নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাব্য চেনা মুখ /

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪২

কাব্য / চেনা মুখ অচেনা ভারি

ছন্দ / কথা / গিত

এম , জি , আর , মাসউদ মিয়া শাহি



কবির ভাষণ

************

দেশ বাসী ও সাহিত্য প্রেমী মহৎ হৃদয়

আমার বাংলা ভাষায়

সময়ের চেতনা বানী এঁকে

কিছু দিক নির্দেশ রাখিলাম লিখে

পাঠক হৃদয়ে যদি পায় স্থান

হবো ধন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।



কবি ও সাহিত্যিক ।

পিতা , মোহাম্মদ দেওয়ান আলী শাহী

মাতা , মোছা শামছুন্নাহার মাহমুদ ।

গ্রাম , সৈয়দ পুর ।

ইউনিয়ন , সেলবরস ।

পোস্ট + উপজেলা , ধরম পাশা ।

জেলা , সুনাম গঞ্জ ।

বিভাগ , সিলেট । ঢাকা বাংলাদেশ ।

জন্ম তারিখ ১০ / ৬ / ১৯৭৭ ইং ।

সম্পাদক , বাংলাদেশ সুচেনা বার্তা ।

সভাপতি , জাতীয় সাহিত্য সংসদ ।

প্রধান উপদেষ্টা , বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদি ছাত্র এক্য শক্তি ।

এছাড়া , অসংখ্য গান , কবিতা , ইসলামী দলিল , গল্প , উপন্যাস , নাটক , ও

গবেষণা গ্রস্থ সহ সাহিত্যর সকল শাখার লেখনির স্রস্টা ।



***************************************************

*****************************************************

কবিতা ক্রম , ধারাবাহিক

এক





তারে চেনার আমন্ত্রন

****************



এম , জি , আর মাসুদ রানা



দাড়াও পথিক

কথা শুনেযাও , বুকে যে স্নিগ্ধ উর্বর বরষা

নিরন্তর বয়ে যায় , স্রোতের ফেনিল শুভ্রতায়

সেথা কোকিল কুহ কুহু ডাকে মুহুর্মুহু

নির্ভেজাল সুদ্ধ ভোরের মত কি সে মথুরায় ।



চমকে যাই

হারিয়ে তাড়িত মন , কি হে সে আহবান

কি খুজে আঁখি টিপ টিপ ছন্দ বহে মধু লগনে

আয়ত চকিত চাহনি রাজ্যর স্বপ্ন ভুলে

আমাতে সে রহস্যর বেড়াজালে ফেলে দিল ক্ষনে ।



দুই , * দিকভ্রান্ত মরিচিকা

হে তন্বী তক্ষ শিলা বক্ষে এঁকে গন্ধ বিলাও

যার সন্ধানী অস্পিহার মোহে জাগে কামুক এ মন

ধুলির ধরায় এযে ঈশ্বরের মহা আলপনা

বাস্তবে রঙ মেখে তরিতে আন ডেকে বসন্ত বাতায়ন ।



থাক তোমার সে সাজ পড়ে

সে দেখিব অপলক অজস্র স্বপ্নচারি নিশুতি রাতে

ভুবন ভোলানো অমাবস্যার চাঁদনী আলেয়ায়

শুনব অরন্যর নিশাচর দিপালিকার ডানার ঝটপটানি

আর নিরব গহনে ছায়া হয়ে এস খুজে পাবে সেথা আমায় ।



: * জেনে নিও হে প্রিয়

মোঃ মাসুদ মিয়া





অন্ধকার নিয়ন আলোয় দেখেছিলুম তার মুখ

তমাসাব্রিতা চাঁদ ম্লান হয়েছিল তার আগমনে

নিভু নিভু জোনাকির ঝিলমিল রাঙা যে বন

খুনসুটি মেখে এঁকে দিয়েছিল বার্তা সেই লগনে



তারারা হেসে ছিল আকাশের গায়ে চুপি চুপি

রিনিঝিনি বৃষ্টির মত হাতের চুরি বাজিল চমৎকার

উদাসি হাওয়া লুটালে এ গায় , অদৃশ্য কটাক্ষ করে

কেন জানি সেদিন চিনিতে ভুল হল আজও খুজি বারবার



আমার নয়নে পানে দীপশিখা জ্বলে তারি পড়ে ছায়া

সমুত্র গর্জনের মত নিশুতি জাগা বুকের দীর্ঘশ্বাস

অসীম কুয়াশার ইন্দ্র হতে এক ভোরের বাতায়নে

রুদ্রস্নান ঘুম ভাঙ্গা আবীর জলসানিতে আজ শুধুই হা হুতাশ ।









* স্বপ্ন ছুয়া আকাশ

মাসুদ্ রানা





বরফের রাজ্য থেকে ভোরের বার্তা লয়ে



পালিয়ে বেড়ায় ঘন নীল আকাশে স্বপ্নেরা

আমি রই জেগে মেঘমালা হতে যদি ঝরে কিছু সুখ বৃষ্টি

রাখিব আঁখির তুলিতে ফুটিয়ে শুন্য মেলে দৃষ্টি



ঝরা পালকের গাঁয়ে যদি এঁকে যায় পবন

কিছু স্পর্শ রুদ্র দিপালিকার পঙ্গপালে

সেথায় খুজে নেব আকাশের ঠিকানা

মন হারাবার ভয়ে সে কথাও আজি বড় অচেনা ।









* মন ও প্রেম





যার ছবি এঁকে কোন একদিন

মন হারাবার এসেছিল বেলা

আজ কেন রঙ মেখে

সেই ছবি থাকে বুকে

পুরুবেনা জানি তার শেষ সুখ জ্বালা

এই কি প্রেম না ছলাকলা ।



: বাঁশি আর হাসি

উভয়েই সুর

ফলাতে জানলে

লাগে সুমধুর



ধরিত্রি সাজবে মনোরম সাজে

ঘুম ভাঙ্গাতে বেভুলের

তব বাজে তারি সুরাসুর

এল কি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে



বরযা রানী



কে তুমি ভাই বর্ষারানী

আসলে বেড়াতে

বসন্ত জাগ্রত দ্বারে

দেখি যে আঁখিতে



নব নব তরু লতা

মেলে সজীব আঁখি

ফুল ফসলের আবির রাঙায়ে

দেয় যে অঙ্গে মাখি ।



ধুলির ধুসর মাঠ সাজে

সবুজ বসন লয়ে

তুমিও কি ভাই আসবে ছুটে

বাংলা মায়ের পায়ে ।



* : একুশে কবিতা





বাংলার পতাকায় ঐ দেখ জনতা

শহীদ ভাইয়ের মুখের হাসি

যারা রেখে গেল প্রান

প্রান ফসলের দান তাদের মুখচ্ছবি উটে ভাসি ।



তাই তোমরা চির জাগরিত থাক কৃষাণের লাঙ্গলে মাটে

যৌবনা নদীর কলধ্বনি জেলের নায়ে জুনাক জলা রাতে

তোমরা চির জাগরিত থাক নব জাত শিশুদের কলতানে

রাখালিয়া বাঁশিতে আর মুয়াজ্জিনের মধু ভরা আযানে

তোমরা চির জাগরিত থাক পাট শালা আড্ডা চাখানায়

ফাগুনের অগ্নি ঝরা শহীদ মিনারে ফুল পাখির ডানায়

তোমরা চির জাগরিত থাক বৈশাখী ,পৌষ ,পার্বণে

পল্লী বালার শিশির ঝরানো গমন পথে , বেনুবনে

তোমাদের লাগি আজি খুলে যাক যত রুদ্ধ দোয়ার

বিশ্ব বুকে জাগ্রত দ্বারে ডানা মেলুক আমার মাতৃভাষার ।



* শহীদ স্মৃতি ও বাংলা মা

এম , জি, , আর , মাসুদ রানা



ফাগুন দিনের আগুন হাওয়া

লাগল এসে কৃষ্ণচুড়ায়

রক্ত ঝবা শিমুল গোলাপ

টগর বকুল শিউলিমালায়



রাজপথেরই পিছডালা পথ

বরকতেরই রক্তে যে লাল

ছালাম রফিক সফিউর ঝব্বার

আরও নাম না জানা শহীদ অকাল



রাস্টভাষা বাংলা চাই

স্বাধীন কথা বলতে গিয়ে

পাকিস্তানি হায়নাদের চক্রান্তে

ঝরল তাজা প্রান ক্ষয়ে

মায়ের বুকে সেই হাহাকার

কোথায় বুকের সোনা মানিক

আয় চলে আয় আর কত পথ

থাকব চেয়ে হারায়ে দিক ।



পাঠ শালায় আজ শুনি কত

মধু ভরা ফুলের ঘ্রানে

খোকা খুকু তোদের মতই

ঐ ভাষারই জোয়ার আনে



ঐ নিশানে তোদের ছায়া

নিত্য ভোরে ভাসে বাংলার বুকে

তাই তো স্মৃতির শহীদ মিনার

সাজাই প্রানের বিশ্বালোকে ।



*: আজি আহবান



এম , জি, আর মাসুদ রানা



এক নব সূর্য উদয়ের আহবানে

জাগে নব প্রজন্ম শাহবাগে

কাঁপে শয়তানের গর্দান

আর অন্ধ আবরনে ঢাকা মিথ্যুক সিংহাসন

জাগে জন জোয়ারে সারা বাংলার বিবেক

অপশক্তি পদধলে তারুন্যর হোলী ,

আজি মানবতা মুক্তি চায় জনতার চিৎকারে ।

৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত সাগরে এই মাটির গন্ধ আসে

পবিত্র স্বাধীনতার এক সূর্য উটবে হেসে

তাই হে বাঙ্গালী তুল আওয়াজ

অপশক্তি পদধলে

এস সব জাত ব্যবধান ভুলে

নব প্রজন্মের আলোর এ মিছিলে ।



* একুশের চেতনা বৃথা যেতে দেবনা

******************************

একুশের স্মৃতি স্মরণে

এম ,জি, আর , মাসুদ রানা ,



একুশ আমার অহংকার

রাস্ট ভাষা বাংলা চাই মানতে হবে মানতে হবে

মা এখন খিদে নেই আমি চললাম

বাজান , শুকনো মুখে বেরুতে নেই এই নে

আমিই না হয় তোকে খাইয়ে দেই

আর ওই লাল জামা বদলে অন্য একটা পড়

আমার বুকটা কেমন থর থর করে কি জানি অমঙ্গলের

মা , বেরুনোর সময় ওকথা বলনাত

আমি প্রদিদিন যাই আজও যাব , কেন যে ভাবনা এত

হা খোকা তাই হোক , আর ওই মিছিলে যাস নে বুঝলি

না মা সে চিন্তা বাদ তোমার ছেলে আবার তোমার বুকে

ফিরে আসবে

মা পথ চেয়ে রয়

গ্লাসে এখনও সফেদ দুধ

হাড়িতে বিনি ভাতের গন্ধ , খলশে মাছের ঝুল দিয়ে

খেতে খোকার কত স্বাদ

বোন টি স্কুল থেকে এসেই আহাদে গদ্গদ

মা ভাইয়া আজও আমার জন্য এটা ওটা আনেনি

খাবার বেলা মনে থাকে যেন আমি অর কান মলে দেব

মা হাসে দূর পাগল

পাড়ার সাবুরানি ভাবি রোজ ফুল দিয়ে যায়

হারে গাদা শুধু শুধু নাছানাচি

ঘরে পরি আনতে হবেনা

শুন মা এবার আর রক্ষে নেই

বেশি লাফালাফি করলে টুক টুকে এক বউ এনে দেব

সব টিক হয়ে যাবে

এ পাড়া অ পাড়া কার অসুখ কার ঘর ভাঙ্গা

খবরদারীতে সময় বয়ে যায়

বৃদ্ধ সরকার মশাই ছেলের জন্য গর্বিত

বিশ্ব বিদ্যালয়ের সেরা মেধাবি

তার শিক্ষক একদিন ডেকে বললে আপনার ছেলে

একটা হিরা , ভবিষ্যৎ জাতীর রত্ন

আজ সবাই নিরব উৎকণ্ঠায়

দিনটি ৫২ র একুশে ফেব্রুযারি

মিছিলে গুলি , ছেলে এখনও ফিরেনি ঘরে

মায়ের দুচোখে রাজ্যর অভিসম্পাত

খোকা বলেছিল প্রতিদিনের মত ঘরে ফিরবে

সন্ধা ঘনায়

তবু ফেরেনি

শহীদ স্মৃতি স্মরণে অর্ঘ

১২ /২/ ২০১৩ ং



* বাংলা মায়ের ভাষা একুশের স্মরণে



এম ,জি , আর , মাসুদ রানা







ফাগুন আসে রাঙা হয়ে

বাংলা মায়ের হৃদয় পানে

বাংলা ভাষার বোল ফুটে

বাঁশের বাঁশী পাখির গানে ।



বাউল সাধক বাংলা ভাষায়

সুরে সুরে মন মাতায়

কবির চেতনা এই ভাষাতে

কত রঙ্গিন কাব্য সাজায় ।



এই ভাষারও ধবনি তুলে

হাল ধরে মাটে চাষা

ছন্দ তালে মাঝির বৈঠা

নদীর বুকে ফুটায় ভাষা ।



এই ভাষা ছালাম রফিক , শফিউর

ঝব্বার , বরকতের রক্তে লেখা

আজ বিশ্ব বুকে বাংলা ভাষার

ফুটে বুলি মধু মাখা ।



ফুলে ফুলে ভ্রমর অলি

এই ভাষারই বার্তা আনে

তাইতো স্মৃতির মিনার সাজাই

বাংলা মায়ের প্রানে প্রানে ।



* একটি বিপ্লবী কাব্য



এম , জি , আর , মাসুদ রানা



বিপ্লব আসে যাদের শানিত আহবানে

তারা আমরন সংগ্রামে বিজয় গড়তে জানে

সম্মুখ সমরে পায়ে ধলে শোষক জালিমের সিংহাসন

বয়ে আনে জনতার মুক্তি উপড়ে শৃঙ্খলিত বাধন ।



রক্ত চক্ষু ঘূর্ণি মম প্রানে

ছুটে মহতি মহা অভিযানে

নাশিতে কালঅপশক্তি

আনিতে জনতার উদয় মুক্তি



তাই জাগে বিপ্লবী ভেঙ্গে দুর্বার বাধা ভয়

এক সাম্যর সমাজ সাজাতে ছুটে সম্মুখ পানে অকুতভয় ।



* জাগ জাগ জাগ বাঙালি

এম, জি, আর মাসুদ রানা



জাগ জাগ জাগ বাঙালি

শুকুনের নাগপাশ ছিন্নমুলে

ওরা মানুষের রক্ত চুষে

জীবন্ত প্রানেরে ত্রাসে হিংশ্র ছোবলে ।

জাগ জাগ জাগ বাঙালি

যালিম শোষকদের পদধলে

ওরা লুটেরা ওরা পশু

নিঃস্বদের দানাপানি কেড়ে গিলে ।

জাগ জাগ জাগ বাঙালি

শ্বাপদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলে

মা বোন কে উলঙ্গ করে

ওরাই ক্ষমতার খেতাব খুলে ।

জাগ জাগ জাগ বাঙালি

শয়তানের কালহাত ছিন্ন করে

এঁরাই সমাজ ভেঙ্গে দিয়ে

মানবতা সম্প্রীতির কবর খুঁড়ে ।

জাগ জাগ জাগ বাঙালি

জাগ দুর্দিনের যাত্রি হয়ে

অন্যায় অসত্য ছিন্নমুলে

আমাদের সংগ্রাম চলবে অকুতভয়ে ।

তাই আজি একতার বন্ধনে

এসএস ছুটে যাই কাধে কাধ রেখে

নব ভোর আবার দেখিব বাংলায়

চল চল চল সব সম্মুখ দিকে ।

আর নয় স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত

ওড়বে এবার বিজয় নিশান

নবপ্রজন্মের ঐ সে আওয়াজ

ধিকে ধিকে চালাও অভিযান ।



* : আমি কবি মননশীল ছবি

এম , জি , আর , মাসুদ রানা



আমি কবি আঁকি জগতের স্বপ্ন ছবি

আঁখির তুলিতে মননে ও মেধায়

আমি শিল্পির সুর , লয় তাল , ছন্দ

জাগি লোকজ উৎসবে আনন্দ জলসায় ।

আমি কবি শিক্ষার প্রসাদ , বিদ্যারত্ন

শিক্ষার্থীর পাঠ , শিক্ষাগুরুর তপস্যা

বিদ্যাশালা আর তেজস্বী ভাষণ

আমি দ্বিপ শিখা সমাজের আলোক অন্নেশ্বা ।

আমি গনজাগরনের মঞ্চ , নাটকের নটবর

স্বাধীনতার চেতাগ্নি দিপ্ত কণ্ঠ

আকাশ মৃত্তিকার যত রহস্য উদ্ঘাটন

আমি বিপ্লবী জনতার শিখল ভাঙ্গার অবগুনঠ ।

আমি বিধাতার সেরা উপহার

সৃজনশীল সত্ত্বায় , সত্য ও ন্যায়ে

ধরণীর প্রান সজীবতায় , ফুল ফুটায়ে

ঘুম ভাঙায়ে যাই সব হৃদয়ে ।

আমি দেশ আমি সমাজ আমি পরিবেশে লড়ি

অন্ধ ,কুসংস্কার পদধলে , মানুষ নামের প্রতিভা গড়ি ।



* নারি দিবসের কবিতা

ওম, জি, আর ,মাসুদ রানা





নর আর নারি

জগতের গড়ি

মিলে মিশে সাজায়

বাগান বাড়ি

অধিকার সমান

সুন্দর কাননে

ওরা পূর্ণতা আনে

সমাজের বাহনে

এরা , ক্ষনে মা , বোন

এরা জীবন সাথি

আধারে জালায় কভু

জীবন বাতি



৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০০

লেখক বলেছেন: সমাজের ছাগলামি ।

মাসুদ রানা



সব মাস্টার ছাগু

কবিরা প্রেমিক

বই লেখে কবি

ছাগুরাই বেঠিক ।

মন্ত্রিরা ছাগু

ডঃ লিখে আইন

সংসদে ক্ষমতা লয়ে

আইন টারে ধরে ফাইন ।

সরকার ছাগু

জনগনের দেশ

লুটে খায় লুটেরা

হায় হায় সব শেষ ।

আর কত ছাগুরা

দেখাবে সমাজে খেল

খেল খেলে ছাত্ররা

সব ক্ষেত্রে করে ফেল ।

মঞ্চে ছাগুরা

মিছামিছি চিল্লায়

রাস্তায় ঘেঁষাঘেঁষি

পুলিশ আর মোল্লায় ।

মাঝ খানে কত ছাগু

না বুঝে গুড় প্যাঁচ

ল্যং মেরে সঙ সাজে

মুত্যুর বাড়ে ম্যাচ ।

আরও কত ছাগলামি

সমাজের বাহনে

বইমেলা , মসজিদ , কত কি

পুড়ে ছাই আগুনে ।



*: সহিংসতা বন্ধ চাই

মাসুদ রানা



টাণ্ডা মাথায় গুলি করে মার , নিজেও মর

এ ভ্রান্ত নিতি পরিহার কর /

************************

এসব ক্ষমতা কে আঁকড়ে থাকার ফন্দি

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এদের শেখলে বন্ধি ।

মানুষ নামের শিষ্টাচার নেই এদের প্রহসনে

আচরনে শয়তান , স্বার্থের আবরনে ।

মুহূর্তে কার্যসিদ্ধি করে

টেলে দেয় সমাজ অন্ধকারে

তাজা খুনে নষ্ট বিবেক হানে শকুন দৃষ্টি

কে বলে ওদের সমাজ পতি , করে কুহকের অনিষ্টি ।



আর কত দেখব রক্ত লোলুপ হিংশ্রতা ধুকাদাবা

যারা সমাজ গড়ে তাদের বুকে অদের থাবা

হে মানুষ আন হুশ নইলে পড়বে বিধাতার রুষে

মিছে কেন ?নিষ্কণ্টক জান হবে বলি সর্বনেশে ।



* দেশ মাতা তোমার শান্তি চাইয়া / আমি কবি শুধুই ছবি গিতি কবিতা

এম , জি , আর মাসুদ রানা



সোনার কবি জীবন অঙ্গার হইল গো

দেশ মাতা তোমার শান্তি চাইয়া

কত সুখের উৎস লুকাইল দেখলাম না তাকাইয়া গো ২

দেশ মাতা তোমার শান্তি চাইয়া ।



ফাগুন গেল ফুলের ঘ্রানে

তারুণ্যর নয়নে

ভালবাসার মানুষ গেল

আশার প্রদীপ বুনে

কত স্বপ্ন উড়াল দিল না রাখলাম জাগাইয়া গো ২ দেশ মাতা '''''''''

সমাজ সেবায় দিলাম প্রান

উজার করে ঘর

নিজে কত কষ্ট করেও

তাজা রাখতাম অন্যর অন্তর

তাতেই মনে শান্তি ধরত কি আনন্দে মজিয়া গো ২ দেশ '''''''''

কেমন সময় আইল মনা

সে স্মৃতি মনে পড়ে

ভয় লাগে কেন জানি

গভীর ও অন্তরে

হিসাব মিলাতেই দেখি বেলা যায় বহিয়া গো ২ দেশ '''''''''



* বিশ্ব শিশু দিবসে তাদের জন্য কবিতা

মাসুদ রানা



মায়ের জঠর ছিরে কার চিৎকার

জগতের রূপ , রঙে মিশে একাকার

তারি বুকের উত্তাপ স্নেহ মায়ায়

শিশু মন বেড়ে উটে স্নিগ্ধতায়



কোমল কুসুম স্বর্গের শোভায়

কত মমতা বহে দিপ্ত আভায়

সব মন মজে শিশুর সরল প্রানে

ফুটে মুখে আধু বুলি মধু তানে ।



জগত মাঝে তার কত অজানা

বিচিত্রতায় আর রহস্য দেয় হানা

নব নব সব কিছুর লয়ে দিক্ষা

এগিয়ে চলে শিশুর বিদ্যা শিক্ষা ।



সমাজের দর্পণে যা কিছু রয়

সবি তাদের মগজে পুস্পটিত হয়

তাই আজি আহবান শিশুর মেধায়

এস দেই পরিবেশ মনন ও মজ্জায় ।



অধিকার আদায়ে কত শিশু প্রান কাদে

রাস্তায় , ফুটপাতে , বস্তিতে রোধননিনাদে

শিতে ভোগে বৃষ্টিতে ভিজে একাকার

অনাহারে ছটফটায় নেই কেহ দেখার ।



ওরা শিশু , ওরা সম্মুখ যাত্রিদল

নব কাণ্ডারি নির্ভীক ওদের বাহুবল

ওদের রক্তে মিশে থাকবে বিজয় উল্লাস

নব নব আয়োজনে গড়বে নতুন ইতিহাস ।



এস তাই সাজায়ে রাখি তাদের চলার সাজ

সত্য সুন্দরে আর নির্মলতায়

ভয় বাধা ভেঙ্গে চলবে তাদের কুচকাওয়াজ ।





অদ্ভুদ যুদ্ধা

মাসুদ রানা



কাচি ফিক্কা

অইল কাহা যুদ্ধা

ল্যাং মেরে নাছে তারা

নাছে দেশ সুদ্ধা ।

আসল যারা তারা কয়

আইল কলি যুগ

যাদের ক্ষিদা তাদের খাবার কেড়ে

কাহারা খায় রাজ ভোগ ।



কবিতা রঙ্গ ভঙ্গ বাং লার অঙ্গ



শাহবাগে আওয়াজ বেখাপ্পা জনতা ছাত্র

সারা বাংলার হুসিয়ার , মিছিল যত্রতত্র



বেরসিক মাষ্টার লয় চক ডাস্টার

ছাড়ে বড় হুংকার , বিদ্যা শালায় মহা রন ক্ষেত্র ।



পুলিশ কয় ইস ইস হাত করে নিশ পিশ

পাই না কোণ দিস এ কেমন সুত্র ।



ঘটক কয় মস্ত নাটক , কে কারে করে আটক

পার হয়ে যাই ফটক ,খুজি পাত্রি পাত্র ।



কবি কয় ছবি এঁকে ইতিহাস যাব লিখে

কিন্তু আবার কথা থাকে পালাবার পথ বাকি মাত্র ।





জুতা



চুর এল দোকানে মন মত জুতা চিনে

ফিসফিস কানে কানে

ফিটফাট সাজে ক্ষনে



খেয়ালি দোকান দার জিজ্ঞাসে সমচার

চুর কয় কত দাম

বুঝ হলে কিনিতাম



দাম চায় দোকানি পাচশ পাচ

গাঁয়ের গন্ধ শোকে

ফু ঝাড়ে নিজ বুকে



ভাব সাব দেখে লোকে মজা পায়

মানুষ কেহ কত কিনে

ছুটে যায় আপন মনে



সুযোগে জুতা লয়ে ভিড়ে যায় দলে

পাহারাদার তারে রাখে খেয়ালে

ধরে আনে দোকানে কৌশলে



অবাক হয় সবাই দেখে কাণ্ড তার

বসে শালিশ হবে বিচার

তক্ষনি সে ছাড়ে হুংকার



জুতা যে কেমন দেখছিলাম তাই

পরখ করে ঘুরে ফিরে

দাম দিয়ে যেতাম ঘরে



ভদ্দর লোককে তবে কেন অপমান

ঝুলে থাক জুতা আপনাদের গলে

উলটু জরিমানা সে নেয় তুলে ।



জালা



আহা রে জ্বালা

গান ভুলে পান দেখে

মুখে পুড়ে ভোলা

মনু দেখে আড়ালে

হাটে কি খেয়ালে

বুকের কাপড় কই

চোখ দুটি খোলা



কবিতা +

* হারানো স্মৃতিরা

মাসুদ রানা







আমরা আজ সব হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব

চেয়ে চেয়ে পরিনতি দেখল সারা বিশ্ব ।

সোনার চাইতে খাঁটি ছিল আমার দেশের মাটি

ইতিহাস , ঐতিহ্য ভরপুর মুগ্ধ পরিপাটি ।



গ্রাম্য বধূর ঘোমটা টানা কলসি কাঁকের ছবি

উদাস নেত্রে নিরব ক্ষনে আঁকত বসে কবি

রাখাল বালক বাশের বাশির সুর ছড়াইত মাটে

বাকা মেটুঁ পথ মারিয়ে রসিক ছুটত গঞ্জ হাটে



লাটাই ঘুড়ি লয়ে বালক আকাশ ছুইত মন

পাখির ডানায় লিখত চিটি বালিকা নিরব ক্ষন

কৃষাণ মাটে স্বপ্ন বুনে বাতাসে জমাইত খেলা

নদীর বুকে পরত ছায়া ঘুধুলি আঁকা বেলা ।



বট ছায়ে বাউল সাধক ছেড়ে রসের গলা

মাতাইত মানুষের মন জমত কত মেলা

ষাঁড়ের লড়াই , দেখতে যেয়ে হোঁচট খেয়ে পড়া

সবি আজি যায় হারিয়ে স্মৃতিরা দেয় নাড়া



* : ইসলামের আদর্শ

আজ কি দেখি ঘরে /বাইরে



হায়রে মানুষ জাতি ডুবে রও মিথ্যায়

চিতার আগুন জ্বলে মসজিদ গির্জায় ।



কোরআন কিতাবের হয় অবমাননা

মানুষের লাছ দেখে পাষাণ মন কাদেনা ।



পাপ যত ভারি হয় জালিম আর যুলুমের

মজা পায় ধুরন্দর পাপ ভরা কুহকের ।



নতশিরে হেটে যায় কমজুর বেঈমান

ইসলাম ডুবে কেন ? কই সাহসি মুসলমান ।



রাজ্যটা ভাগ হলে ধর্মের কি ক্ষতি

বরং ঈমান ধন হারালে মিলবেনা গতি ।



ধার্মিক ধর্মের কথা কয় ধর্ম কি বুঝেনা

বুঝলে ও সার কথা সত্য টা খুজেনা ।



ধর্মের নীতি ঝাড়ে রাজনীতি মঞ্চে

ধর্ম নিয়ে হার জিত হয় কভু তঞ্চে ।



মানবতার মহান দুত কি এই দিল শিক্ষা

তার সত্যকে গুম করে লও শয়তানের দিক্ষা ।



আজ হতে শপথ লও জীবনে ও মরনে

হাল ধরি ইসলামের জ্বালি প্রেম কোরআনে ।



সব কিছু দিয়ে বাদ আবাদ করি ইসলাম

আল্লাহর শক্তিতে জপন করি তার পবিত্র নাম ।



ক্ষুত্রত কত তার বুঝেনা কো পাপিগন

ইসলাম ব্যতিত আর সব হবে পতন ।



ভয় কি মুসলিম এইসব কিয়া মতের লক্ষন

শুরু হলে শেষ বিচার টেকবে জায়গা মতন ।

সংক্ষেপ ম মাসউদ মিয়া শাহি মিরপুর ঢাকা ।



* চুপ রও খুনিরা

মাসুদ রানা





চুপ রও খুনিরা সমাজের দুশমন

না গড়ে ধংশের এত কেন প্রহসন ।

বেশ ভূষা ধার্মিক কাজে নাই নীতি টিক

পড়ে জামা ঝিক মিক ছুট আসলে কোন দিক ।



বিশ্বের মাথাওয়ালা চালবাজ কূট সব

ধংশ আর মিথ্যায় উগ্রে দেয় যত স্তব ।

মরনের হাতিয়ার বেশি করে গড়ে লয়

খাদ্যর গুদামে বিষ বাস্প বানিয়ে রয় ।



জীবাণু অস্রে আজ মানবের ফুসফুসে ক্যান্সার

কারিগর নাগ চুবায় করবে কি ডাক্তার ।

ভণ্ডের দল ভারি খাঁড়ি খাড়ি ক্ষমতায়

মরে কত নিরপরাধ ওদের যাতনায় ।



অপশক্তি পায় ধলে বাচতে শিখ হে মানুষ

পরিবেশ সাজাও সবাই মিলে মাথায় রাখ হুঁশ ।

ম, মাসউদ মিয়া শাহি



* গিতি কবিতা তুমি

মাসুদ রানা





স্বর্গ সুধা অর্ঘ আজি তোমার হাসি মাঝে

অলস বেলায় সুখের আবেশ হৃদয়ে তে বাজে

আর যত আনন্দ দ্বারা

আকাশে বাতাসে

স্বপ্ন ছুঁয়ে আমায় নিয়ে

মেতে রয় উল্লাসে

সেই সে লগন জানি ভাসেকার ছায়া মৃদুল লাজে ঐ

যদি কথা থাকে

জন্ম জমান্তরের আবরণে

চুপি চুপি সে আসবেই

মোর রঙ হৃদ কাননে

সব বাসনায় সুর ছন্দে দিপালিকা হয়ে নব সাজে ঐ



* : বাংলার মুক্তি

মাসুদ রানা



লক্ষ প্রানের বক্ষ রঙিন

রঞ্জিত বাংলার মাঠ ,ময়দান

বুক ফাটা আর্তনাদ আজও

গর্জে উটে আঁধারিয়া মৃত্যুর শ্মশান ।

শক্ত হাতে অশ্র ধরে বাংলার দামালেরা

অগ্নিঝরা উত্তাল দিনের বজ্র সে নিনাদ

কানে বাজে বিভীষিকায় অতি ভয়ংকরে

তবুও শপথ আঁকে বীর বাঙ্গালী

রক্ত দিয়েও স্বাধীনতা আনবে বিজয় করে ।



ছন্দ মিলায়ে জীবনের আঙ্গিনায়

দিয়েছি কত জনারে উপহার

নিজের জীবনের হিসাব খুজি

মিলাতে পারিনা যে আর



যদি কিছু শান্ত্রনা পাই

তাই নিয়ে আজ স্বপ্ন বাঁচার

প্রতিটি জীবন হোক বইয়ের বন্ধু

নিরবে মগজে প্রদীপ জ্বালাবার



ধন্য ধন্য জন্মভুমি

মিশে রক্ত স্নাতে

সবুজ শ্যামল রুদ্র ছায়ায়

ভেসে উট প্রাতে ।



* আমি স্বাধীনতার ৪২ বছর পর

*********************************

এম, জি ,আর মাসুদ রানা



জাগরে বাঙ্গালী জাগ জাগরে নব ভোরে

স্বাধীনতার কণ্ঠ রোধে আজি কাদের ছায়া ভিড়ে

ওরা হায়না , ওরা হিংশ্র মিথ্যুক ধুকাবাজ

ন্যায়ের মন্ত্রে অন্যায় করে ভাঙ্গে এ সমাজ

তাদের বিষদাঁত উফরে ফেল , চালাও কুচকাওয়াজ

নব শপথের দিপ্ত শিখায় মুক্তি চাই আবার বাংলারে ঐ

লক্ষ শহীদের তাজা বুকের রক্ত দিয়ে কেনা

বিশ্ব বিবেক দেখল ওড়ে লাল সবুজের নিশানা

ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে আঁকা এক ঠিকানা

বাংলাদেশ বাংলাদেশ মোদের প্রাণের জন্মভুমিরে

জাগরে বাঙালি জাগ , জাগরে নব ভোরে

স্বাধীনতার রঙিন স্বপ্ন আনি মুক্ত করে



* বাঙালি হুঁশিয়ার

এম, জি, আর , মাসুদ রানা



আরেকবার গর্জে উটা চাই বাঙ্গালীর স্বকীয়তায়

এক্য চাই বিপ্লবী চেতনায়

রুখে দিতে চাই শকুনের দৃষ্টি

ভয়াল কালথাবা , যরযন্ত্রের অনাসৃষ্টি

আর কত রক্ত ঝরা মৃত্যুর মিছিল

বক্ষ ফাটা বুভুক্ষ মানুষের করুন মঞ্জিল

শিখলের প্রাচিরে মিথ্যার দণ্ড

সমাজ ভাঙ্গা বেঈমানি চালবাজ ভণ্ড

উপড়ে দিতে হবে ফনা বিস্তার নাগিনীদের বিষদাঁত

আর কত অভিশাপ লয়ে নিরীহ নারি শিশু , মজলুম

দেবে আমাদের বুকে বারে বারে অভিসম্পাত , ।



মা, মাটি , মাত্রিভাসা

আর নারির শেকড় যেথা

হে বাঙালি

মন মজাও সেথা ।

মাটি ও মানুষের

ভালোবাসায়

জীবন সাজাই সুন্দয়ে

শান্তি ও সেবায়



* : নদী ও নারি



মাসুদ রানা



নদীর বুকে বান ঢেকে যায়

ঢেউ খেলে তাই মনে

মিলিয়ে নেই তারি ছায়া

বন হরিণীর সনে ।



নদী যেমন গর্জে উটে

উত্থাল পাত্থাল ছন্দে

মন পবনে খেলা করে

রসিক প্রিয়া বন্দে ।



তাইত শুনি হাহাকার ও

ঐ নদীরও বুকে

মন পবনেও চিৎকার দিয়ে

প্রিয়ার ছবি আঁকে ।



যবনিকা //

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৭

টানিম বলেছেন: এতো বড় কেন ? ২/৩ ভাগে দিতেন ???

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কাব্য কথা এটাই গ্রন্থ
পরে বই আকারে ছাপা হবে
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.