![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
টুকাই
*********
হাবলু রাতের অন্ধকারে ঘর ছাড়ে , মনের সাথে যুদ্ধ করে সে এখন কঠিন সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে । আর কত এভাবে নিজ পরিবারের অত্যাচার অনাচার সহ্য করে টিকে থাকবে । একমাত্র অবলম্ভন ছিল বড় ভাবি , যে তাঁকে ছোট কাল থেকে কুলে পিটে করে মানুষ করেছে । মায়ের মৃত্যুর পর ৬ মাস থেকে বড় ভাবি
মায়ের অভাব পূরণ করে তার মাধ্যমেই বেড়ে ঊটা । বাবা স্কুল শিক্ষক সেই
মায়ের পেটে রেখেই ইহজগত ত্যাগ করে । বড় এবং মেজু ভাই এর আচরন এমন যে মনে হয় ওরা তার সৎ ভাই ।
ভাবির স্নেহ আদর তার শৈশব জীবনে মা বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি । সন্তানের
মত প্রতিটি অভাব পূরণ করেছে তার মাতৃত্তের মমতা দিয়ে । সেই মা সমতুল্য ভাবির সাথে তাকে মিথ্যা বদনাম রটিয়ে মেজু ভাবি কি কাণ্ডটাই না করল । তা শুনে বড় ও মেজু দুভাই তাকে ধরে আচ্ছামত পিটাল । রিতিমত তিন মাস তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে হল ।
রাতের অন্ধকারে ভাবি আসে হাব্লুর জন্য খাবার লয়ে । হাব্লু হাবলু উট খাবার
কটি খেয়ে নে নইলে শরীর আরও খারাপ হবে যে , ইশ মুখটি কেমন শুকিয়ে
আমসি হয়ে গেছে ।
____ ভাবি আমি খাবনা তুমি আর আমার ঘরে আসবানা । যে আপন মায়ের পেটের ভাই তার রক্তকে অস্বীকার করে সেখানে তুমি কেন? আমার জন্য কষ্ট সইবে , মিথ্যা অপবাদ সইবে ।
___ হাবলু ভাই আমার তুই আমার সামনে একথাটি বলতে পারলি , সেই ছুট কাল থেকে তুকে আমি কত মায়ামমতায় বড় করেছি , আমি আমার নিজের সন্তানদের এত আদর করিনি যে টুকু তুঁই পেয়েছিস । হাবলু রে আইজ বুঝি আমার পরান ডা জইলা পুইরা খাক হইয়া গেল । বড় ভাবির দুচোখ বেয়ে হু হু করে পানি বেরুয় ।
---------- কেদনা ভাবি এই কান ধরে বলছি আমার ভাইয়েরা আমাকে কাটুক মারুক তবুও তোমাকে আমি কখনও হারাতে চাইনা । আজও তুমি খানা মুখে তুলে না দিলে আমি খেতে পারিনা ।
-------ভাবি ভাত তরকারি মেখে খানা মুখের সামনে তুলে ধরে , নে ভাই খেয়ে নে আর যেন দুষ্টুমি না হয় ।
----------বদমেজাজি বড় ভাই বাব্লু ঘুম থেকে উটে ঘটনাটা দেখে চিৎকার করে রাতের ঘুম হারাম করে দেয় । মাগি আবার চুপি চুপি পিরিতি চলছে । আজ না হয় তুকে শেষ করে ছাড়ব । বড় ভাবির চুলের মুটি ধরে বেদম পেটায় বড় ভাই হাবলু । ভাবির বোবা কান্নায় বিছানায় পড়ে কাঁদে হাবলু । আড়াল থেকে তা দেখে খিল খিল করে হাসে মেজু ভাবি ফালানি ----শিক্ষা হয়েছে এক্কেবারে জনমের ।
সেই থেকে হাবলুর মাথায় চিন্তা কেমন করে বাড়ী থেকে পালানো যায় ।
রাতের অন্ধকারে হাবলু শেষবারের মত বড়ভাবির কক্ষে ডুকে , তার পদস্পর্শ করে , তারপর ছোট ব্যাগটি কাধে ঝুলিয়ে অজানা গন্তব্য হনহন করে ছুটে ।
তার আঁখির পাতায় বারবার ভেসে উটে মায়ের অভাব বুঝতে না দেওয়া মায়ের মমতাজুরা বড় ভাবির মুখ, যার
স্তন খেয়ে সে বেঁচে আছে এই ধুলির ধরায় । তার অজানা গন্তব্য চলার সাথি
একরাশ অখণ্ড নিরবতা আর বুকের হু হু বুবাকান্না ।
দিনাজপুর থেকে পায়ে হেটে বহুদুর পথ অতিক্রম করে চলে আসে লঞ্চ ঘাটে । মালঞ্চে উটে পড়ে , লঞ্চ ছেড়ে দেয় । ভোরের আযান কানে আসে । ক্ষিদেয়
পেট ছু ছু করছে হাব্লুর । কিনে কিছু খাবে সঙে কানা কড়িও নেই ।
সকালে কত মেম ভদ্রলোক নাস্তা করছে মজাসে , দেখে দেখে জিভে পানি আনা ছাড়া তার আর কিছুই নাই । উপায় একটা আছে তা হল লঞ্চের চাপকল
থেকে পানি খাওয়া । হাত মুখ ধুয়ে চাপকল থেকে পেট পুড়ে পানি খায় সে এবং লঞ্চের ডেকে এসে শুয়ে পড়ে । ভোরের প্রকৃতি দেখে দেখে আর বিশুদ্ধ
বাতাস এর ঘ্রান লয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ।
লঞ্চের কেরানির ধাক্কায় ঘুম ভাঙ্গে হাব্লুর । -------এই নবাবের বেটা কনে যাইবা ।
--- জি তা তো জানিনা ।
-------তার মানে ফাজলামো কর , সত্যি কইরা কও কনে যাইবা নইলে লঞ্চ থাইকা এখনই নামাইয়া দিমু ।
---- মাথা নিচু করে থাকে হাবলু , জি আমারে নামাইয়া দেন আমি চইলা যাই । -------- কোথেকে উটছ , শান্তা ফেরিঘাট থেকে ।
--------যাইবা কই ,
-----তাত জানিনা ।
--------আচ্ছা যেটুক এসেছ বাড়া হইল ৪০ টাকা ।
--- জি আমার কাছে কোন টাকা নাই ।
--------- টাকা নাই মানে মগের মুল্লুক পাইচ্ছ । টাকা বাইড় কর ।
------ জি আমার কাছে এই ব্যাগটা ছাড়া আর কিছুই নাই ।
কেরানি ফাত মুখ খিচিয়ে হাব্লুর ব্যাগটা দেখে , উৎসুক যাত্রীরা ঘটনাটা উপভোগ করে । ব্যাগ হাতিয়ে দেখে লাভের অংকের চাইতে ক্ষতি বেশি শুধুই অযথা সময় নষ্ট , কয়েকটা পুরনো ময়লা কাপড় ছাড়া সেথা আর কিছুই নাই । চিৎকার করে কেরানি এই তুই কাজ করতে জানিস ।
------- জি স্যার কি কাজ
----- এই ধর বাসন পাতি ধৌত করা , টেবিল খানা পরিস্কার ইত্যাদি ইত্যাদি । ------ জি স্যার , পারব ।
----- তাহলে আজই কাজে লেগে যা ।
হাবলু মনে মনে ভাবল ভালই হয়েছে ,কাজের বিনিময়ে লঞ্চ ভাড়া দিতে হবেনা এবং সেই সাথে কপালে খানাও জুটবে ।
সেই সকাল থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে হাবলু , এমন কি লঞ্চের ম্যানেজার সহ যারা লঞ্চের স্টাফ সবারই ফুট ফরমায়েশ করে । সবারই খানা দানার পর
যা কিছু অবশিষ্ট থাকে তাই জুটে তার ভাগ্য । রাতে থালাবাসন ধুয়ে ঘুমানোর
সময় হলে ম্যানেজার তাকে ডাকে ------ হাবলু হাবলু
---- জি স্যার
----------আমার মাথাটা টিপে দেত ।
মাথা টিপে হাবলু আর ঘুমে তার চোখ টুঁলুটুঁলু করে , একেকবার তার মনে হয় ম্যানেজারের টুটি চেপে ধরতে । মাঝেমধ্য বদমেজাজি ম্যানেজার রাগান্বিত হয়ে হাবলুর গায়ে হাত তুলে ,।
বেশ কদিন এভাবেই কাটিয়ে দেয় লঞ্চে হাবলু ।
একদিন সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে লঞ্চ ত্যাগ করে সে । হাটে সম্মুখ দিকে তার মনে মধ্য ভেসে উটে কৈশোরের উদ্দাম দিনগুলির কথা ।
চলবে ------
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসলে গল্পটি বাস্তব ঘটনার ছায়া অবলম্ভনে , একটু রূপ দেয়ার চেষ্টা মাত্র
মন্তব্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: প্রচুর বানান ভুল , পড়তে বিরক্তি লাগছিল। কিছু মনে করবেন না কারন আমার নিজেরও অনেক বানান ভুল হয়। আপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। শুভকামনা জানবেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সরাসরি লেখা তো তাই বানানে ভুল , এক সময় এডিট করে নেব । উৎসাহ প্রদানে ধন্যবাদ আপু ভাল থাকুন ।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো প্রচেষ্টা ভ্রাতা , আরও একটু যত্ন নিবেন আশাকরি
ভালো থাকুন
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ ভাল থাক সব সময় ।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো প্রচেষ্টা বন্ধু, আবার চলবে কেন!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই তো ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১
ডি মুন বলেছেন: আপনি কবিতাতেই তো ভালো ছিলেন, কী দরকার ছিলো কষ্ট করে গল্প লেখার !!!!
যাহোক, আপনার মঙ্গল হোক।