নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুদ বিয়ে এবং নদীর বুক ছিড়ে শুঘুই হাহাকার

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

অদ্ভুদ বিয়ে

*********

বন্ধু বায়েজিদের বিয়ের নিমন্ত্রনে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে গেলাম

ইঞ্জিন চালিত বোটে , নদী হাওরের দেশ ভাটি বাংলার অপার সৌন্দর্য নয়নাভিরাম সুনামগঞ্জের বুক ছিড়ে এগিয়ে চলা, ভাসমান

ফেনিল শুভ্র সফেদ জলের উথাল পাতাল জলকেলি যেন মোদের

প্রানে অভুত আনন্দের খোরাক জুগাল ।

সুরমার বুকে কত রঙের সাজুয়া ইঞ্জিন চালিত তরি , সারি সারি পন্য ,মাল বুঝাই , কয়লা , বালি , সুরকি , পাথর আরও কত কি লয়ে বিশাল আবহের দ্যুতি ছড়িয়ে দেশ দেশান্তরে ছুটা সে এক অন্য রকম অনুভুতি ।

মনে পড়ল হাছন রাজার মরমি গান

আগুন লাগাইয়া দিলি কেনে

হাছন রাজার মনে আগুন লাগাইয়া দিলে কেনে

নিভেনা নিভেনা আগুন জ্বলে সে দ্বিগুণে

আগুন লাগাইয়া """"""""

বন্ধু স্বাধীন হাসে হে কবি

গেলাম সুরমা নদীর জলে ভাইসা

আগুনের গান কেনে ।

বন্ধু সে টের পাবি আগে বিয়ের বউ ভাতে যাই ।

দিনটি আমোদ ফুর্তি বেড়ানো , এমনকি বায়েজিদের বাড়িতে

নেছে ক্ষুদে কোন দিক দিয়ে যে বিদায় নিল আশ্চর্য লাগে , ওর

বউ দিপালি কে আমাদের ভালই লাগল , খুবই সুন্দর বেশ মানিয়ে যাবে দুটি কপোত কপোতী । পরিচয় হল রেবেকার সাথে

বায়েজিদের ভাগ্নি , সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে পড়ে , ও তার

বান্ধবিদের নিয়ে হাছন রাজার অনেক গান শুনাল

নিশা লাগিল রে বাঁকা দুনয়নে নিশা লাগিলরে

হাছন রাজা পেয়ারির প্রেমে মজিল রে

* লোকে বলে বলেরে ঘর বাড়ি ভালা না আমার

কি ঘরও বানাইমু আমি শূন্যরও মাঝার

ভালা কইরা ঘর বানাইয়া কয়দিন থাকব আর

আয়না দিয়া চাইয়া দেহি পাখনা চুল আমার লোকে """""""

হাছন রাজা জানত যদি বাচব কতদিন

ভালা কইরা বানাইত ঘর করিয়া রঙ্গিন লোকে """""""""""

গেলাম হাছন রাজার বাড়ীতে । ভেবেছিলুম ঐতিহাসিক রাজ প্রাসাদ দেখুম কিন্তু বিশ্রিত বিশাল বাড়ী সবুজ বৃক্ষ ছাড়া কিছুই

নাই ।

২ তালা ডাক বাংলায় আছে একটি মিউজিয়াম , তার আদি স্বহস্তে ব্যাবরিত তলোয়ার , হুক্কা , জুতা জামা , পানদানি চাবুক সহ

অসংখ্য লোক সঙ্গীতের বিশাল সংগ্রহ ।

সেথায় হাছন পরিবারের যত্ন আত্তির কমতি ছিলনা । কিশোরী

লায়লা বানু গাইল মন মাতানো একটি গান

বাউলা কে বানাইল রে

হাছন রাজারে বাউলা কে বানাইল রে

যেজনও বানাইল বাউলা নামটি তাহার মাওলা

নাছিয়া নাছিয়া হাছন জপন করত আল্লাহ বাউলা """""""""

হাছন রাজা বজরা সাজায় সুরমা নদীর পাড়ে

দিবা নিশি কান্দে নয়ন বন্ধুয়ার নজরে বাউলা """""""""



পরের দিন আবার গন্তব্য যাত্রা

নদীর বুক ছিড়ে শুধুই হাহাকার বাউলা কে বানাইলরে """"""""

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

নিমচাঁদ বলেছেন: বিয়ে খাইতে গেলেন , ঠিক আছে কিন্তু নদীর বুকে হাহাকার কেনো রে ভাই ?

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নদীর বুকে বান ঢেকে যায়
ঢেউ খেলে তাই মনে
মিলিয়ে নেই তারি ছায়া
বন হরিণীর সনে ।

নদী যেমন গর্জে উটে
উত্থাল পাত্থাল ছন্দে
মন পবনে খেলা করে
রসিক প্রিয়া বন্দে ।

তাইত শুনি হাহাকার ও
ঐ নদীরও বুকে
মন পবনেও চিৎকার দিয়ে
প্রিয়ার ছবি আঁকে ।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৩

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:



ভালো লাগল:++++++++

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।


ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সময়ের দাবি লয়ে
এই জেগে থাকা
আর অন্তরের অগ্নিবারী
করিতায় সাজিয়ে আকা

কবির সুদ্ধ চিত্তের
আহবান
ভাল থাকেন

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬

কালোপরী বলেছেন: :)

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কাল বৈশাখী
*************************


ঝড়ের সে কি তাণ্ডব
আকাশ মৃত্তিকায় বাধে ধা ধা
বাজ পড়ে ক্ষনে ক্ষনে
ধরণির ঘুম ভাঙ্গে বাতাসে বিদ্রোহী বাধা ।

ভাবনা ধরে ওসব জীন পরীর খেল
ঝমঝম বৃষ্টি সাথে বিজলির হাসি
লাল নীল দ্যুতি ছড়ায়
নামে আকাশের মেধদুত জমিনে আসি ।

আলোর নাছন , কভু গ্রাসে আধার
আতংকে মানবের কেঁপে উটে বুক
বজ্রনিনাদে প্রচণ্ড সৃষ্টির উল্লাস
ওড়ায়ে কত স্বপ্ন বয়ে আনে শোক ।

লাগামহিন ছুটে অসীমের উগ্রতায়
বাজে ভেরি ধংশের বিপন্ন শাখ
আচমকা ধেয়ে আসে , অভিসম্পাত হয়ে
নারকিয় শক্তিতে কাল বৈশাখ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.