![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
কাল বৈশাখী
*************************
ঝড়ের সে কি তাণ্ডব
আকাশ মৃত্তিকায় বাধে ধা ধা
বাজ পড়ে ক্ষনে ক্ষনে
ধরণির ঘুম ভাঙ্গে বাতাসে বিদ্রোহী বাধা ।
ভাবনা ধরে ওসব জীন পরীর খেল
ঝমঝম বৃষ্টি সাথে বিজলির হাসি
লাল নীল দ্যুতি ছড়ায়
নামে আকাশের মেধদুত জমিনে আসি ।
আলোর নাছন , কভু গ্রাসে আধার
আতংকে মানবের কেঁপে উটে বুক
বজ্রনিনাদে প্রচণ্ড সৃষ্টির উল্লাস
ওড়ায়ে কত স্বপ্ন বয়ে আনে শোক ।
লাগামহিন ছুটে অসীমের উগ্রতায়
বাজে ভেরি ধংশের বিপন্ন শাখ
আচমকা ধেয়ে আসে , অভিসম্পাত হয়ে
নারকিয় শক্তিতে কাল বৈশাখ ।
ম, মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
মিরপুর ১২ , ৪,১, ২০১৩ ইং
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমার দেশ মমতায় আকা
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
বাংলা আমার জন্মভুমি গৌরব মায়ের সমান
ভোরের আলোয় নিত্য জুড়ায় মোর মন প্রান ।
সবুজ শ্যমল গায়ের ছবি গাছে গাছে ঢাকা
মেটু পথ নজর খাঁড়ে কোথাও আঁকাবাঁকা ।
বনে বনে ফুল ফুটে সুভাস ছড়ায় কত
মাটে মাটে সোনার ফসল ফলে অবিরত ।
স্নিগ্ধ শোভা শান্ত দ্বারায় নদী বয়ে যায়
দুকুলে তার বসত বাড়ি বন উপবন রয় ।
হাওর বিল পাহাড় ঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর ছবি
নানান রঙ্গের মানুষদের দেখি নিত্য হবি
নীল আকাশে মেঘের ভেলা পাখিরা মেলে ডানা
হিমালয় সুন্দরবন সমুদ্র সৈকত দৃশ্য বড় চেনা ।
বিশ্ব বিবেকের তীর্থভূমি আমার এদেশ ভাই
নয়ন জুড়ানো এমন দেশ আর কোথাও নাই ।
গভীর মমতা দিয়ে গড়া এই যে চিত্র আঁকি
তার বুকে স্বপ্ন সাধ ঘুমিয়ে আমি থাকি ।
বাংলা আমার জন্মভুমি বাংলা মায়ের সমান
ভোরের আলোয় নিত্য জুড়ায় মোর মন প্রান ।
মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: রোদেলা হাসিতেও বৃষ্টির গন্ধ
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
আপন বেগে নদী বললে আমায় ডেকে
এত বহে জলদ্বারা সঞ্জিত এই বুকে
তৃপ্তি নিয়ে সবাই নামে সুধা করে পান
দুকূলে যে উথাল পাতাল সর্বনাশা বান
সবাই আমায় প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকে
কেহ সোনার ফসল ফলায় নানা চিত্র আঁকে
কেহ কুল দখল নিয়ে বানায় প্রাসাদ বাড়ী
কোথাও আবারব্রিজ বানিয়ে চালায় সেথা গাড়ি
যখন আমার বিনাশ বেলায় কেউ হয় না সাথি
বৃষটির দিনে মেঘলা ভেলায় হয় মাতামাতি ।
এবার সুধাই নদী চিরটি বয়ে নিরবধি
ভোরের আলোয় তোমার নিকট আসি চলে যদি
কি দেবে ভাই শান্ত নয়ন নীলাভ তনুমন
নাইতে যাব সঙ্গী হবে জুড়াইব অঙ্গন ।
সন্ধ্যাতারার হাতছানি তায় বুকে পড়ে ছায়া
চাদের হাসি লুটায় কভু জোছনা ঝরায় মায়া ।
পাখির ডানায় দেখি কভু নীল আকাশের ছবি
কল্পনাতে আঁকে ভাষা কোন নিরব কবি ।
রাখাল বালক গান শুনায়ে ছন্দ তালে হাটে
আমায় নিয়ে কাব্য সাজায় চাষি পাশের মাটে
আর ললনাময়ি কোন নারি মিতালী যায় এঁকে
দেহ মন সবি বিলায় নেমে কলসি লয়ে কাকে
দুরের দেশে কতজনা এই বুকে জমায় পাড়ি
অস্ত রবিও কয় যে কথা বিচিত্র রঙ মাখি ।
মিথ্যা নয় সবই সত্য জানি হে নদী
রঙ ধনু রঙে তোমায় আবার সাজিয়ে দেই যদি
কি দেবে ভাই সবই যে পাই তোমার নৃত্য ছন্দ
নদী কহে রোদেলা হাসিতেও আজি বৃষ্টির গন্ধ ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: প্রেম ও বিরহের সুর সখির সনে আড়ি
এম , জি, আর ,মাসুদ রানা
আমার বাড়ী আইস সখি ফুল তুলে দেব গলে
মনের কথা কইমু নিরলে
আঁকা বাকা মেটুঁ পথের চির চেনা গায়
নিশিরাতে তারার প্রদীপ ডাকবে ইশারায়
মৃদু হাওয়া কানে কানে ঘুমটা দেবে খুলে ঐ
ছোট্ট নদীর জল টলমল ঢেউ খেলে দূতীরে
কার বা বাঁশি শুনি ক্ষনে আজব মধুর সুরে
ভাবুক মন রয়না ঘরে বুঝবি সেথা এলে ঐ
ভোরের পাখি জাগায় আমায় কণ্ঠে গানের মেলা
ফুলে ফুলে স্বপ্ন সাজাই ভাসিয়ে হৃদয় ভেলা
সখি তোরে করে স্বরন থাকি সবি ভুলে ঐ ।
যারে আমি ভাবি আপন সে যে মোরে ভাবে পর
এই কি রিতি জগত মাঝে বদল হয়ে যায় অন্তর
সোনা দানা বাড়ী গাড়ী
সবি রবে পথে পড়ি
বন্ধ হলে দমের গড়ি
থাকবেনারে মায়ার নজর ঐ
পলকে যা যায়রে দেখা
সবি রঙ্গের স্বপ্ন আঁকা
আসা যাওয়া সবি একা
কোন আশায় বান্ধরে ঘর ঐ
ভাবুকে কয় বুকে বান্ধে
সাথিরা সব মায়ায় কান্দে
ঘনায়ে আসবে যখন সন্দে
একাই যাত্রা অসীমের ওপর ঐ
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমি বাংলার কবি
বাংলার চেনা মুখ [সনেট
মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া শাহি
ঊষার আকাশে ফুটে উটে রাঙ্গা রবি
সবুজ এক দেশ যেন শ্যামল ছবি ।
মাটে মাটে দুলে কত সোনার ফসল
গাছে গাছে ফুলে ফলে রঙ্গিন চিত্রল ।
হাজার শাখা নদী বয় আপন বেগে
সুর তুলে মাঝি গায় ভাটিয়ালী রাগে ।
মাটি খুঁড়ে কৃষাণ সোনার স্বপ্ন বুনে
রাখাল বাজায় বাঁশি হাসি আর গানে ।
এদেশের রুপ দেখে দুচোখ জুড়ায়
শান্তির অমিয় সুধা নদী বয়ে যায় ।
বিশ্ব মাঝে গৌরবের এদেশ আমার
কত মমতায় গড়া নেই জুড়ি তার ।
এদেশের বিরুচিত ইতিহাস গাঁথা
শেষ নেই তাই জানি এত রুপকথা ।
বাংলার ভোর
মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
হাতছানি দেয় ভোরের আকাশ
ঘুম আসেনা চোখে
বর্ণালী ঐ আলোকচ্ছটা
কপোলে চুমো আঁকে ।
কলতানে পাখিরা সব
উটে মেতে ভোরে
মধুর আযান আসে ভেসে
মুয়াজ্জিনের সুরে ,
শিশির মাখা ফুল কলিরা
পাপড়ি মেলে গাছে
কল গুঞ্জন করে অলিরা
পাখনা মেলে নাছে ।
শিশু দলে বাধন খুলে
বেরুয় মেটু পথে
প্রকৃতি তায় নব রুপে
আঁচল দেয় সাথে ।
গাঁয়ের ধুলু জড়ায়ে পায়ে
মাটে চলে চাষি
ঘুমটা টানা কলসি কাঁকে
বধুর মুখে হাসি ।
মৃদু মন্দ বহে বায়ু
বনে সবুজ পাতা দুলে
নব বার্তা বয়ে আনে
বাংলা মায়ের কুলে ।
এমন ভোরে মধুর ঝরে
মন যদি হয় ভালো
বাংলা আমার জন্মভুমি
নিত্য চাঁদের আলো ।
বাংলার চাষি
মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
দূর্বা ঘাসের ছুঁয়া নগ্ন পায়
চাষি মাটে স্বপ্ন সাজায় ।
কচি কচি লতা তারি ছোঁয়ায়
সাজে কত সজীবতায় ।
চাষির প্রতি দাও নজর সবার
ফলিয়ে তারা জুগায় আহার ।
বাংলার বুক
মোহাম্মদ মাসউদ রানা মিয়া শাহি ।
লাগে আলো ঐ দুচোখে
মিশে রই বাংলার বুকে
ঝাঁকড়া পাতার বৃক্ষ শাখে
সবুজ ভেলায় চিত্র আঁকে ।
যাদের দেশ প্রেম প্রবল
উৎসর্গ তাদের জন্য
এই মাটিতে জন্ম মৃত্যু
তারি বুকে মোরা গন্য ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হুমায়ুন আহমদের জন্ম স্মৃতির অর্ঘে কটি কবিতা
এক কেউ কথা কয়নি কেন?
তোমার সাথে
আজি শুভ নব প্রভাতে
ভাল থাক জান্নাতে ।
দুই হে প্রিয়জন বাধ এ মন
জগত দৃশ্য ছবি
শেষ নাই আত্তার গমন
ভাসলে হয়ে কবি ।
তারি লীলা করলে খেলা
আমরা তারি বান্ধা
মানুষ নামের শ্রেষ্ঠ মোরা
বুঝি ঘনায়ে সন্ধ্যা ।
তারি দয়ায় আহার নিদ্রা
তারি দয়ায় বাঁচা
তারি নিকট যাব সবাই
ভাঙ্গবে যখন খাঁচা ।
৩তিন জগতের সব ভাল
থাকে কোথায়
ছন্দ ভাষা কাব্য ফল
আর কবিতায় ।
ভাল বন্ধু ভাব তাদের
ওরা স্বর্গ দুত
মানুষ ও সমাজ গড়ে
না মিলে খুত ।
৪ বাহিরের আবরনে মানুষ সেজনা
ভিতরের চেনা টুকু আগে জানা চাই
জাগ্রত বিবেকে চিন নিজেকে
সত্যর দ্বীপ শিখা মগজে ফুঁটাই ।
চেনা জানা কত হয় যে জগত মাঝে
কে আপন কেবা পর বুঝিনা যে
যদি কাউরে হায় বুঝতে শিখি
নিরব গহনে ভিজাই আখি
কভু হৃদয় নীড়ে শুন্যতা পাই ।
বুক ভরা যত কথার মালা
ছন্দ সুর ভাষা আর কাব্য ডালা
দিয়ে সুর অপরের কণ্ঠে তাই
দিক দেখায়ে নব ধরণীর হায়
আমি কি শুধুই ছবি হয়ে যাই ।
৫ বেশি শক্তি করলে ক্ষয়
উক্তি যায় কমে
বেশি উটা ভাল নয়
তেমনি এসে নামে ।
৬ বই মানুষের উত্তম বন্ধু
তাজা রাখে জ্ঞান সিন্ধু
টেকেনা সে জগত মাঝে
যদি পড়া লাগে কাজে
আর পড়া যা লিখে সবি
আপন জ্ঞান বিলায়ে কবি ।
আর যা জানি জ্ঞান বিজ্ঞান
ভাল বইয়ে মিলে রত্ন বাগান ।
৭ শব্দ কুশ সঞ্চিত লুকানো
হৃদ নীড়ে
নিরবতার মাঝেই এসে
আবেশে ভিড়ে ।
উপদেশে ওস্তাদ অন্যকে দেখিয়ে
নিজে কি রাখলাম জ্ঞান বিকিয়ে ।
এখানেই সফলতা নহে জ্ঞান নিঃশেষ
জ্ঞানিরা ভেঙ্গে দেয় অন্যায় বিদ্বেষ ।
৮ কে তুমি স্বপ্ন ময়ি
বারে বার কেন? হও উদয়
কি চাই স্বর্গ সুখ
দেখতে এত কিসে ভয় ।
চেনা অচেনা অজানায়
প্রিয় হে কত মুখ
সঞ্চিত ছন্দে ভরাট
নিরব ভাষায় এ বুক ।
সব পাটকের উদ্দেশ্য আজি এ রচনা
চেনা হবে তার সাথে যে বড় অচেনা ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জীবনের হিসাব মিলাতে চল যাই হিমু সেজে
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
মহাকাব্য লিখতে বসি নিঝুম রাতে একা
আঁখি মাঝে ভাষার ঝালর নাছে স্বপ্ন কেকা ।
বাঁশ বাগানে জুনাক জ্বলে ভাসে আধার রাতি
সন্ধ্যা ক্ষনে নিভিয়ে রাখে দুঃখ বুড়ীর বাতি ।
সারাদিন মান ছুটে খেটে যা করে সঞ্চয়
নেয়না কেউ খবর একলা রাধে খায় ।
নেড়ি কুকুর বুড়ীর সাথি সেথা রয় পড়ে
ধুলুবালি শুকনো পাতা ঘরটি নড়ে বড়ে ।
বাসন কুশন সেই আমলের মান্দা জীর্ণ অতি
বাকা ডালের লাটি ছাড়া নেই যে চলার গতি ।
মজার বিষয় হিমু একদিন সে ঘরে গিয়ে
ডাকলে আছ কেহ যাই একটু জিরায়ে ।
বুড়ি অবাক মহানন্দে অথিতি এক খাসা
নিশ্চয় স্বর্গ দুত এবার পুরাবে মনের আশা ।
শুন দুত ভাঙ্গা কুটির এমন দশা ছিলনা মোর
বাড়ি ভরা মানুষ ছিল আর অভিজাত ছিল ঘর
বাবা ছিল শৌখিন অতি দৌড়াত টাট্রু ঘোড়া
মা ছিল বুদ্ধিমতি একাই সরব রাখত পাড়া
ভাইয়েরা ছিল বীর কেশরী উচু বুকের পাটা
কেঁউ ছিলনা জুড়ি তাদের সব থাকত ভয়ে সাঁটা ।
হিমু কহে অহে বুড়ি বকছ আমায় পেয়ে
কান ধরেছি ভুল হবেনা গেলাম দিক হারিয়ে
বনে বনে ঘুরে ঘুরে কতই খেলাম চেকা
অবশেষে মিলল এসে আচ্ছা তোমার দেখা ।
যদি পার উদ্ধার কর দিয়ে ঘটা জল
দম বুঝি আটকে গেল খেয়ে শুকনো ফল ।
বিশ্বাস হয়না এই দেখ জামা ছেড়া কাঁটার গাঁরে
সাথিরা সব আমায় ফেলে ফিরল কলের নায়ে
আমি কবি আঁকতে ছবি বেড়াই মুক্ত মনে
আখির পাতায় আঁকা যা লিখি অনুক্ষনে ।
বুড়ি কহে আশা ছেড়ে ভেঙ্গে এহেন ভুল
লেখক তুমি উদাস কেন ? আউলা মাথা চুল
দিক চিনাবে নব নবীনের স্বপ্ন জ্ঞান জ্বেলে
দিক ভুলে সেই তুমি ভাঙ্গা কুটিরে এলে
একটু হাওয়ায় ঘর উড়ে যায় আবার তা বাধি
এমনি করে কতদিন কাটালুম একলা নিরবধি
বৃষ্টি এলে ভিজে যাই কভু থাকি ঝাঁকড়া ঝুপে
মশায় খায় শিতে ভুগি অধর কভু কাঁপে ।
বনের পশু মাঝে মাঝে দিয়ে দেখা ছুটে
উদাস হাওয়া ফুল পাখিরা তাই দেখে মজা লুটে ।
হিমুর পিপাসা উভে গেল শুনে বুড়ির ব্যথা
আবার কহ সেই সে দিনের সুখের যত কথা ।
দুচোখে জল টলমল কহে বুড়ি বাবা তুমি বাঁচ
বহুদিনের পরম আত্মীয় যেন খেই হারিয়ে নাচ ।
সেই সে দিনে এই বুড়ী থাকত কত নয়ন মাঝে
মিষ্টি কথা কইত কেহ ভাবুক রাঙ্গা লাজে
পথের যুবা শিস দিত শুনায়ে গানের কলি
নিত্য যেতাম পাটশালায় হেথা জ্ঞান প্রদিপ জ্বালি
আসবে কবি এক গুনিজন বিদ্যালয়ে জেনে
সাজিয়ে দিলাম সারাটি গাঁ মোরা মিলে কজনে ।
ভাষা জ্ঞান স্মৃতির আল্পনা হিমু শুনে ভাবে
এমন মানুষ কেমন হল না বুঝি তবে ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মহাকাব্য সৃষ্টি বৈচিত্র্য ১
এম, জি, আর ,মাসুদ রানা
কত অনুপম তোমার সৃষ্টি বৈচিত্র্য হে অন্তর্যামী
কি সুন্দর অপরূপ শৈলী এই লীলাভূমি ।
সাজায়ে বিশ্রিত ঢালী সবুজ ও শ্যামলে
প্রানের স্পন্দন জাগে সকল তরু ফলে
পাহাড় পর্বত সমভূমি অরন্য ছায়ায়
সাগর নদী সৈকত জাগে অমিয় সুধায় ।
আকাশ বাতাস রবি শশি মৃগ মৃত্তিকায়
অনন্তে ভাসে মেখ পবন তাহাতে লুটায় ।
জাগে প্রান মুখরিত লাগে কি দোলা
মানুষ সেরা সাজায়ে দিলে গড়ে বিশ্ব মেলা ।
রঙ বেরঙের জগত তাই মানুষের বাসযোগ্য
সাধ দিলে সাধ্য দিলে দিয়ে নানা আহার্য ভোগ্য
সকল অস্তিত্তের উদ্ধে তুমি মানবের চিন্তা চেতনার
প্রতিনিধি বানায়ে দিলে সকল অধিকার ।
সাম্য ন্যায়ের পথ চিনতে দিলে জ্ঞান আলো
বুঝতে শিখি ভালো মন্দ অন্ধ কাল ধলো ।
সকল জীবে সকল তৃণে মানুষ সবার সেরা
মানুষের সমাজ গড়ে উটে নবরূপে সাজে বসুন্দরা ।
হে বিধাতা সত্য ন্যায়ে কর মোদের ক্ষমা
সেরা জাত মানুষ মোরা গাই তোমার মহিমা ।
ক্ষুত্রতে তাই দুঃখ সুখের দেখ পরিমাপ
স্বর্গ নরক চিনতে দিলে কি ভাল কি পাপ ।
জ্ঞানি গুনি জাত ব্যবধান ধনি নিঃস্ব কত
ভেদ ভেদাভেদ উচু নিচু দৃশ্য ফুটে তত ।
দিক থেকে দিগন্তে ছুটে খুজে রহস্য মানব
জানতে শিখে আবিস্কার করে বিচিত্র কতসব
এরি মাঝে ঘাত প্রতিঘাত লড়াই করে বাঁচা
কেহ শিখে কেহ শিখায় বাড়ে ইতিহাসের খাঁচা ।
হে দয়াময় এর পরেও মানুষ হয় কেন বিদিশা
সব মাঝে দয়া দাও একমাত্র তুমিই ভরসা ।
আশার প্রদীপ জ্বালে সবে প্রতি পদে পদে
ভুলে কেহ পথ হারায়ে রাস্তায় পড়ে কাঁদে
কেহ খাটে কেহ খাটায় বিচ্ছিন্ন নয় কেহ
কেহ সমাজে চির অমর বিলায়ে মমতা স্নেহ ।
শ্রেণী বিভেদ রয় বহু কেউ কারও অধিন
কেহ থাকে উগ্র সুখে কেহ থাকে স্বাধীন ।
মনের সাথে মিলে মন কেহ কারও আপন
আবার কেহ চির দাম্ভিক ঘটায় নানা প্রহসন ।
হে বিধাতা নাই বা বুঝি তোমার মহান শান
মানুষ নামে সেরা কিসে দাও মগজে জ্ঞান ।
ধীরে ধীরে অজানার যা হয় আবিস্কার
জীবন সংগ্রামে লিপ্ত থাকে দিক চিনে বাঁচার ।
চষে পাহাড় নামে সাগরে গড়ে প্রাসাদ ইমারত
হিসাব কষে লুটে কেহ খোদার নেয়ামত ।
আবার কেহ মোহের বশে ধংশ করে প্রান
শান্তি বাচাতে আবার কেহ গায় সাম্যর গান ।
রক্ত লুলপ মত্ত পাগল কেহ সাজায় সমর
মিথ্যা ক্ষমতা লোভ হিংসায় ধংশ আনে প্রহর ।
এসব হতে নিষ্কৃতি চাই হে দয়াময় প্রভু
অনন্ত আহবান যেন ভঙ্গ না হয় কভু ।
ফকির সাধু তাপস তোমায় চিনতে নামে পথে
বক্ষ মেলে বুক যে মেলায় নিঃস্ব মেট রথে ।
মৃত্তিকারি গন্ধ শুঁকে কাঁটায় কেহ বেলা
রঙ বেরঙের স্বপ্ন সাজায়ে চলে উটসবে খেলা ।
আবার কেহ দূর্বাঘাসে ক্লান্ত দেহে এলায় দেহখানি
কেহ কত অন্নের দায়ে করে সুযোগ সন্ধানী ।
এসব দেখে আবার কেহ মুখ টিপে হাসে
আবার কারও জীবন কাটে মুসাফির হয়ে পরবাসে ।
হে বিধাতা জ্ঞানি গুনিদের মত সটীক দিশা দাও
আমরা মানুষ রাখি যেন হুশ দিলে বাতি জ্বালাও ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সৃষ্টি সুখের দৃষ্টিপাত মহাকাব্য থেকে
এম জি , আর , মাসুদ রানা
সৃষ্টির মাঝে উত্থান ও পতন প্রকৃতি রঙে ভাসে
ভুবন জুড়ে ফুটে উটে রঙ ক্ষনে ,পলে , বারমাসে ।
নক্ষত্র খচিত নিশুতি জাগে জোছনা চারিদারে ফুটে
জোনাকির আলোয় ঝিলমিল বনপথ আধার লুটে ।
বিশ্রিত রহস্য লোকে রঙ ঝরে রবি শশির আলোয়
বিশ্ব প্রকৃতি এঁকে কবি মন তার মহাকাব্য সাজায় ।
রহস্য
বইচিত্রময় জগত গড়ে বিধাতা
মানবেরে সব দিয়ে দিল পূর্ণতা
গাছে ফল নদীজল অবিরত দ্বারায়
রাঙায়ে দিল ঢালী বর্ণীল সজীবতায় ।
পবনে সিঞ্জনে উড়ায়ে জল উদ্ধে মেখ ভাসে
বৃষ্টি হয়ে মাটির কুলে তা তরুলতায় গ্রাসে ।
মেটু পথ অরণ্য মাঠ গাঁ প্রান্তরে
নানান জীব সেথা অবাধে বিচরে ।
রয় পাহাড় সাগর , পর্বত বিশালতা নিয়ে
তবু মানুষ তুষ্ট নয় এত কিছু লয়ে ।
নিয়ম ভাঙ্গার খেলায় উটে যারা মেতে
ধংশ তাদের আসে বিধাতার হাতে ।
সত্যবানি
বজ্র নিনাদে গুঁড় অন্ধকারে ছুটে দজ্জাল
বিষ বোম বানায় ভ্রান্ত পথে ঘটায় জঞ্জাল ।
বিভেদ আনে সত্যন্যায় পিসে সংকট ক্রান্তি
মনুসত্যকরে নষ্ট দেখায় পথ ভ্রষ্ট মুছে শান্তি ।
ফোরাত কুল আজ উম্মাতাল সাজ লৌহ রাঙ্গা
মানুষের বুকে মরনফাদ অহেতুক দাঙ্গা ।
আফগান ফিলিস্থিন যত মুসলিম বেদীন
মৃত্যুরে লঙ্গি মৃত্যুর সঙ্গী হয় প্রতিদিন ।
বিষাক্ত অগ্নি নিঃশ্বাসে মানবতা হয় লিন
রাজদণ্ড অপঘাতে ন্যায়দণ্ড পদলুটে কিয়ামতের চিন ।
সাদামন
মুক্ত আমি ধুলির ধরায়
সুপ্ত জাগরনে
সবার মাঝে দিপ্ত রঙ্গিন
সঙ্গী সাদামনে ।
মহাজগত দেখতে পাই
উল্কা হয়ে ভাসি
ফুটাই কত দৃশ্য কাব্য
সকল শক্তি গ্রাসি ।
ফুল পাখিদের কলতানে
জাগি রাঙ্গা ঊষায়
মাটে মাটে সবুজ ঘাসে
ভাসি রুদ্র ছায়ায় ।
প্রান খুলা সরবে তাই
মুক্ত ফুটাই ভাষা
সব হৃদয়ে মিতালি এঁকে
গড়ি ভালবাসা ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মহাকাব্য ফুলের মেলা
এম,জি,আর, মাসুদ রানা
অনেক ফুল , ফুলে ফুলে দিপ্তশিখা কুঞ্জ রবি
জেগে থাকে সাগ্নিক নিরন্তর কোন এক কবি ।
চিত্ব মোহিত মন ফুলে ফুলে উড়ে
মধু তানে ভরে উটে সারাটি প্রহরে ।
প্রজাপতি ডানা মেলে সপ্ত রঙ্গিন পাখায়
চপলে চঞ্চলে ভাসে ফুলের মেলায় ।
ফুল খসে ফুল কভু ত্রুবতারা হয়
সেথা মায়াকানন সাজে ব্যকুল হৃদয় ।
অরন্য মাট কাদে ফুলের শুন্যতা হেরি
ফুলে ফুলে সাজে কত বাগান বাড়ী ।
কবির দৃষ্টি কাব্য নিরবে বহে ফুলের মাঝে
কথা কলি ফুঁটায় ভাষা বিচিত্র সাঝে ।
জগত সুন্দর তব ফুলের ঘ্রানে
স্বপ্ন সাজে কত প্রানে প্রানে
ফুলের জলসায় কবি ছন্দ আনন্দে
নিরবে ফুটায় কুসুম কলি ভাল মন্দে ।
বিশুদ্ধতা আনে প্রতি ভোরে সৌরভে
তাই প্রতিটি হাসি ফুলের জলসায় গৌরবে ।
কবি মমিনুল মউজুদ্দিন স্মরণে
আলোক বর্তিকা লয়ে তুমি ছিলে
সুনামগঞ্জ বাসীদের অতি পাশে
সকল প্রান চঞ্ছলতায় উদ্দ্যম উল্লাসে ।
তোমার ছুটে চলা অবাক নয়ন
মিশে রয় চাঁদের জোছনায় প্রকৃতি মাঝে
কত আকুল হৃদয় আজও তোমায় খুজে ।
আজও রাজপথ রঙ্গিন শোণিতে তোমার
সুরমার বুকে ভাসে সেই হাহাকার ।
শ্রমিকের আকুতি
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
কত ভালবাসা কত মমতায়
গড়ে উটে জগত তাদের শিল্পছোঁয়ায়
শক্ত কটিন ইট ওরা ভাঙ্গে
পুস্কা পড়ে গাঁয়
ধরে হাল খাটে নিপুন কারিগরে
দুর্বার স্বপ্ন সাজায় ।
ধুকধুক শ্রম কিনাঙ্ক প্রান ভাঙ্গে মরিচিকা
ওরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়
গড়ে রাজপথ সৌধ সমাধি আর অট্টালিকা
রুদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
ধরনিরে কভু করে বরণীয়া
আর মরে বিলাসিদের নিষ্পিষ্ট যাতাকলে
দুবেলা দুমুটুঁ অন্ন তাও জুটেনা কপোলে ।
ওরা কাজ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে
দেশের তরে নগর শহর বন্দর সাজায়
প্রহর গুনে গুনে
রাঙ্গে ধরণী কভু ওদেরই লৌহ খুনে
শক্ত মুষ্টিতে হাতুড়ি শাবল গাইতি কভু
বং বেরংগের লয়ে হাতিয়ার
দিগ্বিজয়ে দেয় পাড়ি বানায় সামুত্রিক জাহাজ
লঞ্চ স্টিমার আর মহাশূন্যর যাত্রী নানা আবিস্কার ।
ওরাই মাটে সোনা ফলায় বিকিয়ে দিয়ে দেহ
তোমরা কারা স্বার্থ লোভী সুখের স্তব গাহ ।
পরখ করে দেখ
অধিকাংশ তাদের নেই একটু মাথা গুজার টাই
নাই বিছানা , শিতের কাপড়
এমনকি কখনও অন্ন পানি তাও ।
ওরাই খাটি সোনার মানুষ তবু দেখি
ওদেরই মুখে স্নিগদ ভরা হাসি অনন্য কারুসাজে
হে প্রিয়জন নিরেট ভালবাসা পাবে ওদের মাঝে ।
যদি শান্তি মিলে সব ভুলে মাথানত কর ওদের শ্রদ্ধাভরা কাজে ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মহাকাব্য রক্তের হোলি খেলা
এম,জি,আর,মাসুদ রানা
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ আজ মানবতা অবরুদ্ধ
অহেতুক বলি হয় যত তাজা প্রান
বিশ্ব বিবেকের নিকট আজি আহবান
এযে অন্যায় সমর লৌহ রাঙ্গা খুন
এতে বাড়ে ধংশ আর যাতনা করুণ
হে জাতী মানুষ নাম লয়ে কেন এ সমর
গড়া রেখে ধংশ আন ভেঙ্গে সব অন্তর ।
ধূর্ত শয়তানের সঙ্গী ওরা মানুষের পরিচয় কি রয়
ধুকে ধুকে মুসলিম মরে ইসলামের মহা সংশয় ।
কাল কেয়ামত এসে নামে ফিলিস্তিন আরব মিশর
ভয় নেই মুসলিম রাখ ঈমান মজবুত খোদার ডর ।
ধংশ আসবে বেদিন জালিমের বাজে সত্যর ভেরী
বিশ্ব মুসলিম এক হও নহে আর দেরি ।
ওরা বিধাতার দান জগত মাঝে বাড়ায় শুধু পাপ
স্বর্গ সুখ চাও ক্যামনে পাবে মাপ
হায় পরিতাপ
কর দিল ছাফ ।
শিশুস্তব
এম,জি,আর, মাসুদ রানা
ওরা শিশু
হাসি খুশি সুন্দর ওদের মন
যুগে যুগে কুসুম ফুল হয়ে
বিচিত্রতায় গড়ে নতুন জীবন ।
অদের মম কুঞ্জে সকল হৃদয়
বিলিয়ে দেয় সবটুকু স্নেহের পরশ
সকল আঙ্গিনায় সুখদ কানন হয়ে
ওরাই ছিনায়ে আনে খ্যাতি ও যশ ।
ওরা মায়ের কুলে কুসুম কোমল
আনন্দ গড়ে বাবার স্বপ্ন মাটে
ভাই বোন বন্ধু স্বজন সভায়
প্রেমময় বাধনে ফুল হয়ে ফুটে ।
ওরা খেলার মাটে পাঠশালায়
সব গৃহে প্রদীপ হয়ে স্বপ্ন আনে
ওদের উল্লাসে জাগে নতুন পৃথিবী
ভরে হৃদয় বাগান আমোদিত ঘ্রানে ।
এস সবে এদের জন্য গড়ি
একটি সুন্দর , নিরাপদ আবাস
ভাল হোক তাদের সুসভ্য অভিযান
একদিন ওরাই স্রিজিবে নব ইতিহাস ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিশ্ব সাহিত্যর রত্ন শুধুই তুমি
এম, জি,আর ,মাসুদ রানা
এত রঙ্গিন ভোর দেখেনি আর যা ফুটে রয়
শুধু তোমার আঁখি গঙ্গায়
স্নিগদ চুম্ভনে ঘুম থেকে জাগা প্রথম প্রহর
আঁকা ভাললাগার জোছনায় ,
অবাক সরলতা লয়ে সাগরের উত্তাল গর্জনে
বিশাল মুক্ত আকাশের মত
এই বুকে এঁকে দিলে রংধনু ছাপ
সেই থেকে তৃষিত হৃদয় হল ক্ষত ।
পাহাড়ের নির্ঝর ঝর্নার মত সেই হাসি
আজও শুনি কানে প্রতিধ্বনি ভাসে আলেয়ায়
দেখি ঝড়ের তাণ্ডব এর সমূহ ক্ষনের মত
অভিমানী ক্ষ্রুদ্ধ লাস্যময়ী অধর চমকায় ।
কুলুকুলু বহমান নদীর মত সেই ছবি বহে হৃদ নীড়ে
স্বপ্নিল কিনারায় বসে বিশ্ব প্রকৃতির মত
ভোরের কুয়াশা হয় , ঘুধুলির রং হয় ,
নক্ষত্র খচিত চাঁদ হয় , সেই ভাসে কত ।
হে কুহকের মায়াজাল দিও সেই ক্ষনে দেখা
যখন উদাসি হাওয়ার মত নেছে যাই একা ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সৃষ্টি সুখের দৃষ্টিপাত মহাকাব্য থেকে
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
আমি এক ঐতিহাসিক নব প্রান দৃষ্টি
ভয়ে কম্পমান ভূমণ্ডল আর যত সৃষ্টি ।
অন্যায় অহং এর সমাজ যাই করে চূর্ণ
ভাঙ্গি ভ্রান্তি আনি শান্তি পরিপূর্ণ ।
আমি কভু বিপ্লবি হুংকার
মহা জন জাগরণ জনতার ।
বিশ্ব ভূলোকে অগ্নি জ্বলকে
বজ্র বিস্ময় চিত্র সুরভী একে
যেখানে যা প্রয়োজন
সেথাই গড়ি সাম্যর বাধিন ।
শত প্রেম শত দুঃখ কত সাহিত্য সভায়
ছন্দ আনন্দ সুর লহরি তানে জাগি
কত জলসাগরে সুবচন ভাষায় ।
উপহার দেই কত কবিতা গল্প কাহিনি
আমার সনে মিতালি গড়ে
সব শিশু কিশোর আর নিরব আভিমানি ।
আমি মস্ত দুরন্ত দূর্বার এক অনন্ত অক্ষয়
চেতনায় সাগ্নিক বারবার হই দৃশ্য লোকে উদয় ।
মম প্রান মাঝে দীপশিখা জ্বলে বহ্নি দাবানল
সৃষ্টির উল্লাসে ভাসে ছবির মত
আকাশ মাটি যত তরু ফল ।
উদ্ধাকাশ হতে যত জুতি ফুটে রোশনাই বহে অন্তরে
নবজাতকের আকৃতি দিয়ে
কত না হ্রদয় দেব স্নেহাশিস ভরে ।
যুগে যুগে যত প্রেম যত স্মৃতি যত ইতিহাস
পুস্প হয়ে ফুটবে কথার মালায়
কত বিদ্যাশালায় আমার ভাষা হবে চাষ ।
অনন্ত ময় হয়ে সব প্রানে প্রানে ফুটিবে সে স্বপ্ন ছবি
মহা উন্নত মম এক আমি পরিবেশ বন্ধু কবি ।
সৃষ্টি সুখের আমি / কবিতা / ৬/১০/২০১২ ইং ঢাকা মিরপুর .
নুর নবী হযরত
এম, জি, আর ,মাসুদ ,রানা
আমার নবী সবার প্রিয় এক নাম তার আলামিন
আল্লাহর রাছুল তিনি বিশ্ব মাঝে প্রচার করলেন দ্বীন ।
তার নুরে হইল সৃষ্টি কুল মাখলুকাত যেথায় যত
রিঝিক আসে তার রহমতে বৃক্ষ লতা সাজে কত ।
নিজে খোদা প্রেমিক সেজে নামটি সদায় ডাকে
ইমানদার গন তারি বানী বুকের মাঝে রাখে ।
রবি শশি গ্রহ তারা তার নামে ছড়ায় জুতি
জীন ইন্সান আর হুর ফেরেস্তা সব তারি উম্মতি ।
রহমত ও শাফায়াত তিনি জানাই তাজিমে ছালাম
নাই তুলনা ত্রিভুবনে নামটি হজরত মোহাম্মদ সা ।
চেনা বিবেক
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
বাহিরের আবরণে মানুষ সেজনা
ভিতরের চেনা টুকু আগে জানা চাই
জাগ্রত বিবেকে চিন নিজেকে
সত্যর দ্বীপ শিখা মগজে ফুটাই /
চেনা জানা কতই জগত মাঝে
কে আপন কেবা পর বুঝিনা যে
যদি গিয়ে একটু কাওরে বুঝতে শিখি
নিজেই নিজের গহনে স্বপ্ন আখি ।
কভুবা হৃদয় নীড়ে শুন্যতা পাই /
বুক ভরা যত রয় কথার মালা
...
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আহ্বান মহাকাব্য থেকে
এম,জি,আর,মাসুদ রানা
সৃষ্টির আদিযুগ থেকে নিরন্তর বয়ে চলা সময়
সবি দৃশ্য ছবি মহাকাব্য দিপ্তমান নয়নের আলোয় ।
স্রষ্টারে চিনিবারে তারি কত কারসাজি
সৃষ্টির আরশিতে বৈচিত্রতায় ভাসে আজি
দিক হতে দিগন্তে নিশি ও প্রাতে
তাই দেখিবারে পাই মোর আঁখিতে
রঙ জ্বলা সঙ ফুটে প্রকৃতির মাঝে
প্রবাহমান মেটু ঢালীতে দেখি অপরূপ সাঝে ।
হে ভাবুক যদি মিশে যাও প্রকৃতির ঘ্রানে
খুজে নিও স্রষ্টারে সেথা , সৃষ্টির তরু তাজা প্রানে ।
কথা
তোমাদের যত কথা কলি ফুল হয়ে ফুটে উটে হৃদয়ে
গহন আধারে কখন দ্বীপ হয়ে জ্বলে উটে সময়ে ।
হে ভাবুক যদি মিশে যাও প্রকৃতির ঘ্রানে
খুজে নিও স্রষ্টারে সেথা , সৃষ্টির তরু তাজা প্রানে ।
জানতে শিখি বুঝতে শিখি
তারি দয়ায়
যিনি মোদের পালন কর্তা
পরম করুণাময়
সুন্দরের পুজারি বিবেক
আসলে সৃষ্টি কর্তা এক
তাই তারি প্রশংসা সদায়
নতশিরে গাইতে মন চায় ।
বিশাল সৃষ্টিকে সাজায়ে সুন্দরে
দেখিবার সুযোগ দিল নয়ন ভরে
এজন্য শোকরিয়া তার তরে
মধুর নাম ভাসে হৃদয় জুড়ে ।
এস সবে মিলে চলি
তারি সুন্দর দেখানো পথে
যেন মিলে রহমত সদায়
পুন্যময় জীবনের রথে ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সৃষ্টির সেরা আবেদন
এম,জি,আর,মাসুদ,রানা শাহি
সৃষ্টির সেরা আবেদন মানুষের হৃদয়ের কথা থাকে কবিতায়
অনন্তময় জগতের যত বিস্ময়
শিল্পরূপ কাব্য আঁকা হয়
যুগে যুগে যত বেদনা যত প্রেম যত ইতিহাস
ফুটে ফুল কবিতায় বারমাস ।
হ্রিদরের গহন থেকে যত শব্দ চয়ন
সবি একরাশ পুস্প কবিতার কানন ।
যা দেখিবারে নীরবও পাথারে সঞ্চিত রাখি লিখনে
বিশ্ব ভ্রম্মানডে কবিতার ফসল ফলাই জাগ্রত মনে ,
আয়াত নয়নে ।
ফুল
এত ভালবাসি ফুলেরও হাসি
হৃদয়ে ফুটে কুসুম
মন যে রঙ্গিন তার সৌরভে
আসে কি চোখে নেমে ঘুম ।
পাপড়িতে ওড়ে প্রজাপতি
সাত রাঙ্গা পাখনা মেলে
ফুলের হাসি তাই দিবানিশি
আঁখিতে ভেসে উটে জ্বলে ।
যদি ধরিবারে চাও
ফুলের সুভাস
আমার এ দেশে
সজীব হয়ে ভাসে বার মাস ।
শিশু তুষ ছড়া
ও খুকুরা ও খুকিরা আয়রে তোরা আয়
আমার পুতুল সাজবেরে বর সঙ পাব কোথায় ।
ঐ দেখা যায় বেয়াই বাড়ী
বাজে সানাই ডুল
পড়াও শাড়ি বেনারশি
কুপায় বাধ ফুল
ঘোড়ায় চড়ে ছুটবে বর টুপর দিয়ে মাথায় ।
পিটা পুলি খুরমা পুলাও
রাধুনিরা রাধে
অনেক সখি কইল গিত
মিলে চাঁদনী রাতে
ঐ দেখনা দাওয়াতি লোক আসেরে হেথায় ।
পকেট চুর
বাজারে কয়জন পকেট মার
ঘুরে ফিরে বারবার
সময় সময় সুযোগ খুজে
কারয্যসিদ্ধি করিবার
ওরা করে কানাকানি
লাগায় এক হানাহানি
জরু হয় অনেক লোক
একজনে ছাড়ে শ্লোক
সাবধান সবাই
পকেটের হেফাজত নাই ।
যত ভদ্রলোক পকেট তাদের করে চেক
সকলের মুখ ভোঁতা নেই ম্যানিব্যগ ।
ভাবুক
কুসুম কোমলতা জলে
পবন সিঞ্জনে ওড়ে আকাশ নীলে
মেঘ হয়ে ঝরে মেটুঁ ডালিকায়
বৃক্ষ সাজে ফুলে ফলে সজীবতায়
ভাবুকে কয় এই যদি হবে
জলের অপর নাম জীবন তবে ।
মাটির কুলে মৃত্যুর সময় ক্ষনে
নিরব চাহনি মেলে কি দেখ রা নেই কেন মুখে
একি ঘোলা চোখে জল টল মল
খোলা পড়ে রয় শুন্য আঁচল
ঘন দীর্ঘশ্বাস উটে বুকে ।
এই মুষ্টিতে ছিল যাদু দিতে স্নেহের পরশ
আজ কেন বিষণ্ণতায় জীর্ণ অবশ
পুড়ে বুঝি ছারখার হয় এ অন্তর ।
কত গল্প কত ছন্দকাব্য শ্লোক
স্বপ্ন ছড়িয়ে দিয়েছ চেতনা জ্বেলে কত লোক
এখন এমন উদাস চাহনি তবে কিসের খবর ।
সব কথা সব স্মৃতি ফেলে
সেই তুমি গেলে ফিরে মাটির কুলে ।
লক্ষ যোজন দিয়ে পাড়ি
হে অন্ধকার চিনিতে কি পাও আমায়
কত দিক ভ্রান্ত প্রহরের পথ হেটে অবশেষে
ঝিলিমিলি আলেয়ায় খুজে পাই চকিত তারে
দূর দিগন্তের স্নপ্ন নীল আকাশের সিমানা ছাড়ি
ভোরের কুয়াশা হয়ে এই নীড়ে আসি ফিরে
আধারের পথটুকু মাড়িয়ে লক্ষ যোজন দিয়ে পাড়ি ।
বিজন বনে ঘাস ফেলে তার দীর্ঘশ্বাস অসীমের অন্তরালে
নিবু নিবু আলোয় জোনাকির বিচরন
ফুরুবেনা জানি কোন কালে ।
শতধা বিভক্ত হয়ে মেঘ উড়িবে হাওয়ায়
ফালা ফালা করে আকাশের বুক দংশনে কটাক্ষে
আবার ফিরিয়ে দেবে কি
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মুসলিম নিজেরা এক হও
এম, জি, আর,মাসুদ রানা ।
মোল্লা মুন্সি ইমাম , পীর ফকির বুজুর্গ
সবার কর্ম এক আল্লাহর সন্তুষ্টি
রাজি থাকলে আল্লাহ রাছুল
ঝরবে রহমতের বৃষ্টি ।
ফিলিস্তিন মুসলিম আজ কারবালার প্রান্তরের মত
বেদীনের কষাঘাতে হয় বলি
এত বিভীষিকা ময় দৃশ্য ভাসে চোখে
অহেতুক প্রান জলাঞ্জলি ।
মোহররমের মাস নিষিদ্ধ ছিল যুদ্ধ বিগ্রহ
এযে কাল কেয়ামতের চিহ্ন
ধংশ নামে কচি তাজা প্রানে
নারি শিশু বৃদ্ধের দেহ নব খুনে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ।
আর জালিমের হৃদয়ে পিচাশ নাঙ্গা দৃষ্টি
লালে লাল আজ ফিলিস্তিন ধিক্কার পশুসম সৃষ্টি ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অনির্বাণ শিখা তিন বাহিনী সশশ্র দিবস উপলক্ষ্য ***
এম,জি, আর মাসুদ রানা
গর্বিত জাতীয় অনির্বাণ শিখা লয়ে
হে বীর সেনানী সূর্য সন্তান
জেগে উট দ্বিগুণ তেজে
বয়ে আন দেশের সম্মান ।
জাগরিত চেতনায় দুরন্ত দুর্বার একতায়
শান্তি ন্যায় নিষ্ঠ অভিযাত্রায়
হও অগ্রসর
ফুটুক নব রবি এই বাংলায় ।
সেবার ব্রত লয়ে উদ্ধে তুলে বজ্র নিশান
হোক লং মার্চ নব উদ্দ্যমে
রনভেরি বাজে নবসাজে
নব আয়োজনে ধরাধামে ।
শান্তির বারতায় আমরা সবাই
এস এক হয়ে দেশটা সাজাই
নহে অন্যায় অসত্য সন্ত্রাস
নহে বিশ্রিংখলা আর অবিশ্বাস
গড়ব মিলে সুশীল সমাজ
জাগরন ও বন্ধনে এস সাম্যর পতাকা ওড়াই ঐ
সবার মুখে ফুঁটাতে হাসি
নব প্রজন্মের সপ্ন দিগন্ত খুজি
চির মমতায় নব আয়োজনে
পরিবেশ গড়ি এস সবাই সবার পাশে দ্বারাই ঐ
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিশ্ব সাহিত্য চমৎকার মানুষ
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
চোখে মুখে বুকে রুষ
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ কম কিসে জৌলুষ
উগ্রতায় তাই বগলে তালি বাজাই
হর হামেশাই চাওয়া পাওয়ার বিরাম নাই
বিচিত্রতায় ওড়াই রঙিন ফানুস
চমৎকার মানুষ , বড় আপছুস ।
ধন জন , সম্মান , সমস্তই
অভিপ্রায়ে নিমিষে আপনার ভেবে লই
অন্ধ মোহে তাই ভেদাভেদ ভুলে যাই
কারয্যসিদ্ধি করে আনন্দে গাঁ ভাসাই
থাকেনা বিবেক হুশ
চমৎকার মানুষ ।
হারাম হালাল হাহাকার বুঝি
নিত্য মিথ্যার উদ্ভব খুজি
অহংকারে সব ভুলে ছিনায়ে নেই মুলে
থাকি সমাজে মাথা তুলে
ঝেড়ে ফেলে সব দুষ
চমৎকার , আমরা মানুষ ।
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
পশ্চিমা শাসকেরা এই বাংলায়
কত শোষণ যুলুম বিভেদ ঘটায়
চাকরীর উচু পদ তাদের জুটে
বাঙ্গালীর ভাগ্য শুধু কুলি মুটে ,
যত সব ধান পাঠ ওদের গোলায়
মোদের কৃষানের ঘরে অভাব ভিসময়
আরও অনেক বৈষম্য দিল দেখা
ব্যংক কলখারকানা আর ভাষা শেখা
এল নির্বাচন ৭০ এ সংখ্যা গরিষ্ঠতায়
বিজয় এল বিপুল আসনে এই বাংলায় ।
এবার ষরযন্ত্র ক্ষমতা লয়ে
পশ্চিমা দেবেনা তা নেবে ছিনায়ে
এদেশের জনতা হল সোচ্চার
এল ডাক মহান স্বাধীনতার ।
ফয়ছালা বৈঠক বসল ঢাকায়
দুই নেতা মুজিব আর ইয়াহিয়ায়
মানেনি মোদের দাবি ওরা
ভিসময় দুরভিসন্ধি করল তারা
হল বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার
চালায় গুলি হায়নারা ঘুমন্ত মানুষের উপর
গনহত্তা করে মারে বাঙ্গালী
বোমা বেয়নেটে উড়ায় মাথার খুলি
বীর বাঙ্গালী তাই জাগে
অস্র লয়ে ছুটে সম্মুখ ভাগে ।
এক হয়ে শত মায়ের শত সন্তান
ছাত্র জনতা মুটে কুলি কৃষাণ
লাল সবুজের এক নিশান ওড়ায়
দিনে রাতে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপায়
দীর্ঘ নয় মাস লক্ষ শহীদের রক্তে ভেসে
বীর বাঙ্গালীর স্বাধীনতা আসে অবশেষে ।
গনতন্ত্র
জনগণের ন্যায্য অধিকার লয়ে
মুক্ত স্বাধীন মতামত দিয়ে
যারা দেশ ও মানবের বয়ে আনে কল্যান
তাই গণতন্ত্র , তাই সংবিধান ।
বহু দল নির্দ্বিধায় ক্ষমতায় বাধে জুট
নেতা বা সেবক যারা
সেবা ও শান্তির দেয় প্রতিশ্রুতি
আদায় করে জনতার ভোট ।
আসলে কি এই হয়
গনতন্ত্রের পরিচয় ।
গণতন্ত্রের আজ কেমন রূপ
ক্ষমতায় বসেই করে বসে ছাতুরি
গলাটিপে হত্তা করে জনতার অধিকার
হয় লুটতরাজ , বাড়ে জুচ্ছুরি ।
একদল হিংসায় অন্যদল কে হটায়
হত্তা যুলুম দাঙ্গা ঘটায়
জনতার বুকে উটে নিধারুন হাহাকার
ধিক এ প্রহসনে , মানবতা ধিক্কার ।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
shfikul বলেছেন: সুন্দর।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হেফাজতে ইসলাম কে প্রশ্ন
লং মার্চ
বাংলাদেশের একটি স্বাধীন বিপ্লবী মুক্ত আওয়াজ ।
জাতীয় তেল গ্যাস রক্ষা কমিটি সহ সাম্রাজ্য বাদি ইঙ্গ মার্কিন লুটতরাজের বিরুদ্ধে একটি মহতি দেশ রক্ষার আন্দোলন ।
আপনারা নামটি ব্যবহার করে আন্দোলনে নামছেন ।
আমাদের সাংঘটনিক নীতিনির্ধারকদের অনুমতি নিয়েছেন কিনা ?
যদি অনুমতি থাকে তাহলে আমাদের নীতি লঙ্গন করে
কোন অন্যায় আচরনের মাধ্যমে লং মার্চ সংঘটন কে হেও করার
অধিকার আপনাদের নাই ।
কারন লং মার্চ বাঙ্গালির ১৭ কোটি মানুষের মুক্তির শপথ ।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নির্বাচিত মহাকাব্য
************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
ফুলেল সুভাস
এম , জি , আর মাসুদ রানা
কবি ও সাহিত্যিক ।
লেখকের কথা
**************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
মাটি ও মানুষের ভালবাসায়
বাঙ্গালী জাতীর রক্তে প্লাবিত
ইতিহাস ঐতিহ্য ও জীবন থেকে নেওয়া
আমার কথা মালা ,আমার ভাষার ফুল
নিশ্চয় সময়ের স্রোতে জীবন্ত এক কাব্য সাজাবার পাথেয় ।
পাঠকের দৃষ্টিতে আমার এ সৃষ্টি হয়ত বেমানান
তবুও সুখ ,ভাষার ফসল ফলিয়ে
এঁকে যাই সুখ দুঃখের বাস্তব চিত্র ।
যুগে যুগে যা নব অগ্রজ দের দিক নির্দেশ হয়ে
আঁকা থাকবে বিদ্যার প্রসাধনে পাঠে , পংতিমালায় , কথার ব্যাঞ্জনায় ,
এখানেই সাহিত্যর সার্থকতা ।
সবাইকে আন্তরিক অভিবাধন
উৎসর্গ , সকল পাঠকের মুক্ত হৃদয় পানে ।
লেখক ।
**************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
পিতা , মোঃ দেওয়ান আলী মিয়া শাহি
মাতা , মোছা , শামছুন্নাহার মাহমুদ
জন্মতারিখ , ১০/ ৬ , ১৯৭৭ ইং ।
গ্রাম , সৈয়দ পুর ।
ইউনিয়ন , সেলবরষ । পোস্ট + উপজেলা , ধরমপাশা ।
জেলা , সুনামগঞ্জ । বিভাদ , সিলেট । ঢাকা <> বাংলাদেশ ।
কবি ও সাহিত্যিক , সংঘটক সভাপতি বাংলাদেশ সাহিত্য সংসদ ।
সম্পাদক , উদধাটনত। বাংলাদেশ সুচেনা বার্তা ।
উপদেষ্টা , বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদি ছাত্র এক্য সংসদ ।
কবিতা , গান , নাটক , উপন্যাস , ইসলামী গবেষণা গ্রস্থ সহ সাহিত্যর সকল শাখায় লেখার প্রয়াস ।
****************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
কবিতা ক্রম , ধারাবাহিক ।
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
** আমার দেশ মমতায় আকা
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
বাংলা আমার জন্মভুমি গৌরব মায়ের সমান
ভোরের আলোয় নিত্য জুড়ায় মোর মন প্রান ।
সবুজ শ্যমল গায়ের ছবি গাছে গাছে ঢাকা
মেটু পথ নজর খাঁড়ে কোথাও আঁকাবাঁকা ।
বনে বনে ফুল ফুটে সুভাস ছড়ায় কত
মাটে মাটে সোনার ফসল ফলে অবিরত ।
স্নিগ্ধ শোভা শান্ত দ্বারায় নদী বয়ে যায়
দুকুলে তার বসত বাড়ি বন উপবন রয় ।
হাওর বিল পাহাড় ঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর ছবি
নানান রঙ্গের মানুষদের দেখি নিত্য হবি
নীল আকাশে মেঘের ভেলা পাখিরা মেলে ডানা
হিমালয় সুন্দরবন সমুদ্র সৈকত দৃশ্য বড় চেনা ।
বিশ্ব বিবেকের তীর্থভূমি আমার এদেশ ভাই
নয়ন জুড়ানো এমন দেশ আর কোথাও নাই ।
গভীর মমতা দিয়ে গড়া এই যে চিত্র আঁকি
তার বুকে স্বপ্ন সাধ ঘুমিয়ে আমি থাকি ।
বাংলা আমার জন্মভুমি বাংলা মায়ের সমান
ভোরের আলোয় নিত্য জুড়ায় মোর মন প্রান ।
মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
** রোদেলা হাসিতেও বৃষ্টির গন্ধ
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
আপন বেগে নদী বললে আমায় ডেকে
এত বহে জলদ্বারা সঞ্জিত এই বুকে
তৃপ্তি নিয়ে সবাই নামে সুধা করে পান
দুকূলে যে উথাল পাতাল সর্বনাশা বান
সবাই আমায় প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকে
কেহ সোনার ফসল ফলায় নানা চিত্র আঁকে
কেহ কুল দখল নিয়ে বানায় প্রাসাদ বাড়ী
কোথাও আবারব্রিজ বানিয়ে চালায় সেথা গাড়ি
যখন আমার বিনাশ বেলায় কেউ হয় না সাথি
বৃষটির দিনে মেঘলা ভেলায় হয় মাতামাতি ।
এবার সুধাই নদী চিরটি বয়ে নিরবধি
ভোরের আলোয় তোমার নিকট আসি চলে যদি
কি দেবে ভাই শান্ত নয়ন নীলাভ তনুমন
নাইতে যাব সঙ্গী হবে জুড়াইব অঙ্গন ।
সন্ধ্যাতারার হাতছানি তায় বুকে পড়ে ছায়া
চাদের হাসি লুটায় কভু জোছনা ঝরায় মায়া ।
পাখির ডানায় দেখি কভু নীল আকাশের ছবি
কল্পনাতে আঁকে ভাষা কোন নিরব কবি ।
রাখাল বালক গান শুনায়ে ছন্দ তালে হাটে
আমায় নিয়ে কাব্য সাজায় চাষি পাশের মাটে
আর ললনাময়ি কোন নারি মিতালী যায় এঁকে
দেহ মন সবি বিলায় নেমে কলসি লয়ে কাকে
দুরের দেশে কতজনা এই বুকে জমায় পাড়ি
অস্ত রবিও কয় যে কথা বিচিত্র রঙ মাখি ।
মিথ্যা নয় সবই সত্য জানি হে নদী
রঙ ধনু রঙে তোমায় আবার সাজিয়ে দেই যদি
কি দেবে ভাই সবই যে পাই তোমার নৃত্য ছন্দ
নদী কহে রোদেলা হাসিতেও আজি বৃষ্টির গন্ধ ।
** প্রেম ও বিরহের সুর সখির সনে আড়ি
এম , জি, আর ,মাসুদ রানা
আমার বাড়ী আইস সখি ফুল তুলে দেব গলে
মনের কথা কইমু নিরলে
আঁকা বাকা মেটুঁ পথের চির চেনা গায়
নিশিরাতে তারার প্রদীপ ডাকবে ইশারায়
মৃদু হাওয়া কানে কানে ঘুমটা দেবে খুলে ঐ
ছোট্ট নদীর জল টলমল ঢেউ খেলে দূতীরে
কার বা বাঁশি শুনি ক্ষনে আজব মধুর সুরে
ভাবুক মন রয়না ঘরে বুঝবি সেথা এলে ঐ
ভোরের পাখি জাগায় আমায় কণ্ঠে গানের মেলা
ফুলে ফুলে স্বপ্ন সাজাই ভাসিয়ে হৃদয় ভেলা
সখি তোরে করে স্বরন থাকি সবি ভুলে ঐ ।
যারে আমি ভাবি আপন সে যে মোরে ভাবে পর
এই কি রিতি জগত মাঝে বদল হয়ে যায় অন্তর
সোনা দানা বাড়ী গাড়ী
সবি রবে পথে পড়ি
বন্ধ হলে দমের গড়ি
থাকবেনারে মায়ার নজর ঐ
পলকে যা যায়রে দেখা
সবি রঙ্গের স্বপ্ন আঁকা
আসা যাওয়া সবি একা
কোন আশায় বান্ধরে ঘর ঐ
ভাবুকে কয় বুকে বান্ধে
সাথিরা সব মায়ায় কান্দে
ঘনায়ে আসবে যখন সন্দে
একাই যাত্রা অসীমের ওপর ঐ
** আমি বাংলার কবি
বাংলার চেনা মুখ [সনেট
মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া শাহি
ঊষার আকাশে ফুটে উটে রাঙ্গা রবি
সবুজ এক দেশ যেন শ্যামল ছবি ।
মাটে মাটে দুলে কত সোনার ফসল
গাছে গাছে ফুলে ফলে রঙ্গিন চিত্রল ।
হাজার শাখা নদী বয় আপন বেগে
সুর তুলে মাঝি গায় ভাটিয়ালী রাগে ।
মাটি খুঁড়ে কৃষাণ সোনার স্বপ্ন বুনে
রাখাল বাজায় বাঁশি হাসি আর গানে ।
এদেশের রুপ দেখে দুচোখ জুড়ায়
শান্তির অমিয় সুধা নদী বয়ে যায় ।
বিশ্ব মাঝে গৌরবের এদেশ আমার
কত মমতায় গড়া নেই জুড়ি তার ।
এদেশের বিরুচিত ইতিহাস গাঁথা
শেষ নেই তাই জানি এত রুপকথা ।
বাংলার ভোর
মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
হাতছানি দেয় ভোরের আকাশ
ঘুম আসেনা চোখে
বর্ণালী ঐ আলোকচ্ছটা
কপোলে চুমো আঁকে ।
কলতানে পাখিরা সব
উটে মেতে ভোরে
মধুর আযান আসে ভেসে
মুয়াজ্জিনের সুরে ,
শিশির মাখা ফুল কলিরা
পাপড়ি মেলে গাছে
কল গুঞ্জন করে অলিরা
পাখনা মেলে নাছে ।
শিশু দলে বাধন খুলে
বেরুয় মেটু পথে
প্রকৃতি তায় নব রুপে
আঁচল দেয় সাথে ।
গাঁয়ের ধুলু জড়ায়ে পায়ে
মাটে চলে চাষি
ঘুমটা টানা কলসি কাঁকে
বধুর মুখে হাসি ।
মৃদু মন্দ বহে বায়ু
বনে সবুজ পাতা দুলে
নব বার্তা বয়ে আনে
বাংলা মায়ের কুলে ।
এমন ভোরে মধুর ঝরে
মন যদি হয় ভালো
বাংলা আমার জন্মভুমি
নিত্য চাঁদের আলো ।
বাংলার চাষি
মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
দূর্বা ঘাসের ছুঁয়া নগ্ন পায়
চাষি মাটে স্বপ্ন সাজায় ।
কচি কচি লতা তারি ছোঁয়ায়
সাজে কত সজীবতায় ।
চাষির প্রতি দাও নজর সবার
ফলিয়ে তারা জুগায় আহার ।
বাংলার বুক
মোহাম্মদ মাসউদ রানা মিয়া শাহি ।
লাগে আলো ঐ দুচোখে
মিশে রই বাংলার বুকে
ঝাঁকড়া পাতার বৃক্ষ শাখে
সবুজ ভেলায় চিত্র আঁকে ।
যাদের দেশ প্রেম প্রবল
উৎসর্গ তাদের জন্য
এই মাটিতে জন্ম মৃত্যু
তারি বুকে মোরা গন্য ।
** হুমায়ুন আহমদের জন্ম স্মৃতির অর্ঘে কটি কবিতা
এক কেউ কথা কয়নি কেন?
তোমার সাথে
আজি শুভ নব প্রভাতে
ভাল থাক জান্নাতে ।
দুই হে প্রিয়জন বাধ এ মন
জগত দৃশ্য ছবি
শেষ নাই আত্তার গমন
ভাসলে হয়ে কবি ।
তারি লীলা করলে খেলা
আমরা তারি বান্ধা
মানুষ নামের শ্রেষ্ঠ মোরা
বুঝি ঘনায়ে সন্ধ্যা ।
তারি দয়ায় আহার নিদ্রা
তারি দয়ায় বাঁচা
তারি নিকট যাব সবাই
ভাঙ্গবে যখন খাঁচা ।
৩তিন জগতের সব ভাল
থাকে কোথায়
ছন্দ ভাষা কাব্য ফল
আর কবিতায় ।
ভাল বন্ধু ভাব তাদের
ওরা স্বর্গ দুত
মানুষ ও সমাজ গড়ে
না মিলে খুত ।
৪ বাহিরের আবরনে মানুষ সেজনা
ভিতরের চেনা টুকু আগে জানা চাই
জাগ্রত বিবেকে চিন নিজেকে
সত্যর দ্বীপ শিখা মগজে ফুঁটাই ।
চেনা জানা কত হয় যে জগত মাঝে
কে আপন কেবা পর বুঝিনা যে
যদি কাউরে হায় বুঝতে শিখি
নিরব গহনে ভিজাই আখি
কভু হৃদয় নীড়ে শুন্যতা পাই ।
বুক ভরা যত কথার মালা
ছন্দ সুর ভাষা আর কাব্য ডালা
দিয়ে সুর অপরের কণ্ঠে তাই
দিক দেখায়ে নব ধরণীর হায়
আমি কি শুধুই ছবি হয়ে যাই ।
৫ বেশি শক্তি করলে ক্ষয়
উক্তি যায় কমে
বেশি উটা ভাল নয়
তেমনি এসে নামে ।
৬ বই মানুষের উত্তম বন্ধু
তাজা রাখে জ্ঞান সিন্ধু
টেকেনা সে জগত মাঝে
যদি পড়া লাগে কাজে
আর পড়া যা লিখে সবি
আপন জ্ঞান বিলায়ে কবি ।
আর যা জানি জ্ঞান বিজ্ঞান
ভাল বইয়ে মিলে রত্ন বাগান ।
৭ শব্দ কুশ সঞ্চিত লুকানো
হৃদ নীড়ে
নিরবতার মাঝেই এসে
আবেশে ভিড়ে ।
উপদেশে ওস্তাদ অন্যকে দেখিয়ে
নিজে কি রাখলাম জ্ঞান বিকিয়ে ।
এখানেই সফলতা নহে জ্ঞান নিঃশেষ
জ্ঞানিরা ভেঙ্গে দেয় অন্যায় বিদ্বেষ ।
৮ কে তুমি স্বপ্ন ময়ি
বারে বার কেন? হও উদয়
কি চাই স্বর্গ সুখ
দেখতে এত কিসে ভয় ।
চেনা অচেনা অজানায়
প্রিয় হে কত মুখ
সঞ্চিত ছন্দে ভরাট
নিরব ভাষায় এ বুক ।
সব পাটকের উদ্দেশ্য আজি এ রচনা
চেনা হবে তার সাথে যে বড় অচেনা ।
** : জীবনের হিসাব মিলাতে চল যাই হিমু সেজে
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
মহাকাব্য লিখতে বসি নিঝুম রাতে একা
আঁখি মাঝে ভাষার ঝালর নাছে স্বপ্ন কেকা ।
বাঁশ বাগানে জুনাক জ্বলে ভাসে আধার রাতি
সন্ধ্যা ক্ষনে নিভিয়ে রাখে দুঃখ বুড়ীর বাতি ।
সারাদিন মান ছুটে খেটে যা করে সঞ্চয়
নেয়না কেউ খবর একলা রাধে খায় ।
নেড়ি কুকুর বুড়ীর সাথি সেথা রয় পড়ে
ধুলুবালি শুকনো পাতা ঘরটি নড়ে বড়ে ।
বাসন কুশন সেই আমলের মান্দা জীর্ণ অতি
বাকা ডালের লাটি ছাড়া নেই যে চলার গতি ।
মজার বিষয় হিমু একদিন সে ঘরে গিয়ে
ডাকলে আছ কেহ যাই একটু জিরায়ে ।
বুড়ি অবাক মহানন্দে অথিতি এক খাসা
নিশ্চয় স্বর্গ দুত এবার পুরাবে মনের আশা ।
শুন দুত ভাঙ্গা কুটির এমন দশা ছিলনা মোর
বাড়ি ভরা মানুষ ছিল আর অভিজাত ছিল ঘর
বাবা ছিল শৌখিন অতি দৌড়াত টাট্রু ঘোড়া
মা ছিল বুদ্ধিমতি একাই সরব রাখত পাড়া
ভাইয়েরা ছিল বীর কেশরী উচু বুকের পাটা
কেঁউ ছিলনা জুড়ি তাদের সব থাকত ভয়ে সাঁটা ।
হিমু কহে অহে বুড়ি বকছ আমায় পেয়ে
কান ধরেছি ভুল হবেনা গেলাম দিক হারিয়ে
বনে বনে ঘুরে ঘুরে কতই খেলাম চেকা
অবশেষে মিলল এসে আচ্ছা তোমার দেখা ।
যদি পার উদ্ধার কর দিয়ে ঘটা জল
দম বুঝি আটকে গেল খেয়ে শুকনো ফল ।
বিশ্বাস হয়না এই দেখ জামা ছেড়া কাঁটার গাঁরে
সাথিরা সব আমায় ফেলে ফিরল কলের নায়ে
আমি কবি আঁকতে ছবি বেড়াই মুক্ত মনে
আখির পাতায় আঁকা যা লিখি অনুক্ষনে ।
বুড়ি কহে আশা ছেড়ে ভেঙ্গে এহেন ভুল
লেখক তুমি উদাস কেন ? আউলা মাথা চুল
দিক চিনাবে নব নবীনের স্বপ্ন জ্ঞান জ্বেলে
দিক ভুলে সেই তুমি ভাঙ্গা কুটিরে এলে
একটু হাওয়ায় ঘর উড়ে যায় আবার তা বাধি
এমনি করে কতদিন কাটালুম একলা নিরবধি
বৃষ্টি এলে ভিজে যাই কভু থাকি ঝাঁকড়া ঝুপে
মশায় খায় শিতে ভুগি অধর কভু কাঁপে ।
বনের পশু মাঝে মাঝে দিয়ে দেখা ছুটে
উদাস হাওয়া ফুল পাখিরা তাই দেখে মজা লুটে ।
হিমুর পিপাসা উভে গেল শুনে বুড়ির ব্যথা
আবার কহ সেই সে দিনের সুখের যত কথা ।
দুচোখে জল টলমল কহে বুড়ি বাবা তুমি বাঁচ
বহুদিনের পরম আত্মীয় যেন খেই হারিয়ে নাচ ।
সেই সে দিনে এই বুড়ী থাকত কত নয়ন মাঝে
মিষ্টি কথা কইত কেহ ভাবুক রাঙ্গা লাজে
পথের যুবা শিস দিত শুনায়ে গানের কলি
নিত্য যেতাম পাটশালায় হেথা জ্ঞান প্রদিপ জ্বালি
আসবে কবি এক গুনিজন বিদ্যালয়ে জেনে
সাজিয়ে দিলাম সারাটি গাঁ মোরা মিলে কজনে ।
ভাষা জ্ঞান স্মৃতির আল্পনা হিমু শুনে ভাবে
এমন মানুষ কেমন হল না বুঝি তবে ।
** : মহাকাব্য সৃষ্টি বৈচিত্র্য ১
এম, জি, আর ,মাসুদ রানা
কত অনুপম তোমার সৃষ্টি বৈচিত্র্য হে অন্তর্যামী
কি সুন্দর অপরূপ শৈলী এই লীলাভূমি ।
সাজায়ে বিশ্রিত ঢালী সবুজ ও শ্যামলে
প্রানের স্পন্দন জাগে সকল তরু ফলে
পাহাড় পর্বত সমভূমি অরন্য ছায়ায়
সাগর নদী সৈকত জাগে অমিয় সুধায় ।
আকাশ বাতাস রবি শশি মৃগ মৃত্তিকায়
অনন্তে ভাসে মেখ পবন তাহাতে লুটায় ।
জাগে প্রান মুখরিত লাগে কি দোলা
মানুষ সেরা সাজায়ে দিলে গড়ে বিশ্ব মেলা ।
রঙ বেরঙের জগত তাই মানুষের বাসযোগ্য
সাধ দিলে সাধ্য দিলে দিয়ে নানা আহার্য ভোগ্য
সকল অস্তিত্তের উদ্ধে তুমি মানবের চিন্তা চেতনার
প্রতিনিধি বানায়ে দিলে সকল অধিকার ।
সাম্য ন্যায়ের পথ চিনতে দিলে জ্ঞান আলো
বুঝতে শিখি ভালো মন্দ অন্ধ কাল ধলো ।
সকল জীবে সকল তৃণে মানুষ সবার সেরা
মানুষের সমাজ গড়ে উটে নবরূপে সাজে বসুন্দরা ।
হে বিধাতা সত্য ন্যায়ে কর মোদের ক্ষমা
সেরা জাত মানুষ মোরা গাই তোমার মহিমা ।
ক্ষুত্রতে তাই দুঃখ সুখের দেখ পরিমাপ
স্বর্গ নরক চিনতে দিলে কি ভাল কি পাপ ।
জ্ঞানি গুনি জাত ব্যবধান ধনি নিঃস্ব কত
ভেদ ভেদাভেদ উচু নিচু দৃশ্য ফুটে তত ।
দিক থেকে দিগন্তে ছুটে খুজে রহস্য মানব
জানতে শিখে আবিস্কার করে বিচিত্র কতসব
এরি মাঝে ঘাত প্রতিঘাত লড়াই করে বাঁচা
কেহ শিখে কেহ শিখায় বাড়ে ইতিহাসের খাঁচা ।
হে দয়াময় এর পরেও মানুষ হয় কেন বিদিশা
সব মাঝে দয়া দাও একমাত্র তুমিই ভরসা ।
আশার প্রদীপ জ্বালে সবে প্রতি পদে পদে
ভুলে কেহ পথ হারায়ে রাস্তায় পড়ে কাঁদে
কেহ খাটে কেহ খাটায় বিচ্ছিন্ন নয় কেহ
কেহ সমাজে চির অমর বিলায়ে মমতা স্নেহ ।
শ্রেণী বিভেদ রয় বহু কেউ কারও অধিন
কেহ থাকে উগ্র সুখে কেহ থাকে স্বাধীন ।
মনের সাথে মিলে মন কেহ কারও আপন
আবার কেহ চির দাম্ভিক ঘটায় নানা প্রহসন ।
হে বিধাতা নাই বা বুঝি তোমার মহান শান
মানুষ নামে সেরা কিসে দাও মগজে জ্ঞান ।
ধীরে ধীরে অজানার যা হয় আবিস্কার
জীবন সংগ্রামে লিপ্ত থাকে দিক চিনে বাঁচার ।
চষে পাহাড় নামে সাগরে গড়ে প্রাসাদ ইমারত
হিসাব কষে লুটে কেহ খোদার নেয়ামত ।
আবার কেহ মোহের বশে ধংশ করে প্রান
শান্তি বাচাতে আবার কেহ গায় সাম্যর গান ।
রক্ত লুলপ মত্ত পাগল কেহ সাজায় সমর
মিথ্যা ক্ষমতা লোভ হিংসায় ধংশ আনে প্রহর ।
এসব হতে নিষ্কৃতি চাই হে দয়াময় প্রভু
অনন্ত আহবান যেন ভঙ্গ না হয় কভু ।
ফকির সাধু তাপস তোমায় চিনতে নামে পথে
বক্ষ মেলে বুক যে মেলায় নিঃস্ব মেট রথে ।
মৃত্তিকারি গন্ধ শুঁকে কাঁটায় কেহ বেলা
রঙ বেরঙের স্বপ্ন সাজায়ে চলে উটসবে খেলা ।
আবার কেহ দূর্বাঘাসে ক্লান্ত দেহে এলায় দেহখানি
কেহ কত অন্নের দায়ে করে সুযোগ সন্ধানী ।
এসব দেখে আবার কেহ মুখ টিপে হাসে
আবার কারও জীবন কাটে মুসাফির হয়ে পরবাসে ।
হে বিধাতা জ্ঞানি গুনিদের মত সটীক দিশা দাও
আমরা মানুষ রাখি যেন হুশ দিলে বাতি জ্বালাও ।
** সৃষ্টি সুখের দৃষ্টিপাত মহাকাব্য থেকে
এম জি , আর , মাসুদ রানা
সৃষ্টির মাঝে উত্থান ও পতন প্রকৃতি রঙে ভাসে
ভুবন জুড়ে ফুটে উটে রঙ ক্ষনে ,পলে , বারমাসে ।
নক্ষত্র খচিত নিশুতি জাগে জোছনা চারিদারে ফুটে
জোনাকির আলোয় ঝিলমিল বনপথ আধার লুটে ।
বিশ্রিত রহস্য লোকে রঙ ঝরে রবি শশির আলোয়
বিশ্ব প্রকৃতি এঁকে কবি মন তার মহাকাব্য সাজায় ।
রহস্য
বইচিত্রময় জগত গড়ে বিধাতা
মানবেরে সব দিয়ে দিল পূর্ণতা
গাছে ফল নদীজল অবিরত দ্বারায়
রাঙায়ে দিল ঢালী বর্ণীল সজীবতায় ।
পবনে সিঞ্জনে উড়ায়ে জল উদ্ধে মেখ ভাসে
বৃষ্টি হয়ে মাটির কুলে তা তরুলতায় গ্রাসে ।
মেটু পথ অরণ্য মাঠ গাঁ প্রান্তরে
নানান জীব সেথা অবাধে বিচরে ।
রয় পাহাড় সাগর , পর্বত বিশালতা নিয়ে
তবু মানুষ তুষ্ট নয় এত কিছু লয়ে ।
নিয়ম ভাঙ্গার খেলায় উটে যারা মেতে
ধংশ তাদের আসে বিধাতার হাতে ।
সত্যবানি
বজ্র নিনাদে গুঁড় অন্ধকারে ছুটে দজ্জাল
বিষ বোম বানায় ভ্রান্ত পথে ঘটায় জঞ্জাল ।
বিভেদ আনে সত্যন্যায় পিসে সংকট ক্রান্তি
মনুসত্যকরে নষ্ট দেখায় পথ ভ্রষ্ট মুছে শান্তি ।
ফোরাত কুল আজ উম্মাতাল সাজ লৌহ রাঙ্গা
মানুষের বুকে মরনফাদ অহেতুক দাঙ্গা ।
আফগান ফিলিস্থিন যত মুসলিম বেদীন
মৃত্যুরে লঙ্গি মৃত্যুর সঙ্গী হয় প্রতিদিন ।
বিষাক্ত অগ্নি নিঃশ্বাসে মানবতা হয় লিন
রাজদণ্ড অপঘাতে ন্যায়দণ্ড পদলুটে কিয়ামতের চিন ।
** সাদামন
মুক্ত আমি ধুলির ধরায়
সুপ্ত জাগরনে
সবার মাঝে দিপ্ত রঙ্গিন
সঙ্গী সাদামনে ।
মহাজগত দেখতে পাই
উল্কা হয়ে ভাসি
ফুটাই কত দৃশ্য কাব্য
সকল শক্তি গ্রাসি ।
ফুল পাখিদের কলতানে
জাগি রাঙ্গা ঊষায়
মাটে মাটে সবুজ ঘাসে
ভাসি রুদ্র ছায়ায় ।
প্রান খুলা সরবে তাই
মুক্ত ফুটাই ভাষা
সব হৃদয়ে মিতালি এঁকে
গড়ি ভালবাসা ।
** মহাকাব্য ফুলের মেলা
এম,জি,আর, মাসুদ রানা
অনেক ফুল , ফুলে ফুলে দিপ্তশিখা কুঞ্জ রবি
জেগে থাকে সাগ্নিক নিরন্তর কোন এক কবি ।
চিত্ব মোহিত মন ফুলে ফুলে উড়ে
মধু তানে ভরে উটে সারাটি প্রহরে ।
প্রজাপতি ডানা মেলে সপ্ত রঙ্গিন পাখায়
চপলে চঞ্চলে ভাসে ফুলের মেলায় ।
ফুল খসে ফুল কভু ত্রুবতারা হয়
সেথা মায়াকানন সাজে ব্যকুল হৃদয় ।
অরন্য মাট কাদে ফুলের শুন্যতা হেরি
ফুলে ফুলে সাজে কত বাগান বাড়ী ।
কবির দৃষ্টি কাব্য নিরবে বহে ফুলের মাঝে
কথা কলি ফুঁটায় ভাষা বিচিত্র সাঝে ।
জগত সুন্দর তব ফুলের ঘ্রানে
স্বপ্ন সাজে কত প্রানে প্রানে
ফুলের জলসায় কবি ছন্দ আনন্দে
নিরবে ফুটায় কুসুম কলি ভাল মন্দে ।
বিশুদ্ধতা আনে প্রতি ভোরে সৌরভে
তাই প্রতিটি হাসি ফুলের জলসায় গৌরবে ।
কবি মমিনুল মউজুদ্দিন স্মরণে
আলোক বর্তিকা লয়ে তুমি ছিলে
সুনামগঞ্জ বাসীদের অতি পাশে
সকল প্রান চঞ্ছলতায় উদ্দ্যম উল্লাসে ।
তোমার ছুটে চলা অবাক নয়ন
মিশে রয় চাঁদের জোছনায় প্রকৃতি মাঝে
কত আকুল হৃদয় আজও তোমায় খুজে ।
আজও রাজপথ রঙ্গিন শোণিতে তোমার
সুরমার বুকে ভাসে সেই হাহাকার ।
শ্রমিকের আকুতি
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
কত ভালবাসা কত মমতায়
গড়ে উটে জগত তাদের শিল্পছোঁয়ায়
শক্ত কটিন ইট ওরা ভাঙ্গে
পুস্কা পড়ে গাঁয়
ধরে হাল খাটে নিপুন কারিগরে
দুর্বার স্বপ্ন সাজায় ।
ধুকধুক শ্রম কিনাঙ্ক প্রান ভাঙ্গে মরিচিকা
ওরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়
গড়ে রাজপথ সৌধ সমাধি আর অট্টালিকা
রুদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
ধরনিরে কভু করে বরণীয়া
আর মরে বিলাসিদের নিষ্পিষ্ট যাতাকলে
দুবেলা দুমুটুঁ অন্ন তাও জুটেনা কপোলে ।
ওরা কাজ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে
দেশের তরে নগর শহর বন্দর সাজায়
প্রহর গুনে গুনে
রাঙ্গে ধরণী কভু ওদেরই লৌহ খুনে
শক্ত মুষ্টিতে হাতুড়ি শাবল গাইতি কভু
বং বেরংগের লয়ে হাতিয়ার
দিগ্বিজয়ে দেয় পাড়ি বানায় সামুত্রিক জাহাজ
লঞ্চ স্টিমার আর মহাশূন্যর যাত্রী নানা আবিস্কার ।
ওরাই মাটে সোনা ফলায় বিকিয়ে দিয়ে দেহ
তোমরা কারা স্বার্থ লোভী সুখের স্তব গাহ ।
পরখ করে দেখ
অধিকাংশ তাদের নেই একটু মাথা গুজার টাই
নাই বিছানা , শিতের কাপড়
এমনকি কখনও অন্ন পানি তাও ।
ওরাই খাটি সোনার মানুষ তবু দেখি
ওদেরই মুখে স্নিগদ ভরা হাসি অনন্য কারুসাজে
হে প্রিয়জন নিরেট ভালবাসা পাবে ওদের মাঝে ।
যদি শান্তি মিলে সব ভুলে মাথানত কর ওদের শ্রদ্ধাভরা কাজে ।
** মহাকাব্য রক্তের হোলি খেলা
এম,জি,আর,মাসুদ রানা
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ আজ মানবতা অবরুদ্ধ
অহেতুক বলি হয় যত তাজা প্রান
বিশ্ব বিবেকের নিকট আজি আহবান
এযে অন্যায় সমর লৌহ রাঙ্গা খুন
এতে বাড়ে ধংশ আর যাতনা করুণ
হে জাতী মানুষ নাম লয়ে কেন এ সমর
গড়া রেখে ধংশ আন ভেঙ্গে সব অন্তর ।
ধূর্ত শয়তানের সঙ্গী ওরা মানুষের পরিচয় কি রয়
ধুকে ধুকে মুসলিম মরে ইসলামের মহা সংশয় ।
কাল কেয়ামত এসে নামে ফিলিস্তিন আরব মিশর
ভয় নেই মুসলিম রাখ ঈমান মজবুত খোদার ডর ।
ধংশ আসবে বেদিন জালিমের বাজে সত্যর ভেরী
বিশ্ব মুসলিম এক হও নহে আর দেরি ।
ওরা বিধাতার দান জগত মাঝে বাড়ায় শুধু পাপ
স্বর্গ সুখ চাও ক্যামনে পাবে মাপ
হায় পরিতাপ
কর দিল ছাফ ।
শিশুস্তব
এম,জি,আর, মাসুদ রানা
ওরা শিশু
হাসি খুশি সুন্দর ওদের মন
যুগে যুগে কুসুম ফুল হয়ে
বিচিত্রতায় গড়ে নতুন জীবন ।
অদের মম কুঞ্জে সকল হৃদয়
বিলিয়ে দেয় সবটুকু স্নেহের পরশ
সকল আঙ্গিনায় সুখদ কানন হয়ে
ওরাই ছিনায়ে আনে খ্যাতি ও যশ ।
ওরা মায়ের কুলে কুসুম কোমল
আনন্দ গড়ে বাবার স্বপ্ন মাটে
ভাই বোন বন্ধু স্বজন সভায়
প্রেমময় বাধনে ফুল হয়ে ফুটে ।
ওরা খেলার মাটে পাঠশালায়
সব গৃহে প্রদীপ হয়ে স্বপ্ন আনে
ওদের উল্লাসে জাগে নতুন পৃথিবী
ভরে হৃদয় বাগান আমোদিত ঘ্রানে ।
এস সবে এদের জন্য গড়ি
একটি সুন্দর , নিরাপদ আবাস
ভাল হোক তাদের সুসভ্য অভিযান
একদিন ওরাই স্রিজিবে নব ইতিহাস ।
** বিশ্ব সাহিত্যর রত্ন শুধুই তুমি
এম, জি,আর ,মাসুদ রানা
এত রঙ্গিন ভোর দেখেনি আর যা ফুটে রয়
শুধু তোমার আঁখি গঙ্গায়
স্নিগদ চুম্ভনে ঘুম থেকে জাগা প্রথম প্রহর
আঁকা ভাললাগার জোছনায় ,
অবাক সরলতা লয়ে সাগরের উত্তাল গর্জনে
বিশাল মুক্ত আকাশের মত
এই বুকে এঁকে দিলে রংধনু ছাপ
সেই থেকে তৃষিত হৃদয় হল ক্ষত ।
পাহাড়ের নির্ঝর ঝর্নার মত সেই হাসি
আজও শুনি কানে প্রতিধ্বনি ভাসে আলেয়ায়
দেখি ঝড়ের তাণ্ডব এর সমূহ ক্ষনের মত
অভিমানী ক্ষ্রুদ্ধ লাস্যময়ী অধর চমকায় ।
কুলুকুলু বহমান নদীর মত সেই ছবি বহে হৃদ নীড়ে
স্বপ্নিল কিনারায় বসে বিশ্ব প্রকৃতির মত
ভোরের কুয়াশা হয় , ঘুধুলির রং হয় ,
নক্ষত্র খচিত চাঁদ হয় , সেই ভাসে কত ।
হে কুহকের মায়াজাল দিও সেই ক্ষনে দেখা
যখন উদাসি হাওয়ার মত নেছে যাই একা ।
** সৃষ্টি সুখের দৃষ্টিপাত মহাকাব্য থেকে
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
আমি এক ঐতিহাসিক নব প্রান দৃষ্টি
ভয়ে কম্পমান ভূমণ্ডল আর যত সৃষ্টি ।
অন্যায় অহং এর সমাজ যাই করে চূর্ণ
ভাঙ্গি ভ্রান্তি আনি শান্তি পরিপূর্ণ ।
আমি কভু বিপ্লবি হুংকার
মহা জন জাগরণ জনতার ।
বিশ্ব ভূলোকে অগ্নি জ্বলকে
বজ্র বিস্ময় চিত্র সুরভী একে
যেখানে যা প্রয়োজন
সেথাই গড়ি সাম্যর বাধিন ।
শত প্রেম শত দুঃখ কত সাহিত্য সভায়
ছন্দ আনন্দ সুর লহরি তানে জাগি
কত জলসাগরে সুবচন ভাষায় ।
উপহার দেই কত কবিতা গল্প কাহিনি
আমার সনে মিতালি গড়ে
সব শিশু কিশোর আর নিরব আভিমানি ।
আমি মস্ত দুরন্ত দূর্বার এক অনন্ত অক্ষয়
চেতনায় সাগ্নিক বারবার হই দৃশ্য লোকে উদয় ।
মম প্রান মাঝে দীপশিখা জ্বলে বহ্নি দাবানল
সৃষ্টির উল্লাসে ভাসে ছবির মত
আকাশ মাটি যত তরু ফল ।
উদ্ধাকাশ হতে যত জুতি ফুটে রোশনাই বহে অন্তরে
নবজাতকের আকৃতি দিয়ে
কত না হ্রদয় দেব স্নেহাশিস ভরে ।
যুগে যুগে যত প্রেম যত স্মৃতি যত ইতিহাস
পুস্প হয়ে ফুটবে কথার মালায়
কত বিদ্যাশালায় আমার ভাষা হবে চাষ ।
অনন্ত ময় হয়ে সব প্রানে প্রানে ফুটিবে সে স্বপ্ন ছবি
মহা উন্নত মম এক আমি পরিবেশ বন্ধু কবি ।
সৃষ্টি সুখের আমি / কবিতা / ৬/১০/২০১২ ইং ঢাকা মিরপুর .
নুর নবী হযরত
এম, জি, আর ,মাসুদ ,রানা
আমার নবী সবার প্রিয় এক নাম তার আলামিন
আল্লাহর রাছুল তিনি বিশ্ব মাঝে প্রচার করলেন দ্বীন ।
তার নুরে হইল সৃষ্টি কুল মাখলুকাত যেথায় যত
রিঝিক আসে তার রহমতে বৃক্ষ লতা সাজে কত ।
নিজে খোদা প্রেমিক সেজে নামটি সদায় ডাকে
ইমানদার গন তারি বানী বুকের মাঝে রাখে ।
রবি শশি গ্রহ তারা তার নামে ছড়ায় জুতি
জীন ইন্সান আর হুর ফেরেস্তা সব তারি উম্মতি ।
রহমত ও শাফায়াত তিনি জানাই তাজিমে ছালাম
নাই তুলনা ত্রিভুবনে নামটি হজরত মোহাম্মদ সা ।
চেনা বিবেক
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
বাহিরের আবরণে মানুষ সেজনা
ভিতরের চেনা টুকু আগে জানা চাই
জাগ্রত বিবেকে চিন নিজেকে
সত্যর দ্বীপ শিখা মগজে ফুটাই /
চেনা জানা কতই জগত মাঝে
কে আপন কেবা পর বুঝিনা যে
যদি গিয়ে একটু কাওরে বুঝতে শিখি
নিজেই নিজের গহনে স্বপ্ন আখি ।
কভুবা হৃদয় নীড়ে শুন্যতা পাই /
বুক ভরা যত রয় কথার মালা
...
** : আহ্বান মহাকাব্য থেকে
এম,জি,আর,মাসুদ রানা
সৃষ্টির আদিযুগ থেকে নিরন্তর বয়ে চলা সময়
সবি দৃশ্য ছবি মহাকাব্য দিপ্তমান নয়নের আলোয় ।
স্রষ্টারে চিনিবারে তারি কত কারসাজি
সৃষ্টির আরশিতে বৈচিত্রতায় ভাসে আজি
দিক হতে দিগন্তে নিশি ও প্রাতে
তাই দেখিবারে পাই মোর আঁখিতে
রঙ জ্বলা সঙ ফুটে প্রকৃতির মাঝে
প্রবাহমান মেটু ঢালীতে দেখি অপরূপ সাঝে ।
হে ভাবুক যদি মিশে যাও প্রকৃতির ঘ্রানে
খুজে নিও স্রষ্টারে সেথা , সৃষ্টির তরু তাজা প্রানে ।
কথা
তোমাদের যত কথা কলি ফুল হয়ে ফুটে উটে হৃদয়ে
গহন আধারে কখন দ্বীপ হয়ে জ্বলে উটে সময়ে ।
হে ভাবুক যদি মিশে যাও প্রকৃতির ঘ্রানে
খুজে নিও স্রষ্টারে সেথা , সৃষ্টির তরু তাজা প্রানে ।
জানতে শিখি বুঝতে শিখি
তারি দয়ায়
যিনি মোদের পালন কর্তা
পরম করুণাময়
সুন্দরের পুজারি বিবেক
আসলে সৃষ্টি কর্তা এক
তাই তারি প্রশংসা সদায়
নতশিরে গাইতে মন চায় ।
বিশাল সৃষ্টিকে সাজায়ে সুন্দরে
দেখিবার সুযোগ দিল নয়ন ভরে
এজন্য শোকরিয়া তার তরে
মধুর নাম ভাসে হৃদয় জুড়ে ।
এস সবে মিলে চলি
তারি সুন্দর দেখানো পথে
যেন মিলে রহমত সদায়
পুন্যময় জীবনের রথে ।
সৃষ্টির সেরা আবেদন
এম,জি,আর,মাসুদ,রানা শাহি
সৃষ্টির সেরা আবেদন মানুষের হৃদয়ের কথা থাকে কবিতায়
অনন্তময় জগতের যত বিস্ময়
শিল্পরূপ কাব্য আঁকা হয়
যুগে যুগে যত বেদনা যত প্রেম যত ইতিহাস
ফুটে ফুল কবিতায় বারমাস ।
হ্রিদরের গহন থেকে যত শব্দ চয়ন
সবি একরাশ পুস্প কবিতার কানন ।
যা দেখিবারে নীরবও পাথারে সঞ্চিত রাখি লিখনে
বিশ্ব ভ্রম্মানডে কবিতার ফসল ফলাই জাগ্রত মনে ,
আয়াত নয়নে ।
ফুল
এত ভালবাসি ফুলেরও হাসি
হৃদয়ে ফুটে কুসুম
মন যে রঙ্গিন তার সৌরভে
আসে কি চোখে নেমে ঘুম ।
পাপড়িতে ওড়ে প্রজাপতি
সাত রাঙ্গা পাখনা মেলে
ফুলের হাসি তাই দিবানিশি
আঁখিতে ভেসে উটে জ্বলে ।
যদি ধরিবারে চাও
ফুলের সুভাস
আমার এ দেশে
সজীব হয়ে ভাসে বার মাস ।
শিশু তুষ ছড়া
ও খুকুরা ও খুকিরা আয়রে তোরা আয়
আমার পুতুল সাজবেরে বর সঙ পাব কোথায় ।
ঐ দেখা যায় বেয়াই বাড়ী
বাজে সানাই ডুল
পড়াও শাড়ি বেনারশি
কুপায় বাধ ফুল
ঘোড়ায় চড়ে ছুটবে বর টুপর দিয়ে মাথায় ।
পিটা পুলি খুরমা পুলাও
রাধুনিরা রাধে
অনেক সখি কইল গিত
মিলে চাঁদনী রাতে
ঐ দেখনা দাওয়াতি লোক আসেরে হেথায় ।
পকেট চুর
বাজারে কয়জন পকেট মার
ঘুরে ফিরে বারবার
সময় সময় সুযোগ খুজে
কারয্যসিদ্ধি করিবার
ওরা করে কানাকানি
লাগায় এক হানাহানি
জরু হয় অনেক লোক
একজনে ছাড়ে শ্লোক
সাবধান সবাই
পকেটের হেফাজত নাই ।
যত ভদ্রলোক পকেট তাদের করে চেক
সকলের মুখ ভোঁতা নেই ম্যানিব্যগ ।
ভাবুক
কুসুম কোমলতা জলে
পবন সিঞ্জনে ওড়ে আকাশ নীলে
মেঘ হয়ে ঝরে মেটুঁ ডালিকায়
বৃক্ষ সাজে ফুলে ফলে সজীবতায়
ভাবুকে কয় এই যদি হবে
জলের অপর নাম জীবন তবে ।
মাটির কুলে মৃত্যুর সময় ক্ষনে
নিরব চাহনি মেলে কি দেখ রা নেই কেন মুখে
একি ঘোলা চোখে জল টল মল
খোলা পড়ে রয় শুন্য আঁচল
ঘন দীর্ঘশ্বাস উটে বুকে ।
এই মুষ্টিতে ছিল যাদু দিতে স্নেহের পরশ
আজ কেন বিষণ্ণতায় জীর্ণ অবশ
পুড়ে বুঝি ছারখার হয় এ অন্তর ।
কত গল্প কত ছন্দকাব্য শ্লোক
স্বপ্ন ছড়িয়ে দিয়েছ চেতনা জ্বেলে কত লোক
এখন এমন উদাস চাহনি তবে কিসের খবর ।
সব কথা সব স্মৃতি ফেলে
সেই তুমি গেলে ফিরে মাটির কুলে ।
লক্ষ যোজন দিয়ে পাড়ি
হে অন্ধকার চিনিতে কি পাও আমায়
কত দিক ভ্রান্ত প্রহরের পথ হেটে অবশেষে
ঝিলিমিলি আলেয়ায় খুজে পাই চকিত তারে
দূর দিগন্তের স্নপ্ন নীল আকাশের সিমানা ছাড়ি
ভোরের কুয়াশা হয়ে এই নীড়ে আসি ফিরে
আধারের পথটুকু মাড়িয়ে লক্ষ যোজন দিয়ে পাড়ি ।
বিজন বনে ঘাস ফেলে তার দীর্ঘশ্বাস অসীমের অন্তরালে
নিবু নিবু আলোয় জোনাকির বিচরন
ফুরুবেনা জানি কোন কালে ।
শতধা বিভক্ত হয়ে মেঘ উড়িবে হাওয়ায়
ফালা ফালা করে আকাশের বুক দংশনে কটাক্ষে
আবার ফিরিয়ে দেবে কি
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
লেখক বলেছেন: মুসলিম নিজেরা এক হও
এম, জি, আর,মাসুদ রানা ।
মোল্লা মুন্সি ইমাম , পীর ফকির বুজুর্গ
সবার কর্ম এক আল্লাহর সন্তুষ্টি
রাজি থাকলে আল্লাহ রাছুল
ঝরবে রহমতের বৃষ্টি ।
ফিলিস্তিন মুসলিম আজ কারবালার প্রান্তরের মত
বেদীনের কষাঘাতে হয় বলি
এত বিভীষিকা ময় দৃশ্য ভাসে চোখে
অহেতুক প্রান জলাঞ্জলি ।
মোহররমের মাস নিষিদ্ধ ছিল যুদ্ধ বিগ্রহ
এযে কাল কেয়ামতের চিহ্ন
ধংশ নামে কচি তাজা প্রানে
নারি শিশু বৃদ্ধের দেহ নব খুনে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ।
আর জালিমের হৃদয়ে পিচাশ নাঙ্গা দৃষ্টি
লালে লাল আজ ফিলিস্তিন ধিক্কার পশুসম সৃষ্টি ।
** অনির্বাণ শিখা তিন বাহিনী সশশ্র দিবস উপলক্ষ্য ***
এম,জি, আর মাসুদ রানা
গর্বিত জাতীয় অনির্বাণ শিখা লয়ে
হে বীর সেনানী সূর্য সন্তান
জেগে উট দ্বিগুণ তেজে
বয়ে আন দেশের সম্মান ।
জাগরিত চেতনায় দুরন্ত দুর্বার একতায়
শান্তি ন্যায় নিষ্ঠ অভিযাত্রায়
হও অগ্রসর
ফুটুক নব রবি এই বাংলায় ।
সেবার ব্রত লয়ে উদ্ধে তুলে বজ্র নিশান
হোক লং মার্চ নব উদ্দ্যমে
রনভেরি বাজে নবসাজে
নব আয়োজনে ধরাধামে ।
শান্তির বারতায় আমরা সবাই
এস এক হয়ে দেশটা সাজাই
নহে অন্যায় অসত্য সন্ত্রাস
নহে বিশ্রিংখলা আর অবিশ্বাস
গড়ব মিলে সুশীল সমাজ
জাগরন ও বন্ধনে এস সাম্যর পতাকা ওড়াই ঐ
সবার মুখে ফুঁটাতে হাসি
নব প্রজন্মের সপ্ন দিগন্ত খুজি
চির মমতায় নব আয়োজনে
পরিবেশ গড়ি এস সবাই সবার পাশে দ্বারাই ঐ
** বিশ্ব সাহিত্য চমৎকার মানুষ
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
চোখে মুখে বুকে রুষ
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ কম কিসে জৌলুষ
উগ্রতায় তাই বগলে তালি বাজাই
হর হামেশাই চাওয়া পাওয়ার বিরাম নাই
বিচিত্রতায় ওড়াই রঙিন ফানুস
চমৎকার মানুষ , বড় আপছুস ।
ধন জন , সম্মান , সমস্তই
অভিপ্রায়ে নিমিষে আপনার ভেবে লই
অন্ধ মোহে তাই ভেদাভেদ ভুলে যাই
কারয্যসিদ্ধি করে আনন্দে গাঁ ভাসাই
থাকেনা বিবেক হুশ
চমৎকার মানুষ ।
হারাম হালাল হাহাকার বুঝি
নিত্য মিথ্যার উদ্ভব খুজি
অহংকারে সব ভুলে ছিনায়ে নেই মুলে
থাকি সমাজে মাথা তুলে
ঝেড়ে ফেলে সব দুষ
চমৎকার , আমরা মানুষ ।
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
পশ্চিমা শাসকেরা এই বাংলায়
কত শোষণ যুলুম বিভেদ ঘটায়
চাকরীর উচু পদ তাদের জুটে
বাঙ্গালীর ভাগ্য শুধু কুলি মুটে ,
যত সব ধান পাঠ ওদের গোলায়
মোদের কৃষানের ঘরে অভাব ভিসময়
আরও অনেক বৈষম্য দিল দেখা
ব্যংক কলখারকানা আর ভাষা শেখা
এল নির্বাচন ৭০ এ সংখ্যা গরিষ্ঠতায়
বিজয় এল বিপুল আসনে এই বাংলায় ।
এবার ষরযন্ত্র ক্ষমতা লয়ে
পশ্চিমা দেবেনা তা নেবে ছিনায়ে
এদেশের জনতা হল সোচ্চার
এল ডাক মহান স্বাধীনতার ।
ফয়ছালা বৈঠক বসল ঢাকায়
দুই নেতা মুজিব আর ইয়াহিয়ায়
মানেনি মোদের দাবি ওরা
ভিসময় দুরভিসন্ধি করল তারা
হল বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার
চালায় গুলি হায়নারা ঘুমন্ত মানুষের উপর
গনহত্তা করে মারে বাঙ্গালী
বোমা বেয়নেটে উড়ায় মাথার খুলি
বীর বাঙ্গালী তাই জাগে
অস্র লয়ে ছুটে সম্মুখ ভাগে ।
এক হয়ে শত মায়ের শত সন্তান
ছাত্র জনতা মুটে কুলি কৃষাণ
লাল সবুজের এক নিশান ওড়ায়
দিনে রাতে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপায়
দীর্ঘ নয় মাস লক্ষ শহীদের রক্তে ভেসে
বীর বাঙ্গালীর স্বাধীনতা আসে অবশেষে ।
গনতন্ত্র
জনগণের ন্যায্য অধিকার লয়ে
মুক্ত স্বাধীন মতামত দিয়ে
যারা দেশ ও মানবের বয়ে আনে কল্যান
তাই গণতন্ত্র , তাই সংবিধান ।
বহু দল নির্দ্বিধায় ক্ষমতায় বাধে জুট
নেতা বা সেবক যারা
সেবা ও শান্তির দেয় প্রতিশ্রুতি
আদায় করে জনতার ভোট ।
আসলে কি এই হয়
গনতন্ত্রের পরিচয় ।
গণতন্ত্রের আজ কেমন রূপ
ক্ষমতায় বসেই করে বসে ছাতুরি
গলাটিপে হত্তা করে জনতার অধিকার
হয় লুটতরাজ , বাড়ে জুচ্ছুরি ।
একদল হিংসায় অন্যদল কে হটায়
হত্তা যুলুম দাঙ্গা ঘটায়
জনতার বুকে উটে নিধারুন হাহাকার
ধিক এ প্রহসনে , মানবতা ধিক্কার ।
** কাল বৈশাখ বাংলার বুকে
এম , জি, আর ,মাসুদ রানা
ঝড়ের সে কি তাণ্ডব
আকাশ মৃত্তিকায় বাধে ধা ধা
বাজ পড়ে ক্ষনে ক্ষনে
ধরণির ঘুম ভাঙ্গে বাতাসে বিদ্রোহী বাধা ।
ভাবনা ধরে ওসব জীন পরীর খেল
ঝমঝম বৃষ্টি সাথে বিজলির হাসি
লাল নীল দ্যুতি ছড়ায়
নামে আকাশের মেধদুত জমিনে আসি ।
আলোর নাছন , কভু গ্রাসে আধার
আতংকে মানবের কেঁপে উটে বুক
বজ্রনিনাদে প্রচণ্ড সৃষ্টির উল্লাস
ওড়ায়ে কত স্বপ্ন বয়ে আনে শোক ।
লাগামহিন ছুটে অসীমের উগ্রতায়
বাজে ভেরি ধংশের বিপন্ন শাখ
আচমকা ধেয়ে আসে , অভিসম্পাত হয়ে
নারকিয় শক্তিতে কাল বৈশাখ ।
ম,
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নির্বাচিত মহাকাব্য
************
ফুলেল সুভাস
এম , জি , আর মাসুদ রানা
কবি ও সাহিত্যিক ।