নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোথাও শান্তি নাই তবু শান্তিতেই নোবেল দেয়া হচ্ছে প্রতিবছর !!

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন

যা বশে আনা সম্ভব নয় তা ধ্বংস করে দিতে হয়।

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চল্লিশ বছর বন্ধ ভুতুড়ে রেল স্টেশন বেগুনকোদর

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩



সন্ধ্যের পর অন্ধকারের মধ্যে আজও একাকী দাঁড়িয়ে থাকে ভূতের স্টেশন বেগুনকোদর। স্থানীয় লোকজনের কাছে ভূত স্টেশন নামেই পরিচিত। কেন? সে এক গল্প।
সুবিশাল স্টেশন। পাকা ইমারতের স্টেশন বিল্ডিং, রেল কোয়ার্টার্স। একসময় নাকি স্টেশন লাগোয়া বড় বাজারও ছিল। এখন সে সবই অতীত।


রেললাইনের ধারে সারা রাত হানাবাড়ির মত পড়ে থাকে পুরুলিয়ার জেলার কোটশীলার বেগুনকোদর স্টেশন।
এক সময় থামত সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তারপর হঠাৎ কী সব হয়ে গেল। শোনা যায়, একদিন মধ্যরাতে স্টেশন মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী খুন হন ওখানে। পরে স্টেশনের পাতকুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। সেই থেকেই নাকি অশরীরী কার্যকলাপের শুরু।রাতারাতি পালিয়ে গেলেন সব রেলকর্মী। বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন থামা। ধীরে ধীরে খণ্ডহরে পরিণত হল গোটা এলাকা। শুধু মূর্তিমান বিভীষিকার মত দাঁড়িয়ে রইল বড় পাকা স্টেশন বিল্ডিংটা। রাতে নাকি সেখানে খেলা করে নানা আলো। শোনা যায় আত্মাদের ফিসফাস।রাত বাড়লেই বাতাসে কেমন সন্দেহজনক গন্ধ, কারা যেন ফিসফিসিয়ে কথা কয়৷ দিনদুপুরেও স্বস্তি নেই৷ সুনসান স্টেশনটায় কাদের যেন পায়ের শব্দ, কে যেন গা ঘেঁষে চলে যায়৷ পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে বেগুনকোদর স্টেশন ঘিরে এমন গা ছমছমে গল্প বহু পুরোনো৷ ইন্টারনেট খুললেই চোখে পড়বে সারা বিশ্বে ভুতুড়ে স্টেশনগুলির মধ্যে একেবারে পয়লা নম্বরে রয়েছে পুরুলিয়ার অখ্যাত এই স্টেশনের নাম৷ ভূতের ভয়েই ১৯৬৭ সাল থেকে টানা চার দশক এই স্টেশনে কোনও ট্রেন চলেনি৷ কোনও রেলকর্মী ভুলেও ওই স্টেশনে পা দিতেন না৷


এর পর সুবর্ণরেখা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। পঞ্চাশ বছর পরে ২০০৯ সালে আবার খোলে বেগুনকোদর স্টেশন। তবে তা শুধু প্যাসেঞ্জার হল্ট হিসেবে। পুরনো স্টেশন বিল্ডিংটাকেই রঙ করে খুলে দেওয়া হয়।
অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটা এই বেগুনকোদরের কাছেই কোটশিলা থানার বড়তেলিয়া গ্রাম৷গত ২৫ ডিসেম্বর (২০১৫) থেকে নয় নয় করে প্রায় ৬০-৬৫ বার আগুন লেগেছে এই গ্রামে৷ কেন? তার ব্যাখ্যা নেই গ্রামবাসীদের কাছে৷ শুকনো আশ্বাসের বেশি কিছু দিতে পারেনি প্রশাসনও৷ আগুন লাগার কারণ জানতে না পেরে রীতিমতো আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরাও৷ রাতে সজাগ থাকতে হচ্ছে প্রতিটি পরিবারকে৷ তবে কি অলৌকিক কিছু ঘটে চলেছে? আজ থেকে পাঁচ দশক আগে বেগুনকোদর যে ভুল করেছিল তা কিন্ত্ত করছে না বড়তেলিয়া৷

বড়তেলিয়ার কাছাকাছি গঞ্জ বলতে বেগুনকোদর৷ হাট-বাজার, স্কুল-কাছারি সবই এখানে৷ সেখানে মানুষের মনে রেল নিয়ে ভূতের ভয় ছাড়াতে দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় ছিলেন বাঁকুড়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া৷ দীর্ঘদিন রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এই রেলপথ চালু করার চেষ্টা করেন৷ তাঁর কথায়, 'ভূতের ভয় বাজে কথা৷ গ্রাম থেকে অনেক দূরের ওই স্টেশনে একটাই ট্রেন চলত৷ সে জন্য কেউ ওখানে কাজ করতে চাইত না৷ ওরাই এ সব ভূতের গল্প রটায়৷ তবে বড়তেলিয়ার ঘটনাটা আমা জানা নেই৷"

প্রায় চল্লিশ বছর বন্ধ থাকার পর ২০০৯ সালে বেগুনকোদরে ফের ট্রেন চলা শুরু হয় তত্‍কালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে৷


তাহলে কি এখন আর ভুতুড়ে স্টেশন নয় বেগুনকোদর? বর্তমান ছবি তো সেকথা বলছে না। এখনও সন্ধ্যার পর স্টেশন বিল্ডিংয়ের ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যায় না কোনও গ্রামবাসীকে। বিকেল ৫.৫০ নাগাদ এই স্টেশনে থামে রাঁচি-চন্দ্রপুরা-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার। এর পর আর কোনও ট্রেনের স্টপেজই দেওয়া হয়নি এখানে। নেই কোনও রেলের স্থায়ী কর্মী। সন্ধের পরে আর কেউ আসেন না এখানে।
তাহলে কি বলছেন,যাবেন নাকি একবার বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রেলস্টেশন,বেগুনকোদরে ?


তথ্য - ইন্টারনেট ও লোকমুখ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতা যেখানে হাত দিবে, সেটা নস্ট হবে।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: সহমত :)

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভূত আছে। তবে ওখানে আছে না নেই আমি জানি না।
ভূত আসলে খুব ভয়ঙ্কর জিন।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: স্টেশনমাস্টার ও তাঁর হত্যার নেপথ্য কাহিনী কী?

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ চমকপ্রদ কাহিনী, শুনে ইচ্ছে করছে একবার ঢু মারতে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১২

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.