![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
অথিতি অতঃপর
***************
অনেক অনেক পথ অতিক্রম করে পথিক
আবিস্কার করল একটা নদী । সম্মুখেদিগন্ত জুড়া নয়নাভিরাম
পাহাড় সারি । যেন চুম্বকের মত টানছে । পানি কত
টুঁকুই বা হবে , নেই খেয়া নেই পারাপার উপায় খুজে না পেয়ে
নদী তীর ঘেসে ছুটে সামনের দিকে , আকাশে তখনও শেষ
বিকেলের গুধুলি লগ্ন । একঝাক অচেনা পাখি শো শো করে
মাথার উপর দিয়ে ডানা ঝাপটায় অবারিত গন্তব্য ।
একটা মেয়েলি সুর কানে আসে রিনিঝিনি বৃষ্টির ছন্দের মত ।থমকে দাঁড়ায় পথিক , গাঁড় বাকিয়ে বামের ছোট্ট ঘরটির জানালায় দৃষ্টি
আটকে যায় , কিশোরীর সুন্দর লাবণ্যময়ী মুখশ্রী তার হরিণ কাল
চোখে রাজ্যর যত বিস্ময় । পরনে শাড়ি তাও গেরুয়া বসন
মাথায় গুজা সদ্য ফুঁটা জুঁই ।
গান কবে থেমে যায় সে খেয়াল হল যবে ,তক্ষনি ডাক শুনে কানে
কে গো তুমি পথিক , বুকে সাহসের সঞ্চিত কনা উগ্রে পথিক বললে জি হ্যা,
মানে আমি অনিদ , যাচ্ছিলুম পথ ধরে বহুদূরের ঐ যে পাহাড় আছেনা, যাব সেথায় । সন্ধ্যা যে গনায় মনের মধ্য তুল পার যদি
সে নদী পেরিয়ে ছুটি ভুল টিকানায় । চাদের হাসি ফুটে বালিকার টুটে
চাহিয়া অবাক , ভয় নেই পথিক ঊষার লগ্নে পথটারে দেব চিনায়ে।
আজি হও মোর ভাঙ্গা কুটিরের এক নব অথিতি ।
মেয়েটি জলতুলে আনে নদীর ঘাট থেকে , তাও বেলা নিকষ গুট গুটে আধার
নামে রাজ্য জুড়ে । আকাশে পঞ্চমীর চাঁদ ঘুমটা খুলে অবারিত
দিপ্ত আলোক মেলিয়া জগত মাঝে । ঝুপঝারে অনাহুত পাখিদের
ডানার জটপটানি , সারাদিন মান করে অভিযান এইত তাদের
বিশ্রামের আয়োজন ,
আর অথিতি তুলে ঘরে মেয়েটি ভাবে , লাজ রাঙ্গা আবিরে সে নিজেই ব্যকুল । হায়
ঘরে নাই তার দুমুটুঁ অন্ন ,কতদিন গেল বিবেকের সাথে যুদ্ধ করিয়া
কার মায়ায় ,কিসের টানে রয় সেথা পড়ে ।
পথিক বাহিরে দাঁড়াইয়া ভাবিয়া সাড়া নদীর কল কল জল কত দিন ব্যপি
নিরন্তর বহমান । তার পার্শে কিশোরীর ছোট্ট ঘরখানি যদি
উচ্ছন্নতায় হয় শিকার ভেঙ্গে যায় কোন একদিন ঝড়ে , কোঁথায়
মিলিবে আশ্রয় ।
ভাবিতে না ভাবিতে মেয়েটি জল ভরা কলসি লয়ে হাজির , মৃদু
সম্মুধন , পথিক এই লও ঘটি , চোখে মুখে জল ছিটায়ে একরাশ , তবে এস ঘরে ।করিগে
রান্না বান্না , মিটাতে ক্ষুদা নিবারন ।
কলসির জলের ছলাত ছলাত শব্দতিও আজব মনে হয় তার । এমন অচেনা অথিত ত আর কখন ও সে সাজেনি, । তবে আজি তাও হল
পুরন ,।
স্যাত স্যাতে উলুর বিছানায় বসে পথিকের চোখ জুড়িয়ে যায় । যাকিছু রয় ঘরের
ভেতর সবই পরিপাটি । ছিমছাম যতনে বসা যে কুশনে তাও কোমল হাতের
ছোঁয়ায় সুন্দর , মনে হয় নিজেকে কোণ স্বপনের ভুবনে ।
আচ্ছা পথিক যদি জানিবার চাও কেন একা থাকি নির্জনে । উত্তর
নাহি মিলিবে , তবুও শুন কিঞ্চিত। এই প্রথম এখানে কোন মানুষের সনে আজি আলাপন ,এতদিন শুধু চোখের ভাষা ছাড়া
আর ত হয়নি কারও সনে সাক্ষাৎ । আপন মনে মেয়েটির কথায়
অবাক হয় অথিতি ।
চমক লাগে পথিকের , একি স্বপ্ন না বাস্তব ভেবে হয় সাড়া । তবে কি সে
পরি না স্বর্গের অস্পরা ।
কথা নেই কেন পথিক , শুধু কি আমিই যাব কথা কয়ে ।ভয় পাও
মোরে যখন চিনিবে আর ফিরিবেনা মন যেথায় যাবে ,বারবার ছুটে
আসিবে ঘ্রানে ।
তবে কি তুমি ফুল ।
এইত সাবাস ফুল হই আর মানুসই হই আমি নই কোণ ছলনাময়ী
যদি প্রস্ন হয় মনে আরও উদয় । , সহজে মিল্ বেনা যা চাই জানা,
আপনার চেষ্টায় যদি নাও জেনে সুত্র খুজতে এস , রাত্র ও ঘনিয়ে
এল হাওয়া খাবে চল যাই নদীর দ্বারে ।
মনে মনে প্রমাদ গুনে পথিক / লক্ষ তারার মিটি মিটি হাসি নীল আকাশের কুঞ্জে , তবুও মন শান্ত নয় কেন ? একি রহস্য অগ্নি পরীক্ষা, জিততে যে হবেই থাকে , তবে কিভাবে । যা হয় মনে কথা যখনি
ভাসবে ঠোঁটে, মুখরা রমনি তাই কহে আগেভাগে, এর কি বা হবে
সমাধান , মহা বিপাকে পড়ে আজি প্রভাত যদি হত এক্ষনি টুটে
পালাত সে ছিঃরে ক্ষনিকের মায়ার বাধন । কি আশ্চর্য যদি মোর
এ কল্পনাটুকুও জেনে যায় দৈব বলে তার চেয়ে এই ভাল হয়ে থাকি চুপ । পথিক নিরবে ললনার মোহে আজিকায় শুধুই নিরব
শ্রুতা । কে এই ললনাময়ি ।
পানাহার শেষে ভাবতে ভাবতে এক সময় রাজ্যর ঘুম নেমে আসে
চোখে অনিদের ।।
দুই ।
পথিক উট এই দেখ সেই প্রভাত , যে প্রভাত ফিরে পেতে রাতে
করেছ বাসনা মনে ।
আর এই লও জল , মুখ ধুয়ে এস করিগে তোমার গন্তব্য পৌছার শুভ
আয়োজন ।
মনের সব কুহেলিকা ঝেড়ে দিগুণ শক্তিতে জ্বলে উটে সে , আমিও
কি দৈব মানব নই তার চাইতে কম কিসে , আজি যে কথা শুনতে
পাই প্রভাত শিয়রে তা ত ধারনা করেছিলুম অনেক অনেক আগে ।
এবার শুরু হয় তার যাত্রার প্রস্তুতি । রমনি তোমায় মনে হয় আমি
অনেক অনেক জনম থেকে চিনি ।
মুখে কথা নাহি ফুটে তার বিস্ময় জাগে এই পরিবর্তন কিভাবে হল
তবে কি কৃতিত্ব সবি আমার ।
রমনি কহিল , যাহা ভাব মনে অনুক্ষনে যদি একবার মোর নামখানি জুড়ে সুরে ডাক তবেই সুখ পাই এই অথিতিসেবার ।
কিন্তু কিনামে ডাকি সখি জগতে ত বহুল প্রচার এ ডাকে নাহি তৃপ্তি
প্রিয়তা / বাহ আজি প্রথম কারও সনে ধুলির আসনে শুনিবার পাই
তোমার মুখে আমার সে নাম খানি ।
জানি আর কভু দেখা নাহি হয় দুজনাতে ।এই প্রেম শেষ এই প্রেম
গভীর জানি সুচনাতে ।
এই লও চিনে সুত্র খুজে যদি আবার এস তবে হারাতে হবে মুল
সঞ্চয় , জানিও সেই দিনের অপেক্ষমাণ পথ টুকু বড় সন্নিকটে নিশ্চয় ।
প্রিয়তা এস তবে সেই দিনের অপেক্ষায় শুরু হোক পথচলা
সেই ভাল এই দেখ ঘন কাল মেঘ । অনিদ বিদায়
চলবে
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
সোজা কথা বলেছেন: এ প্রেমের যেন শেষ না হয়,তা যেন সুচনার মতোই গভীর হয়!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হবে তবে সময় লাগবে ,ধন্যবাদ
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আর কত চলবে? এদের মিলন ঘটাইয়া দেন ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এত তারাতারি , দেখা যাক কিভাবে সম্ভব
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১২
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: sundor (bondhu masud rana)