নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারো যদি গোপন সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে, তাহলে সেটা থাকে তার অন্যের কথার দৃষ্টাকোণ আর নিজের দৃষ্টি কোণ বুঝে নেওয়ার মধ্যে।।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন, দু’টিই বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যদিও ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য এবং ফলাফল ভিন্ন, তবুও গণ-আন্দোলনের ক্ষমতা এবং জাতীয় ঐক্যের গুরুত্বে এই দু’টি বিষয়ে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এদের মর্যাদা কি সমান? এ লেখায় আমরা এই দুই যুগের আন্দোলনের গুরুত্ব, ভূমিকা, এবং তাদের উপর মানুষের অনুভূতিকে তুলনা করে দেখবো।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১: জাতির জন্ম
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য একটি অসামান্য অধ্যায়। এটি ছিল আমাদের জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হয়।
এই যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি এবং অগণিত নারীর অপমান আমাদের স্বাধীনতার মূল্যকে আরও গভীর করেছে। এটি ছিল পুরো জাতির স্বতঃস্ফূর্ত একতা, যেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন একটি স্বাধীন দেশ গঠনের জন্য। এই আন্দোলন শুধু শারীরিক সংগ্রামের নয়; এটি একটি আদর্শ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই ছিল। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি স্থাপন করে।
ছাত্র আন্দোলন ২০২৪: পরিবর্তনের আহ্বান
২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে একটি সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনের দাবিতে শুরু হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামগ্রিক দুর্নীতি, উচ্চশিক্ষার ব্যয়, এবং কর্মসংস্থানের অভাবের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠিত হওয়া এই আন্দোলন তরুণ প্রজন্মের হতাশা এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তাহীনতার বহিঃপ্রকাশ।
যদিও এই আন্দোলনে প্রথাগত যুদ্ধের রূপ ছিল না, তবে এটি সামাজিক এবং নীতিগত যুদ্ধের প্রতিফলন। শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা অনেক পুরনো রাজনৈতিক কাঠামোর ওপর প্রশ্ন তুলেছে, ঠিক যেমন মুক্তিযুদ্ধ একটি অন্যায় শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়েছিল।
মর্যাদার তুলনা
১৯৭১ এবং ২০২৪ এর আন্দোলনের মধ্যকার মূল পার্থক্য হলো উদ্দেশ্য এবং ত্যাগের গভীরতা। মুক্তিযুদ্ধ ছিল জাতির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তার মূল্য ছিল জীবন-মরণ। অপরদিকে, ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন আধুনিক সমাজে ন্যায়বিচার ও অধিকারের জন্য সংগ্রাম। এটি জীবন-মরণ নয়, বরং মানবাধিকার ও সুশাসনের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার লড়াই।
দুই আন্দোলনই সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত হতাম না। আবার, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুশাসনের অভাবেই বেড়ে উঠতো।
চূড়ান্ত কথা
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪-এর ছাত্র আন্দোলন, উভয়েরই মর্যাদা ও গুরুত্ব ভিন্ন। তবে এক জায়গায় তারা একীভূত: দুটোই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা। জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো উভয় ইতিহাসকে যথাযোগ্য সম্মান করা এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দিয়ে ভবিষ্যতের দায়িত্ব তুলে দেওয়া।
আমাদের বোঝা প্রয়োজন যে, এক জাতির পুনর্গঠন কখনো একক কোনো আন্দোলনে থেমে থাকে না। এটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, যেখানে ১৯৭১ আমাদের শক্তি জুগিয়েছে, আর ২০২৪ আমাদের শেখাচ্ছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৮
অন্ধ অডিটর বলেছেন: ভাল লিখছেন ভাই
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪
Sujon Mahmud বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই! আপনার ভালো লাগার কথাগুলো আরও অনুপ্রেরণা যোগালো। পাশে থাকবেন সবসময়।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৫
এ পথের পথিক বলেছেন: খুব বেশী কিছু বলব না, লিখেছেনঃ " ২০২৪ আমাদের শেখাচ্ছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ " , ভাল লেগেছে ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬
Sujon Mahmud বলেছেন: আপনার ভালো লাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ! সত্যিই, ২০২৪ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। আশা করি আমরা সবাই মিলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও সুগম করতে পারব। পাশে থাকুন।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
লুধুয়া বলেছেন: যারা ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে সাথে ২০২৪ জামাতি-জিহাধী দের আন্দোলন কে এক করে দেখে তাদের ডিএনএ টেস্ট করা উচিত। কোথাও করাচি ক্যান্টনমেন্ট সাথে মিলে যেতে পারে।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১০
কলাবাগান১ বলেছেন: লুধুয়া বলেছেন
" যারা ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে সাথে ২০২৪ জামাতি-জিহাধী দের আন্দোলন কে এক করে দেখে তাদের ডিএনএ টেস্ট করা উচিত। কোথাও করাচি ক্যান্টনমেন্ট সাথে মিলে যেতে পারে। "
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
Sujon Mahmud বলেছেন: ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের তুলনাহীন ত্যাগ এবং আন্দোলনের গুরুত্বকে সবার উপরে। তবে ২০২৪ সালের আন্দোলনের মূল চেতনা বা উদ্দেশ্যের সাথে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সকল আলোচনা বা সমালোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত তথ্যভিত্তিক ও গঠনমূলক। কারণ যেকোনো সমালোচনা যখন সাধারণীকৃত বা ব্যক্তিগত আক্রমণমুখী হয়, তখন তা মূল বিষয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়। জাতি হিসেবে আমাদের প্রয়োজন একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা করে সঠিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: জামাতী-জিহাদীদের ধোকা দেওয়ার আন্দোলন হল ২০২৪
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬
ক্লোন রাফা বলেছেন: এই আন্দোলন’তো হয়েছে ১% লোকের চাকুরী লাভের সুবিধার আন্দোলন‼️
এই তুলনা করার অর্থ ১৯৭১ -এর অপমান‼️
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ১৯৭১ এবং ২০২৪ এক না। ২০২৪ এ আমাদের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। অইসব সম্বনয়করা নিজেদের আবার বিল্পবী দাবি করছে। আসলে ওরা শিবির।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৫
Sujon Mahmud বলেছেন: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল জাতিগত অধিকার ও জাতীয় স্বাধিকারের জন্য। কিন্তু ২০২৪-এর প্রেক্ষাপট মূলত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগের সাথে জড়িত, যা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেখা দিতে পারে।
কিছু সংগঠন বা ব্যক্তি নিজেদের বিল্পবী বলে দাবি করলেও, তারা আদর্শিকভাবে ভিন্ন হতে পারে। বাস্তবতা হলো, জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন এবং যে কোনো রাজনৈতিক ধোঁকাবাজিকে চিহ্নিত করার সক্ষমতা রাখে। কাজেই, আস্থা ফেরাতে কেবল অভিযোগ নয়, বরং সুস্পষ্ট যুক্তি এবং কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তাদের প্রভাব মোকাবেলা করা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৯
বিষাদ সময় বলেছেন: ৩০,০০,০০০/১,০০০ = ৩,০০০