নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল প্রসংশা শুধু তাঁরই-যিনি আমাকে সৃশ্ঠি করেছেন।

মন যা বলে তাই করতে চাই কিন্তু কেন জানি কখনও করা হয়ে উঠে ন।

অন্য জগৎ

I love my self

অন্য জগৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজরের গল্প ।।।।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

সংস্কৃত : গর্জর।

ইংরেজি : Carrot

বৈজ্ঞানিক নাম : Daucus carota।

গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ হয় তুলনামূলক কম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে গাজরের গুরুত্ব অনেক।





গাজরের রস দেহে চর্বির মাত্রা কমায়। তাই ওজন কমাতে চান এমন ব্যক্তিরা কচি গাজর, কাঁচা পেপে, কচি বাঁধাকপির টুকরা খেতে পারেন ভাত, আলু, রুটির পরিবর্তে। গাজর রক্তের প্রধান উপাদান আরবিসিকে দীর্ঘজীবী করে। এতে রক্তে বেড়ে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত বাড়াতে হলে তাই প্রতিদিন অন্তত একটি কচি গাজর খান।



শরীরের যেসব কোলেস্টেরল রক্তের মধ্যে মিশে রক্তে জমাট বেঁধে যায়, হূৎপিণ্ড থেকে রক্ত সারা শরীরে পৌঁছাতে বাধা তৈরি করে, সেসব কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় গাজর। আর কিছু কোলেস্টেরল বা চর্বি রয়েছে, যা ত্বকে কোলেস্টেরলের বা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।



যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর রক্তের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করবে গাজর। মানুষের মেধাশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করে গাজর। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে করে দ্বিগুণ কর্মক্ষম। তাই গাজর হোক আপনার বন্ধু।



নতুন দাঁত বের হয়েছে বা সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে পারে, এমন শিশুদের জন্য গাজর দিয়ে তৈরি খিচুড়ি যথেষ্ট উপকারী। গাজর খেলে দাঁতের মাড়ির দুর্বলতা কমে, খাবার হজম হয় ভালোভাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।



ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ গাজরে অনেক বেশি, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে খনিজ লবণও রয়েছে পর্যাপ্ত হারে, যা মানুষের হাড়, দাঁত, নখ, চুলের জন্য বয়ে আনে সুফল। শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটও এর উপাদান। তাই গাজর বেশি মিষ্টি হলে কিডনি রোগে আক্রান্ত, অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তি ও ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজর খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। মাটির নিচে জন্মানোর জন্য এতে শর্করার পরিমাণ থাকে বেশি, ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজরের পরিমাণ কমিয়ে সালাদে বাড়িয়ে দিন শসার পরিমাণ।



মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেবে গাজরের খিচুড়ি। শিশু গাজরের খিচুড়ি না খেলে দিতে পারেন গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।



প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে খাদ্য উপাদান

কার্বোহাইড্রেড ৯ গ্রাম

চিনি ৫ গ্রাম

আঁশ ৩ গ্রাম

চর্বি ০.২ গ্রাম

আমিষ ১ গ্রাম

ভিটামিন এ 835 μg (104%)

বিটা-ক্যারোটিন 8285 μg (77%)

ভিটামিনলুটেইন এবং জিক্সানথিন 256 μg

থায়ামিন (vit. B1) 0.04 mg (3%)

রিবোফ্লাভিন (vit. B2) 0.05 mg (4%)

নিয়াসিন (vit. B3) 1.2 mg (8%)

ভিটামিন B6 0.1 mg (8%)

ফোলেট (vit. B9) 19 μg (5%)

ভিটামিন সি 7 mg (8%)

ক্যালসিয়াম 33 mg (3%)

লৌহ 0.66 mg (5%)

ম্যাগনেশিয়াম 18 mg (5%)

ফসফোরাস 35 mg (5%)

পটাশিয়াম 240 mg (5%)

সোডিয়াম 2.4 mg (0%)



এই তথ্য গুলো এখান থেকে নেয়া ।



আমার আগের পোস্ট গুলো।।

জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ ।।।

ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার ।।।

বাড়তি ওজনের এক খেসারত !!!

ক্যানসার প্রতিরোধ সহজেই !!!

অতি সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়!!!!!!!!

প্রতিরোধেই মিলবে স্ট্রোকের প্রতিকার

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সিডির দোকান বলেছেন: ভালা অইছে রে..... B-)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

অন্য জগৎ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: তথ্যবহূল পোষ্ট

ধন্যবাদ....

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

অন্য জগৎ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আহ গাজর! :D

সুন্দর পোষ্ট!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

অন্য জগৎ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২২

বোকামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক কিছু জানলাম
কচি গাজর আমি খেতে পারিনা তেমন তবে গাজরের হালুয়া ভাল লাগে
এখন থেকে অল্প করে খেতে চেষ্টা করবো অনেক উপকার পোস্টে দেখলাম
++++

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

অন্য জগৎ বলেছেন: ভাল ভাই চেষ্টা করেন

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

আহসান২০২০ বলেছেন: আমি তো প্রতিদিন একটা করে গাজর চিবাই। তারপর রাতের খাবার খাই। কিন্তু কোন উপকার পাইতেছি না। এই নিয়ে রুমমেটরা সবাই ক্ষেপায়, যদি গাজর খাইলে মেদ/ভুড়ি কমতো তবে তো গাজরের দাম বাইড়া যাইত। তারপরেও আমি খাই। খাইয়াই যামু।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

অন্য জগৎ বলেছেন: হা ভাই খাইয়াই যান :D :D :D

একদিন সুফল পাবেন ;)

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: ভাল লাগলো। জানলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

অন্য জগৎ বলেছেন: আমারও ভাল লাগলো আপনাদের জানাতে পেরে

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

সিড বলেছেন: valo laglo

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

অন্য জগৎ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

েমাঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, আজ পরিক্ষার ভাইভায় আমাকে এই প্রশ্ন করেছিল, যে ক্যারোটিন থাকে কোন সবজিতে ? ভাগ্যিস পেরেছি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

অন্য জগৎ বলেছেন: ভাল ভাল ভাল :D :D :D

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট জানার আছে অনেক কিছু

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

েরজা , বলেছেন:

Thanks

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

অন্য জগৎ বলেছেন: Welcome

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৬

শান্তা273 বলেছেন: উপকারি পোস্ট।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

খায়ালামু বলেছেন: পিলাচ লন

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম। বেশি করে গাজর খেতে হবে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

অন্য জগৎ বলেছেন: খেতে থাকেন ভাই

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২

আকাশ_পাগলা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে

চিনি থাকে তাই গাজরের হালুয়া উপকারী?
চিনি খাওয়ার জন্য হালুয়া করে খেতে হবে ক্যানো রে ভাই? এমনে এমনেই ত খাওয়া যায়। চিনি ছাড়া আর কিছুতে গ্লুকোজ নাই? সেগুলা খাইলে হবে না?
হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.