![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
শবেই বরাত মুসলমানদের জন্য ভাগ্যরজনী
**************
দয়াল নবীজী মসজিদে নববিতে বেশ কয়েকজন সাহাবা কে লয়ে ,
গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ে নূরানি মোবারক দিক নির্দেশ দিচ্ছিলেন ।
উল্লেখ্য এমন সময় এক সাহাবা নবীজীকে প্রশ্ন রাখলেন , ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমরা কম আয়াত নিয়ে পৃথিবীতে আসিয়াছি । অন্যান্য যুগের নবীগনের উম্মতেরা বেশি দিন বাঁচত এবং তারা
বেশিদিন এবাদত করার সুযোগ পাইত । আল্লাহপাক কি আমাদের কে
কম সময়ে তাদের এবাদত এর সমান ছওয়াব দিবেন ।
সাথে সাথে জিব্রাইল আ নবীজীর নিকট হাজির ।
নবীজী বর্ণনা করেন হে আমার প্রিয় সাহাবাগন শুনে রাখ
ইশা আ কুষ্ঠ রোগীকে হাত বুলিয়ে দিত রোগ ভাল হয়ে যেত , এবং মৃত কে জীবিত করে ভাল মন্দের খুজ লইত ।
এহেন ঘটনা অবলোকন করে তখনকার সময়ের মানুষ জন ঈশা
আ কে খুব সমিহ করত এবং তার উচ্ছ প্রশংসা করত । এতে ইশা আ নিজেকে যামানার সবচাইতে বড় বুজুর্গ ভাবত । একদিন
আল্লাহ বলেন হে ইশা নিজেকে এত বড় বুজুর্গ ভাবিওনা ।
মুহূর্তে সাগরের কিনারায় যাও এবং হাতের লাটি সাগরে নিক্ষেপ কর । ইশা আ সাগর তীরে গেলেন এবং সাগরে তার লাটি নিক্ষেপ
করলেন তাৎক্ষনিক একটা সুড়ঙ্গ দেখতে পাইলেন ।
আল্লাহ পাক বলেন গভিরে যাও , তিনি তথায় গমন করলে একটি
বৃহৎ পাথর খণ্ড দেখতে পাইলেন ।
আল্লাহ পাক বলেন পাথরে আঘাত কর , তিনি তাই করলেন
এবং দেখতে পাইলেন পাথরের ভিতরে এক জইফ বৃদ্ধ লোক
আল্লাহর জিকিরে মশগুল ।
ইশা আ অবাক হয়ে বললেন হে তাপস আপনি কে ,আর কত দিন যাবত এই সাগরের সুরঙ্গে পাথরের মধ্য আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন । লকটি ছালামের উত্তর দিয়ে বলল হে ইশা নবী আমি ঠিক
জানিনা কতদিন যাবত এই খানে তবে ইলিয়াস আ কে আমি
দেখেছি । ইশা আ হিসাব করে দেখেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বছর
অতিক্রান্ত হয়ে গেছেন । ইশা আ আবার সুধালেন হে তাপস
নিশ্চই আমি ইশা আ এর চাইতে আপনার বুজুর্গি বেশি ।
বৃদ্ধ লোকটি সাথে সাথে তকবির দিয়ে বললেন হে ইশা আ
যা ভাবছ তা সঠিক নয় বরং আখেরি যামানায় যে নবী পাক সা
জগতে আসবেন তার উম্মতেরা এত ভাগ্যবান যে সে সময়ে
ঐ নবী পাক সা এর উম্মতের একটা রাতের মর্যাদা আমার
তামাম এবাদতের সমান হবেনা ।
ইশা আ প্রশ্ন করলেন কে সেই আখিরি নবী
লোকটি বললেন আল্লাহর পেয়ারা হাবিব সমস্ত উম্মতের কাণ্ডার
সমস্ত নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লাম ।
ইশা আ আল্লাহর খুত্রতি পায়ে লুটাইলেন হে আমার মাবুদ
আমাকে যদি নবী না বানিয়ে ঐ যামানার দয়াল নবীজীর উম্মত
হিসাবে কবুল কর তাইলে খুশি হব ।
আর মহান ভাগ্যবান সারা জাহানের রহমত সেই নবীজীর উম্মত হয়ে আমরা চলি বিপথে
আল্লাহ ইশা আ এর দোয়া কবুল করেছিল এবং তাকে জিন্দা
আকাশে উটায়ে নিয়েছিল আবার শেষ যামানায় আমাদের দয়াল
নবীজীর উম্মত হিসাবে আসবেন ।
হে মুমিন গন ভেবে দেখা প্রয়োজন । নবীজী বলেন এই সমস্ত
পবিত্র রাতে সয়ং আল্লাহ পাক নিকট তম আসমানে চলে আসেন
এবং মুমিন বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন । ফেরেস্তাদের
ছুটি দেন এবং আল্লাহ পাক বলেন হে ফেরেস্তারা সাক্ষি থাক
যারা এই রহমতের রাত্রিতে ঘুম হারাম করে এবাদতে মশগুল
থাকবে আমি নিজে আল্লাহ তাদের মুক্তির সাফায়াত হয়ে যাব ।
নবীজী বলেন এই সমস্ত এবাদতের রাত্রি মুমিনদের জন্য হাজার
মাস এর চাইতেও উত্তম ।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন রাছুল সাল্লালাহু আলাহেয়াচ্ছাল্লামের প্রতি যেন আমাদের দরুদ ও ছালাম হয়
রহমত ও মুক্তির পাথেয় ।
আমিন ।
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ছুবহান আল্লাহ
আল্লাহ পাক আমাদের নবীজীকে তার মহান মর্যাদার আসনে
জগতে রহমত স্বরূপ পাঠাইয়াছেন
আমরা সেই রহমতের দাবিদার নবীজীর শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসাবে
বরাতের রাত কে হেদায়েত ও রহমত হিসাবে পাই সে শোক্রিয়া
জানাই খোদার দরবারে , আমিন
২| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমিন ||
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু
৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++++++
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮
ডাঃ নাসির বলেছেন: কিছু আলেম আছে যারা শবে মেরাজ, শবে বরাত ও শবে কদর মানে না অথচ দাওয়াত খাচ্ছে ধুমধাম করে।
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাদের আসলে ঈমান দুর্বল
আল্লাহ তাদেরও হেদায়েত দিন আমিন
৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হাদিস দলিল না জেনে
যেমন খুশি তেমন মন্তব্য পাপের সামিল
অযথা মন্তব্য থেকে বিরত থাকা জ্ঞানির লক্ষন
তবে গঠন মুলক মন্তব্য করা যুক্তি যুক্ত ।
২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নিম্নে বুঝার জন্য দলিল সন্নিবেশিত করা হল
*********************************
[শবে বরাত সম্পর্কিত ইতিহাসের সবচেয়ে দলীল সমৃদ্ধ ধারাবাহিক পোস্ট]
========================================
انا انزلناه فى ليلة مباركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই রাত্রিতে সমস্ত হিকমতপুর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়সালা করা হয়।” (সূরা আদ দোখান-৩-৪)
উক্ত আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা অনুসরনীয় মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেনঃ
৩য় পর্বের পরঃ
দলীলঃ ০৭
“তাফসীরে বায়যাবী শরীফ”-এর ৩য় খন্ডের ২৮৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
او البراءة ابتدأ فيها انزاله او انزل فيها جملة الى السماء الدنيا من اللوح.
অর্থ: “অথবা লাইলাতুল মুবারাকা উদ্দেশ্য হচ্ছে বরাতের রাত তথা শবে বরাত। এই রাতেই লাওহে মাহফুয থেকে কুরআন শরীফ নাযিল হওয়া শুরু হয়। অথবা এই শবে বরাতে লাওহে মাহফূয থেকে দুনিয়ার আকাশে এক সাথে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ নাযিল হয়।”
দলীলঃ ০৮
তাফসীর জগতের সুবিখ্যাত তাফসীর “তাফসীরে কুরতুবী”-এর ৮ম খন্ডের ১৬তম জুযের ১২৬ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
ليلة النصف من شعبان ولها اربعة اسماء الليلة المباركة وليلة البراءة وليلة الصك وليلة القدر ووصفها بالبركة لما ينزل الله فيها على عباده من البركات والخيرات والثواب
অর্থ: “লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাতকে বুঝানো হয়েছে। এই ১৫ই শা’বানের রাত তথা শবে বরাতের চারটি নাম রয়েছে, যেমন ১. লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতপূর্ণ রাত ২. লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা ভাগ্যের রাত ৩. লাইলাতুছ ছক্কি বা ক্ষমা স্বীকৃতিদানের রাত ৪. লাইলাতুল ক্বদর বা ভাগ্য রজনী। আর শবে বরাতকে বরকতের সঙ্গে এই জন্য সম্বন্ধ করা হয়েছে যেহেতু আল্লাহ পাক ওই শবে বরাতে বান্দাদের প্রতি বরকত, কল্যাণ, এবং পুণ্যময় দানের জন্য দুনিয়ায় কুদরতীভাবে নেমে আসেন অর্থাৎ খাছ রহমত নাযিল করেন।
দলীলঃ ০৯
“তাফসীরে জালালাইন শরীফ”-এর ৪১০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
او ليلة نصف من شعبان
অর্থ: “অথবা লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবানের তথা ১৫ই শাবানের রাত।”
দলীলঃ ১০
“তাফসীরে রহুল বয়ান” কিতাবের ৮ম খন্ডের ২৫তম জুযের ৪০২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
قال بعض المفسرين المراد من الليلة المباركة ليلة النصف من شعبان ولها اربعة اسماء الاول الليلة المباركة لكثرة خير وبركتها على العاملين ... الثانى ليلة الرحمة والثالث ليلة البراءة والرابع ليلة الصك.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণের মধ্যে অনেকেই লাইলাতুল মুবারক দ্বারা উদ্দেশ্য নিয়েছেন অর্ধ শা’বান তথা ১৫ শা’বানের রাতকে। এবং ইহার তথা শবে বরাতের চারটি নাম রয়েছে। প্রথমত: লাইলাতুল মুবারকা তথা বরকতের রাত্রি। কেননা এই বরকতের রাত্রিতে যারা আমল করে থাকেন তথা ইবাদত-বন্দিগী করে থাকেন তাদের জন্য অনেক খায়ের বরকত রয়েছে।
দ্বিতীয়ত: লাইলাতুর রহমত তথা রহমতের রাত্রি।
তৃতীয়ত: লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা ভাগ্যের রাত্রি।
চতুর্থত: লাইলাতুছ ছক তথা চেক প্রদানের রাত।
একটা বিষয় বিশেষভাবে স্মরনীয় যে,
অর্ধ শা’বানের রাত হচ্ছে ليلة التجويز তথা বণ্টনের বা সিদ্ধান্তের রাত। আর লাইলাতুল ক্বদর হচ্ছে ليلة التنفيذ তথা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রাত।
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আরও +
মহিমান্বিত বরকতময় রজনী : শবে বরাত
হাদীস শরীফে উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,
مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লামকে রমজান মাসের পর শাবান ব্যতীত অন্য কোন মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি।
[সহিহ বুখারী, কিতাবুস সাওম, হাদীস নং-১৯৬৯/১৮৬৮, সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১১৫৭,সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুস সাওম, হাদীস নং-২৪৩৪, সুনানু ইবনে মাজাহ, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১৭১০, মুয়াত্তা এ মালিক-৬৮৮/১০৯৮, সহীহ ইবনে হাববান-৩৬৪৮, মুসনাদে আহমদ-২৪৮০১, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৬৭২, বায়হাক্বী আস সুনানুস সগীর-১৪৫৭, সুনানুল কুবরা-৭৭৮৪,৭৮২৫]
অপর বর্ননায় এসেছে,
لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّه
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের চেয়ে অধিক রোজা অন্য কোন মাসে রাখতেননা, এমনকি তিনি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন।
[সহিহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৭0, সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১১৫৭, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২১৭৯, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৫০০, সহীহ ইবনে হিববান-৩৬৩৭]
হাদীস শরীফে আরও ইরশাদ হয়েছে-
رَجَبُ شَهْرُ اللَّهِ وَشَعْبَانُ شَهْرِي وَرَمَضَانُ شَهْرُ أُمَّتِي
রজব আল্লাহর মাস,শাবান আমার মাস আর রমজান আমার উম্মতের মাস।
[ফিরদাউসুল আখবার, যাহাভী তারিখুল ইসলাম-২৬১, শওকানী ফাওআয়িদুল মাজমুয়া'ত-২২১, কানযুল উম্মাল-৩৫১৬৪, সাখাভী আল মাকাসিদুল হাসানাহ-৫১০]
আরও ইরশাদ হয়-
شعبان شهري ورمضان شهر أمتي
শা'বান আমার মাস আর রমযান আমার উম্মতের মাস।
[নুজহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফাইস, বাব,ফাদলু শ'বান ওয়া ফাদলু সালাতুত তাসবীহ, ১:১৪৬/১:১৬১]
শবে বরাত এমনি এক বরকতময় রজনী। শরীয়ত সম্মত এই রজনী সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা সত্বেও তা নিয়ে কিছু লোক বর্তমানে একে ভিত্তিহীন বলে প্রচারিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। নিম্নে এই মহিমান্বিত রজনী সম্পর্কে শরীয়ত সম্মত আলোচনা করা হল-
শবে বরাতঃ
শব শব্দটি ফার্সি,অর্থ রাত।আর বরাত শব্দের অর্থ-পবিত্রতা, মুক্তি, উদ্ধার, আশ্রয়, অব্যাহতি, দায়মুক্তি, বন্টন, বরাদ্দ ইত্যাদি।সুতরাং শবে বরাত বা লায়লাতুল বরাত অর্থ বন্টন, বরাদ্দ, পবিত্রতা, নাজাত ও মুক্তির রাত। পবিত্র কোরআনে একে 'লায়লাতুল মুবারাকাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছারাও এর আরও নাম পাওয়া যায় যেমন, লায়লাতুল মুবারাকাহ, লায়লাতুল বরাত, লায়লাতুল রহমত, লায়লাতুল মাগফিরাত, লায়লাতু্ত তাওবাহ ইত্যাদি।
শা'বান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাতই শবে বরাত হিসেবে পরিচিত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাকের ইরশাদ-
حٰمٓ ﴿۱﴾ وَ الْکِتٰبِ الْمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾ اِنَّا اَنۡزَلْنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنۡذِرِیۡنَ ﴿۳﴾ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ
হা-মীম!শপথ এই সুস্পষ্ট কিতাবের।নিশ্চই আমি সেটাকে বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি।নিশ্চই আমি সতর্ককারী।এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজের ফয়সালা দেওয়া হয়।
[সূরা দুখানঃ ১, ২, ৩, ৪ পারা-২৫]
এখনে বরকতময় রাত বলতে কোন রাতকে বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে দুটি মত রয়েছে,শবে ক্বদর আর শাবানের মধ্য রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাত।
[তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে ত্ববারী জামেউল বয়ান, তাফসীরে কাশশাফ, তাফসীরে সা'লাবী, তাফসীরে সামআ'নী, তাফসীরে বগবী, তাফসীরে জালালাঈন, তাফসীরে বায়জাভী, তাফসীরে কবীর, (মাফাতিহুল গাইব (তাফসীরে রুহুল মা’আনী, যাদুল মাইসির ফি ইলমিত তাফসীর, তাফসীরে ক্বুরতুবী, তাফসীরে দুররে মানসুর, তাফসীরে নাসাফী, তাফসীরে মাজহারী, তাফসীরে ফাতহুল কাদীর, তাফসীরে সা'বী, তাফসীরে জুমাল,তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে নিসাপুরী, তাফসীরে ইবনে রজব, তাফসীরে কিরমানী গারায়িবুত তাফসীর, সফওাতুত তাফাসীর, আল লুবাব, তাফসীরে মাদারিক, তাফসীরে মাওয়ার্দি, আবী সাউদ]
আল্লামা শিহাবুদ্দীন আলুসী রহঃ তার তাফসীর গ্রন্থ রূহুল মা'য়ানী তে উল্লেখ করেন-
قال عكرمة. وجماعة: هي ليلة النصف من شعبان. وتسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك وليلة البراءة، ووجه تسميتها بالأخيرين أن البندار إذا استوفى الخراج من أهله كتب لهم البراءة والصك كذلك أن الله عزّ وجلّ يكتب لعباده المؤمنين البراءة والصك في هذه الليلة.
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শা'বান মাসের মধ্য রাত। একে রহমত ও মুক্তির রাত বলা হয়। যেমন খাজনা ও যাকাত আদায়কারী খাজনা ও যাকাত প্রাপ্তির পর দাতাকে মুক্তি সনদ বা রশীদ দেয়, অনুরূপ এ রাতে যারা ইবাদত বান্দেগীতে রাত যাপন করে তাদেরকে মুক্তি সনদ দেয়া হয়। তাই এ রাতকে লায়লাতুল বারাআ'ত বা লায়লাতুস সাক (চেক) বলা হয়।
[তাফসীরে রূহুল মা'আনী, সুরা দুখান, ১৮:৪২৩/১৩:১১০]
আল্লামা জারুল্লাহ যামাখশারী রহঃ বলেন-
وقيل: ليلة النصف من شعبان، ولها أربعة أسماء: الليلة المباركة، وليلة البراءة، وليلة الصكّ، وليلة الرحمة
অন্য মতে লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শ'বান মাসের মধ্য রাত। এর চারটি নাম পাওয়া যায়, লায়লাতুল মুবারাকাহ (বরকতের রজনী), লায়লাতুল বারাআহ (ভাগ্য/কল্যাণের রজনী), লায়লাতুস সাক্ক (বন্টন/বাজেটের রজনী), লায়লাতুর রাহমাহ (অনুগ্রহের রজনী)।
[তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান,৪:২৬৯]
অনুরূপ বর্ণনা তাফসীরে ক্বুরতুবী তে পাওয়া যায়।
ষষ্ঠ শতাব্দীর মুজাদ্দীদ আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন-
وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَطَائِفَةٌ آخَرُونَ: إِنَّهَا لَيْلَةُ الْبَرَاءَةِ، وَهِيَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল লায়লাতু বরাত অর্থাৎ শা'বান মাসের মধ্য রাত।
[তাফসীরে কবীর মাফাতিহুল গায়ব, সুরা দুখান ২৭:৬৫২]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর শিস্য ও স্বাধীনকৃত গোলাম হযরত ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
(আয়াতে বর্ণিত) লাইলাতুম মুবারাকা” হল শা’বান মাসের মধ্য রাত্রি। এ রাতে আল্লাহ পাক হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে প্রথম আকাশে (দুনিয়া সংলগ্ন আকাশ) প্রেরণ করেন। তিনি প্রথম আকাশের ফেরেশতাদের কাছে পূর্ণ কোরআন একেবারে লিপিব্ধ করে দিয়েছেন। এই রাতকে মুবারক রাত নামকরণনের কারণ হল-এ রাতে অনেক কল্যাণ ও বরকত রয়েছে। এ রাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং দোয়া কবুল হয়।
[তাফসীরে কাশফুল আসরার ৯:৭৪]
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, শাবান মাসের মাঝামাঝি রাতে (১৫ই শাবান রাতে) সারা বছরের কার্যক্রমের ফয়সালা করে দিয়া হয়। জীবিতদেরকে পৃথকভাবে লিখে দিয়া হয় মৃতদের থেকে। এ ফায়সালার কোন পরিবর্তন করা হয় না। বাগবী লিখেছেন, মোহাম্মাদ ইবন মাইসারা আখফাশ বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন- শাবান মাসে পরবর্তি শাবান পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দিয়া হয়। এমনকি ঐ সকল শিশুর নামও পৃথক করা হয়, যাদের পিতা বিয়ে করে ১৫ শাবানের পরে। আর যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করে সে সময়ে। আবার মৃত্যু বরণও করে ঐ বৎসরে।
আবুজ জোহার বর্ণনায় এসেছে, হযরত ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহ তা’আলা সব কিছুই মিমাংসা করে দেন এবং রামযানের কদর রাত্রিতে সেই মিমাংসা দিয়া হয় মিমাংসা বাস্তবায়নকারীদের হাতে।
[তাফসীর মাযহারী ১০:৫১৯]
৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫
রিওমারে বলেছেন: গাজা কয় প্যাক টেনে এই লেখা লিখছেন??
ঈসা নবী মোহাম্মদ এর উম্মত হতে আবার পৃথিবীতে আসবে এই জাতীয় কথা আল্লাহ কোরানের কোণ সুরার কোণ আয়াতে ঘোষণা দিয়েছেন??
লাইলাতুল বরাত বিশ্ব মুসলিমের জন্য ভাগ্য রজনী ,
আর মুসলিম ছাড়া দুনিয়াতে আর যারা থাকে তাদের ভাগ্য রজনী কবে এবং কে লেখে??
সমস্ত নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লাম এই কথাই বা আপনি কোথায় পাইলেন??
আল্লাহ এবং তার নবী এই জাতীয় কথা কোথাও বলেন নাই। এই কথা যারা বলে তারা আল্লার নামে মিথ্যা বলে আর এরাই বিপদ গামী।
দেখুন কোরানে আল্লাহ কি বলেছেনঃ সুরা নিসা আয়াত ১৫২ যারা আল্লাহ এবং তার নবীরাসুলদের উপর ঈমান আনে এবং তাদের একজনের সাথে অন্য জনের পার্থক্য করে না তাদের তিনি পুরস্কার দেবেন। আল্লাহ মহা দয়ালু ও ক্ষমা শীল।
এই জাতীয় একাধিক আয়াত দ্বারা নবীদের মধ্যে পার্থক্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। সময় সংক্ষেপের কারনে সব আয়াত গুলো দেয়া সম্ভব হল না।
হাদিস পরে পরে মাথা নস্ট না করে কোরান পরেন। ধর্মীয় গোড়ামী থেকে মুক্তি পাবেন।
নোটঃ নবী নিজে কোণ হাদিস লেখেন নাই বা কাউকে লেখার জন্য পারমিশন দে ন নাই। নবী কোরান অনুসরন করেছেন আর আমাদেরকেও তাই করতে বলে গেছেন।
২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বুঝলাম তুমি বিধর্মী
হাদিস হল সহজ ভাবে কোরআন কে বুঝার বর্ণনা ।
এতএব না জেনে ভ্রান্ত মতবাদের জন্য মৃদু তিরস্কার রইল
ভাল আলেম অয়ালামাদের নিকট যাচাই করে মন্তব্য করার অনুরোধ থাকল ।
৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০৬
মুহামমদল হািবব বলেছেন: রিওমারে ভাই কাউকে গাজা কয় , , , এই ধরনের মন্তব্য করা উচিৎ নয়।
নবীজির মর্যাদা অনন্য নবীদের চেয়ে বেশী এতে কোন সন্দেহ নাই।
২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ও আসলে ইসলাম সম্পর্কে পুড়াই অজ্ঞ
৮| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
আহলান বলেছেন: রিওমার ভাই রিউমার ছড়াতে ব্যস্ত .............
২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাইত মনে হয়
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২
আহলান বলেছেন: সোবহানাল্লাহ!