নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস , অথিতি অতঃপর

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৮



অথিতি অতঃপর

***************



অনেক অনেক পথ অতিক্রম করে পথিক

আবিস্কার করল একটা নদী । সম্মুখেদিগন্ত জুড়া নয়নাভিরাম

পাহাড় সারি । যেন চুম্বকের মত টানছে । পানি কত

টুঁকুই বা হবে , নেই খেয়া নেই পারাপার উপায় খুজে না পেয়ে

নদী তীর ঘেসে ছুটে সামনের দিকে , আকাশে তখনও শেষ

বিকেলের গুধুলি লগ্ন । একঝাক অচেনা পাখি শো শো করে

মাথার উপর দিয়ে ডানা ঝাপটায় অবারিত গন্তব্য ।



একটা মেয়েলি সুর কানে আসে রিনিঝিনি বৃষ্টির ছন্দের মত ।থমকে দাঁড়ায় পথিক , গাঁড় বাকিয়ে বামের ছোট্ট ঘরটির জানালায় দৃষ্টি

আটকে যায় , কিশোরীর সুন্দর লাবণ্যময়ী মুখশ্রী তার হরিণ কাল

চোখে রাজ্যর যত বিস্ময় । পরনে শাড়ি তাও গেরুয়া বসন

মাথায় গুজা সদ্য ফুঁটা জুঁই ।



গান কবে থেমে যায় সে খেয়াল হল যবে ,তক্ষনি ডাক শুনে কানে

কে গো তুমি পথিক , বুকে সাহসের সঞ্চিত কনা উগ্রে পথিক বললে জি হ্যা,

মানে আমি অনিদ , যাচ্ছিলুম পথ ধরে বহুদূরের ঐ যে পাহাড় আছেনা, যাব সেথায় । সন্ধ্যা যে গনায় মনের মধ্য তুল পার যদি

সে নদী পেরিয়ে ছুটি ভুল টিকানায় । চাদের হাসি ফুটে বালিকার টুটে

চাহিয়া অবাক , ভয় নেই পথিক ঊষার লগ্নে পথটারে দেব চিনায়ে।

আজি হও মোর ভাঙ্গা কুটিরের এক নব অথিতি ।



মেয়েটি জলতুলে আনে নদীর ঘাট থেকে , তাও বেলা নিকষ গুট গুটে আধার

নামে রাজ্য জুড়ে । আকাশে পঞ্চমীর চাঁদ ঘুমটা খুলে অবারিত

দিপ্ত আলোক মেলিয়া জগত মাঝে । ঝুপঝারে অনাহুত পাখিদের

ডানার জটপটানি , সারাদিন মান করে অভিযান এইত তাদের

বিশ্রামের আয়োজন ,



আর অথিতি তুলে ঘরে মেয়েটি ভাবে , লাজ রাঙ্গা আবিরে সে নিজেই ব্যকুল । হায়

ঘরে নাই তার দুমুটুঁ অন্ন ,কতদিন গেল বিবেকের সাথে যুদ্ধ করিয়া

কার মায়ায় ,কিসের টানে রয় সেথা পড়ে ।



পথিক বাহিরে দাঁড়াইয়া ভাবিয়া সাড়া নদীর কল কল জল কত দিন ব্যপি

নিরন্তর বহমান । তার পার্শে কিশোরীর ছোট্ট ঘরখানি যদি

উচ্ছন্নতায় হয় শিকার ভেঙ্গে যায় কোন একদিন ঝড়ে , কোঁথায়

মিলিবে আশ্রয় ।



ভাবিতে না ভাবিতে মেয়েটি জল ভরা কলসি লয়ে হাজির , মৃদু

সম্মুধন , পথিক এই লও ঘটি , চোখে মুখে জল ছিটায়ে একরাশ , তবে এস ঘরে ।করিগে

রান্না বান্না , মিটাতে ক্ষুদা নিবারন ।



কলসির জলের ছলাত ছলাত শব্দতিও আজব মনে হয় তার । এমন অচেনা অথিত ত আর কখন ও সে সাজেনি, । তবে আজি তাও হল

পুরন ,।

স্যাত স্যাতে উলুর বিছানায় বসে পথিকের চোখ জুড়িয়ে যায় । যাকিছু রয় ঘরের

ভেতর সবই পরিপাটি । ছিমছাম যতনে বসা যে কুশনে তাও কোমল হাতের

ছোঁয়ায় সুন্দর , মনে হয় নিজেকে কোণ স্বপনের ভুবনে ।



আচ্ছা পথিক যদি জানিবার চাও কেন একা থাকি নির্জনে । উত্তর

নাহি মিলিবে , তবুও শুন কিঞ্চিত। এই প্রথম এখানে কোন মানুষের সনে আজি আলাপন ,এতদিন শুধু চোখের ভাষা ছাড়া

আর ত হয়নি কারও সনে সাক্ষাৎ । আপন মনে মেয়েটির কথায়

অবাক হয় অথিতি ।



চমক লাগে পথিকের , একি স্বপ্ন না বাস্তব ভেবে হয় সাড়া । তবে কি সে

পরি না স্বর্গের অস্পরা ।



কথা নেই কেন পথিক , শুধু কি আমিই যাব কথা কয়ে ।ভয় পাও

মোরে যখন চিনিবে আর ফিরিবেনা মন যেথায় যাবে ,বারবার ছুটে

আসিবে ঘ্রানে ।



তবে কি তুমি ফুল ।



এইত সাবাস ফুল হই আর মানুসই হই আমি নই কোণ ছলনাময়ী

যদি প্রস্ন হয় মনে আরও উদয় । , সহজে মিল্ বেনা যা চাই জানা,

আপনার চেষ্টায় যদি নাও জেনে সুত্র খুজতে এস , রাত্র ও ঘনিয়ে

এল হাওয়া খাবে চল যাই নদীর দ্বারে ।



মনে মনে প্রমাদ গুনে পথিক / লক্ষ তারার মিটি মিটি হাসি নীল আকাশের কুঞ্জে , তবুও মন শান্ত নয় কেন ? একি রহস্য অগ্নি পরীক্ষা, জিততে যে হবেই থাকে , তবে কিভাবে । যা হয় মনে কথা যখনি

ভাসবে ঠোঁটে, মুখরা রমনি তাই কহে আগেভাগে, এর কি বা হবে

সমাধান , মহা বিপাকে পড়ে আজি প্রভাত যদি হত এক্ষনি টুটে

পালাত সে ছিঃরে ক্ষনিকের মায়ার বাধন । কি আশ্চর্য যদি মোর

এ কল্পনাটুকুও জেনে যায় দৈব বলে তার চেয়ে এই ভাল হয়ে থাকি চুপ । পথিক নিরবে ললনার মোহে আজিকায় শুধুই নিরব

শ্রুতা । কে এই ললনাময়ি ।

পানাহার শেষে ভাবতে ভাবতে এক সময় রাজ্যর ঘুম নেমে আসে

চোখে অনিদের ।।





দুই ।



পথিক উট এই দেখ সেই প্রভাত , যে প্রভাত ফিরে পেতে রাতে

করেছ বাসনা মনে ।



আর এই লও জল , মুখ ধুয়ে এস করিগে তোমার গন্তব্য পৌছার শুভ

আয়োজন ।

মনের সব কুহেলিকা ঝেড়ে দিগুণ শক্তিতে জ্বলে উটে সে , আমিও

কি দৈব মানব নই তার চাইতে কম কিসে , আজি যে কথা শুনতে

পাই প্রভাত শিয়রে তা ত ধারনা করেছিলুম অনেক অনেক আগে ।



এবার শুরু হয় তার যাত্রার প্রস্তুতি । রমনি তোমায় মনে হয় আমি

অনেক অনেক জনম থেকে চিনি ।

মুখে কথা নাহি ফুটে তার বিস্ময় জাগে এই পরিবর্তন কিভাবে হল

তবে কি কৃতিত্ব সবি আমার ।





রমনি কহিল , যাহা ভাব মনে অনুক্ষনে যদি একবার মোর নামখানি জুড়ে সুরে ডাক তবেই সুখ পাই এই অথিতিসেবার ।



কিন্তু কিনামে ডাকি সখি জগতে ত বহুল প্রচার এ ডাকে নাহি তৃপ্তি

প্রিয়তা / বাহ আজি প্রথম কারও সনে ধুলির আসনে শুনিবার পাই

তোমার মুখে আমার সে নাম খানি ।



জানি আর কভু দেখা নাহি হয় দুজনাতে ।এই প্রেম শেষ এই প্রেম

গভীর জানি সুচনাতে ।



এই লও চিনে সুত্র খুজে যদি আবার এস তবে হারাতে হবে মুল

সঞ্চয় , জানিও সেই দিনের অপেক্ষমাণ পথ টুকু বড় সন্নিকটে নিশ্চয় ।



প্রিয়তা এস তবে সেই দিনের অপেক্ষায় শুরু হোক পথচলা

সেই ভাল এই দেখ ঘন কাল মেঘ । অনিদ বিদায়







চলবে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১২

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: sundor (bondhu masud rana)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

সোজা কথা বলেছেন: এ প্রেমের যেন শেষ না হয়,তা যেন সুচনার মতোই গভীর হয়!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হবে তবে সময় লাগবে ,ধন্যবাদ

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: আর কত চলবে? এদের মিলন ঘটাইয়া দেন ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এত তারাতারি , দেখা যাক কিভাবে সম্ভব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.