নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলি আউলিয়াদের মাজার প্রসঙ্গ এবং তার হেফাজত

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মাঝার প্রসঙ্গ

কবর ৩ প্রকার

১ সাধারন মানুষের সমাধি

২ অলি আউলিয়া গন বা আল্লাহর বন্ধুগনের মাঝার বা পবিত্র সমাধি

৩, দয়াল নবীজী সা এর রওজা মোবারক ।

আল্লাহর পরে যার স্থান তার রওজা শরিফের নাম নিতে হলে মোবারক শব্দটি তাজিমের সহিত ব্যবহার করতে হবে ।

সৃষ্টি জগতে তার রওজা মোবারকের সহিত আর কারও কিছু র

তুলনা করা বেদাত ।



মাঝার হল আল্লাহর বন্ধুগন যারা অতি পবিত্র আত্মা তাদের পবিত্র

সমাধি ।

একটি উদাহারন

খাজা মাইনুদ্দিন চিশ্তি রা এর মাঝার শরিফ আজমির

বাদশা আওরংগ জেবের আমলে এক দল লোক বাদশাহের দরবারে ফরিয়াদ জ্ঞাপন করেন , বাদশা নামদার মাঝারে গান বাজনা হয় এবং তা ইসলামে বেদাত যদি মাঝারটা ভেঙ্গে ফেলতেন উপকার হত ।

বাদশা নিজের মাঝারের সম্মুখে উপস্থিত । হে খাজা মাইন উদ্দিন

চিশ্তি রা আপনি যদি আল্লাহর সত্য অলি হয়ে থাকেন তাহলে

আমার ছালামের উত্তর দিন আর যদি মিথ্যাবাদি হন তাহলে

ভেঙ্গে ফেলব । একবার দুইবার তিন বার চারবার , চার বারের

সময় উত্তর আসল অয়া আলাইকুম ছালাম ইয়া বাদশা আওরংগ

জেব ।

বাদশা , হুজুর আমি চার বার ছালাম দিলাম বাকি ৩টি ছালামের সময় আপনি কোঁথায় ছিলেন ।

হে বাদশা আমি ১ম ছালামের সময় ছিলাম আল্লাহর দরবারে

২য় ছালামের সময় ছিলাম

নবীজীর রওজা মোবারকে

এবং ৩য় ছালামের সময় ছিলাম বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী

রা এর হেরেম শরিফে

এবং ৪তুরথ বার এসে উত্তর দিলাম ।

বাদশা ভয়ে কম্পমান হয়ে তার সমাধিকে কোটি টাকা খরচ করে

উজ্জ্বল আদর্শ সৃষ্টি করলেন ।

মৃত্যুর পর আউলিয়াদের রুহ আত্তাধিক রহমতে আরও প্রবল হয় ।একটি আউলউকিক

এই মাঝারের খাদেম আল বিরুনি , তার বাবা ১২ বছর পরে তাকে

আল্লাহর কৃপায় লাভ করেন ।

তারা শোকরিয়া এবং মানত অভিপ্রায়ে মাঝারে আসে

পাশেই ঘরম পিরের মাঝার তার নিকটে গেলে বাচ্চাটি প্রশ্রাব করে

দেয় , সাথে সাথে শিশুটি মারা যায় । শিশুটির পিতামাতা মৃত

লাছ টিকে খাজা মাইনউদ্দিন চিশতীর মাজারে নিক্ষেপ করে , এবং ফরিয়াদ জানায় এতদিন পর আমাদের আশা জীবিত পুত্রকে

নিয়ে এসেছিলাম আজ এখানেই মরল তাই লাছটিও তোমার

পায়ে রেখে গেলাম ।

মাঝারের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই বাচ্চাটি জিন্দা হয়ে কাদতে লাগল ।



নবীজীর বানী

তোমরা দুনিয়ার চাইতে কবরকে বেশি ভালবাসবে এবং হেফাজত

করবে এতে পুন্যর কাজ ।

হাদিস বায়হকি ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

নতুন বলেছেন: ভুয়া বানানো গল্পে বিশ্বাস করেন? :| :| :| :| :| :| :| :|

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভুয়া বলা অতি সহজ কিন্তু সহজে বিশ্বাস কামাই করা অনেক
কঠিন ।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
অনেক কিছু জানা হল।আল্লাহ আপনার ভালো করুক।
চালিয়ে যান...পাশে আছি
কথা দিচ্ছি থাকব কাছাকাছি।


ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অবশ্যই লিখব , আধুনিক বিজ্ঞান মনা মানুষের ঈমান খুবই
দুর্বল দেখলাম ।
ভাল থাকেন সব সময় ।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বাদশা আলমগির মনে হয় , ইতিহাসে সে হুজ্জতি আলমগির বলে পরিচিত । সর্বপ্রথম বাংলায় লিখিত জীবনি আমার কাছে আছে । চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন। ওখানে বেঙ্গল লজ নামে একটা লজ আছে সেখানে বাংগালিরা থাকে। ওখানের বেপারে অনেক কিছু জানি ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ আমার নিকট রয়েছে আওরংগ জেবের স্বহস্তে লিখা
কিতাব জঙ্গনামা এবং
ফতুয়ায়ে আলমগিরি ।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভুয়া বলা অতি সহজ কিন্তু সহজে বিশ্বাস কামাই করা অনেক
কঠিন ।


ভুল বললেন ভাই...

বিশ্বাস করাই সহজ...

কিন্তু ভুয়া বলতে চিন্তা ভাবনা কইরা বলতে হয়... আপনি জিঙ্গাসা করবেন কেন ভুয়া ... সেইটা বলতে হলে আমাকে চিন্তা করতে হবে...

কিন্তু বিশ্বাস করতে আমাকে কিছুই করতে হবেনা... কিছুই চিন্তা করতে হবেনা...

:::-- এই সব গল্প কিন্তু কিছু পীরদের নিয়াই আছে...

রাসুল কিন্তু একবার মেরাজে গিয়েছিলেন...

এখানে উনি আল্লাহের দরবারে...রাসুলের কাছে...বড়পীরের কাছে... চলে গেছেন... ৩টা সালাম দিতে যেই সময় লাগে সেই সময়ে...

যে আল্লার দিদার পায়... সে মানুষের সালামের জবাব দিতে আসে?

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২০

নতুন বলেছেন: বাদশা ভয়ে কম্পমান হয়ে তার সমাধিকে কোটি টাকা খরচ করে
উজ্জ্বল আদর্শ সৃষ্টি করলেন ।

কোটি টাকা খরচ করে সমাধি সাজানো রাসুল কখনোই করেনাই বা সমথ`ন করেনাই...


রাসুল কখনোই মৃত কে জীবিত করার মজেজা দেখান নাই...

যে মানুষ মারা গেছে সে আল্লাহের হুকুমেই মারা গেছে...

তার জীবন পীরের কাছে চাইতে হবে?

পীরের কবরে নিয়া গেলে মৃত মানুষ জীবিত হইয়া যায়?

তাহলে এখন হয়না কেন?

পীরের কবরে নিয়া গেলে যদি মৃত মানুষ জীবিত হয়>>> তাহলে যদি রাসুলের কবরের কাছে গিয়া বলি তখণ কি হবে??????????????

এই গুলি খুবই সাধারন যুক্তি... ১+১=২...

আপনারা কিভাবে উপরের গল্পগুলি বিশ্বাস করেন বুঝি না...
:| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :| :|

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩

নতুন বলেছেন: নবীজীর বানী
তোমরা দুনিয়ার চাইতে কবরকে বেশি ভালবাসবে এবং হেফাজত
করবে এতে পুন্যর কাজ ।
হাদিস বায়হকি


এটা বানানো হাদিস>> ( একটু যদি রেফারেনস দিতেন)

কবর বানালে ..পীর বানালে... কিছু মানুষের ভাল... তাদের বানানো হাদিস এইটা...

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বায়হকি একটা কিতাবের নাম
কিতাবের ৩য় পরিচ্ছদ ১২৩ নগ কথনে লিপিবদ্ধ
আনাছ রাদিয়াল্লাহ থেকে বর্ণীত হুজুর সা একদিন কবরের পাশ
দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং কবরের উপর পশুদের বিচরন দেখতে পেয়ে
সাহাবাদের উদ্দেশ্য এ উক্তি করেছিলেন ।

আর পীর কেউ বানায় না সয়ং আল্লাহ পাকের বানী
আমি তোমাদের মধ্য পীরে কামেল দান করব যারা তোমাদের কে ভ্রান্তি হইতে আলোর দিকে সত্যর দিকে ধাবিত করবে ।

নবীজীর পরে

অলিকুল শিরমনি বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী বাগদাদি রা
সমগ্র দুনিয়ায় ইসলাম কে ঈমানী চেতনায় জিন্দা করেছেন ,
জীবদ্দশায় মহান আল্লাহর মেহমান বড় পীর সাহেব কঠিন অসুখে আক্রান্ত হলে , রাজ্যর সব হেকিম বদ্য ডাক্তার , কবিরাজ তার চিকিৎসা চালালেন । কিন্তু সবাই ব্যর্থ রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকল । অবশেষে ইরানের এক নামকরা ইহুদি
ডাক্তার এসে তাকে চিকিৎসা সেবা করার অনুমতি চাইলে , তিনি অনুমতি দিলেন । ইরানের ডাক্তার ঘরে প্রবেশ করে এবং একটা পেয়ালার মধ্য থেকে সুমিষ্ট সুঘ্রানের শরবত দেখতে পান । সে ছিল পিপাসিত তাই পেয়ালার শরবত পান করে তৃপ্ত হলেন এবং খুশি হয়ে জানতে চাইলেন ধর্মাবতার কি শরবত ছিল পেয়ালার মধ্য যার গুনাগুন আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা । এককথায় এমন সুমিষ্ট সুপেয় পানি আমি আর দুনিয়ায় আর কোথাও দেখতে পাই না ।
বড় পীর বললেন চিরদিনের জন্য তোমার পেটে আর কোন অসুখ হবেনা । আসলে ওটা ছিল আমার প্রশ্রাব । বলেন ছুবাহানাল্লাহ , ডাক্তার এসেছিল তাকে চিকিৎসা করতে কিন্তু
নিজেই ঈমানী চিকিৎসা নিয়ে নিলেন এবং ১৪০০ লোক সহ
তার নিকট কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেলেন ।

আমালে দুররে নাসায়ি
কবি শেখ সাদির প্রসিদ্ধ কিতাব থেকে
পীর অর্থ সত্য পথ দেখানো ওয়ালা ওই অর্থে দয়াল নবীজী ইসলামের পীর বা মুর্শিদ ।
কবি নজরুলের একটা গানের অংশ
তৌহীদেরও মুর্শিদ আমার মুহাম্মাদের নাম
ঐ নাম হয় হয় সয়ং খোদারি কালাম ।
আর হাদিস অর্থ রাছুলের বানী ।
কারও বানানো কথা তো হাদিস সংকলনে লেখা নেই , সুতরাং
আপনি এখনও গুড় বিভ্রান্তির মধ্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.