নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার সার সংক্ষেপ ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪০

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার আত্তাধিক

সার সংক্ষেপ ।



বিদ্রোহী

কাজী নজরুল ইসলাম ।



বল বীর -

বল উন্নত মম শির!

শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

বল বীর -

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’

ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া

খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,

উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!

মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর -

আমি চির উন্নত শির!



আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!

আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,

আমি দুর্বার,

আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

আমি মানি না কো কোন আইন,

আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

আমি ধূর্জটি, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর

আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

বল বীর -

চির-উন্নত মম শির!



আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি,

আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,

আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,

আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’

পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’

ফিং দিয়া দিই তিন দোল;

আমি চপলা-চপল হিন্দোল।

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা!

আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর;

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর!

বল বীর -

আমি চির উন্নত শির!



আমি চির-দুরন্ত দুর্মদ,

আমি দুর্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ।



আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,

আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।

আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,

আমি অবসান, নিশাবসান।

আমি ইন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য

মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ-তূর্য;

আমি কৃষ্ন-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা-বারিধীর।

আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল বীর -

চির - উন্নত মম শির!



আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক,

আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।

আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,

আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!

আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,

আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার,

আমি পিণাক-পাণির ডমরু ত্রিশূল, ধর্মরাজের দন্ড,

আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!

আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,

আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব।

আমি প্রাণ খোলা হাসি উল্লাস, – আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস,

আমি মহা প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু গ্রাস!

আমি কভূ প্রশান্ত কভূ অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,

আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!

আমি প্রভোন্জনের উচ্ছ্বাস, আমি বারিধির মহা কল্লোল,

আমি উদ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্জ্বল,

আমি উচ্ছ্বল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল-দোল!



আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণু, তন্বী-নয়নে বহ্ণি

আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!

আমি উন্মন মন উদাসীর,

আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা হুতাশ আমি হুতাশীর।

আমি বন্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,

আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ – জ্বালা, প্রিয় লান্চিত বুকে গতি ফের

আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়

চিত চুম্বন-চোর কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!

আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল-ক’রে দেখা অনুখন,

আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা’র কাঁকন-চুড়ির কন-কন!

আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,

আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচড় কাঁচলি নিচোর!

আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া,

আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া।

আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি

আমি মরু-নির্ঝর ঝর ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি!

আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!

আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!



আমি উথ্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,

আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।

ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া

স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,

তাজী বোররাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার

হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে!



আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্ণি, কালানল,

আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!

আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,

আমি ত্রাস সন্চারি ভুবনে সহসা সন্চারি’ ভূমিকম্প।



ধরি বাসুকির ফণা জাপটি’ -

ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি’।

আমি দেব শিশু, আমি চঞ্চল,

আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব মায়ের অন্চল!

আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,

মহা- সিন্ধু উতলা ঘুমঘুম

ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম

মম বাঁশরীর তানে পাশরি’

আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।

আমি রুষে উঠি’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,

ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!

আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!



আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,

কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা-

আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!

আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,

আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!

আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!



আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,

আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়।

আমি মানব দানব দেবতার ভয়,

বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,

জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,

আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য!

আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!

আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!



আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার

নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!

আমি হল বলরাম-স্কন্ধে

আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।

মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত,

যবে উত্‍পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না -

অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।



আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,

আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!

আমি খেয়ালী-বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!



আমি চির-বিদ্রোহী বীর -

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত মম শীর ।





বীরের মাথা কখনও অন্যায় অপশক্তির নিকট নতি স্বীকার করেনা ।



খোঁদার আরশ আসন বলতে

আরবি আয়াত কুলুবিল মুমিনিনা আরশেউল্লাহ

অর্থ মুমিনদের কলবে আল্লাহর সিংহাসন



আত্তাধিক জগতের সাধক প্রান লালন গেয়েছেন



আপনারে চিনতে হলে রে যাবে অচেনারে চেনা

ও যার আপন খবর আপনার হয়না ।



যারা আত্তাধিক সাধক , আত্তাধিক অর্থ আত্মার চাইতেও নিকটে

আয়াত কাল্বিল্লাহ ইছমু অয়া হাযা সাহ বুল আয়াতিন

আল্লাহ মানুষের সাহ্রগ এর চাইতেও নিকটে ।



আল্লাহ এত নিকটে আমরা যদিও চর্ম চোখে দেখিনা কিন্তু

যারা আল্লাহ কে পাওয়ার জন্য সারাজীবন সাধনা করে গেছেন

তাদের নিকট আল্লাহর পরিচয় ইমানী চেতনায় খুবই উজ্জ্বল ।



তাই কবি তার কবিতায় আল্লাহুর আরশ আসন ছুয়ে তারি রঙ্গে

রঙ্গিন হয়ে মিশে গেছেন ।



আবার লিখেছেন

আমি রন দা সর্বনাশী

জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি ।



সৈনিক জীবনে তিনি ২য় বিশ্ব যুদ্ধের প্রত্যক্ষ্য সাক্ষি এবং রণাঙ্গনের একজন সার্থক যুদ্ধা । তিনি ছিলেন অকুতভয় নির্ভীক ।

হাদিস , আল্লাহর একদল প্রেমিক কে হাসরের মাঠে ফেরেস্তারা

শৃঙ্খলিত অবস্থায় নিয়ে আসবে , এবং তারা দুযখের দিকে দাবিত হবে , আল্লাহ বলবেন হে ফেরেস্তারা তারা তো আমার বন্ধু বেহেস্তে নিয়ে যাও ।

তখন তারা বলবে হে আল্লাহ দুযখিদের আযাব আমাদের দিয়ে দিন আর তাদের ক্ষমা করে দিন , নইলে আমরা বেহেস্তে যাবনা

আল্লাহ বলবেন যাদের পছন্দ নিয়ে যাও হে ফেরেস্তারা আমার আশেকেরা যদি দুযখের আগুনে পদার্পণ করে তবে দুযখের আগুন নির্বাণ হয়ে সেথা ফুলের বাগানে পরিনত হবে ।

কিতাব বায়হকি



আমি মৃন্ময় আমি চিন্ময়

আমি অমর অঝর অক্ষয়

আমি মানব দানব দেবতার ভয়



আসলে দেহ মরে কিন্তু আত্তার মরন নাই

কবিতার ভাষা তাই ।



আবার লিখেছেন

মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত

যবে উৎপীড়নের ক্ষন্দন রোল

আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা



অর্থ অন্যায় অত্যাচার যতদিন চলবে ততদিন পর্যন্ত

এর বিরুদ্ধে আমার অভিযান অব্যহত থাকবে তবুও সত্যর রন

হুংকার থাম্বেনা ।



শেষের চরন এমন যে

আমি বিদ্রোহী ভিগু ভগবান বুকে এঁকে দেই পদচিহ্ন



কথাটির অর্থ না বুঝে কিছু সংখ্যক মুল্লা কবিকে কাফের বলেছিল

জবাবে কবি

ভিগু অর্থ নাস্তিক বা যারা আল্লাহ মানেনা

কবি বলেছেন যারা আল্লাহ মানেনা তাদের বুকে একে দেই পদচিহ্ন আর ওরা না বুঝে কি বললে ।



পরে এসে কবির নিকট ওরা ক্ষমা ছেয়েছিল ।

এত এব অর্থের পার্থক্য একই শব্দকে ভিন্ন বুঝায় ।

তাই সঠিক অর্থ প্রয়োগের মাধ্যমে সাহিত্য কে জিইয়ে রাখা

প্রত্যকের মৌলিক ও সুক্ষ দায়িত্ব ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তার একটি কথিকা +

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমি যদি বিদ্রোহী কবি নজরুল হই তাহলে নজরুল ইসলাম কে ?


বিশিষ্ট সাহিত্যক শাহেদ আলী সাহেব কে প্রস্ন রাখলাম নজরুল অর্থ কি / উত্তর এল মুক্তির কাণ্ডারি । ভাবতে অবাক লাগে ইসলাম
কে তিনি বাংলাভাসি সাহিত্য প্রতিভায় একাই সমৃদ্ধি করেছেন ।
তার অসংখ্য ইসলামী গান গজল কবিতা ও রচনা যা মানুষের
কল্যান ও মুক্তির পথ পাথেয় । আমি তার বিদ্রোহী কবিতার একজন গবেষক দার্শনিক / না কোন ডক্টরেড উপাধি লাভ করিনাই , তবে তার গভিরতা কতটুকু তাত্ত্বিক সামান্য উপমা
দেব । দ্যুলোক ভূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আরশ আসন ছেদিয়া ;;;;;;;;; কথাটি যথার্থ । হাদিস শরিফ
থেকে আয়াত খুলুবিল মুমিনিনা আরশুল্লাহ অর্থ মুমিনের কলবে
আল্লাহর সিংহাসন । নিশ্চয় কবি একজন আল্লাহর মুমিন বান্ধা ছিলেন । কোরআনের আয়াত আলা আউলিয়াল্লাহু লা খাওফুন অয়াআলা ইয়াহযানুন অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধুগনের ভয় নাই দুনিয়া ও আখেরাতে । নজরুল ইসলাম তার বিদ্রোহী কবিতা
যে ভাবে বর্ণনা করেছেন যে সয়ং বিধাতাই তার নিজ ভাষায় ব্যক্ত
করেছেন ।যেমন আমি অমর অজর অক্ষয়
আমি মানব দানব দেবতার ভয় । একমাত্র অমর অক্ষয় আল্লাহ
ছাড়া আর কেউ নয় । দর্শন কবি মাওলানা রুমি তার বিখ্যাত
রছনা মসনবি শরিফে উল্লেখ করেছেন এক যামানা ছহবত বা আউলিয়া /ব্যাহতরে বে ছাল ছালে তাত বেরিয়া অর্থ মুহুরথ সময় আউলিয়া কেরামের সান্নিধ্য থাকা শত বছরের এবাদতের সমান । নিশ্চয় নজরুল বড় বুজুর্গ বা অলি ছিলেন । মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত যবে উৎপীড়নের .
আসলে দর্শনে কথাটি এমন দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু আত্তার মৃত্যু
নেই । পরিশেষে তার ধুমকেতু কবিতাটির চরন এমন
আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুনঃ মহা বিপ্লবি হেতু
ঐ স্রষ্টার শনি মহাকাল ধুমকেতু । বিজ্ঞান ধুমকেতু নামে একটি
গ্যাসীয় প্রকাণ্ড গ্যাসিয় বলয় ৮৩ বছর অন্তর অন্তর একবার
পৃথিবী পদক্ষিন করে । আরেকটি কবিতার পংতি এমন
বিশ্ব জগত দেখব আমি আপন হাতেমুটুঁয় পুড়ে । আসলে মিথ্যার
লেশ মাত্র নেই । প্রমান মুটুঁ ফোন ,লেফটপ প্রভৃতি তিনি আমাদের জাতীয় কবি । শুধু দুঃখ একটাই আজও কবির স্মৃতি
বিরজিত কাজীর সিমলা স্কুল ও ত্রিশাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আজও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সুচক ডি লিট ডিগ্রী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ।এস সবে মিলে জাতীয় কবির মর্যাদা কে হ্রদয়ে লালন করি গভীর শ্রদ্ধায় ।





১. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৫
জুনায়েদ০০৭ বলেছেন: পরিতাপের বিষয় আমরা আজো চিনলাম না যে, আমাদের মাঝে কে এসেছিল।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খক বলেছেন: নজরুলের ধুমকেতু কবিতার অংশ

আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন বিপ্লবী হেতু
ঐ স্রস্টার শনি মহা কাল নাগ ধুমকেতু ।

সে যা সৃষ্টি করে গেল কাব্য কথায়
তা ইতিহাসে কিয়ামত পর্যন্ত জিবন্ত থাকবে নানা শিক্ষার্থীদের চেতনায় ।
তাই কবি তাদের মাধ্যমেই তো যুগে যুগে আসে
আর শনি একটি গ্রহ যার নিকটে সূর্যের তাপ অগ্নিগোলক হয়ে
চিরদিন ভস্ম হয় শনি অগ্নিলাভায়
তাই কবি বলেছেন শনির মতই গ্যাসীয় ধুমকেতু যেভাবে ছুটে
বেড়ায় মহাশুন্য সেভাবেই কবির পদার্পণ ।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অচেনা যুজনা

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমি জেনারেল উএস এর স্বর্ণাকে


কবি নজরুলের একটা লেখা এমন । বিশ্ব জগত দেখব আমি আপন হাতে মুটয় পুড়ে , লেখার ১০০ বছর পরে সত্যি আমরা
জয় করলাম অজানাকে । তেমনি জেনারেল অর্থ জাতীয় শক্তি
সেটা অর্জনে তোমায় বিশেষ ধন্যবাদ আমার দেশে এমন সবাই শুধু আমি ব্যথিত । ঈদ মোবারক জেনারেল



১৬২ বার পঠিত আপত্তিকর ০ ১৯ ১

১৯টি মন্তব্য
১-১৯

১. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৩
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা। শিরোনামের মানে কি? বুঝিনি।

২. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৬
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: =p~ =p~

৩. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৬
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: /:)

৪. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জেনারেল মোবারক !!


ঈদ মোবারক !!


হ্যাপি ব্লগিং :)

৫. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৯
আরজুপনি বলেছেন:

জেনারেল কি সেফ থেকে না ওয়াচ থেকে??

আচ্ছা শুভ ব্লগিং :)

৬. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫২
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: স্বর্ণা অসংখ্য ধন্যবাদ
আমি পরিবেশ বন্ধু কবি
লিখে রাখি সময়ে সবি /
যারা হয় অতি আপন
তাদের জন্য অভিনন্দন ।
জবাব এলে আমি খুশি
যেন সত্যিকে বেশি ভাল বাসি
ঈদ শুভেচ্ছা জেনারেল

৭. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৭
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: ্মাসুদ রানা অর্থ ফুলের সুভাস ধন্যবাদ

৮. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৩
সবুজ পাওয়ার বলেছেন: জেনারেল মোবারক,,,,,,,,
আমিও জেনারেল
সামুর দেয়া ঈদের গিফট

৯. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫০
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: ২ জেণাড়েল এক হলে স্কয়ার ধন্যবাদ ঈদ মোবারক

১০. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫২
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: আমি জেনারেল উএস এর স্বর্ণাকে মানে কি?

১১. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:১৫
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: বালছাল পোস্টে ব্লগ ভইরা গেল। আফসুস।

১২. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
মামুন৬৫৩ বলেছেন: হ্যাপ্পি ব্লগিং :-B :-B

১৩. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: ঠিক বুঝলামনা আপনার পোস্ট,শিরোনামের সাথে বিস্তারিতর কোন সম্পর্ক খুঁজে ফেলামনা,কালকে দেখলাম আরেকজন একটা পোস্ট দিয়েছেন এই নাম দিয়েই,ব্লগটা দেখি প্রাইমারী স্কুলে পরিনত হয়েছে।

১৪. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
সরলতা বলেছেন: জেনারেল হওয়ার শুভেচ্ছা। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৫. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: স্বর্ণা দেখি ব্লগে ঝড় তুলে দিল :|

১৬. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: ঝ ড় আসলে স্বর্ণা ঝড়ের আরও উপরে যেন সহজে কেউ ঝড়ে না পড়ে
ও মনে থাকে যেন আর কেউ আমার শিরোনাম চুরি কর্মে ধরা খাইলে ব্লগে ছাপাবাজি চির তরে বন্ধ এক কেজি বাঘ জেনারেল
ঈদের লাল চান মোবারক

১৭. ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: বন্ধু ঝড়ে না পড়ার অর্থই স্বর্ণা , উএস মানে সাদা মনের মানুষ
তোমার নামটি যথার্থ ধন্যবাদ

১৮. ২০ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১০
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: ঈদের দিন খাওয়া মজা নেই

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আরও কিছু +
অন্ধ আস্ফালন আর বিক্ষিপ্ত
খাপ ছাড়া রাজনীতি
যদি ডুকে যায় শিক্ষাঙ্গনে
শিক্ষক শিক্ষার্থী পড়ে প্রহসনে ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নজরুলের ধুমকেতু কবিতার অংশ

আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন বিপ্লবী হেতু
ঐ স্রস্টার শনি মহা কাল নাগ ধুমকেতু ।

সে যা সৃষ্টি করে গেল কাব্য কথায়
তা ইতিহাসে কিয়ামত পর্যন্ত জিবন্ত থাকবে নানা শিক্ষার্থীদের চেতনায় ।
তাই কবি তাদের মাধ্যমেই তো যুগে যুগে আসে
আর শনি একটি গ্রহ যার নিকটে সূর্যের তাপ অগ্নিগোলক হয়ে
চিরদিন ভস্ম হয় শনি অগ্নিলাভায়
তাই কবি বলেছেন শনির মতই গ্যাসীয় ধুমকেতু যেভাবে ছুটে
বেড়ায় মহাশুন্য সেভাবেই কবির পদার্পণ ।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: ভাই কবিতায় অনেক ভুল, ঠিক করলে সুন্দর লাগে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অবশ্যই এডিট হবে
ধন্যবাদ

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি একদিন
শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন , সবচাইতে মজার বিষয় মাওলানা ভাসানি মেধাবী
ছাত্র আবুল ফজল অরফে শেরেবাংলা কে প্রশ্ন করল
বল তো বাবা জগতে বড় কে ।
জটপট উত্তর কেউ নয় স্যার
তার মানে আপনিও আমার মত একদিন ছুট ছিলেন ।
উত্তর শুনে মাওলানা খুব খুশি হলেন এবং তাকে দোয়া করলেন বাবা তুমি অনেক বড় হও এবং এই দেশের নাম রেখ তোমার বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে ।
মাওলানা ভাসানির দোয়া আল্লাহ কবুল করেছিলেন ।
এবং আবুল ফজল একদিন বাঘের ন্যায় মঞ্চে দাড়িয়ে হাক
দিয়েছিলেন বাংলার কৃষকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে ।
খাজনা আদায় বন্ধ করে তাদের প্রকৃত ভুমি মালিক হিসাবে স্বত্বাধিকার দিতে হবে । এবং এই বাংলা থেকে চিরতরে মেহনতি মানুষের জন্য খাস জমি বরাদ্ধ করে ভুমি জায়গির রায়ত বা জমিদারি আইন ব্রিতিশদের প্রনিত বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে ।
তার ভাষণে উদ্ভুদ্য হয়ে বাংলার সর্বস্তরের জনতা সেদিন তাকে
বাংলার বাঘ উপাধি দিয়েছিলেন । এবং অবিভক্ত ভারত বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবি বাস্তবায়ন
করে গেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.