নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহম্মদের অনবধ্য সাহিত্য কর্ম শ্রেষ্ঠ চরিত্র হিমুকে নিয়ে কবিতা

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৬

হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে

কবিতা



*****

******** ** : জীবনের হিসাব মিলাতে চল যাই হিমু সেজে

এম , জি, আর , মাসুদ রানা





মহাকাব্য লিখতে বসি নিঝুম রাতে একা

আঁখি মাঝে ভাষার ঝালর নাছে স্বপ্ন কেকা ।

বাঁশ বাগানে জুনাক জ্বলে ভাসে আধার রাতি

সন্ধ্যা ক্ষনে নিভিয়ে রাখে দুঃখ বুড়ীর বাতি ।

সারাদিন মান ছুটে খেটে যা করে সঞ্চয়

নেয়না কেউ খবর একলা রাধে খায় ।

নেড়ি কুকুর বুড়ীর সাথি সেথা রয় পড়ে

ধুলুবালি শুকনো পাতা ঘরটি নড়ে বড়ে ।

বাসন কুশন সেই আমলের মান্দা জীর্ণ অতি

বাকা ডালের লাটি ছাড়া নেই যে চলার গতি ।



মজার বিষয় হিমু একদিন সে ঘরে গিয়ে

ডাকলে আছ কেহ যাই একটু জিরায়ে ।

বুড়ি অবাক মহানন্দে অথিতি এক খাসা

নিশ্চয় স্বর্গ দুত এবার পুরাবে মনের আশা ।

শুন দুত ভাঙ্গা কুটির এমন দশা ছিলনা মোর

বাড়ি ভরা মানুষ ছিল আর অভিজাত ছিল ঘর

বাবা ছিল শৌখিন অতি দৌড়াত টাট্রু ঘোড়া

মা ছিল বুদ্ধিমতি একাই সরব রাখত পাড়া

ভাইয়েরা ছিল বীর কেশরী উচু বুকের পাটা

কেঁউ ছিলনা জুড়ি তাদের সব থাকত ভয়ে সাঁটা ।



হিমু কহে অহে বুড়ি বকছ আমায় পেয়ে

কান ধরেছি ভুল হবেনা গেলাম দিক হারিয়ে

বনে বনে ঘুরে ঘুরে কতই খেলাম চেকা

অবশেষে মিলল এসে আচ্ছা তোমার দেখা ।

যদি পার উদ্ধার কর দিয়ে ঘটা জল

দম বুঝি আটকে গেল খেয়ে শুকনো ফল ।

বিশ্বাস হয়না এই দেখ জামা ছেড়া কাঁটার গাঁরে

সাথিরা সব আমায় ফেলে ফিরল কলের নায়ে

আমি কবি আঁকতে ছবি বেড়াই মুক্ত মনে

আখির পাতায় আঁকা যা লিখি অনুক্ষনে ।



বুড়ি কহে আশা ছেড়ে ভেঙ্গে এহেন ভুল

লেখক তুমি উদাস কেন ? আউলা মাথা চুল

দিক চিনাবে নব নবীনের স্বপ্ন জ্ঞান জ্বেলে

দিক ভুলে সেই তুমি ভাঙ্গা কুটিরে এলে

একটু হাওয়ায় ঘর উড়ে যায় আবার তা বাধি

এমনি করে কতদিন কাটালুম একলা নিরবধি

বৃষ্টি এলে ভিজে যাই কভু থাকি ঝাঁকড়া ঝুপে

মশায় খায় শিতে ভুগি অধর কভু কাঁপে ।

বনের পশু মাঝে মাঝে দিয়ে দেখা ছুটে

উদাস হাওয়া ফুল পাখিরা তাই দেখে মজা লুটে ।



হিমুর পিপাসা উভে গেল শুনে বুড়ির ব্যথা

আবার কহ সেই সে দিনের সুখের যত কথা ।

দুচোখে জল টলমল কহে বুড়ি বাবা তুমি বাঁচ

বহুদিনের পরম আত্মীয় যেন খেই হারিয়ে নাচ ।

সেই সে দিনে এই বুড়ী থাকত কত নয়ন মাঝে

মিষ্টি কথা কইত কেহ ভাবুক রাঙ্গা লাজে

পথের যুবা শিস দিত শুনায়ে গানের কলি

নিত্য যেতাম পাটশালায় হেথা জ্ঞান প্রদিপ জ্বালি

আসবে কবি এক গুনিজন বিদ্যালয়ে জেনে

সাজিয়ে দিলাম সারাটি গাঁ মোরা মিলে কজনে ।



ভাষা জ্ঞান স্মৃতির আল্পনা হিমু শুনে ভাবে

এমন মানুষ কেমন হল না বুঝি তবে ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.