নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারো যদি গোপন সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে, তাহলে সেটা থাকে তার অন্যের কথার দৃষ্টাকোণ আর নিজের দৃষ্টি কোণ বুঝে নেওয়ার মধ্যে।।
আমরা যখন সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে ঢেউ দেখতে পাই, তখন এক একটি ঢেউ আছড়ে পড়ে সমুদ্রের তীরে। প্রতিটি ঢেউয়ের সাথে চলে আসে অগণিত ফেনা। সেই ফেনার মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় বুদবুদ। এক একটি বুদবুদ উঠতে থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তীরে গিয়ে পড়ে। সমুদ্রের বিশালতার মাঝে, একটি বুদবুদ খুবই ক্ষুদ্র। এর তুলনা মহাকাশের সাথে করলে, আমরা দেখতে পাই পৃথিবীও তেমনই একটি ক্ষুদ্র ফেনার বুদবুদের মতো, যা মহাকাশের অগণিত নক্ষত্রের মাঝে অস্তিত্ব ধারণ করছে।
মহাকাশের তুলনায়, পৃথিবী একেবারে কিছুই না। আমাদের এই পৃথিবী, এর সমস্ত মাপ, আকার, প্রকার – সবই ক্ষুদ্র এবং সীমিত। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে জীবনকে ধারণ করছে, অথচ মহাকাশের সামনে পৃথিবী খুবই তুচ্ছ। পৃথিবী সম্পর্কে চিন্তা করলে, আমরা বুঝতে পারি যে এটি সত্যিই একটি ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্ব, যা মুহূর্তের জন্য সৃষ্টি হয়েছে এবং একসময় শেষ হবে।
এমন একটি ক্ষুদ্র পৃথিবী, যেখানে আমরা বাস করি, সেখানে আমাদের অস্তিত্বের কোন কারণ বা উদ্দেশ্য কী? কেন আমরা এখানে? কেন আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন?
এ প্রশ্নের উত্তর আমরা ইসলামী দর্শনে পাই। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। মানুষের জীবন একটি পরীক্ষার মতো, যেখানে আমরা নিজেদের ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, ইবাদত-অসাধুতা যাচাই করি। পৃথিবীর এই ক্ষুদ্র জায়গায় আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে চলা এবং তার ইবাদত করা।
**পৃথিবী, মহাবিশ্ব এবং মানুষ:**
মহাবিশ্বে প্রতিটি গ্রহ, তারকা, নক্ষত্র এবং গ্যালাক্সির মধ্যে পৃথিবী যেন একটি খুব ছোট বিন্দু। এক একটি গ্রহ এবং নক্ষত্র কেবলমাত্র এক পিক্সেল বা একটি নূন্যতম বিন্দু, যা মহাকাশের বিশালতায় অদৃশ্য হয়ে যায়। পৃথিবীর আয়তন এবং অবস্থান মহাবিশ্বের তুলনায় একেবারে কিছুই না। একে যখন মহাকাশের সাথে তুলনা করা হয়, তখন তা একেবারে ক্ষুদ্র, নিরর্থক মনে হতে পারে। কিন্তু এর মাঝেই রয়েছে আমাদের জীবন। আমাদের অস্তিত্ব।
**মানুষের উদ্দেশ্য:**
মহাকাশের বিরাটত্বের সাথে পৃথিবীর তুলনা করতে গেলে, আমরা বুঝতে পারি যে পৃথিবী এবং আমাদের জীবন কোন অর্থহীন ব্যাপার নয়। আল্লাহ মানুষকে তার ইবাদত করার জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষ, তার ইচ্ছা এবং চেষ্টা দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর এবং সুষ্ঠু করতে পারে। এটাই আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে পৃথিবী তুচ্ছ, কিন্তু অন্যদিকে এটি একটি সুযোগ, যা মানুষের জন্য আল্লাহর ইবাদত ও পরীক্ষা করার জায়গা। আমাদের জীবন কত ছোট এবং ক্ষুদ্র তা জানার পরও, এটি আমাদের জন্য অমূল্য।
এ কথা মনে রাখতে হবে যে, মহাবিশ্বের বিশালতায় পৃথিবী সত্যিই এক ক্ষুদ্র বিন্দু, কিন্তু এই ক্ষুদ্র পৃথিবী এবং এতে বাস করা মানুষ আল্লাহর জন্য বিশেষ মূল্যবান। মানুষ তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করে। ইবাদত ও সৎ কাজের মাধ্যমে আমরা নিজের জীবনকে সার্থক করতে পারি।
**বুদবুদ ও মহাবিশ্বের সম্পর্ক:**
যেমন সমুদ্রের এক বুদবুদ, তার সৃষ্টি হওয়ার কোনো বড় কারণ বা উদ্দেশ্য নেই, তেমনি পৃথিবীও মহাকাশের তুলনায় কিছুই নয়। কিন্তু বুদবুদটির সৃষ্টি তার নিজস্ব প্রকৃতিতে; মহাকাশের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীর অস্তিত্বও আল্লাহর ইচ্ছায়। মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে তার ইবাদত, জীবন পরীক্ষা, এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে। পৃথিবী, মহাবিশ্বের সামনে তুচ্ছ মনে হলেও, আমাদের জন্য এটি অমূল্য এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ।
এটাই আমাদের জীবনের মূল তাত্পর্য, যে আমরা যেন এই পৃথিবীতে আল্লাহর রসূলের পথে চলতে পারি, তার বিধি-বিধান মেনে চলতে পারি এবং পৃথিবীর ক্ষুদ্রতা ও মহাবিশ্বের বিশালতার মাঝে নিজেদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
আপনি তো ইসলামিক দার্শনিক! বিশাল ব্যাপার!
যাক, ধর্মে লজিক নেই, যাতে লজিক নেই উহা দর্শনের বিষয় নয়; দর্শন হচ্ছে সব বিজ্ঞানের মাতা।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ বিবর্তনে ফসল।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় পৃথিবী আগে সৃষ্টি হয়েছে!!!
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, তার কয়েক হাজার পর মানুষ এসেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে মানুষের আগে। মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীতে হয়নি। বেহেশতে হয়েছে। পরে গন্ধম ফল খাওয়ার জন্য পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।