![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
রহস্যর ছায়া অবলম্ভনে উপন্যাস
প্রিয়মুখের ছায়া
*********************
উপন্যাস
******************
প্রিয়মুখের ছায়া
*********************
রচনায় , এম , জি , আর মাসুদ রানা
কবি ও সাহিত্যিক
*********************
সর্বসত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত ।।
ভুমিকা
******
সহজ বাংলায় রহস্য ঘেরা এক প্রেমের ছায়া অবলম্ভনে । পাঠকের
ভাল লাগার এক সামাজিক কথকথা ।
নিশ্চই ক্ষনিকের আনন্দে এক নিঃশ্বাসে পড়ার উপযোগী , শুভেচ্ছা সকল পাঠকের হৃদয়ে । । লেখক ।।
এক
অনেক অনেক পথ অতিক্রম করে
আবিস্কার করলাম একটা নদী । সম্মুখেদিগন্ত জুড়া নয়নাভিরাম
পাহাড় সারি । আমাকে যেন চুম্বকের মত টানছে । পানি কত
টুঁকুই বা হবে , নেই খেয়া নেই পারাপার উপায় খুজে না পেয়ে
নদী তীর ঘেসে ছুটলাম সামনের দিকে , আকাশে তখনও শেষ
বিকেলের গুধুলি লগ্ন । একঝাক অচেনা পাখি শো শো করে
মাথার উপর দিয়ে ডানা ঝাপটায় অবারিত গন্তব্য ।
একটা মেয়েলি সুর কানে আসে রিনিঝিনি বৃষ্টির ছন্দের মত ।থমকে দ্বারাই গাঁড় বাকিয়ে বামের ছোট্ট ঘরটির জানালায় দৃষ্টি
আটকে যায় , কিশোরীর সুন্দর লাবণ্যময়ী মুখশ্রী তার হরিণ কাল
চোখে রাজ্যর যত বিস্ময় । পরনে শাড়ি তাও গেরুয়া বসন
মাথায় গুজা সদ্য ফুঁটা জুঁই ।
গান কবে থেমে যায় সে খেয়াল হল যবে তক্ষনি ডাক শুনি কানে
কে গো তুমি , বুকে সাহসের সঞ্চিত কনা দিলুম উগ্রে জি হ্যা
মানে আমি অনিদ , যাচ্ছিলুম পথ ধরে বহুদূরের ঐ যে পাহাড় আছেনা যাব সেথায় । সন্ধ্যা যে গনায় মনের মধ্য তুল পার যদি
সে নদী পেরিয়ে ছুটি ভুল টিকানায় । চাদের হাসি ফুটে ফিক করে
চাহিয়া অবাক , ভয় নেই পথিক ঊষার লগ্নে পথটারে দেব চিনায়ে
আজি হও মোর ভাঙ্গা কুটিরের এক নব অথিতি ।
জলতুলে আনে নদীর ঘাট থেকে তাও বেলা নিকষ গুট গুটে আধার
নামে রাজ্য জুড়ে । আকাশে পঞ্চমীর চাঁদ ঘুমটা খুলে অবারিত
দিপ্ত আলোক মেলিয়া জগত মাঝে । ঝুপঝারে আহুত পাখিদের
ডানার জটপটানই সারাদিন মান করে অভিযান এইত তাদের
বিশ্রামের আয়োজন ,
আর অথিতি তুলে ঘরে লাজ রাঙ্গা আবিরে সে নিজেই ব্যকুল । হায়
ঘরে নাই তার দুমুটুঁ অন্ন ,কতদিন গেল বিবেকের সাথে যুদ্ধ করিয়া
কার মায়ায় ,কিসের টানে রয় সেথা পড়ে ।
পথিক বাহিরে দাঁড়াইয়া ভাবিয়া সাড়া নদীর কল কল জল কত দিন ব্যপি
নিরন্তর হবে বহমান । তার পার্শে কিশোরীর ছোট্ট ঘরখানি যদি
উচ্ছলতার হয় শিকার ভেঙ্গে যায় কোন একদিন ঝড়ে , কোঁথায়
মিলিবে আশ্রয় ।
এই লও ঘটি চোখে মুখে ছিটায়ে একরাশ , তবে এস ঘরে ।করিগে
রান্না বান্না মিটাতে ক্ষুদা নিবারন ।
কলসির জলের ছলাত ছলাত শব্দতিও আজব মনে হয় তার এমন অচেনা অথিত ত আর কখন ও সে সাজেনি তবে আজি তাও হল
পুরন ,।
স্যাত স্যাতে উলুর বিছানায় বসে ট্যাঁয় দেখে । যাকিছু রয় ঘরের
ভেতর । ছিমছাম যতনে বসা যে কুশনে তাও কোমল হাতের
ছোঁয়ায় এত পরিপাটি মনে হয় নিজেকে কোণ স্বপনের ভুবনে ।
আচ্ছা পথিক যদি জানিবার চাও কেন একা রও নির্জনে । উত্তর
নাহি মিলিবে , তবুও শুন কিঞ্চিত। এই প্রথম এখানে কোন মানুষের সনে আজি আলাপন ,এতদিন শুধু চোখের ভাষা ছাড়া
আর ত হয়নি কারও সনে সাক্ষাৎ ।
চমক লাগে তার , একি স্বপ্ন না বাস্তব ভেবে হয় সাড়া । তবে কি সে
পরি না স্বর্গের অস্পরা ।
কথা নেই কেন পথিক , শুধু কি আমিই যাব কথা কয়ে ।ভয় পাও
মোরে যখন চিনিবে আর ফিরিবেনা মন যেথায় যাবে ,বারবার ছুটে
হেথা আসিবে ঘ্রানে ।
তবে কি তুমি ফুল ।
এইত শাবাশ ফুল হই আর মানুসই হই আমি নই কোণ ছলনাময়ী
যদি প্রস্ন হয় মনে আরও উদয় , সহজে মিল্ বেনা যা চাই জানা
আপনার চেষ্টায় যদি নাও জেনে সুত্র খুজতে এস , রাত্র ও ঘনিয়ে
এল খাবে চল যাই নদীর দ্বারে ।
মনে মনে প্রমাদ গুনে পথিক / লক্ষ তারার মিটি মিটি হাসি নীল আকাশের কুঞ্জে , তবুও মন শান্ত নয় কেন ? একি রহস্য অগ্নি পরীক্ষা জিততে যে হবেই তবে কিভাবে । যা হয় মনে কথা যখনি
ভাসবে ঠোঁটে মুখরা রমনি তাই কহে আগেবাগে এর কি বা হবে
সমাধান , মহা বিপাকে পড়ে আজি প্রভাত যদি হত এক্ষনি টুটে
পালাত সে ছিঃরে ক্ষনিকের মায়ার বাধন । কি আশ্চর্য যদি মোর
এ কল্পনাটুকুও জেনে যায় দৈব বলে তার চেয়ে এই ভাল হয়ে থাকি চুপ ।
দুই ।
পথিক উট এই দেখ সেই প্রভাত , যে প্রভাত ফিরে পেতে রাতে
করেছ বাসনা মনে ।
আর এই লও জল মুখ ধুয়ে এস করিগে তোমার গন্তব্য পৌছার শুভ
আয়োজন ।
মনের সব কুহেলিকা ঝেড়ে দিগুণ শক্তিতে জ্বলে উটে সে , আমিও
কি দৈব মানব নই তার চাইতে কম কিসে , আজি যে কথা শুনতে
পাই প্রভাত শিয়রে তা ত ধারনা করেছিলুম অনেক অনেক আগে ।
এবার শুরু হয় তার যাত্রার প্রস্তুতি । রমনি তোমায় মনে হয় আমি
অনেক অনেক জনম থেকে চিনি ।
মুখে কথা নাহি ফুটে তার বিস্ময় জাগে এই পরিবর্তন কিভাবে হল
তবে কি কৃতিত্ব সবি আমার ।
নাহি যাহা ভাব মনে অনুক্ষনে যদি একবার মোর নামখানি জুড়ে সুরে ডাক তবেই সুখ পাই এই অথিতিসেবার ।
কিন্তু কিনামে ডাকি সখি জগতে ত বহুল প্রচার এ ডাকে নাহি তৃপ্তি
প্রিয়তা / বাহ আজি প্রথম কারও সনে ধুলির আসনে শুনিবার পাই
তোমার মুখে আমার সে নাম খানি ।
জানি আর কভু দেখা নাহি হয় দুজনাতে ।এই প্রেম শেষ এই প্রেম
গভীর জানি সুচনাতে ।
এই লও চিনে সুত্র খুজে যদি আবার এস তবে হারাতে হবে মুল
সঞ্চয় জানিও সেই দিনের অপেক্ষমাণ পথ টুকু বড় সন্নিকটে নিশ্চয় ।
প্রিয়তা এস তবে সেই দিনের অপেক্ষায় শুরু হোক পথচলা
সেই ভাল এই দেখ ঘন কাল মেঘ । অনিদ বিদায়
পাহাড়ের উচু নিচু চড়াই উৎরাই দাবীয়ে ছুটে চলে সম্মুখ পানে
পেছনে তার রইল পড়ে মহা জাগতিক রহস্য ঘেরা এক জটিল ধা ধা । সমাধান কি মিলবে সেই প্রচণ্ড দাবদাহে এখনও পথ চলায়
ঘেরা টুপ ।
কাঁচা ঘাস লতা পাতার বুনু সুধা গন্ধে আকুল তেজ দিপ্ত মন, যত
দূর দৃষ্টি যায় আবারিত সবুজের হাতছানি , ঝর্ণার কুলুকুলু
ধবনি কানে আসে , পথচলায় আবারও মোড় ঘুড়িয়ে পৌঁছে যায়
গন্তব্য পাথরের খাজে খাজে জমানো টলমল স্পটিক স্বচ্ছ জল
পিপাসা বহুগুনে বেড়ে যায় /
নেমে জলে অঞ্জলি ভরা পানি তুলবে মুখে । সর্বনাশ একি জলে
কার ছায়া , তারি সনে জনমের পাট আকা হল বুকে / মুখ খানি
মেলে ধরে তারি আয়নায় । কত দিন মুখে তার হয়নি কো অন্নধান
তবুও রয় সজীব আজ কেন ব্যর্থতার গ্লানি লয়ে সে ছুটে কোন
অজানায় ।
হে বাবু উঠাও শিয়র দেখ চেয়ে আকাশের নীলকান্ত মনি পশ্চিমে
ডলে । আধু স্বপ্ন আধু তন্দ্রা ভেঙ্গে তাকায় সে কথা কলি লক্ষ করে ।
নির্জন নিরালায় এক সাধু প্রান জটাধারী কেশ অপলক তাকায় ।
ভয় নেই আমি তোমারে দেখাইব পথ নির্দেশ ।
এস , এক বটবৃক্ষ শোভিত সুন্দর লোকালয় ।তার টিক পাদদেশে
বিছানো পরিপাটি জায়নামাজ এক খান , তথায় বৃদ্ধ লভিল আসন ।ইশারায় ডাকলে নিকটে , বতস্য এইস্থানে বস ।
এই মায়াময় জগতের মোহে আজ তুমি দেখিছ চোখে অন্ধকার ,
ছড়াই উৎরাই মহা সংগকুল পথ যতই কর অতিক্রম কোণ লাভ
নেই সবি বিফল ।
তাহলে উপায়
উপায় মিলবে নিশ্চয় বতস্য । এজন্য জাগতিক মায়া মোহ সবি
দিতে হবে বিসর্জন ।প্রস্তুতি লও এখন থেকে ।
বহুপ্রতিজ্ঞার অবারিত পথ টেলে সে কি পাইল সটীক সমাধান
যার লাগি ছাড়ি বাড়ি ঘর উদবাস্ত পথিকের ন্যায় আজি এখানে
বিচিত্র রঙ ধনু তক্ষনি দক্ষিন বলয়ে ছড়াল দ্যুতি ।
হে গুরু আদেশ কিহয়
ভ্রত হও গুরুর সেবায় নত হও তারি পানে যিনি বেহেস্ত ও দুনিয়ার
মধ্য ভেদ করিল আমাদের ।
চিনে নিতে হবে ভয় সংকুল বাধা ।যেতে হবে পারী
আর যে নারি রূপী মায়া তোমার হ্রিদয়ে এখনও ভাস্বর প্রতিমার
পুজারির মত করিছ লালন । সে এক জাগতিক মায়া
ভিন্ন আর কেউ নয় । এটাই আমার পরীক্ষা ছিল তোমার প্রতি ।
যদি মুক্তির দরজায় প্রবেশিতে চাও ।
আমার আদেশ এক্ষনি ঘরে ফিরে যাও ।
তিন
আর কখন ও অবাধ্য হবনা , আর অভিমান নিয়ে যাবনা কো ঘর
ছেড়ে তোমার নারী ছেড়া আঁচল টুটে বাহিরে ।
এই আমি তোমার পায়ে মাথা রেখে প্রতিজ্ঞা করলুম যদি বাকি জীবনে আর এমুন ঘটে সেদিন টা হয় যেন জীবনের অবসান ।
খোকা একি কথা শুনি মোর বক্ষ যে যায় ফ্যাটি । এতদিন তুই
কোথায় ছিলি বাপ , আয় মোর বুকে । তপ্ত অশ্রু কনা গড়ায় দুখিনীর গণ্ড বেয়ে । আদরের ছোট বোন ফ্যাল ফ্যাল থাকিয়ে রয়
দাওয়ায় । মাগো কতদিন তুমি আহার করনি তোমার
খোকা কবে আসবে ফিরে সেই প্রতিক্ষায় ,আমার ও যে ক্ষুধার জ্বালা বড় ভিসময় । রোধন ব্যথা দিগুন উটে জ্বলে যেই আসে তার
কণ্টক লয়ে ।
নিজেকে প্রবোধ দেয় নির্বোধ আমি , সর্বনাশের মহা অরন্যর মাঝে
এতদিন পথ ভুলে নিজের অস্তিত্ত কে দিলুম বিসর্জন /সেই সাথে যারা মোর সমস্ত কিছুর উদ্ধে তাদের মনটারে দিলুম কাঁটার আঘাত
দিক পশু বৃত্তি কুহেলিকার আবৃত বিবেককে ।
ছেলে বেলার সাথি একই গায়ে বাস কতবার ডাকিত সে মধু নামে ।দাঁড়াইয়া শিয়রে থমথম আভায় ধিরে ধিরে একে দেয় বঞ্চিত
সময়ের দাবি লয়ে । বল মনা এতদিন ছিলে বা কোথায় । কার মায়ায় আমাদের ভুলে রলে পেয়েছ এমন কি গুপ্তধন যার ধরুন
সবি দিয়ে জলাঞ্জলি । তবে কি ক্ষনিকের তরে জগত হাসাতে
হয়েছিলে বৈরাগী
নারে না তেমন তো নয় সে অন্য কাহিনী । শুনে মানুষ ভাববে
পাগল একটা । চল পুকুর পাড়ে নিরবে কহি কথা খানি ।
আকুলও নয়নে বাস্প মেঘসম চমকায় , ধরিয়া গণ্ড দেশে
মুখ খানি যেই আঁকিবে ছবি রক্তিমতায় লাস্য ছোঁয়া , মনে পরে
তার সেই সে দরবেশের উপদেশ ।
সাবধান বাছা কুহেলিকায় মজে করনা কো অপচয় মুল্যবান সময়ের , আর মন যা চাইবে করিবেনা তা উলটো মোহ ছেড়ে
অপরের লাগি দিও ভাল তে জীবনের কিছুটা মুহুরথ স্বস্তি
পাবে । জাগবে কাজ শেষে মনে সত্যর মঙ্গল ময় প্রজ্জলিত
শিখা ।
টিক আছে মধুমিতা সময়ে একদিন সব বলব ক্ষনে , বড়ই ক্লান্ত
আমি এখন তবে যাও বিশ্রামে দেই নিজেকে স্বস্তি
হা তাই ভাল এই আমি যে কোন সময় দরকার হলে আসব ছুটে
তোমার সঙ্গ সেবায় , মুখ করে ভার অভি মান ক্ষ্রুদ্ধ চেহারা লয়ে
ত্রস্তে করিল ত্যাগ ওর সমীহ থেকে ।
খোকা পাগলী একটা তোর নিরুদ্দেশে সেও মৌন ছিল এতদিন
কারও সনে মুখ খুলে কয়নি কথা । আজি বহুদিন পর তোরই সনে
কথা কয়টি শুনি , হ্যা ভাইয়া পাটশালায় গিয়েও একই দশা
স্যার তঁ একদিন ধমকে উটে এই মেয়ে তুকে পেয়েছে কি ভুতে ।
ছিল শুধু দুচোখে টলমল পানি ।
অবাক ভাবে হায়রে মোহ মায়া কত লুক্কায়িত রয় এ জগত সংসারে । আজি যা যাবে ভাসি কল্য তা নতুন রুপে আর আসিবেনা ফিরে তবে কেন ? এত ছলনা ।
গাঁ ঝাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হতে যাবে ডাক আসে খোকা
বহু দিন ধরে সাধ ছিল ভাল কিছু খাই ,যা না একবার হাঁটে ,
অবশ্যই যাব মা কিন্তু কিযেন বেদনা বুকে / কিবলবে দেখে
লোকে ।
ভাইয়া যে যাই বলে বলুক তুমি না শুনে কানে , করিও বাজার সদায় ।
যা নাই আজ থেকে বহুদিন ঘরে ।
ছোট্ট আদরের বোন তার মুখ পানে চেয়ে কাছে টেনে লয় সহজে
ক্ষমা যে পাওয়ায় আমি যোগ্য নই । বোন সেতারা এই আমি
ধরলুম কানে ক বোন যদি ঘর ছেড়ে না কয়ে যাই আর কোনদিন
মুখে যেন বিধাতা সাথে সাথে ঢেলে দেয় বিষ ।
না ভাইয়া এমন অলুক্ষনে কথা আর বলনা । চল যাই মায়ের
কাছে ।
: চার
বাচা আজ থেকে শুন মোর বাসনা ।
দিন যাবে গড়ায়ে স্মৃতির পাতায় ততই ভাসবে ছবি , তোর বাপ জানের / সেই যে কবে কোন যুগে তাও মনে নেই ঘর ছেড়ে হয়েছিল বিভাগি আর ফেরেনি ।কতদিন কাটালুম পথ চেয়ে ,
আর পাষাণ মন রাখেনি মোদের মনে /নয়ত সে
থাক মা বাবার কথা আর নাই বা বললে । সামনের দিন কত যে
সংকট তা অতিক্রম করে পাড়ি দিতে হবে জীবন রথ ।
টিক বললি এখন শুধু মোদের অবলম্বন পুকুরের মাছ আর গাছের
শস্য । ধানি জমি রয় যৎসামান্য করতে হবে চাষ ।তবেঁই ঘুছবে
সারাবছরের খাবারের চাহিদা
নব উদ্দ্যমে লেগে পড়ে কাজে , চাচাছিল একজন সেও আজ বাড়ি
ছেড়ে শহরের বাসিন্দা । আগে মাঝে মাঝে খুজ লইত অনুক্ষন
এখন তাও বন্ধ কারন তাদের বড় লোকো আচরনে ওরা আসলেই
বাধা ।
আয় বাচা তোকে এক খানি জমি দেখাই । মা কার জমি এটা । আমাদের , তুই জমিটা ভাল করে দেখ আমি বাড়ি যাই রান্না বান্নার
আয়োজন করতে হবে যে ।
তাই মা সেই ভাল ।
জমিতে নামে অনিদ ।
এই পিচ্চি উটে এস আমার জমি হতে । কার পরামর্শে নামও ক্ষেতে ।
কাকা এজমি ত আমাদের মা যে কয় বাবা কতবার চাষ করে
ঘরে তুলত ফসল সারা বছরের সঞ্চয় ।
ছিল জমি তোমাদের টিক কিন্তু নিরুদ্দেশ হওয়ায় আগের দিন
জমি খানি মোর কাছে করেছিনু বিক্রয় যদি প্রমান চাও তাও দেব
চোখের সামনে মেলে ।
মৌন মুখে ঘরে ফিরে সে । মা কি ভজকট এত , জমি গেলুম নিড়াতে
ও পাড়ার মদনা কাকা কয় সে জমি নাকি তার , কবেই বাবা দিয়েছে
বিক্রি করে । সত্য নাকি
চুপ কর বাচা ও আসলেই একটা মস্ত বজ্জাত । তার জ্বালায় শেষ
তক তোর বাপ ছাড়ল ভিটে মাটি ।
মা ঘটনা তাহলে এই এদেশে কি নাই তার সটিক বিচার
বাচা অনেক শালিশ হল সব থাকে বিপক্ষ দলে / রাত ভর করাইত
অই বজ্জাত তাদের খানা দানা আর তর বাপ এসবের ছিল মস্ত
বাধা । তাইত নিয়তির এ পরাজয় ।
মা ভয় করিনা আমি আর কাউরে জানিও নিশ্চয়
একদরবেশ আমায় দেখিয়ে দিল সত্যর পথ যে পথে শুধুই শান্তি
আর পুড়ে ছাই হয়ে যায় যত মিথ্যুক ।
বাচা সেই ভাল
এখন থেকে হওয়া চাই খাঁটি এক সোনার মানুষ
জগত দেখুক দুখিনির ঘরে মহতের প্রদীপ শিখা জ্বলে
আর দূর হোক মিথ্যাছার যত ।
: পাচ
ছোট্ট মেয়ে জিজ্ঞাসে মাগো দাও বিছায়ে জায়নামাজ খানি এক্ষনি
আসিবে মসজিদের উস্তাদ জী ।
এইত আমি হাজির খুকি বেচে থাক অনেকদিন ।
আচ্ছা তবে শুনি নামায যদি না পড়া হয় কি হবে ।
মানে আল্লাহ্ হবে অখুশি , আর আল্লাহ যদি রাজি খুশি না থাকে
বান্ধার আমলনামায় বাড়বে পাপ । আর অধিকাংশ পাপি হবে
জাহান্নামি , তারা দুযখের আগুনে জ্বলবে শয়তানের সাথে অনন্তকাল ।
তাইলে শয়তান কে ?
গোনাহ করায় যে সেই শয়তান ।
তাকে আল্লাহ শাস্তি দেয়নি ?
দিয়েছে বহুবার , আদম আ ও হাওয়া আ আমাদের আদি জনক জননি । তাদের সম্মানে ফেরেস্তাগন আল্লাহর হুকুমে সিজদা দিল ,
কিন্তু শয়তান হুকুম না মেনে বেহেস্ত হতে বিতারিত ও দুযখের
আগুনে প্রজ্জলিত হল ।
শয়তান একদিন সুযোগ লয়ে বেহেস্তে আদম য় হাওয়া আ কে নিষিদ্ধ ফল খাইয়ে দিলেন ।
বেহেস্ত হতে তারা দুনিয়ায় চলে এল । আর শয়তান পিছু নিল ।
আল্লাহ ত শয়তানকে ইচ্ছা করলে মেরে ফেলতে পারতেন ।
অবশ্যই কিন্তু একদিন এই শয়তানই আল্লাহর খুব নেক্কার ছিল ।
তাই নাকি ,
হ হু, ৯লক্ষ বছর এবাদত বন্দেগি করে আবেদ মানে বেগুনাহগার
উপাধি পেয়েছিল । পৃথিবীর এমন কোন টাই নাই যে তার শিয়র
অবনত হয়নি ।
তাইলে তার কবল থেকে বাচার উপায় কি ?
তাকওয়া অবলম্ভন /আল্লাহুকে ভয় করা সদা সর্বদায় এবং তার এবাদতে মসগুল থাকা ।
আমরা কি কি এবাদত বন্দেগি করব ।
প্রথমে উত্তম রূপে কালমা পড়ব / নামায পড়ব / রোযা রাখব /
প্রয়োজন হলে হজ্জ , যাকাত আদায় করব ।
আমি দোয়ার জন্য আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠ মনে চাই তোমরা
আমিন আমিন বল কেমন ।
আচ্ছা /
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলের গোনাহ মাফ কর এবং শয়তানের ধুকা হইতে বাচাও , এবং আমাদের কে তার দুস্ত নবী মোহাম্মদ সা এর উম্মত হিসাবে জান্নাতে দাখিল করিও আর যারা
পথ ভ্রষ্ট তাদের হেদায়েত দাও । বস্তুত তুমিই আমাদের মহান প্রভু
এবং পরম দয়ালু । আমিন আমিন
আমিন
বাবু গায়ে কাদা মেখে তুমি কোথায় থেকে এলে
ইমাম সাব গাছের চারা লাগিয়েছি ।
ভাল খুব ভাল এটাও একটা সবচেয়ে বড় এবাদত এবং নবীজীর ছুন্নত বিশেষ ।
তাই নাকি , হু দয়াল নবীজী সাহাবা গন কে প্রায় সময় গাছ লাগানোর তাগিদ দিতেন / এবং সাহাবাগন জিজ্ঞেস করতেন ইয়া
রাছুলুল্লাহ কি কি জাতের গাছ লাগাব ।
নবীজী বলতেন ফলজ তোমাকে খাদ্য ও ছায়া দিবে । বনজ তোমার ঘর মেরামত ও জ্বালানী দিবে । এবং ঔষধি
তোমার বিমার হলে বৃক্ষ পাতা ,রস , ফল সবি তোমাকে আরোগ্য দানে কাজে লাগবে ।
নবীজী নিজেও মক্কা ও মদিনার বহু স্থানে গাছ লাগিয়েছিলেন ।
তার রহমতের ছোঁয়ায় অল্প বয়সি গাছে থুকা থুকা অজস্র ফল
ধরিত । ছুব হান আল্লাহ ।
ছয়
ঘর ছাড়ার ডাক মনকে কিছুতেই না বুঝাতে দিয়ে আবারও
প্রয়োজনীয় জিনিস পত্তর গোছিয়ে বেরিয়ে পড়ে অজানায় ,কোথায়
গন্তব্য সে দিশ নেই তার ।
যেতে যেতে বহুদূর চলে আসে , কিন্তু আজব একটা মানুষ কি জন প্রানির নাম মাত্র নাই শুধুই শুন্যতা । সামনে বিশ্রিত প্রান্তর রোদেলা আকাশে সোনা ঝরা রোদ টিকরে পড়ে অনাবৃত মস্তকে
শরীরে ।
ঘাম ঝরে গায়ে । পায়ের নিচে তপ্ত মরুর বুকে যেন লেলিহান আগুনের নিশ্বাস । দু একটা লু হাওয়ার ঝটিকা আসে শ শো শব্দে
মুখ শুকিয়ে ঈষৎ খুদপিপাসার জানান দিচ্ছে , না থামলে চলবেনা ,
যদি সন্ধ্যা প্রদিপ নিভে যায় তাহলে যে রক্ষে নেই ।
মানস চক্ষে ভাসে বেদুইন কাফেলার সারি সারি উটের বহর ।
এই নিশ্চয় সেই দেশ , যে দেশে নুর নবী হজরত মোহাম্মদ সা কাটিয়ে ছিলেন শৈশবের প্রিয় মুহুরথ গুলু ধাত্রি মাতা হালিমার গৃহে ।
এইত দেখা যায় ধুসর পাহাড়ের মায়াবি ছায়া । রাখালেরা কতক
ছরাইত মেষ , আর শিশু নবী মুক্ত আকাশের পানে তাকিয়ে কি যেন খুজতেন / কি যেন রেখে এসেছেন ভুল করে সেথা । বারে বার চোখ মেলে দিতেন কি আকাশেরেই পথ নির্দেশ ।
সে অনেক কথা , এই ত খেজুর বাগান । ধিরে ধিরে জগতের রঙ
পরিবর্তন হয়ে এল আকাশে এখন চাঁদ তারার মৃদু ঝলকানি ।
হটাত বিস্ময় টেকে কোথায় মরু পাহাড় আরবের লু হাওয়া সম্মুখে শুধু জল আর জল যেদিকেই দিষ্টি যায় অবারিত নিল জলরাশি , যেখানে দ্বারীয়ে সেথাও জল , উপায় তাহলে কি কাল
কেয়ামতের সময় ।
নাকি পুলছেরাতের কটিন ক্রান্তি লগ্ন । যার নিচে প্রবাহিত দুযখের অগ্নি নহর ।কটিন পরীক্ষার সম্মুখীন সে আজি মুখ তুলে
আকাশ পানে হে খোদা সব যদি তোমার দয়ার অনুগ্রহে চলে
তাইলে এই অধম বান্ধা কেন তোমার দয়া থেকে বঞ্চিত হবে ।
দরবেশের কথাখানি তার মনে পড়ে বার বার তাই উচ্ছারন করে
নিমিসেই সমাধান ।
পানি ভেদ করে এক রেল লাইন দেখে দূর হতে দূরে মিলায় গিয়ে
আকাশের সনে । বাস্প ইঞ্জিনের তুলকালাম প্রচণ্ডতায় কেঁপে উটে তার পরান খানি । জীবনে এত যাত্রি দেখেনি সে কোণ দিন
সবার চোখে মুখে যেন আতঙ্ক , নিশচয় এমন কিছু যার সম্ভাব্য
উত্তর মিলবে কি আউদু ।
..
: সাত
খোদার নাম লয়ে সহস্র বার উটল সে গাড়িতে । পরিচিত মানুষের
মুখ দেখে কৌতূহল জাগে মনে ।
এত বাস্তব হবার নয় , যাদের সনে তার মিতালি ছিল ,কথা ছিল ,
অনেকদিনের কেহ চাচা ,কেহ নানা , কেহ পড়শি বন্ধু
সেই কবেই অরা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে / ওমা কচি কচি খুকি
দুলি কত ভাব ছিল তার সনে , একদিন সবার অলক্ষে পুকুরের
জলে নেমে সেইযে পানির তলদেশ আবিস্কার করতে গিয়েছিল আর
ফিরেনি । আজি কোন এক অজানার বাকে তারা হল সাথি ।
জোরসে দুলে উটে , আজব বাহন খানি আবার ও আওয়াজ আসে
কানে লাইলাহা ইল্লা আন্তা ছুবাহান >
নিমিষেই আবাক কাণ্ড । জলসাগর নেই এমন এক মায়াপুরি ।
এত সুন্দর ঝলমলে কারুকাজ আর মখমলের চিত্রিত সোনা হিরে
দিয়েমোরা পথ জগতের কোথাও ছিল বা নাই তার ধারনার বাইরে । বাগানের শাহি গন্ধ মনকে আমোদিত করে । যেদিকে দুচোখ যায়
বিশ্রিত রাজ্য জুড়ে প্রশান্তির এক অনন্য সম্ভার আর চাই বা কি আর নিশ্চয় বেহেস্তের কুঞ্জ ।
সম্মুখে মেলে পাখা শুধু উড়িবার সাধ , যেই পাখানি তুলে এগুনোর
মতলব আরও ধা ধা এসে জট লাগে মনে ।
সম্মুখ প্রান্তরে তিন টি রয় পথ খোলা । সব কটা পথেই একই মায়ার টান কোন পথে যাবে তবে কি এখানেই হবে জীবন চলার
বিসময় অগ্নিপরীক্ষাখানি ।
বামের রাস্তা ধরে ছুটে টিক করে মন , আজব লক্ষ কোটি কুকুরের
দল , কুকুরের গাড়ি যানবাহন , সব কিছু করিছে ওরাই নিয়ন্ত্রন ।
শুধু মানুষ রূপী এক ।
আট
প্রত্যাক টি কুকুরের গাঁয় অগ্নি শিকল তবে কি এরা পাপিষ্ঠ ।
আর এগোনো টিক নয় । বিব্রত পথিক আবার সস্থানে আসে চলে ।
আবার টিক করে নেয় বিবেক এবার পরাজিত হলে চলবে না ।
গন্তব্য খুজে ছুটে চলে ডান দিকে । আহা কি মায়া জাল রাস্তার
উভয় পার্শে সারি সারি অজস্র ফুলের বাগান । এত বড় ফুলের পাপড়ি যে দুচারটা ঘর তা দিয়ে ছাওনি সম্ভব ।
এত বড় প্রজাপতি যে শত শত বাজপাখি একসাথে জুড়া লাগালেও
একটার সমান হবেনা । আরও আশ্চ্রয্য হাঁটার গতি কম হলেও
ট্রেনে ছড়লে যেমন হয় , বাড়ি গাড়ি জনপথ দৃশ্য পটে পেছন দিকে
দৌড়ায় এখানেও অবিকল ।দাড়িয়ে থাকলেও তাই ।
যাই ঘটুক ভয় ফেলে চলবেনা । এর শেষ দেখা চাই ।
একটা মুক্ত প্রান্তর , একটা বিরাট গাছে একটা মানুষ ,এই প্রথম
দেখে পেলুম সজাতি তাও বীভৎস ব্যপার । শরীর রোমাঞ্চিত হল
গাছের সাথে বড় বড় প্যেরেক দিয়ে গাঁথা । তাহলে নিশ্চয় মরে
ভুত হয়ে গেছে । না জবাব এল সাথে সাথে একটা অদৃশ্য আগুনের
শিখল ঘিরে ধরল থাকে আর বিকট চিৎকারে মানুষটি বিহবল ।
আরেকটুঁ সামনে আরও বিস্ময় একজন মানুষ প্রানির মত উল্টো
ভাবে জুলানো বেদিতে । কয়েকটা অদৃশ্য হাত তার জিব্বা টেনে
বের করে ম্যাটিতে আগুনের তরবারি দিয়ে পশুর মত ঘসছে মুখ
থেকে আলাদা করার জন্য । হায় আরও কি আশা করব ভাল
পিছন ফিরে দেব ছুট তাও হলনা সম্ভব আর ভারি কিছু যেন
ঘিরে ধরল ছেপে নিজেকে ।
চোখ খুলে এবারো আজব দেখি এক মহিলা তার শরীরে কম পোশাক । উলংগ মাথা । দুই খুঁটির মধ্যখানে শিকল দিয়ে বাধা ।
মাথার উপরে নখর অয়ালা এক বাজপাখি । টুকরে টুকরে খাচ্ছে
মহিলার মগজ কি অপরাধে এহেন শাস্তি ।
আমার মনে পড়ে যায় কাল কিয়ামতে এমন ভীষণ আজাব আসবে
যারা পাপি তাদের । তবে কি দেখি ।
আরে সবনাশ এইত দুর্নীতি ঘুসখুর লেখা কপালে । পেট টা ডোলের মত বড় তার ভিতরে অসংখ্য সাপ বিচ্ছু কিলবিল কড়ছে ।
খুবলে নিচ্ছে গাঁয়ের মাংস , আর তার বিকট চিৎকারে নরকের
যত পাপি দাত খেলিয়ে বলছে । তোকে খামড়ে খায় তোর অবৈধ
ধন সম্পদ । তারাই সাপ বিচ্ছু । আমাদের শাস্তি তোর চাইতেও
অনেক অনেক কম / আর সহ্য হলনা একটা থু থু ছি ট্যাব সেটাও
মুখ থেকে বের হয় নি বড় ক্লান্তি লাগে । তবে কি এই সেই
নবীজীর ভবিষ্যৎ বাণী ফলে গেল দিব্বি
:
নয়
এই ছেলে ভোর হল যে , বিছানায় সেই কবে থেকে মুখে বিশ্রি
আওয়াজ নিশ্চই দুঃস্বপ্ন , উট উট বাচাধন , মায়ের ধাক্কায় ঘুম থেকে
জাগে অনিদ ,।
তাই তো ভুলেই গিয়েছিলাম আমি সব , ইস আফছুস
ধমকে উটে মা এই ফাজিল স্বপ্ন তোঁ স্বপ্নই তা নিয়ে আফছুসের কি / নাস্তা পানি খেয়ে জলদি বাজারে যা ঘরে যে কিছুই নাই ।
টিক বলেছ আমার তো খেয়ালেই ছিলনা ।
দাত মাঝতে মাঝতে পুকুর পাড়ে চলে আসে সে , তখন বৃক্ষ লতা ঝোপের আড়াল থেকে পূর্ব আকাশ রাঙ্গা করে সদ্য কুসুমিত সূর্য বলয় আবির রঙ্গ ধারন করে উঁকি দেয় সোনালি জুতি টিকরে বেরুয়
জগতের বিশালতার মাঝে ।
ও পাড়ার রহিম চাচা পাশের নদী থেকে মাছ ধরে বাড়ি ফিরে ,
কিরে চান্দু ঘর থাইকা বাহির অইছিলে তোর বাপের খুজ পাইছস
না চাচা , হেরে খুজতে গিয়া বিপদে পড়ছিলাম ,
এক দরবেশ বাবা আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেয় ।
তাই নাকি , ভালা কথা তা বাবা এখন কি সিদ্ধান্ত নিলায় , বাড়িতে
কি মন টিকবে না আবার তোমার মাকে ফেরেশানির মধ্য ফেলে
উদাও হয়ায় চিন্তা ভাবনা ।
না চাচা সে ভুল আর ২য় বার আমার হবেনা ।
শুন মিয়া আমি কই , মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত , এখন থেকে
তার আদেশ মেনে চলবে , দেখবে বাবা জিবনে কোথাও টেকবানা ।
আর একমাত্র ছোট বইনেরে স্কুলে পড়াবি , দেখবে ভবিষ্যতে কাম
অইব ।
জি চাচা আমার জন্য দোয়া করেন ইনশাল্লা তাই যেন হয় ।
শুন তোমার বাপ আর আমি একসাথে জীবনের বহু সময় কাটিয়েছি ,
খুব ভাল মানুষ আছিল , আর মিথ্যা ধুকাবাজি এইসব পছন্দ করতনা
বাইচা থাকলে নিশ্চই ফিরা আইব ।
কথা কয়টি উগ্রে দিয়েই হন হন করে চলে যায় রহিম কাকা ।
একটা ঝাপসা স্মৃতি এখন ও আবিরের নয়নে লেগে রয় , সেই দুঃস্বপ্নের বিচরন । দুটি রাস্তাদিয়ে গমনের অজানা কাহিনী ভেসে উটে হৃদয়ে , কিন্তু ৩য় রাস্তা দিয়ে যে আর যাওয়া হয়নি , তবে
ঐ পথে গমনকরলে না জানি আরও কত আচানক দৃশ্য ভেসে উটত।
ভয়ংকর শিহরিত লোমশ খাড়া শরীরে ভয় ডুকে যায় ।
অই ভাইয়া তরে খুইজা আমি হয়রান , মায় ডাকে
চল বাজারে যাবিনা , আইজ আমি স্কুলে যামু
ঐ দেখ পাগলী লতা কেমন কইরা চাইয়া রয় ।
ধ্যান ভেঙ্গে , ধমক লাগায় বোনকে যা আমি এক্ষুনি আসব ,
লতা দৌড়ে বাড়ি ফিরে ,
এবার নজর চলে যায় পুকুরের ঐ পাঁড়ে একি সাদা রেশমের শাড়ি
পড়ে আয়াত নয়নে রাজ্যর বিস্ময় নিয়ে সেথা দাঁড়িয়ে সেই ছবি
সেই মুখ , সেই হাসি মাখা চাদের জোছনায় আঁকা প্রিয়মুখ ,
অজান্তেই বুক ফেটে চিৎকার দেয় অনিদ , প্রিয়তা ।
: দশ
কি সব আবুল তাবুল কথা , প্রিয়তা সে আবার কে , কার নাম
অবাক চাহিয়া সুধায় অনিদ , তবে তুমি তার মত রুপ ধরে আছ যে ।
কার মত কে সে
আমি তো লতা ।
রাজ্যর বিস্ময় ঝরে তার দুচোখে , সেই হাসি সেই কথা সেই ভঙ্গি
নিজেকে প্রবোদ দেয় সে নিশ্চই এখনও আমি স্বপ্নের মধ্য আচ্ছা
লতা আমাকে ছিমটি কেটে দেখত আমি কি সজাগ না ঘুমে ।
লতা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পানিতে ।
এই কর কি >
একজুড় নাম না জানা পাখি হটাৎ উড়ে যায় ওদের গা ছুয়ে । দেখ তো অনিদ কি সুন্দর পাখি , এস ওদের মত কোথাও উড়ে যাই , হারিয়ে
যাই স্বপ্নের কোন ঠিকানায় ।
২য় খণ্ড চলবে
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সময়ে অবশ্যিই দেখা মিল্বে
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
বেলা শেষে বলেছেন: ...yes you have a lot great writing, great Poem, many of them very good quallity. Yor are a super Artist- beautifu art.
Very good works. I respect you....
...up to next time....
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ
শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪১
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: ভালো লাগল
২য় খণ্ড কই ?