নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোথাও শান্তি নাই তবু শান্তিতেই নোবেল দেয়া হচ্ছে প্রতিবছর !!

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন

যা বশে আনা সম্ভব নয় তা ধ্বংস করে দিতে হয়।

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু কি নারী নির্যাতন হয়?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৯



নারী নির্যাতনের সমানুপাতিক হারে পুরুষও নির্যাতিত হয়।

ছেলেটির নাম খায়রুল। তার ভালোবাসার মানুষের ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলো মেয়েটির বাসায় ( এটা স্বাভাবিক ঘটনা পাশ্ববর্তী প্রেমকাহিনী গুলোর মধ্যে) । এক পর্যায়ে মেয়েটির পরিবার জানতে পেরে তাকে আটক করে তারপর মেয়ের বাবা চোর অপবাদ দিয়ে দেয় খায়রুলকে। কিন্তু বন্ধুদের মতে খায়রুল অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সুশীল ছেলে। বাড্ডা এলাকায় খবর নিলেও জানা যাবে তার সততা ও নিষ্ঠা!

মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেছিলো 'ছেলেটি কে?' মেয়েটি সাথে সাথে পাল্টি খায়। সে নাকি খায়রুলকে চিনে না৷ মেয়েটির বাবা খায়রুলের মাথায় আঘাত করে, অত্যাচার করে। তারপর মেয়েটির বাবা ইচ্ছাকৃতভাবে ছেলেটিকে বিদ্যুৎ এর শর্ট দেয় এক পর্যায়ে সেখানে তার শরীরের ৬০% অংশ পুড়ে যায়।

এখন প্রশ্ন হলো মেয়েটি যদি খায়রুলকে না চিনতো, তাহলে এমন ঘনিষ্ঠ ছবি কিসের?

অতঃপর, ২৩/০৬/২০২০ তারিখ রাত ১২.১৫ মিনিটে খায়রুল চলে যায় না ফেরার দেশে।

এরাও প্রেমিকা? আর এরাও মানুষ?

বিঃদ্রঃ পোস্টটি খায়রুলের একজন বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহীত!

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি মেয়ের দোষ কেন দিচ্ছেন অপরাধ তো করেছে মেয়ের বাবা, তিনি ছেলেটিকে বকা দিয়ে বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে পারতেন তিনি তা না করে সন্ত্রাসী আচরন করলেন। মেয়েটার বয়োস কত , ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে স্কুলগামী তার পক্ষে তার প্রেমিকের পক্ষে স্ট্যান্ড নেয়া সহজ ছিলো না। অন্যায় এবং খুন দুইটাই করেছে মেয়ের বাবা, এখানে মেয়ে দোষী কোন ভাবেই না। এই যে মেয়ের বাবার জঘন্য আচরন মেয়েটার জীবনে এক বিশাল বড় ধাক্কা। মেয়েটি জীবনে আর স্বাভাবিক আচরন করতে পারবে না, ছেলেটি তো মরে গিয়ে তার পরিবারকে দুঃখের সাগোরে ভাসালো কিন্তু মেয়েটি আজীবন এক ধরনের পাপবোধ কস্ট মানুষিক যন্ত্রনা বয়ে বেড়াবে এর বিচার কে করবে। দুইটা জীবন সারা জীবনের জন্য ধ্বংস হয়ে গেলো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৭

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: একটি বাসায় একজন অপরিচিত মানুষকে খুঁজে পাওয়া মানেই চোর - ডাকাত ভাবাই যায় - কিন্তু এখানে অনেকটা ফাকা রয়ে গেছে, আসলে ছেলেটা কোথায় আর কি অবস্থায় পাওয়া তার বাবা দেখেছে!

নির্যাতন এক মিনিটেই কিন্তু শেষ হয়নি, ভালোবাসার মানুষকে এমন অমানুষিক নির্যাতন করাটা যে কারোরই বিবেক জানান দিবে হোক তা প্রেমিক বা প্রেমিকা, যদি সত্যিকারের ভালোবাসা হতো প্রতিবাদ একবার হলেও করতো।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অপরাধ যে করে সেই অপরাধী। নারী বা পুরুষ নির্যাতন বন্ধ হোক।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৮

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: নির্যাতন বন্ধ হোক

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

শেহজাদ আমান বলেছেন: @ রানার ব্লগঃ প্রেম করতে পারে, আর সময় হলে ছেলেকে চেনে না? আর কত মেয়েদের পক্ষে সাফাই গাইবেন? নারীবাদী চিন্তাচেতনায় আপনার মস্তিষ্ক মনে হয় আচ্ছন্ন!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪০

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: খারাপ- মেয়েরা যেখানে শূন্যের কোঠায় ছেলেরা সেখানে বিশ এর কোঠায় - এরপর বিচার বিশ্লেষণ

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: শেহজাদ আমান @ একটি স্কুলগামী শিক্ষার্তি প্রেম যত সহজে করতে পারে ঠিক ততো সহজে কি সেটা তার পিতামাতার কাছে প্রকাশ করতে পারে? আপনি আপনার অবস্থানকে তার পর্যায় নিয়ে গিয়ে তারপর উত্তর দিন। আমার নিজেকে যদি উত্তর দিতে বলেন তার উত্তর না হবে, এটা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য প্রজেয্য। ছেলেটি যে তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো সে কি তার বাবা মা কে বলে গিয়েছিলো, যদি বলতো নিশ্চিত থাকেন ছেলেটিকে কোন ভাবেই সেখানে যাওার অনুমতি দেয়া হত না বরঞ্চ বকা খেত। এখানে ছেলে মেয়ে কারোই দোষ না , দোষ যদি করে থাকে তা ওই মেয়ের বাবা করেছে ছেলেটিকে নির্মমভাবে অত্যাচার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে। যা তিনি বকাঝকা করে সামলাতে পারতেন।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখা থেকেই প্রমাণিত হয়েছে যে, মেয়েটা পরিবারের ভয়ে ছেলেটিক চেনে না বলেছে; আপনি ঘটনা সঠিকভাবে বুঝার মতো জ্ঞানী নন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪২

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: বিঃদ্রঃ পোস্টটি খায়রুলের একজন বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহীত
লিখাটা চোখে আবার পরার জন্য দিলাম

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৩

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: @রানার ব্লগ মেয়েটি জীবনে আর স্বাভাবিক আচরন করতে পারবে না, ছেলেটি তো মরে গিয়ে তার পরিবারকে দুঃখের সাগোরে ভাসালো কিন্তু মেয়েটি আজীবন এক ধরনের পাপবোধ কস্ট মানুষিক যন্ত্রনা বয়ে বেড়াবে এর বিচার কে করবে।

একই কথাটা দিহানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ। দিহান তার কৃতকর্মের জন্যে শাস্তি পাচ্ছে যতটুকু জানি। কোন না কোনভাবে এই হত্যাকান্ডের জন্যে এই অবুঝ মেয়েটাও দায়ী। দিহানও নিশ্চয়ই এক্সপেক্ট করেনি আনুশকাহ এমনভাবে মারা যাবে। এই দুটি ঘটনাতেই চারজন ব্যাক্তির সম্মতি ছিল, কিন্তু বিচার হচ্ছে একজনের। সমঅধিকার হল কি?

@লেখক, তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দোষটাই মেয়ের বাবার। এমন হিংস্র বাবা যার আছে তাতে মেয়েটার স্থানে অন্য কেউ থাকলেও বোধহয় একই কাজ করত।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৬

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: মেয়েটা- একবিন্দু ভালোবাসাও মেয়েটাকে জাগাতে পারেনি

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: ১) একটা মেয়ে ডাকলো আর সেই ছেলে মেয়ের বাসায় চলে যাবে? কোন উদ্দেশ্যে গিয়েছে বুঝেছেন তো?
২) মেয়েটার যেই বয়স মনে হচ্ছে তাতে এই মেয়ে কেন? শতকার ৯০% মেয়ে বাসারা ভয়ে অস্বীকার করবে।
৩) পাপের পথে গেলে শাস্তি হবেই । এখন আনুশকা কিংবা দিহানের মা বাবা মতো কান্নাকাটি করে কি লাভ?

থানায় কেস দিতে বলেন। মেয়ের বাবার বিচার হওয়া উচিৎ। সে যা করেছে সেটা পারেন্টিং না নির্যাতন।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পুরুষ গুলো বদ। এদের নির্যাতন হওয়ারই দরকার আছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪২

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: কথা সত্যি

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই বিষয়ে সমসাময়িক পোস্টগুলো ও মন্তব্যগুলোতে ভিকটিম তরুণ তরুণীদের দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু এই সকল বিশ্লেষণে একটি কারণ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত - তা হচ্ছে তরুণ বা কিশোরকিশোরীদের দূরদর্শিতা, চিন্তাচেতনার পরিপক্কতার অভাব ও ফলশ্রুতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলভ্রান্তি। যৌবন ও তারুণ্যে মানুষ অনেক ভুল পথে চালিত হয় এবং প্রচুর ভুলভ্রান্তি করে থাকে যা স্বাভাবিক। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে, অনেক পাপাচারে লিপ্ত হয়। অনেকে চরম মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব যদি তার পাশে থাকে এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করে তবে সে এই বিভ্রান্তির বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

কিন্তু বর্তমানে পরিবার, স্বজন ও বন্ধুত্বের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করছে মানুষের অতি মাত্রায় 'ম্যাটেরিয়ালিস্টিক' হয়ে যাওয়া এবং লোভ-লালসার বৃদ্ধি পাওয়া। গোটা সমাজই দুর্নীতি সহ নানান নৈতিক স্খলনের তলানিতে পৌঁছেছে, অথচ আমার সবাই এই পরিবর্তনকে খুব স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিচ্ছি - আবার সেই আমরাই এতে বসবাস করে আশা করছি সমাজ একদম পুতপবিত্র ও অপরাধহীন হয়ে যাবে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.