![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর,
যখন একমাত্র আল্লাহই আল্লাহ আর কোন কিছুই নাই তখন তার নিজ নুর হতে
সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ,
মুহাম্মদ পয়দা হয়ে ডাকলেন আল্লাহ । কারন আল্লাহ তার নিজ নাম নিজে ডাকতে পারেনা ।
আল্লাহ পাক নবীজীর উদ্দেশ্য বলেন , লাওলাকামা খালাকতুল আফ্লাক অর্থ যদি আমি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না । হাদিসে কুদসি ।
শের <> আল্লাহর নুরে করলেন সৃষ্টি নুর নবীজীর নুর বদন
নবীজীর নুরে পয়দা হল তামাম সৃষ্টি ত্রিভুবন ।
কোরআন <> অয়ামা আরছালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন অর্থ আল্লাহ বলেন , হে নবী আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের রহমত স্বরূপ প্রেরন করিয়াছি ।। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অর্থ সমগ্র জাহানের রব বা সৃষ্টিকর্তা । আর নবীজী রাহমাতাল্লিল আলামিন সমগ্র জাহানের রহমত ।
আলম অর্থ জগত আর আলামিন অর্থ জগত সমূহ ।
পৃথিবী একটি ছুট জগত হাদিসে এরূপ ছুট বড় ৮০ হাজার জগতের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
এখন আসুন রহমত কি জানি । রহমত আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপাদান , যা ব্যাথিত গাছের পাতা নড়েনা , বাতাস বহেনা , চন্ত্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্ররাজি আলো দেয়না ।
এমনকি একটি পিপীলিকার পা পর্যন্ত চলেনা ।
আল্লাহ সর্ব প্রথম নবীজীর নুর কে ১০০ ভাগ করেন , ১ ভাগ দ্বারা সমগ্র সৃষ্টি বৈচিত্র্য তৈয়ার করেন ।
আবার ১ ভাগকে চার ভাগ করেন ।
চার ভাগের ১ ভাগ দ্বারা আরশ কুরশি লৌহ কলম তৈয়ার করেন । আবার ১ ভাগ দ্বারা বেহেস্ত দুযখ ফেরেস্তা হুর গিল্মান তৈয়ার করেন । বাকি অংশ দ্বারা জীন ইন্সান , মাটি , পানি , অগ্নি , বায়ু এবং ১৮ হাজার আলম বা সৃষ্টি সমুহ পয়দা করেন ।
পরশ মনি ঈমানি জ্যুতি মোহাম্মাদী নামেতে
ঐ নামের ও ওড়ে নিশান ত্রিভুবন জগতে
চাঁদ সুরুজ পাহাড় দরিয়া
মহিমা গায় ঢেউ খেলিয়া
সৃষ্টি হল আদম হাওয়া
ঐ নামেরও বরকতে ঐ
আরশ কুরশি লৌহ কলম
সৃষ্টি ১৮ হাজার আলম
পড়ে তাজিমে দরুদ ছালাম
দয়াল নামের রহমতে ঐ
নামে ভরা কত মধু
নবী অলি ফকির সাধু
দিবা নিশি ডাকে শুধু
মুক্তি পাইতে তার শাফায়াতে ঐ
ভাবুকে কয় দয়ার ভাণ্ডার
রহমতের দাও হে দিদার
যত রয় উম্মত গোনাহগার
তরাইও কটিন মুছিবতে ঐ
স্বর্গ নরক কর্ম ফলে
ডাকি নামটি তাই নিরলে
রাখিও রহমতের নজর খুলে
জানাই ছালাম মদিনাতে ঐ
মুহাম্মাদ শব্দের অর্থ প্রশংসিত , যার প্রশংসা বারবার স্বয়ং আল্লাহ পাক করেন ।
কোরআন , ইন্নাল্লাহা অয়ামালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা অয়ালান্নাবিয়ু , ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহে অয়াচ্ছাল্লিমু তাসলিমা । অর্থ আল্লাহ বলেন , আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তাগন আমার হাদিবের উপর সদাশয় দরুদ ও ছালাম ভেজি হে ইমানদারগন তোমরাও দরূদ ও ছালাম ভেজ । সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ ।
ছালাতুন ইয়া রাছুল আল্লাহ আলাইকুম
ছালামুন ইয়া হাবিব আল্লাহ আল্লাইকুম ।
আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আল্লামিন ।
কোরআন , কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুনাল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইউবিবকুমুল্লাহ ইয়াগফিরলাকুম জুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম । অর্থ আল্লাহ্ বলেন যদি তোমরা আমি আল্লাহ কে পাইতে চাই আগে আমার হাবিব কে ভালবাস , তার পথ অনুসরন কর , তার পায়রবি কর তবেই তোমাদের ক্ষমা করিয়া দিব । সুরা ইম্রান ।
যার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আরশ মহল্লা ধন্য হইয়াছিল সেই মহান মাহবুব আল্লাহর দুস্ত
নুরে খোদা নুরে মুছাচ্ছাম নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ সাঁল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচছাল্লাম এর প্রতি জানাই তাজিমের সহিত মদিনার রওজা মোবারকে ছালাম ।
ইয়া নবী ছালামু আলাইয়েকা
ইয়া রাছুল ছালামু আলায়েকা
ইয়া হাবিব ছালামু আলায়েকা
ছালাওয়াতুল্লাহ আলায়েকা ।
আরশের কাবা মদিনা
জমিনের কাবা মদিনা
কাবারও কাবা মদিনা
জান্নাতের মাওয়া মদিনা ।
আল্লাহ পাক কোরআন মজিদে বলেন , হে নবি। আমি আপনাকে প্রেরন করেছি উপস্থিত [ হাযির নাজির ] করে , এবং সতর্ককারী রূপে এবং আল্লাহর প্রতি তার নির্দেশে আহবানকারি আর আলোকউজ্জ্বল সূর্য রূপে বা নুর রূপে ।
প্রকৃত পক্ষে হাজার হাজার সূর্য অপেক্ষাও অধিক আলো হুযুর পাক সাঁ এর নবুয়তের নুরই দান করেছেন ।
কোরআন মোহাম্মাদ একজন আমাদের মতই মানুষ । আসলে তিনি কি আমাদের মত । রঙে ছুরতে নমুনায় শুধু আমাদের মত আসলে তিনি নুর ।
মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম হইতে বর্ণিত দয়াল নবীজী যখন অন্ধকারে হাঁটতেন তখন তার দেহ মোবারকের আলোয় চারপাশ আলোকিত হয়ে যেত । এবং আমি প্রায়ই ঘরে সূচ খুজে পেতাম না তখন নবীজীকে ঘরে ডেকে নিয়ে আসতাম এবং তার আগমনে ঘর উজ্জ্বল আলোকিত হয়ে যেত এবং হারানো সুচ বা সেলাই সরঞ্জাম খুজে পেতাম ।
মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আরও বলেন , একদিন আমি নবীজীকে রস করে আমার ওড়না দিয়ে আটকে রাখতে চাইছিলাম কিন্তু ওড়না নবীজীর দেহ মোবারক ভেদ করে আমার হাতে চলে আসে । আমি আশ্চান্নিত হয়ে নবীজীকে বললাম ইয়া রাছুলুল্লাহ সাঁ ইহা কেমনে সম্ভব , নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত । আর সবচাইতে বড় বিস্ময় সূর্যের আলোতে প্রকৃতি এবং মানুষের ছায়া পড়ে কিন্তু নুর নবীজীর দেহ মোবারকের কোন ছায়া ছিলনা ।
আল হাদিস ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ব্লগে যদি কোন মুফতি সাহেব থাকেন তাহলে তিনি হাদিস সম্পর্কে ভুল ভাল ধারনা রাখতে পারবে এখন দেখি সামান্য জ্ঞান নিয়ে অতিজ্ঞানিরা তর্ক জুড়ে বসে ।