হাতির চাইতে মানুষ দামি হাকিম তাই পড়ে চিন্তায় ।
সয়ং জমিদারের হাতি মরল কেহ ভয়ে যায় বাড়িঘর ছাড়ি
এদিকে এজলাসে জমিদারের বিরুদ্ধে হল উলটূ সুমন ঝাড়ি ।
সবাই দেখে লাল পাগড়ি অয়ালা সিপাই ছুটে সেলবরষে
সৈয়দ পুরের মোড়ল মনে মনে তাই বেজায় হাসে ।
এগার
আরও +
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বনভোজনে উঠল মেতে ওরা সবাই মিলে
রঙ্গিন সাজে হল্লা করে তাই ভেদাভেদ ভুলে
মেয়েরা সব ব্যস্ত আজি হাড়ি পাতিল লয়ে
কেউবা চুলোয় আগুন ধরায় চোখের জলে নেয়ে
শশী শিলা আর সখীরা একত্রে মিশে
বডি মিয়ার সং দেখে খিলখিলিয়ে হাসে
মনা বাজায় সুরের বাশি বসে গাছের ডাল
হল্লা করে নাচে কেহ বাজিয়ে হাতের তাল
আয়েশ করে মনের মত পোলাও কোরমা রাধে
সবে মিলে খায় মজাসে তৃপ্তি ও সাধে
গুলির শব্দে হটাত সবে ভয়ে আটখানা
ওদের সামনে পড়ে শালিক রক্তে ভেজা ডানা
দেখে ঘোড়ায় চড়ে সাহেব এক বন্ধুক লয়ে তাই
পাখির প্রাণে আঘাত করে বুঝি দয়া মায়া নাই
মনাই কহে হে বন্ধুগণ দাড়িয়ে কি দেখা
জবাব দাও না উচিত ওদের লয়ে মাটির চাকা
জেই কথা সেই কাজ অমনি মেঘের মত
সাহেবের গড়ে পড়ে আর চেচায় ঘোড়ার মত .
উপায় না দেখে সাহেব অমনি ভয়ে ছুটে
সব মিলে মরা শালিক এর কবর দেয় ধান শালিকের মাঠে .
বার
ধুর্ত নুরু সুযোগ বুঝে একটু সুযোগ খুঁজে
আড়াল থেকে ফন্দি ফিকির লাগায় এবার কাজে
শশীর পড়ায় মন না দেখে ধমক দেয় মশায়
কি হল গ মিয়ার মোড়ল নন্দী মনটা আজ কোথায়
আড়াল থেকে ধুর্ত নুরু এবার রসের গলা চড়ে
ওস্তাদজী পড়বে কি ও যে মনায়ের সাথে বসে প্রেম করে
এহেন কোথায় তাই শশীর লাজ রাঙ্গা হয় মুখ
ধুর্ত নুরু আড়াল থেকে পায় বড় সুখ
পেট ব্যথার কথা কয়ে শশী ছুটে বাড়ি
পন্ডিত মশাই ছুটি দেয় পাঠশালা তরিগরী
আর সবে এই নিয়ে কানা কানি করে
লজ্জাতে মনাই আজ চোখের পানি ছারে
হটাত মনাই রাগের মাথায় লাফ মেরে নুরুর নিকট দিয়ে
আচ্ছা মত বার কতক পিটায় জুতা দিয়ে
ঝগড়া শুনে ছুটে আসে পাড়ার যত লোক
চিত্কারে আর হট্টগোলে বারে আরো নতুন মুখ
ঘটনা কি হলিও বা কি মহা জঞ্জাল
এ কান সেকন হতে তাহা তিল থেকে হয় তাল .
তের
.
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
তের
ভরা সালিশে নুরু সব করে ফাস
মনাই শশীর গড়ে চাপে মহা সর্বনাশ
কথা খানি যারাই শুনে তারাই মুখ করে বাকা
কি হল ওদের বয়স প্রেমের ঘাট রয় ফাকা
নুরুর বাপের কপালে ডিল দিয়েছিল একদিন মনাই
আজি তারি লইবে শোধ মতলব খরায় গন্ডায়
শাসায় খাসা লয়ে লাটি হুতুম পেচার মুখ
তাই দেখে ছেলে শিশুর কাপে বেজায় বুক
পন্তীত মশায় হটাত রেগে এসে কহে এসব কি
আমি পরাই ছাত্র আমার বিচার করব মোই
গ্রামের সবাই তাই মেনে নেয় রাগে জলে কাজু মোল্লা
নুরুর গারেই হামলে পড়ে বেজন্মা আকাইম্মা পোলা .
আয় ঘরে আয় আজ তরে করে দেব শেষ
তর কারণে লোকে মোরে মন্দ ঝাড়ে বেশ .
শশী তাই নজর বন্দী হয় থাকে ঘরে
মনায়যেরও মন বসেনা শান্তি নিল কেড়ে
মামা মামী তারে নিয়ে বুঝায় কত ডেকে
আদর করে দেয় যে খেতে দুধ কলা ভাত মেখে .
চৌদ্দ
শশীর বাবা আগুন হয়ে মেয়েকে দেয় আচ্ছা মত বকে
প্রয়োজনে বাড়িতে আনব অনেক মাস্টার ডেকে
আজ থেকে বন্ধ হোক পথ সালাতে যাওয়া
আর যেন না শুনি এমন বদ হাওয়া .
বাপের কথা শুনে মেয়ে গাল ফুলিয়ে সারা
রোজ রোজ ভাঙ্গে তাই কাচের জিনিস জোড়া জোড়া
সাথী সজন সবার সাথে বন্ধ করে কথা
দরজা এটে কাটায় ঘরে মনে বড় ব্যথা
মেয়ের দশা দেখে ফুফু আনে কবিরাজ ওঝা
ঝাড় ফু দেয় যে তারে পিটে দেয় ঘরম তেলের মাজা
সির্নি মাগে পীরের দরগায় আনে মসজিদ থেকে পানি পড়া
তবু দুস্ট ভুত ছাড়েনা বললে বুড়ি কথার দিয়ে নাড়া
বেলা নাই সময় নাই বন বাধারে ঘুরে
এমন দস্যি মেয়েকে কি জিন ভুতেরা ছারে
দুর্দশা দেখে প্রিয় খেলার সাথী শিলা চুপিসারে
দিল সব খবর পৌছায়ে মনাই এর তরে
এমন কথা শুনে সে ভিসন রাগে জলে
ছুটে চোলে সবার আগে নাওয়া খাওয়া ভুলে .
পনের
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: পনের
মোড়ল মশায় গনি নামের এক জনারে রাখে লুকায়ে
বিশাল বাক্সে ভরে রাতদিন যায় তারে খাবার জুটায়ে
রাত রাত চালায় তারে পাড়া থেকে পাড়ায়
আইনের লোক চলে ফিরে আর কি সেথা দাড়ায়
জমিদার বাদশা মিয়া পড়ে গেঁড়াকলে
হার্ট ফিল করে মরে তাই অকালে ।
তার দু সন্তান তুতা আর লাল মিয়া
জমিদারি করে বহন বেজায় হাক ছাড়িয়া
লাল মিয়া বেখাপ হয়ে দিগুন খাজনা তুলে
সৈয়দ পুরে পাটায় লাটিয়াল ভয়ংকর জলে
কারও ভাঙ্গে ঘর বাড়ী কারও গোলায় আগুন
আবার কাউরে নেয় ঘরে পিঠায় ইচ্ছামতন ।
মনাই এর মামা মামি পালায় গ্রাম ছাড়ী
মোড়ল ছুটে এজলাসে লইতে ক্যাইচের ডিগ্রি জারী
হাকিম শুনে সবিস্তারে মাথায় দিয়ে হাত
না পায় সমাধান কাটায় চিন্তায় রাত
মোড়ল মশায় হয় বাদি চায় মানুষ হত্তার বিচার
কাঠগড়ায় দাড়ায় আসামি হয়ে সয়ং তুতা মিয়া জমিদার
উকিল মুক্তার কহে কত জনতাআসে দেখিবারে
সমান লড়াই চলে মোড়ল আর জমিদারে ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১৬
শশির পিছু ছাড়েনি ধূর্ত নুরু ঘুরে আউলা বেশে
সন্ধ্যা হলেই ভয় দেখায় জানালা দিয়ে এসে
নকল সুরে ভুতের আওয়াজ ছাড়ে ক্ষনে
রক্ত হিম করা ভয় ডুকে তাই শশির মনে
চমকে উটে তাই সে চিৎকার দিয়ে বেজায়
বাচাও মাগো ভুত এল গো আবছা এ বেলায়
সবাই এসে পরখ করে দেখে ঘর খালি
কানাকানি করে কেহ কত কি করে বলাবলি
মসজিদের মুন্সি এনে ঘর করে পাক
তাবিজ দেয় গলায় বেধে ফু ঝাঁরা তুক তাক ।
পাড়ার কুটনি বুড়ি এসে দেয় সলাপরামর্শ অতি
সিগ্রি করে বিয়ে দিয়ে দাও করবেনা ভুত ক্ষতি
এহেন কথা শুনে মোড়ল চিন্তায় পড়ে তায়
ঘটক কে নিমিষেই খবর পৌঁছে দেয় ।
নুরু ভাবে একি বিষয় ফন্দি ফিকির লাগেনি কাজে
এবার সে নতুন চাল আড়াল থেকে খুজে ।
শশির সখি সুযোগ পেয়ে নুরুর ফন্দি করে ফাস
শশি তাই লিখে চিঠি মনাইয়ের নিকট ব্যক্ত করে মনের আশ
হে প্রিয়জন রাত দুপুরে বাগান বাড়ী এসে
আমার মনের আগুন খানি নিবিয়ে যেও পাশে মিশে ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১৭
মনাই আর তার মামা নিরব অতি বসি শিয়রে
যে করেছে মাতৃ স্নেহ তার জীবন প্রদিপ নিবু নিবু করে
পুরনো অসুখ বাসা বাধে তার শশির পানে
সেই মামির লাগি মনাই কাদে তাই এ লগনে
মামি কহে অহে বাচা মনে সাধ তর বউ আনি ঘরে
শান্তি মিলবে আত্মায় গেলেও আকাল মরে
যদি পার সিগ্রি কর প্রস্তাব লয়ে যাও মোড়ল বাড়ী
আলী সরদার মাথা দুলায় তাই সায় দিয়ে তারাতারি
মধু ঘটক এই সময়ে আঙিনায় এসে
হাঁক ছাড়ে ছালাম দিয়ে মুখি টেনে হাসি
কি খবর মধু হায়াত বাড়ুক করলুম যে সরন
যেতে হবে বিয়েয় পয়গাম লয়ে মোড়ল বাড়ী এখন ।
যাব যাব তা কি বলব সাহস করি কহে
মামি বুঝিয়ে সবি জানায় সুখের বাতাস বহে ।
সখির চিঠি পেয়ে মনাই রাত দুপুরে ছুটে
বাগান বাড়ী আসে চলে আধার কত লুটে ।
মনের মত কহে কথা বাশ বাগানের আড়ে
জোনাক জলে নিবু নিবু চাঁদের হাসি ফুটে আকাশ ফুড়ে ।
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আরও +
১৬| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আচ্ছা, মন্তব্যের গুলোও এড করে দেয়া যায় না পোস্টে???
দিলে ভালো হতো ...
প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখা পোস্টে চোখ বুজে প্লাস ...
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল কথা অবশ্যই মন্তব্য যোগ করা যায় । কমেন্টে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
শূন্য পথিক বলেছেন: শ্রদ্ধা!
পোষ্টে +