নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব এক উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ????

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:০৫

পর্ব এক
উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ????

সূফি বরষণ
১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের সাথে জড়িত মহান বীর নেতাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ এমনকি ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের তিন মহা কলাকৌশলীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ এর কারণ হিসেবে আমি শুধু মনে করি তারা গণহত্যার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে??!! শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে সাধারণ মানুষের মাঝে রক্তের বণ্যা বয়ে দিয়েছে॥ এই
কারণেই হত্যাকারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় কি করে ???!! 
আর এই তিন মহান কলাকৌশলীরা হলেন শেখ মুজিব,জুলফিকার আলী ভুট্রো ও ইন্দিরা গান্ধী॥ আমার এই লেখায় এগারো পর্বের ধারাবাহিক আলোচনায় সেই বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো ॥ কেন তাদের এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ রাজনীতির সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক চিরকালের॥ রক্তমাখা হাত উদারতার সংস্কৃতির গলা টিপে ধরেছে। চতুর্দিকে শুধু রক্ত আর রক্ত ॥ রক্তে রাঙানো দুহাত কোনো সময়ই মানবতার কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না॥ পারেনা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠা করতে॥ তার প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি ॥ উপমহাদের গত ছয় দশকের রাজনীতিতে তা শতভাগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে ॥
দক্ষিণ এশিয়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৃ-ভাষাগত ও ধর্মীয় সমন্বয়ের সংস্থান 
করে । এই দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের ধারা ভিন্ন হলেও, দেশগুলির ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মাঝে মিল ও সাদৃশ্য রয়েছে। এই সাদৃশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বসবাসকারী জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ আবেগীয়, মানসিক, সাংস্কৃতিক এমনকি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনকে দৃঢ় করতে সহায়তা করেছে। এই বন্ধনগুলো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলকে একটি অসাধারণ বহুমাত্রিক ও বহুসংস্কৃতির পরিচয় প্রদান করেছে। 
গত ছয় দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতে ধর্মীয় গোঁড়ামী নতুন উপাদান হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। ধর্মের এই উগ্র উত্থান এবং এর স্থিতি শান্তিপূর্ণ সমাজগুলোকে মেরুকরণ করছে যার মাঝে এই রাষ্ট্রগুলোকে অস্থিতিশীল করার ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে॥ ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে উপমহাদেশের সব নেতা ব্যবহার করেছে॥ ধর্মের নামে বয়ে দিয়েছে মানুষের মাঝে রক্তের বণ্যা॥ সেই ইতিহাস আরও দীর্ঘ ॥
১৯৪৭ সালে ভারত_ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রক্তের ওপর দিয়ে। কলকাতা, নোয়াখালী, বিহারে রক্তের স্রোত বইল। পাঞ্জাবে যে রক্তবণ্যা প্রবাহিত হয়, তার তুলনা সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে বিরল॥ এরজন্য কে দায়ী জিন্নাহ না নেহেরু ??? এটার উপরে দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে ॥ কিন্তু ইতিহাসের নথি পত্র ঘাটলে দেখা যায় জিন্নাহ অখন্ড ভারত বর্ষ ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন ॥ কিন্তু নেহেরু যখন একগুঁয়েমি করে মুসলমানদের সব প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলে বসলেন যে আমার সাথে জিন্নাহকে প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা চাপরাশি হিসেবেও রাখবো না ??!! তখনই সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ভারত ভাগের দিকে এগিয়ে যায়॥ যার ফলে ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে শরণার্থী হয়॥ আর নিহত হয় ৫ মিলিয়ন মানুষ ॥ এর জন্য দুই বন্ধু জিন্নাহ ও নেহেরুই দায়ী॥ তাদেরকে কেউ হত্যা না করলেও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তা বলা যায় না ॥ জিন্নাহ বিনা চিকিত্সায় যক্ষ্মায় মরতে হয়ে ছিল। ক্ষয়রোগে মারা না গেলে তাঁর ভাগ্যও গান্ধীর মতো হতো। তিনি প্রাণ দিতেন মুসলিম মৌলবাদীদের হাতে। কারণ, তিনি চাইছিলেন মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও পাকিস্তান হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তাঁর ভাষায় ‘রিলিজিয়ন শুড নট বি অ্যালাউড টু কাম ইনটু পলিটিকস’—ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে আনা উচিত নয়। আর নেহেরু কে ক্যানসারে মরতে হয় একেই বলে প্রকৃতির শাস্তি ॥
গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত স্বাধীন হলো ঠিকই । সমগ্র ভারতবর্ষে তার দল কংগ্রেস যে রক্তের বণ্যায় ভাসিয়ে দিলো তার থেকে নেতা হিসেবে তিনি বাদ যান কি করে ??? কারণ ৫ মিলিয়ন মানুষের রক্ত ৮৩ হাজারের বেশি মা বোনদের ইজ্জত হারায় ৪৭ এ॥ হিন্দুধর্মকে তিনি ভালোবাসতেন তাঁর প্রাণের চেয়ে বেশি। স্বাধীনতার সাড়ে পাঁচ মাস পরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতেই তাঁর প্রাণ গেল। বিড়লা হাউসের মেঝে ভেসে গেল তাঁর পবিত্র রক্তে। অখ্যাত নাথুরাম গডসের ঠাঁই হলো ইতিহাসের ঘৃণ্য ঘাতকের তালিকায় । ঐ যে গ্রামীণ বচন পাপ বাপকেও ছাড়ে না॥ রক্তের রাজনীতির খেলায় নিজের রক্ত দিয়েও শেষ রক্ষা হয় না॥ পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে কেউ পার পায়নি ॥ শাস্তি তাকে পেতেই হয়েছে ॥ ধারাবাহিক সেই আলোচনা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করবো মানুষ হত্যার পিছনে এই নেতারা কিভাবে দায়ী এবং কিভাবে কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:১৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এমনকি ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের তিন মহা কলাকৌশলীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি
কতটুকু বুঝতে পেরেছি বা শিক্ষা নিয়েছি আমরা?
ভুলে যাওয়া ইতিহাস ফিরিয়ে আনা বড্ড বেশি প্রয়োজন।জাতিগতভাবে কোথায় যাচ্ছি আমরা নিজেরাও জানিনা।
চালিয়ে যান
সশ্রদ্ধ সমর্থন
প্রিয়তে
আপনার ই-মেইল এড্রেস কি পেতে পারি?কিংবা ফেবু লিংক?

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:০০

সূফি বরষণ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল ॥

fb sufi borshan

mail [email protected]

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

তিক্তভাষী বলেছেন: বিষয়টি আগ্রহোদ্দীপক বটে! যীশুও বলেছিলেন "Live by the sword, die by the sword"।

আপনি কীভাবে কার্য-কারণ সম্পর্ক স্থাপন করেন তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

সূফি বরষণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্যে আমি চেষ্টা করবো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.