নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাউন্টেন পেন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

আর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘোষণা হবে রায়। আসামির কাঠগড়ায় দন্ডায়মান আমার পিতা । বেশ বিমর্ষ এবং নির্লিপ্ত। তবে উঁচু করে রেখেছেন মাথা। গায়ে দিয়েছেন হাল্কা আকাশি রঙের একটি শার্ট। এটি বাবার প্রিয় জামাগুলোর একটি। গত বছর ম্যারেজ ডে তে কিনে দিয়ে ছিলেন মা। বাবার প্রিয় রঙ নীল।



কাঠগড়া থেকে একটু দুরে হাতল দেয়া কাঠের বেঞ্চে বসে আছেন মা । তাঁর পাশে ছোট বোন, আমি ও আমার প্রবাসী বন্ধু বিশ্বজিৎ। আমাদের আশেপাশে আরও অনেক লোক বসে আছেন। সবাই সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন। মায়ের মুখের দিকে আমি তাকাতে পারছিনা। তিনি কান্না লুকাতে শাড়ির আঁচলে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অঝোর ধারায় ঝরছে তাঁর দু চোঁখ বেয়ে অশ্রু।



মা বেশ বুঝতে পারছেন, মামলার রায় স্বামীর পক্ষে যাচ্ছেনা । তবুও এক ধরণের বিশ্বাস কাজ করছে তাঁর মনের ভেতর। গতকাল সারা রাত তিনি নামাজের পাটিতে বসে কাটিয়েছেন। কথা বলা কমিয়ে দিয়েছেন। খাওয়া-দাওয়া করছেন না। আদালতে এসেছেন পাঞ্জা সুরার ছোট একটি বই সাথে নিয়ে। মাঝের মধ্যে সেটি বের করে চুপচাপ পড়ছেন। আমি বুঝতে পারছি, রায় ঘোষণার পর পরই বোম ফাটার মত চিৎকার করে কেঁদে উঠবেন মা।সাথে আমার বোনও। আমিও কাঁদবো। তবে তাদের মত বুকফাটা আহাজারি করে এজলাসের পরিবেশ ভারি করে তুলবো না। কারণ আমার আদর্শবান পিতা যে আজ সরকারি সম্পত্তি তছরুপের দায়ে আসামির কাঠগড়ায়!



বাবা চুরি করতে পারেন, তা আমার বিশ্বাস হতে চাইনা কিছুতেই। কিভাবে বিশ্বাস করি। যে মানুষটি সারা জীবন আমাদেরকে অভাব-অনটন এবং নীতিকথা ছাড়া আর কিছু দিতে পারেননি, তিনি কেনো বিদুৎ বিভাগের ট্রান্সমিটার চুরি করতে যাবেন। আর কাদের জন্য করবেন? যাদের সুখ-শান্তির কথা ভেবে অবৈধ উপার্জনের দিকে তাঁর ধাবিত হওয়ার কথা, তাদের শখ-আল্লাদতো কখনও পূরণ করাতে পারেননি তিনি। বেশি দিন আগের কথা নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পেয়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলম। বাবা তখন খোজঁ খবরও করতে বললেন। আমি পূর্ণ উদ্যোগে শুরু করলাম খোজ নেয়া। তাকে মোটামুটি একটা খরচের হিসাবও দিয়েছিলাম। যখন তিনি দেখলেন ভর্তির সময় এককালিন লাগবে পঞ্চাশ হাজার, মাসে মাসে বেতন দুই হাজার, তিন মাস পরপর প্রতি সেমিস্টারে লাগবে ত্রিশ হাজার করে, তখন চুপ মেরে গেলেন। এনিয়ে মা-বাবা'র সাথে আমি ঝগড়া করেছিলাম। এক সময় কথা বলা বন্ধ করে দিলেন বাবা। শেষে এক বছর লস দিয়ে ভর্তি হলাম বাড়ির কাছের কলেজে। কিন্তু লেখাপড়ায় মন বসলো না। বাবার ওপর সেই জেদ-ক্ষোভ নীরবে লালিত হতে থাকলো মনের অজান্তে। সেটির প্রতিফলন ঘটলো অনার্স ফাস্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার আগে। মোটামুটি প্রস্তুতী থাকলেও পরীক্ষা দিলাম না। বাবা বুঝতে পারলেন, এসবই তার ওপর জন্ম নেয়া ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও অভিমানের প্রকাশ। কিন্তু যেদিন রাতে পুলিশ এসে বাবাকে ধরে নিয়ে গেলো, সেদিন যেন আমার সব অভিমান অশ্রু হয়ে ঝরে পড়লো দুচোখ বেয়ে।



বাবার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে মনে পড়ছিল এসব কথা। হঠাৎ খেয়াল হলো, বিচারক অর্ডার অর্ডার শব্দ করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। মুহূর্তে পরিবেশ নীরব হয়ে গেলো। পেশকার দাড়িয়ে বললেন, মহামান্য বিচারক এক ঘন্টার জন্য কোর্ট মুলতবি ঘোষণা করেছেন। এর পরপরই দুজন পুলিশ বাবাকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে এনে একটি বেঞ্চিতে বসালো। বাবার আইনজীবি ইশারা করে আমাদেরকে ডাক দিলেন। মা, আমি ও বোন এগিয়ে গেলাম বাবার কাছে। আইনজীবি ইসহাক চাচু আমার ঘারে হাত রেখে বললেন, ভয় পাসনে খোকা, আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। তোর বাবার কিছু হবেনা।



আমিও তাই বিশ্বাস করি চাচু।



কথা শেষ হতেই বাবা আমার দিকে তাকালেন। আবারও নামিয়ে ফেললেন চোঁখের পাতা। কিছুই বললেন না । ভাবলেশহীন চাহনী তাঁর। আসলে বাবার সাথে অনেক দিন ধরেই এক ধরণের উষ্ণ সম্পর্ক চলে আসছে আমার। সেটি এখনও মনের ভেতর ধারণ করে রেখেছেন বাবা। আমিও যেন সহজ হতে পারছিনা। আমার খুব ইচ্ছে করে বাবার বুকে মাথা রাখতে। তাঁর মনের ভেতর দিনে দিনে বেড়ে ওঠা যন্ত্রণার পাহাড় চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিতে। দূর করে দিতে তাঁর সমস্ত অশান্তি। সমস্ত অসম্মানবোধ।



আমার বাবা কখনও তাঁর নিজের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দেননি। বিলাসিতা করেননি। অহেতুক অর্থের অপচয় করেননি। যদিও তিনি ভোজন প্রিয় মানুষ। ভাল ভাল স্বাদযুক্ত দামি খাবারের প্রতি তারঁ আগ্রহ থাকতো বেশি। কিন্তু ছকেবাধা কেরানী জীবন বলে হয়তো খাওয়ার টেবিলে সবসময় থাকতো না মাছ-মাংস। পোলাও-বিরয়ানি খেতেও তিনি খুব পছন্দ করেন। কিন্তু সেটি সচারচার জুটতো না আমাদের। মা অবশ্য আজ বাবার জন্য রান্না করে এনেছেন তাঁর প্রিয় খাবার খিচুড়ি আর গরুর গোস্ত। প্লাস্টিকের একটি বক্স খুলে মা সেই খাবার এগিয়ে দিলেন বাবার সামনে।



বাবা মাথা নেড়ে বললেন, খেতে ইচ্ছে করছেনা।



মা বললেন, খাবেনা কেনো? জেলখানায়তো একদিনও রান্না করা খাবার দিতে পারিনি। দুমাস ধরেতো সেখানকার খাবার খাচ্ছো।





বাবা বললেন, বিচারে আমার সাজা হয়ে যাবে বিপ্লবের মা। তখনতো তোমার হাতের মাংস খিচুড়ি খাওয়া হবেনা।



আচ্ছা, তুমি কেনো বলছো তোমার সাজা হয়ে যাবে। তুমিতো চুরির ঘটনার কিছুই জানোনা। সইতো তোমার করা ছিলনা। তুমি কেনো বলছো না, ট্র্যান্সমিটার দুটো বের হওয়ার সময় ওই কাগজে তোমার সই জাল করা হয়েছে।



বলেছি। আমার আইনজীবিও বলেছে। কিন্তু কে আমার সই জাল করেছে, তাতো বলতে পারিনি। তাছাড়া ওই স্বাক্ষর দেখে কারোরই সন্দেহর অবকাশ নেই যে, ওটি আমার করা না। ওটি হুবহু আমারই সই।



তাহলে একটি মানুষ অপরাধ না করে দোষি হয়ে যাবে? মা প্রশ্ন করলেন।



বাবা বললেন, কখনও কখনও নিরপরাধ মানুষের সাজা হয়ে যায়। আমেনা বাদ দাও এসব কথা। কপালে যা থাকে হবে।



মা আর কথা বাড়ালেন না। বাবা আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করলেন। আমি বিশ্বজিৎকে নিয়ে কোর্টের বারান্দায় গেলাম। সেখানে কিছু সময় নীরবে কাটলো দুজনার।



বিশ্বজিৎ জানতে চাইলো, বিপ্লব, আজ কি রায় ঘোষণা হবে?



হ্যা। আজই।



কিছু যদি মনে না করিস। আঙ্কেলের কেসটা আমাকে একটু বলবি।



কি বলবো বল। বাবাতো বিদুৎ বিভাগে চাকরি করতেন, তাতো জানতিস।



হ্যা জানতাম।



বছর দুই আগে বাবার অফিসের অডিটে ধরা পড়ে দুটি ট্র্যান্সমিটার চুরির ঘটনা। মেহেরপুর বা তার আশেপাশের কোন জেলায় পাঠানো হচ্ছে বলে ঘোড়াশালের একটি গোডাউন থেকে ট্র্যান্সমিটার দুটি বের করা হয়। বাবা যেহেতু হেড ষ্টোরকিপার, সেহেতু প্রতিটি চালান ও গেটপাশে তাঁর স্বাক্ষর লাগতো। চালানে বাবার স্বাক্ষর আছে দেখে ওই সময় দায়িত্বরত গেটম্যান মালামাল বোঝাই ট্র্যাক ছেড়ে দেয়। সে আদালতে সাক্ষি দিয়েছে। সে বলেছে, চালানে হাসেম স্যারের সই দেখে আমি ট্র্যাক ছেড়ে দেই। কিন্তু বাবার বক্তব্য হচ্ছে, তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। কিন্তু সেটির স্বপক্ষে বাবা কোন প্রমান দিতে পারেননি।



বিশ্বজিৎ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, স্বাক্ষর জাল কিনা সেটি প্রমানের জন্য সিআইডি'র হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টের কাছে কি পাঠায়নি আদালত?



হ্যা। সম্ভাবত বাবার হাতের লেখার কিছু নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। সেটির সাথে চালানের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখে তারা পজেটিভ রিপোর্ট দেয়, অর্থাৎ ওই চালানের সই বাবারই করা। স্বাক্ষর নাকি শতভাগ মিল ছিল । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সিআইডি'র প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে বাবার শাস্তি দাবি করেন।



কি বলিস? আর্তনাদ করে উঠলো বিশ্বজিৎ। তুই কি জানিস, কোন সই শত ভাগ মিলে গেলে ব্যাংকের ভাষায় ধরে নেয়া হয় সেটি জাল। কেননা একজন মানুষ কখনও নিজের সই শতভাগ হুবহু করতে পারেনা। কিছু না কিছু পার্থক্য থেকেই যায়। আর যে সইটি হুবহু মিলে যায়, ধর শতভাগ, তবে বুঝতে হবে তা জাল। নকলকারীরা সবসময় হুবহু মেলানোর চেষ্টা করে। সিআইডির লোকজন কি এটা জানেনা?



কি জানি?



তোরা কি ওই প্রতিবেদন মেনে নিলি?



আমরা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন তথা চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশান দাখিল করি। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় আদালত।



বিশ্বজিৎ বললো, তুই কি জানিস, স্বাক্ষর ভেরিভিকেশনের জন্য এখনও পর্যন্ত কোন প্রযুক্তি আসেনি আমাদের দেশে। ব্যাংকগুলো চোখের আন্দাজে তাদের কাস্টমারের সই ভেরিভিকেশন করে । তেমনই ভাবে সিআইডিকে এ ধরণের অভিযোগের ক্ষেত্রে নমুনা মিলিয়ে চোখের আন্দাজে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাদের হাতেও কোন প্রযুক্তি নেই।



কিছুই বলার নেই রে বিশ্বজিৎ। মামলায় বাবার চার-পাঁচ বছর জেল হয়ে যেতে পারে। উচ্চ আদালতে গেলে তা কিছুটা কমে দুই-তিন বছর হবে। বাস্তবতা হলো বাবাকে বাচাঁনোর মত কোন পথ দেখছিনা । যদিও বাবার উকিল ইসহাক চাচু বলছেন, উচ্চ আদালতে গেলে মামলা নাকি খারিজ হয়ে যাবে। কিন্তু তার কথা আমাদের বিশ্বাস হয়না। উকিল সবসময়ই আশ্বাস দেয় এবং কাড়িকাড়ি টাকা নিয়ে যায়।



বিশ্বজিতের সাথে কথা বলার সময় সেখানে এসে ছোট বোন সিমু বললো, ভাইয়া ভেতরে আয়। বাবা যথারীতি কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছেন। তবে এখন তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছে। সোজা চেয়ে আছেন বিচারকের দিকে। সাধারণত কাঠগড়ায় দাড়িয়ে মামলার আসামির এভাবে বিচারকের দিকে চেয়ে থাকা সমীচীন নয়। তাদেরকে থাকতে হয় মাথা হেট করে। চোঁখ তুলে তাকানো শিষ্ঠচার বর্হিভূত। কিন্তু বাবা যেন এসব নিয়ে ভাবছেন না কিছু।



জজ সাহেব বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সরকারি সম্পত্তি তছরুপের অভিযোগে দায়ের করা সরকার বাদি মামলার রায় এখনই ঘোষণা করা হবে। আপনার কোন বক্তব্য থাকলে বলতে পারেন।



বাবা কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। পিনপতন নীরাবতা তখন গোটা রুমে। কানে আসছে কেবল মায়ের বুকের ভেতর বাজতে থাকা ধুক ধুক শব্দ। আমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছে ছোট বোন সিমু। বিচারক রায় পড়া শুরু করবেন। হঠাৎ বলতে শুরু করলেন বাবা।



"মহামান্য আদালত। আমি আমার চাকরি জীবনে কখনও বল পয়েন্ট পেন ব্যবহার করিনি। এখন আমার শার্টের পকেটে যে ফাউন্টেন পেন দেখছেন, এধরণের কালির কলমে সই করে এসেছি সারা জীবন। আপনি আমার সার্ভিসবুক দেখতে পারেন। আমার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে ফাউন্টেন পেনের ব্যবহার। বিশেষ করে লেখালেখি এবং স্বাক্ষর প্রদানের সময় কখনও আমি ভুলেও বল পয়েন্ট বা অন্য কোন কলম ব্যবহার করিনি। এটিই সত্য। ওই কাগজে করা স্বাক্ষর বল পয়েন্ট কলমে করা, যা আমার নিজ হাতে করা সই না। আমি নিজে করলে অবশ্যই তা ফাউন্টেন পেনে করতাম।"



বিচারক কিছুক্ষণ বাবার দিকে চেয়ে রইলেন।এরপর মামলাটি পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ওই দিনের মত আদালত মুলতবির ঘোষণা দেন।



-----------------------------------------------------------------



আদালতের নির্দেশে পূর্ণ তদন্তে দেখা যায় বিদুৎ কেন্দ্রের হেড ষ্টোরকিপার হাশেম সাহেব সব ক্ষেত্রেই ফাউনটেন্ট পেন ব্যবহার করেছেন। এমন কি তার সন্তান বিপ্লব ও কন্যা সিমুর স্কুলের রেজাল্ট শিটের স্বাক্ষরও তিনি ওই কলম দিয়ে করেছেন। বিষয়টি সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হয় এবং চুরির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামি তার অফিসের দুইজন কলিগ শেষ পর্যন্ত ধরাও পরে। আদালত হাশেম সাহেবকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান, স্বসম্মানে পূর্বের পদে বহাল ও বকেয়া বেতন পরিশোধের আদেশ প্রদান করে। শুধু তাই নয়, মামলার বিবাদি বা আসামি হাশেম সাহেব চাইলে রাষ্ট্রর কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন বলে ওই আদেশপত্রে উল্লেখ করে আদালত।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪

মুখর মৌনতা বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতো ।
ভালো লাগলো ।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: মুখর মৌনতা, আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ব্লগে আসা হয় কম। তবে এবার থেকে নিয়মিত আসবো আশারাখি। ভাল থেকেন। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

সময়একাত্তর বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: রইলো শুভ কামনা আপনার প্রতি।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১

ধান শালিক বলেছেন: চমৎকার ! ফাউন্টেন পেন এর জন্য ভাললাগা সবটুকু ,।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধান শালিক, ফাউন্টেন পেনের মধ্য দিয়ে গল্পে আনা হয়েছে নাটকীয়তা। একটি কলম একজন মানুষের সারা জীবনের সম্মানবোধকে বাচিয়ে রাখলো। সত্য প্রকাশে ভূমিকা রাখলো - এটিই অনেক বড় ব্যাপার।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

শিক কাবাব বলেছেন: গুড। যাক, বাচা গেল। আমিতো মনে করেছিলাম প্রকৃত আসামী ধরা পড়বে না। পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

আশিক মাসুম বলেছেন: লিখাটা পড়ে অবিভুত হয়ে গেলাম। খুব ভাল লাগলো।


+++++

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আশিক মাসুম,
আপনি অবিভুত হয়েছেন। এটিই অনেক বড় প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: শিক কাবাব যে ভাবে তাকিয়ে আছেন ভাই, আমারই ভয় লাগছে। আসলেই, সত্য প্রকাশ পাওয়ানোর জন্য নাটকীয়তা আনা হয়েছে গল্পে । ভাল থেকেন।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

নঞর্থক বলেছেন: +++++ valo hoise.

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ নঞর্থক।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩১

স্বপনবাজ বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন , অনেক দিন পর ভালো একটা গল্প পড়লাম !

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই স্বপ্নবাজ।
ভাল এবং ব্যতিক্রমধর্মী গল্প লিখতে চাওয়ার ইচ্ছেটা চিরন্তন। সেকারণেই লেখক ও পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী বসবাসের বাসনা পূরণে অব্যাহত রয়েছে প্রাণপণ প্রচেষ্টা আমার । জানিনা সফলতাকে ছুঁয়ে দেখার দিন আসবে কবে। ভাল থেকেন। শুভ কামনা রইলো্।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২

অকৃতজ্ঞ বলেছেন: চমৎকার গল্প। :)
প্লাস :)

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: গল্পের পটভূমিটা অসাধারণ। বিশেষ করে চূড়ান্ত উৎকর্ষটি চমৎকার লেগেছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: গল্পের মধ্যে চমৎকার কিছু করারা ইচ্ছে থাকে সবসময়। আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করে যাই। যতটুকু ভাল লাগাতে পারি। ধন্যবাদ ভাই মো: নুর রায়হান।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

কালো ঘোড়ার আরোহী বলেছেন: চমৎকার একটি গল্প। খুবই ভালো লাগলো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: মন্তব্যর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কালো ঘোড়ার আরোহী। প্রত্যাশা ভাল কিছু উপস্থাপনের। প্রত্যাশা গঠনমূলক মন্তব্যকারি হিসেবে সান্নিধ্য পাওয়া আপনার।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ভাল লাগাতে চাই বলে ভাল কিছু নিয়ে আসতে ইচ্ছে করে সবসময়। ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং দূর করে দেবেন সকল ভুল-ভ্রান্তি গঠনমূলক সমলোচনায়।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

হোদল রাজা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো !
কি সুন্দর গল্পের গাথুনী...

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

মৃন্ময় বলেছেন: +..................valo laglo

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মুণ্ময়। খুশি হলাম জেনে।

১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: জনাব, অকৃতজ্ঞ। আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভাল থেকেন।

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

কালোপরী বলেছেন: ভাল লাগল

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: শুভ কামনা রইলো কালোপরীর প্রতি। ভাল লাগানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চারিদিকে এত হেরে যাবার গল্পের মাঝে ......


মন ভাল হয়ে গেল :)

২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: মনিরা সুলতানা, খুবই ভাল লাগলো। শেষ পর্যন্ত শুধু আপনার না, আমার নিজেরও মন ভাল হয়ে গেছে মনের মত ফিনিসিং টানতে পেরে।

২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: Thanks Hodol Raja

২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: সকল ব্লগার বন্ধু ও পাঠকের প্রতি রইল আন্তরিক অভিবাদন।

২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: +++++

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঘুনোপোকা GPA 5+ দেয়ার জন্য। ভাল থেকেন।

২৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

সানফ্লাওয়ার বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.