নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোথাও শান্তি নাই তবু শান্তিতেই নোবেল দেয়া হচ্ছে প্রতিবছর !!

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন

যা বশে আনা সম্ভব নয় তা ধ্বংস করে দিতে হয়।

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তামিল মুভি রিভিউ - দুধর্ষ হিরোরূপী ভিলেন Vikram Vedha(২০১৭)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২০



পুলিশ-অপরাধী মাঝে যে ফাঁরাক আছে তা যদি একটি লাইন দিয়ে কেটে চিহ্নিত করা হয়; তবে লাইনের এপাশে পুলিশ অন্যদিকে অপরাধী। সোজাসাপ্টা চিন্তা। কিন্তু আপনি যদি পুলিশের চিন্তাধারায় ভেবে চলেন, তাহলে অপরাধীর কেবল শাস্তি ই চাইবেন। অন্যদিকে অপরাধীর দিক দিয়ে বিবেচনা করলে, আপনি আপনার নীতিতে ঠিক আছেন। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছেন, এত সাধারণ কথায় ও। না না এত তাড়াতাড়ি আপনার আগ্রহের বীজ অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেওয়া চলবে না।


পুলিশ-অপরাধীর কিংবা হিরো-ভিলেন এই চিন্তায় মাথায় আসলে ফিকশানে কেবল ভেসে উঠে নিষ্ঠাবান সু-চরিত্রে হিরোইজমে ভরপুর অভিনেতা। একইভাবে অন্যদিকে ভিলেনের কথা মাথায় আসতে; চিন্তা আসে দুর্নীতি, অর্থলিপ্সা, স্বার্থলোভী, অন্যায় সৃষ্টিকারী ভয়ংকর কিংবা চতুর কোন চরিত্রের। দুজন কে এত সুতোয় বেঁধে কখনো কি পরিলক্ষণ হয়েছে কে সঠিক কিংবা কে নয়!!!! হলেও এই সূক্ষ্মজ্ঞানে কখনো ধরা দেয় নাই।

প্লট ধারণা:- বিক্রম পরিচয়ে এনকাউন্টার স্পেশালিষ্ট। সম্প্রতি গ্যাংস্টার ভেদা কে নির্মূল করতে মিশনে নেমেছে। এক ঘটনায় ভেদার বেশকিছু লোক কে বিক্রমের টিম মেরে ফেলে। তবে সন্ধান এখনো পায় না ভেদার। আকস্মিকভাবে ভেদা নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেয়। ভেদা কে নানান আঙ্গিকে বিভিন্ন পুলিশ অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সে কোন কথাই বলে না। অবশেষে বিক্রম জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ভেদা জানায়, সে তার জীবনের গল্প বলতে চায় বিক্রম কে। বিক্রম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জরুরি ভেবে শুনতে থাকে। ভেদা জানায়, গল্পে আছে নানান টুইস্ট ও স্পর্শকাতর বিষয়বস্তু; যেসবে মজে যাবেন বিক্রম।

ভেদার ফ্যান্টাসি বিক্রম কে ঘিরেই। সিনেমার নানান দৃশ্যপটে ভেদা এমন ই ৩ গল্পের সম্মুখীন হয় বিক্রম। গল্প শেষে জটিল এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়, বিক্রমের কাছে। ভেদা জানে, একমাত্র বিক্রম ই তার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে।

ভেদা দর্শক মাঝে এক দারুণ ধাঁধাঁর সৃষ্টি করে ডায়ালগ গুলো বলে:-

("উরু কাধালে ইবে নাল্লাবা ইবে কেট্টাবা,
নিলে চয়েজ কুট্টা চুজ পানোত্তো ইজি।

ইন্দা কাধালে রেন্ডো পেরু মে কেট্টাবা...

এন্না পানোবে????"

তামিল ডায়ালগ গুলোর বাংলা অর্থ ঠিক এভাবে দাঁড়ায়:-

"যদি তুমি ভাল বা খারাপের মধ্যে বাছাই করতে যাও; তাহলে অনেক সহজে বাছাই করতে পারবে।

কিন্তু এই গল্পে, আমরা দুজনেই খারাপ;
এবার তোমরা কি করবে??")

এই ধাঁধাঁর সঠিক উত্তর মিলবে সিনেমায়।



সাধারণ গল্প ও সিনেমার অভূতপূর্ব সব কাজে অনবদ্য অসাধারণ রূপে ফুটে উঠবে। কেননা সিনেমার স্ক্রিনপ্লে এতটাই চমকপ্রদ যে আপনি সাধারণ গল্পটি তেও থ্রিলিং ভাবের মুডে এতটাই মজবেন যেন আপনি বসে কোন থ্রিলার মুভি দেখছেন।

সিনেমায় কালার গ্রেডিং ভাব টা সিনেমার ডার্ক থিম কে দারুণ ভাবে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিল।

সিনেমায় সবচেয়ে বড় যে জিনিস মনের ভেতর পর্যন্ত নাড়া দিবে, তাহল সিনেমার বিজিএম। বাপ রে, এতটাই মারাত্মক; কানের মধ্য দিয়ে বুকের পাঁজরে এসে অনুভূতি জাগাবে। শব্দগ্রহণের বিভিন্ন বিট আপনার লোম খাঁড়া করে দিবে। গানগুলো ও সিনেমার ডার্ক থিমের সাথে যায়। বিশেষ করে টাইটেল ট্র‍্যাক টা সেরা।



অভিনয়ের প্রসঙ্গে কথা বললে, প্রত্যেকের কাজ দূর্দান্ত। মাধাবান নিজের সুদক্ষতার সেরাটা দিয়েছেন। তার চোখের ভঙ্গি ও অভিনয়ের ভাব টা ফুটিয়ে তুলতে জানে। তার ভয়েস ও ইউনিক। দুধর্ষ পুলিশ অফিসার চরিত্রে মাধাবান কে আসলেই প্রত্যেকের কাছে Badass হিসেবে ফুটে উঠবে। তবে এই সিনেমার প্রাণ নিঃসন্দেহে বলতে হবে ভিলেন চরিত্রে রূপদান কারী বিজয় সেথুপাথি। কি অভিনয় জানে এই লোক!!!! তার হাঁটার ভঙ্গি হতে শুরু করে তার বিদঘুটে হিংস্র ও তাচ্ছিল্যতার হাসি আপনার মনে কখনো জাগাবে ঘৃণা আবার কখনো করবে মুগ্ধ তার চতুরতায়। সেথুপাথি চোখ দিয়েও অভিনয় করতে জানেন। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও বলে, সে শুধু অভিনয়ের জন্যই জন্মেছে। সিনেমায় যখন ই তার দৃশ্য এসেছে সেখানেই ফাটিয়েছে। নিজেকে প্রকাশ করেছে ভিন্ন ভিন্ন ধাপে অভূতপূর্ব আঙ্গিকে।

হিরোইজম কিংবা ভিলেনিজম নিয়ে প্রচুর সিনেমা হয়। তবে এই সিনেমায় হিরো-ভিলেনের যে দুধর্ষতা সৃষ্টি করেছে, যা খুব কম ই সিনেমায় দেখা যায়। কেননা আপনি যেমন হিরো কে ভালবাসবেন ঠিক তেমনি ভালবাসবেন ভিলেন কে।

নিঃসন্দেহে মাস্টারপিস মানের সিনেমা।

পার্সোনাল রেটিং:- ৯/১০

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা দেখেছি।
ভালোই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.