নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিন হারানো গল্পের নায়ক /

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪১

গ্রাম বাংলার গল্প বিচিত্রা

বিষণ্ণ বিকেল ১

গ্রামের নাম কদম দেউলি বারহাট্যাঁ সদর ইউনিয়ন থেকে ২ কি মি পশ্চিমে । অনেকদিন পর বেড়াতে আসা , ভাগ্নে নিপন চিৎকার জুড়ে দিল , আম্মু আম্মু দেখ এসে মামা আইছে । আমাকে দেখে খুশিতে কেঁদে ফেলল বড় আপা এতদিন পর আমাদের কথা স্বরন হল বুঝি । বাড়ীর সব কে কেমন ইত্যাদি ।আরও অনেকেই ঘিরে ধরল ধিরে ধিরে জবাব দিলাম ।দুলাভাই কোথেকে এসে কান টেনে ধরল

শালা এতদিন পর ,ইস কান চিলে নিল ,ভঙ্গি দেখে সবে হেসে উটল ।

বন্ধু নয়নের সাথে গ্রামের ভিতরে বেড়াতে যাই, রেল ক্রসিং, পায়ে চলা পথ , পথের

উভয় পাশে সারি সারি গাছ ।পাখির কিচির মিচির শব্দ , জমিতে শাখ সবজী ও সবুজ ফসলের কেশর হাওয়ায় দুলে ।হটাৎ নয়ন ইশারা করে, দেখ দুষ্ট খুদে বেবি

অর সাথে কথা ক , কাছে ডাকতেই সামনে আসে পরনে লাল জামা । আমি কুলে তুলে নিলাম ।খুকি তোমার নাম কি, জুনিয়া বেশ সুন্দর নাম । তা তোমার বাড়ি কোথায় ,এই যে এখানে আব্বু আম্মু আপু আর আমি থাকি । ঝটপট জবাব হটাৎ আমাকে আঙ্গুল উচিয়ে দেখাল ঐ যে আপু ডাকে ।একটা মেয়েলি কণ্ঠ নয়ন ভাই মেহ মান কে নিয়ে বেড়াইয়া জান। হু আসি

মেঝে মাদুর বিছিয়ে দেয় মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে , আমার নাম সুজাতা

আপনাকে আমি ভাল করে চিনি শান্তা ভাবির ভাই তাইনা । বহুদিন পর এলেন ত

তাই স্বরন নাও থাকতে পারে ।

আমি শৈশব স্মৃতি চারনে সায় দিলাম হু তাই ত । নয়ন ওর দিকে চেয়ে

রইল ।পাখা মেলে এক জুড়া কবুতর উড়ল উঁটানে ।জুম্পা একটা খাতা লয়ে আকা

আকিতে ব্যস্ত , ওকে ডাকলাম ছবি একে দিলাম , সুজাতা উটে গেল তোমরা বস

আমি চা নিয়ে আসি ।

বিকেলের আকাশে তখন স্নিগ্ধ তা রাঙ্গা রবির অপরুপ ঝলক ।



কেন্র বারহাট্যাঁ সি কে বি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যাট্রিক পরিক্ষা , আমরা যথা সময়ে যে যার রুমে উপস্থিত ,ঘণ্টার বেল বাজতেই প্রত্যকের সামনে এসে গেল প্রস্ন পত্র ।

সেদিন ইতিহাস একদম দরজার পাশেই বসা ,লিখে যাচ্চি মাথা নিচু করে দায়িত্ত্য প্রাপ্ত ম্যাজিসটেট সামনে এক টুকরা কাগজ হাতে , বাবু দ্বারাও ,আমি ত লিখছি

অযথা ঝামেলা কেন , আমার দিকে তাকিয়ে বলল তুমি খুব সাহসি, জি আমাকে আরও লিখতে হবে সময় কম প্লিজ । বেশ তিনি বেরিয়ে গেলেন মাথা নিচু করে । ৩

সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রি শিক্ষক গন ও স্বজন সমাজের উৎসুক দৃষ্টিতে বেশ উৎসাহ পেলাম । হৈ হল্লা ,আড্ডা বেড়ানো এই ভাবে কাটালাম বেশ কয়েকটা দিন । দুলাভাইকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হলাম বাড়ীর উদ্দেশ্য ,সঙ্গে নয়ন ও আবীর ।ট্রেন আসেনি তাই আমরা পায় চারি করছি এদিক অদিক দুলাভাই বললে অপেক্ষা কর

আমি চা খেয়ে আসি । আবীরের প্রস্ন কবি ভাই আমাদের এলাকা কেমন ,কি দেখলা ,দেখলাম অনেক কিছু , মানুষের জীবন চিত্র বড় ই বিচিত্র , সব যদি লিখে

যাই একটা বিরাট কাব্য হবে ।

নয়ন তা আমাকে নিয়ে কিছু লিখনা , লিখব ,ঐ যে ছুটে আসে দেখ তর মনের হরিন খবর রাখিস । চমকে উটে নয়ন , সুজাতা ও বান্ধবীরা মিলিত হয় ,কবি

ভাই অটুঁগ্রাফ চাই ,সবে নোট প্যাড এগিয়ে দেয় । কথা না বাড়িয়ে সবার আবদার মিটিয়ে দিলাম । ওরা চলে গেল । ডা ক বাংলার সামনে বেশ কিছু তরুণ আমাকে ঘিরে ধরল । কবি সাহেব আমরা আপনার স্বরচিত গান শুনতে চাই। আবির দমকে

উটে ফাজলামু , আমি আবির কে বুঝিয়ে অদের সময় দিলাম কিছুক্ষন ।

এবার মুখ তুলে তাকাতেই দেখি সবিক দাঁড়িয়ে, কবি ভাই তুমি , হু বোনের বাড়ী

বেড়াতে আসছিলাম আজি ফিরব । তাত বুঝলাম , কিন্তু কিভাবে যাবেন , কেন ট্রেনে । আসবেনা, বাংলা স্টেশনে আটক । লাইন চুতি হল বুঝি , হু । ওরা শ্যাম গঞ্জ থেকে কাট সংগ্রহ করে মোহন গঞ্জ যাবে । মুহূর্তে দুলাভাইও উপস্থিত , তার কথায় সায় দিয়ে আমরা অর ট্র্যাকে জায়গা নিলাম ।

ব্যস্তময় সড়ক কত যানবাহন ছুটে একের পর এক , আমরাও ছুটছি সম্মুখে , হটাৎ

আমার বুকটা কেঁপে উটল একটা ভ্যন আর লেগুনা মুখুমুখি , ট্র্যাক থামেনা বিগড়ে গেল বুঝি সম্মুখে পথ রুদ্ধ । ট্যাঁ ট্যাঁ করে ট্র্যাক টি একটা ওয়াক সোপের দোকানে গিয়ে ধাক্কা খেল । বিকট শব্দে কানে তালা লাগল , ঘটল দুর্ঘটনা । মুহূর্তে

হাজারও মানুষের চিৎকার চেচা মেচি ভেসে আসে কানে । যখন নিজেকে আবিস্কার

করলাম জনতার ভিড়ে তখন ভোঁতা বিবেকে টনক নড়ল আমি অক্ষত । বহুসময়

পর দুলা ভাই আবির নয়ন সবিক ওরা ও ফিরে এল । সবিকের মাথায় ব্যান্ডেজ পৃথিবীটা বড় বিষণ্ণ মনে হল /

মাসুদ রানা , রচনা ৭/৭/২০১২ ইং শনিবার ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.