নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড অসাংবিধানিক ঘোষণা ???!!!
ধর্ষিতা নারী যখন আত্মা হরণের পথ বেঁচে নেই এর জন্য কি রাষ্ট্র দায়ী নয়???
তৃতীয় পর্ব
সূফি বরষণ
বাংলাদেশ পুলিশ দপ্তরের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের অপরাধ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৩ হাজার ৬৮৬টি। অধিকার ও পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ৫ বছরে সারাদেশে ১৫ হাজার ৯৭১ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ৫৬৩টি ধর্ষণের ঘটনা। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী শুধুমাত্র ২০০৯ সালে ২ হাজার ৯৭৭টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে প্রকাশ হয়েছিল ৪৫৬টি। ২০১০ সালে ৩ হাজার ২৪৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হলেও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল ৫৫৯টি ঘটনা। ২০১১ সালে ৩ হাজার ৩৪৪টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল মাত্র ৭১১টি। আর ২০১২ সালে ৩ হাজার ৫১০ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল॥ যা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৮৩৭টি ঘটনা। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থাগুলো দাবি করেছে, প্রকাশিত পরিসংখ্যান ধর্ষণসংক্রান্ত ঘটনার সুনির্দিষ্ট তথ্য নয়। প্রকাশিত এসব ঘটনার বাইরেও প্রচুর ঘটনা থেকে যায়, যা পরিবার এবং পারিপার্শিক কারণে অজানা থেকে যায়। পুলিশ সদর দফতরও এ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছে, অধিকাংশ ধর্ষণের ঘটনা পরিবার থেকে গোপন করা হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসাও করা হয়। এ কারণে কখনোই ধর্ষণের প্রকৃত পরিসংখ্যান জানা যায় না। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ৯০ নারী ও শিশুকে এবং হত্যা করা হয়েছিল ৬০ জনকে। ২০১১ সালে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ৭৩ নারী ও শিশুকে এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল অন্তত ৭০ নারী ও শিশুকে। আর ২০১২ সালে ধর্ষণের পর ৫৫ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল ৩৮ নারী ও শিশু। এসময় ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে প্রায় অর্ধশত নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। এসব পরিসংখ্যান দেখে শুধু এটুকু অনুমান করা সম্ভব, ধর্ষণের ঘটনা এই সমাজে কতটা মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৯ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচারের আশায় থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে গড়ে ৪টি ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। উপরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এতো হাজার হাজার নারী স্বাভাবিক জীবনে গতি পথকে বন্ধ করে দিয়ে কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে দেয়া হলো এর তো দায় রাষ্টেরই বহন করতে হবে॥ আর ইজ্জত হারিয়ে সামাজিক ভাবে ছোট হওয়ার ভয়ে যারা আত্মা হরণ করছে তার দায় কিন্তু সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না॥
আমাদের এমনিতেই সামাজিক দায় অনেক বেড়েছে আমরা আর দায় বাড়াতে চাই না॥ এই সমাজে নারীর সুস্থ নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা চাই॥ কিন্তু দুঃখের বিষয় এবার বাংলাদেশের পালা। ধর্ষণ ভাইরাস ভারত পেরিয়ে এখন বাংলাদেশে চলে এসেছে॥ হিন্দু প্রধান বিচারপতি এক রায়ের মাধ্যমে যে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড অসাংবিধানিক??!!!
এই রায়ের মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনা যে সমাজে বাড়বে তা পরিষ্কার দেখতে পারছি॥ যখন ভারতের ধর্ষণের ঘটনা পৃথিবীজুড়ে আলোচিত হচ্ছে॥ সেখানে ভারতের সাথে বাংলাদেশ কে আর একটি ধর্ষণ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত চলছে॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.