![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
shazi১৯এট জিমেইল ডট কম আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।খেলে যায় রৌদ্র ছায়া,বর্ষা আসে বসন্ত।কারা এই সমুখ দিয়ে আসে যায় খবর নিয়ে,খুশী রই আপন মনে-বাতাস বহে সুমন্দ।সারাদিন আঁখি মেলে দুয়ারে রব একা,শুভক্ষণ হঠাৎ এলে তখনি পাব দেখা।ততক্ষন ক্ষণে ক্ষণে হাসি গাই আপন-মনে,ততক্ষন রহি রহি ভেসে আসে সুগন্ধ
চিঠির মত সুন্দর কিছু হয়না।ছেলেবেলা থেকে চিঠি ব্যপারটা নিয়ে অনেক ঘটনা,অনেক স্মৃতি জমা হয়ে আছে।যে বয়স এ ছেলেমেয়েরা বানান করে লিখতে শেখে কেবল,তখন থেকেই আমার ভাইজানের কাছে চিঠি লেখার গুরু দ্বায়িত্বটা আমার কাঁধে পড়েছিলো।ভাইজান তখন ঢাকা মেডিকেল এ পড়তো।
চিঠির বিষয় বেশি কিছুনা।আব্বা ,মা কেমন আছে।আমি কেমন আছি ।পড়া কেমন হচ্ছে।এভাবেই আমার চিঠি লেখার হাতে খড়ি।
এরপর অনেকগুলো বছর ভাইবোনদের কাছে চিঠি লিখতে লিখতে একদিন বড় হলাম আমি।আপু তখন শামসুন্নাহার হলে..একবার একটা চিঠি লিখেছিলাম।অনেকটা এই রকম,"আপু ,সালাম নিও।আশাকরি ভালো আছো।আব্বা ,মা আর আমি ভালো আছি।আমার পড়ালেখা ভালো চলছে।আমাদের গরুর একটা বাছুর হয়েছে।ওর নাম দিয়েছি বল্টু।কারন ওর নাকটা অমন।ভালো থেকো।ইতি সাজি।" আপু আমাকে রাগানোর জন্য সুযোগ পেলে গড়গড় করে এই কথাগুলো বলতো।আমি মাঝে মাঝে পিছনে দৌড়াতাম,কখনো কাঁদতে শুরু করতাম।
একবার ভাইজান বাড়ি আসলো ছুটিতে।আমাকে ডাকলো কাছে।সবার সামনে বললো আমার চিঠির বিবরন।সেটা অনেকটা হলো এইরকম,"ভাইজান ,সালাম নিবেন।আশাকরি ভালো আছেন।আমরা ভালো আছি।আমি এই মাত্র ফুটবল খেলে আসলাম।আমাদের দল ২-০ গোলে জিতেছে।আজ আরনা।আমি খুব ব্যস্ত।ইতি.....এই ব্যস্ত শব্দটা নিয়ে আমাকে ধরা হলো।আমি কেনো এত ব্যষ্ত।আমি যখন ক্লাস ফাইভ এ পড়ি ।মনে হয় সেই সময় একটা চিঠি পেলাম....আমার প্রথম পত্রমিতালী আপু।হীরা আপু।সিলেট থেকে চিঠি লিখতো ।এত সুন্দর সেইসব চিঠি,চিঠির কাগজ ও দারুন থাকতো.।কখনো নীল,কখনো সাদা.......।আমাদের বাসায় যে ডাকপিয়নটা আসতো.।বাসার সামনে এসে সাইকেলের বেল বাজাতো আর নাম ধরে ডাকতো...সাজিমনি চিঠি।বাসায় থাকলে দৌড়ে আসতাম।কখনো আপু,কখনো ভাইজান,কখনো হীরা আপু,কখনো পাশের বাসার বাবুদা।হীরা আপুর কাছ থেকে আমার ঠিকানা নিয়ে একদিন চিঠি লিখলো দাদামনি।এত সুন্দর হাতের লেখা।আমি দাদামনির হাতের লেখা নকল করতাম।অনেকটুকু পেরেছিলাম।
দাদামনির চিঠিতে থাকতো বৌদিমনি আর উনার মামনির কথা............আরো পরে উনাদের ছেলে ময়ূখের কথা।দাদামনি ও সিলেটেই থাকতেন।সিলেট মেডিকেল কলেজে রেডিওথেরাপি বিভাগে কাজ করতেন।উনার নাম ছিলো প্রবীর চৌধুরী।
অনেক বছর পর ,আমি তখনে কলেজে পড়ি।ইডেনের হোষ্টেলে থাকি।ছুটিতে মির্জাপুরের কুমুদিনীতে ভাইজান /ভাবীর বাসায় যাই ।কুমুদিনী হাসপাতালে ভাইজান আর ভাবী কাজ করতো ।
দাদামনি এলেন বেড়াতে।ভাবনা বিলাসী আমি চিরদিনই,আমার লেখায় সবার সর্ম্পকে কি ধারনা করেছিলো কে জানে,সবার সাথে দেখা হয়ে মনে হয় তা পুরোপুরি খুঁজে পাননি।কি যানি কোন সে কারনে উনি ব্যথিত হয়েছিলেন।সেই যে দাদামনি গেলেন আর লেখেননি।আমার খুব মন খারাপ লাগতো।হীরা আপু দাদামনির সাথে আর যোগাযোগ থাকেনি।
যখন আমি যখন হোস্টেল এ থাকতাম.......আমাকে চিঠি লেখার তখন কেউ নেই।ভাই বোনরা সংসার নিয়ে ব্যস্ত।খুব ইচ্ছে হতো আমার ও চিঠি আসুক।কিন্তু আব্বা আর মা ছাড়া কারো চিঠি পাইনি তেমন।ইডেন পুরাতেন হোষ্টেলে আবার চিঠি খোলা হতো।বাবা মার খোলা চিঠি হাতে পেতে আমার খুব খারাপ লাগতো।যে কোন চিঠি হাতে পাবার পর যে আনন্দ আজ অনেকগুলো বছর পরবাসী জীবন কাটিয়েও সেই সব মনে পড়ে।প্রতিদিন মেইল বক্স এ চিঠি আসে.......ক্রেডিট কার্ডের বিল,ফোন আরো কত চিঠি।
ঝাপসা চোখে মা চিঠি লিখতেন আগে।প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার ফোন করা হয় বলে কথাও খুঁজে পাননা লেখার.......ভাইজান প্রথম দিকে লিখতো,ভাবী,বোনরা.এখন আর কেউ লেখেনা।ইমেইল ও না।মাঝে মাঝে কিছু অফ লাইন মেসেজ।
মাত্র কয়টা বছরে পৃথিবী কোথায় এগিয়ে গেলো.......মানুষের অনুভব গুলো সেকেন্ডেই পৌছে যায় অন্যখানে।ভালোবাসা,রাগ ,অনুযোগ এইসব অনুভূতি এখনো আছে...কিন্তু তা এতটাই তাৎক্ষনিক।ভাবনাটা গভীর কিনা বুঝবার আগেই অন্যখানে পৌছে যায়।
কি জানি একেই কি এগুনো বলে?
এখনো ড্রয়ারে জমে থাকা চিঠিগুলো আমাদের অনেক সুন্দর সময়কে এনে দেয়।কখনো কখনো মনে হলে ড্রয়ার খুলে মেঝেতে বসে চিঠিগুলো পড়ে আনন্দ হাসির দোলায় ভাসতে থাকি........
আর অন্যখানে পৃথিবীর কোথাও কোনখানে কোন ছেলে বা মেয়ে তার সারাক্ষনের সংগী ফোনটা হারিয়ে মন খারাপ করে থাকে...ফোনের সাথে হারিয়ে যায় অজস্র মেসেজ।ভালোবাসার ,বিরহের ,বেদনার।
(টাইপ করতে বসেছিলাম "চিঠি :নামে একটা যুগলের কিছু চিঠি ।কি জানি কেন এই এলোমেলো লেখাটা লেখা হয়ে গেলো।একান্ত ব্যক্তিগত কিছু অনুভব চলে এলো।ভাবনা প্রসূত কিছু নয়।এলোমেলোতার জন্য পড়তে ভালো না লাগলে মার্জনা চাইছি আগে ভাগেই)
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক তাই........
(এই পোস্ট টা অনেক দিন আগের।
তবু মনে হলো সবার মন্তব্যের উত্তর দেই।)
কে খবর রুবেল?শুভেচ্ছা।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭
আন্ধার রাত বলেছেন:
".......মানুষের অনুভব গুলো সেকেন্ডেই পৌছে যায় অন্যখানে।ভালোবাসা,রাগ ,অনুযোগ এইসব অনুভূতি এখনো আছে...কিন্তু তা এতটাই তাৎক্ষনিক।ভাবনাটা গভীর কিনা বুঝবার আগেই অন্যখানে পৌছে যায়।"
আপনি আমার অনুভূতির মত করে ভাবলেন কি করে আল্লাহ মালুম।
আমি আগে প্রচুর চিঠি পত্র লিখতাম আর পেতামও। সবাই একটু আমাকে একটু অন্য চোখে দেখতো মানে সন্দেহের চোখে। যদিও জানতেন আমার অনেক বন্ধু আছে।
কালের পরিক্রমায় এখন আর কোন চিঠি আসেনা। কিন্তু সেই মধুর স্মৃতি জড়ানো অনুভূতি আমাকে ছেড়ে যায়নি এখনো।
টেকনোলজি আর স্বার্থপরতা মানুষের কোমল আর সুন্দর অনুভূতিকে ক্ষয় করে ফেলে--এটা আমার ধারনা আর কি।
সুন্দকার লেখার জন্য +++
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৮
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক বলেছেন........
মাঝে মাঝে ভাবি...বিলের কাগজ যখন আসবেনা,মেইল বক্স ও মনে হয় আর থাকবেনা।ইন্টারনেটে সব কাজ হয়ে যাবে।
চিঠি বিষয়ক কত স্মৃতি যে আছে।লেখাও আছে।মন গুছিয়ে বসে টাইপ করা হয়না।শুভেচ্ছা।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৩
অলস ছেলে বলেছেন: পড়তে পড়তে চিঠি নিয়ে অনেক পুরনো অনুভূতির কথা মনে পড়লো। কত সিরিয়াস ছিলাম, কত মান অভিমান করতাম। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় পাগলামি। কিন্তু আসলেই কি পাগলামী?
বরং এখনকার এই যান্ত্রিকতার চেয়েতো অনেক ভাল ছিল।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক তাই.......।
চিঠির ভাষা মনের কথা।
দারুন ছিলো সেইসব দিন।
শুভেচ্ছা।
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৫
বাঙাল যুবক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। খুব ছোট বেলায় অশিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত অনেকের চিঠি লিখে দিয়েছি, পড়ে দিয়েছি। কত মানুষের কত হাসি, কান্না, দুঃখ- কত রকমের অনুভূতি! আর যে চিঠিটি বহন করেন সেই ডাক পিওন দের নিয়ে কবি সুকান্তের কবিতাটিও অসাধারন।
ধন্যবাদ আপনার এ সুন্দর লেখায়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
শুভেচ্ছা।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯
শাহরিয়ার হোসেন বলেছেন: ভাবনারা উড়ে বেড়াবেই। ক্লান্ত হলে এসে বসবে আমাদের মনের অন্দরমহলে। সেখান থেকে জন্ম নিবে অজস্র কথার বিশাল সিন্ধু। তার কিছু বিন্দু হয়তো বলবো, আর কিছু বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে আর কিছুবা তরল হয়ে জমে থাকবে মনের মাঝে। বলার কথা যদি ব্যক্ত হয়ে যায়, লেখার দরকার কি তাতে? কিন্তু যদি সুদূর দেখতে পাই এখান থেকে, যদি মনে করি অনেক দিন পরে আজকের দুই একটি কথা অনেক বেশি দিবে আমাদেরকে তাহলে সেসব কথা ধরে রাখতে লিখে রাখাই ভাল। প্রযুক্তির আশির্বাদে উদ্ভাসিত এখনকার এই দারুন সময়ে মনের কথা লিখে ব্যক্ত করার তাগিদ বা সুযোগ নাই বলেই এমন আয়োজন আজ অপরবাস্তবে।........
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক বলেছেন......।
তবু খাম খুলে হাতের লেখা চিঠির টানটা অনেক আলাদা।
মা,বাবা,ভাই-বোন,বন্ধু...যার ই হোক না কেনো।
শুভেচ্ছা।
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
ইকরাম বলেছেন: এই প্রথম আপনার গদ্য পড়লাম, বেশ ভাল লাগল।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ......।
গদ্য যা লিখি ডাইরীর পাতায় পড়ে থাকে ।টাইপ করার আলসেমীতে অনেক লেখাই দিতে ইচ্ছে করলেও দেয়া হয়না।লিখবো ধীরে ধীরে
শুভেচ্ছা।
৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: valo laglo lekhata.
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৫
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: থ্যাংকস...।
শুভেচ্ছা।
৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৫
সাইফুর বলেছেন: ভালো লাগছে
+
পোস্টটি ৫ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি
কিন্তু কমেন্টস নাই ক্যান
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খেয়াল করিনি,কমেন্ট মডারেশন এ ক্লিক করা ছিলো।
শুভেচ্ছা।
৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৪
রাহা বলেছেন: একসময়ের সব বাঙালিরই বোধহয় কাছাকাছি স্মৃতি..... এখনও চিঠির প্রচলন কি আছে ??
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৭
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আছে ।তবে কমে গেছে অনেক...তাইতো এমন লেখালেখি।
শুভেচ্ছা।
১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৭
ধ্রুব বলেছেন: খাটি কথা বলেছেন। আজকাল তো কেউ চিঠি লেখে না, ইমেইল অথবা এস.এম.এস। যে যাই বলুক আমি খুব মিস করি এটা - কেউ লেখেনা আমাকে।
৫+
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০০
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: হুমম্ ..।ঠিক কথা।
শুভেচ্ছা।
১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৬
নাদান বলেছেন: আমাকে চিঠি লেখার জন্য আছে একজন। না চাইলেও মাসে একটা করে চিঠি দেবে। সেটা হল আমার ব্যাংক।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০১
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: শুধু ব্যাংক?
ক্রেডিট কোম্পানীরা?
ভালো থেকো ,শুভেচ্ছা।
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:১৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: মাঝেমাঝে সবাই এলোমেলো হয়ে যায়। ভালো লাগবে না কেন?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: এলোমেলোতাকে ভালো লাগবার জন্য শুভেচ্ছা।
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:১৯
ফজল বলেছেন: চমৎকৃত হলাম। +
আমাকে যদি এখন সুযোগ দেয়া হয় সময় পরিভ্রমনের তবে ফিরে যেতে চাইবো চিঠিযুগের দিনগুলোতে। আবেগগুলো কলমের আঁচড়ে স্পর্শ করার সুযোগ কি আর ই-মেইলে আছে?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক তাই.......।
খামের উপর পরিচিত জনের হাতের লেখা দেখলে কি যে আনন্দ......তা অপরিসীম।
শুভেচ্ছা।
১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৩
সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: আসলেই চিঠি,চিঠি-ই!!!ভালো লাগলো ভীষণ!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৬
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ নিশা।
অনেকদিন দেখি না যে!
ঠিক তাই, চিঠি চিঠিই!
শুভেচ্ছা।
১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮
জিহাদ বলেছেন: একটা সময় ছিল যখন প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে চিঠি লিখতে হত।চাইলেও, না চাইলেও।ক্যাডেট কলেজের অনেক নিয়মের একটা ছিল এটা।এত চিঠি দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে আমার অনেক ক্লাসমেট দুটো ব্যাপার ফলো করতো।
১। কেমন আছি,ভাল আছি টাইপ একটা চিঠি লিখার সময় নিচে কার্বন কপি দিয়ে অনেকগুলো অনুলিপি তৈরী করতো এবং প্রতি সপ্তাহে সেই চিঠি গুলোই একটা একটা করে পোস্ট করতো।
২। জুনিয়র ক্লাসের কোন ছেলেকে ডেকে নিয়ে বলত আমার জন্য একটা চিঠি লিখে নিয়ে আসো!!
আমার জন্য ব্যাপারটা তেমন ছিল না ।আমি বরাবরই ছোট বেলা থেকে চিঠি লিখা পছন্দ করতাম।ক্লাস থ্রি তে লেখা প্রথম কাল্পনিক প্রেমপত্রটা ধরা খাইসিল আম্মার হাতে।সেখান থেকে আব্বার কাছে।অতঃপর ভরা মজলিসে আব্বা সেটা পাঠ করে সবাইকে শুনিয়েছিল। তখন অনেক ছোট ছিলাম।তাই বলে লজ্জা কিন্তু মোটেও কম পাইনি।
সেই থেকে শুরু।সময় পেলেই বন্ধু দের কিংবা পেনফ্রেন্ডদের নিয়মিত চিঠি দিতাম।বিনিময়ে অনেক চিঠিও আসতো।এখন আর তেমন হয়ে ওঠেনা।ইমেইল এর যুগে hi, hello,bye ,tc র নিচে চাপা পড়ে থাকে ঘিয়ে রঙের স্মৃতিজড়ানো এনভেলপগুলো। লাস্ট কবে চিঠি লিখেছি ঠিক মনে পড়েনা।তবে চিঠি দেয়া,নেয়ার অসাধারণ অনুভূতিগুলো যে আমার কাছে আজো পুরোনো হয়ে যায়নি আপনার লেখা পড়তে পড়তেই সেটা বুঝতে পারলাম।ঝাপসা মনে হওয়া স্মৃতিগুলো দেখি এখনো সুযোগ পেলে ঝিকিয়ে ওঠে পুরোনো দিনের রোদেলা দুপুরের মতই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৮
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক তাই..........।
রোদেলা দুপুরের মত মনে পড়ে যায় সেইসব দিন।
ডাক পিয়নের জন্য অপেক্ষা।
শুভেচ্ছা।
১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: সাজি আপা,
শৈশবের কিছু ভুলে যাওয়া স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। ছোট্ট বেলায় মা যখন বরিশালে খালার কাছে চিটি লিখত,তখন আমরা দুই ভাইবোন স্কুলের খাতার পৃষ্টা ছিড়ে চিঠি লিখতাম খালার নামে। মার চিঠির সাথে আমারা দুজনেও দুটি পৃষ্টা দিয়ে দিতাম। লিখতাম, খালা, আমার ছালাম নিয়ো। কেমন আছ? আমরা ভাল আছি। নানা নানি কেমন আছে? স্কুল ভাল চলছে, আমরা ভালমত লেখাপড়া করছি । বাস এটুকুই। এরপর আমি জীবনে অনেক চিঠি লিখেছি। এমনকি এই মোবাইল-মেইলের এ যুগেও চিঠি লেখা ছাড়ি নাই। আমার চিঠি লেখা নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করব। পড়বার নিমন্ত্রন রইল। ভাল থাকুন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৮
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: "পত্র রচনা "পড়েছিলাম যথা সময়ে........।
শুভেচ্ছা।
১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আজ সকালটা আমার জন্য এত্ত দারুন লাগছে।কারন আছে।
"বিষয় চিঠি"লেখাটা যখন লিখি যানিনা কিভাবে রিভিউ তে ক্লিক পড়ে যায়।
আমি খেয়াল ই করিনি কমেন্ট মডারেশোনের জন্য এত্ত গুলো মন্তব্য এসে বসে আছে।কমেন্ট মডারেশন এ ক্লিক করতেই সব পেলাম।কি বলবো?আমার অনিচ্ছাকৃত এ ভুল এর জন্য মার্জনা চাইছি।
কমেন্ট মডারেশন?প্রশ্নই আসেনা।
চিঠি পাবার মত দারুন আনন্দ এসে ভরে গেলো হৃদয়টা।কাল থেকে কয়েকবার এসে কোন মন্তব্য না পেয়ে গদ্য লেখায় ইস্তফা দেয়ার প্লান করছিলাম আর এক বন্ধুকে মনে মনে বকছিলাম।সেই বন্ধুকে বিগ হাগ।
সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা যারা এসে এত অনুভূতি শেয়ার করে গেছেন।
১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
!গন্ডার বলেছেন:
অর্থহীণ আবেগ, যার কোনো মুল্য নাই
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ...........
শুভেচ্ছা।
১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
মুকুল বলেছেন: প্রথম চিঠি যদ্দুর মনে পড়ে মেঝো ভাইয়ের কাছে লিখেছিলাম। তিনি ৬ মানের জন্য রাশিয়া ছিলেন। তার কাছে খেলনা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। আসার সময় একটা খেলনা ট্যাংক সাথে করে এনেছিলেন।
আহা! এখন আর কাউকে চিঠি দেয়া হয়না। চিঠি পাওয়াও হয় না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪০
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খেলনা ট্যাংকটা কি পাইছিলা মুকুল?
শুভেচ্ছা নাও।
২০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১১
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: দেরীতে হলেও পড়লাম। ভালো লেখেন আপনি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ...........
ভালো লাগা ছুঁয়ে যায়।
শুভেচ্ছা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪১
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ...........
শুভেচ্ছা।
২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:১১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম অনেক ভালো লাগল।
চিঠি নিয়ে আমিও ছোট একটা লেখা দিয়েছিলাম।
আগে আমি অনেক চিঠি পেতাম এখন কেউ দেয়না।
চিঠি পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩৫
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: চিঠি তো দেয়ই না.....
মাঝে ইমেইল আসতো ......
তাও আর আসে না
ইদানিং কিছু অফলাইন আসে.......।
আজ ইয়াহোতে দেখি বড় বোন লিখেছে,"কিরে অনলাইনে দেখি না কেনো?"
এক বন্ধু লিখেছে ,"কেমন আছো?"
কি বিস্মিত লাগে যে!
সবাই এত ব্যস্ত হয়ে গেলাম,কারো জন্য কারো সময় নাই চিঠি লেখার।
শুভেচ্ছা ইমন।ভালো থেকো।
২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:৫৮
কাল্বেলা বলেছেন:
আরে , এতো সুন্দর একটা লেখা পড়তে দেরি হয়ে গেল কেন?
এলোমেলোতার মাঝেই খুজে পেলাম অতি প্রাকৃত সুখ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো কালবেলা....ভালো লেগেছে জেনে।
চিঠি লেখার একটু চর্চা হচ্ছে মনে হয় মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে।
তাইনা?
যাই হোক আর তাই হোক পানি সিঙ্গারা কই পাইরে কালবেলা?
শুভেচ্ছা.....।
২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ছোটবেলার দিনগুলোতে ফিরে গেলাম , দেশ থেকে পাঠানো একেকটা চিঠি ছিল আমাদের পরম পাওয়া । কখনো পোস্ট মাস্টার বাসার বাইরে আমাকে খেলতে দেখে আমার হাতেই চিঠিটা দিতেন । খেলা ফেলে এক দৌড়ে চিঠি নিয়ে বাসায় পৌছে যেতাম । চিঠি খোলার সময়টায় বাবা মায়ের চোখে মুখে উৎকন্ঠার ছবিটা দেখতাম । আমি অপেক্ষায় থাকতাম খালি খামটার , যেটা পানিতে ডুবিয়ে ডাকটিকেটটা তুলে ফেলতে পারবো ।
খুব মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা , অনেক ধন্যবাদ আপু
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ঠিক তাই...খামের সাঠে জুড়ে থাকা ডাকটিকিট সংগ্রহ...একসময় নেশা ছিলো।
ধন্যবাদ........ভালো লাগা ছুঁয়ে গেলো আমাকেও।
শুভেচ্ছা/
২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৪
বুমবুম বলেছেন: যতদুর মনে পড়ে প্রথম চিঠি লিখেছিলাম কুয়েতে থাকা ছোট মামাকে একটা টেপরেকর্ডার চেয়ে।একটা লাইন এখনো মনে আছে"মামা এইবার আসার সময় কিন্তু আমার জন্য একটা ন্যাশনাল ক্যাসেট নিয়া আসবা"।বানান ঠিক ছিল কিনা মনে নেই
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪৬
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: বাহ্ দারুন তো!
টেপ রেকর্ডার চেয়ে চিঠি!
শুভেচ্ছা থাকলো।
২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১০
সেলিম তাহের বলেছেন: হাতে লিখা চিঠি? সে তো স্মৃতিসত্ত্বা কণা। ভুলেই গিয়েছি শেষ কবে পেয়েছিলাম!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:২৬
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আমার মা আমাকে প্রতিমাসে চিঠি লিখতো..........
এখন সপ্তাহে ৩/৪ দিন ফোনে কথা হয়।
আর মায়ের চোখের কিছু সমস্যা থাকায় লেখেন না।
আমার ভাইজান ও অনেক ব্যস্ততাতে লিখতো.......।কয়েক বছর আর লেখেনা,মাঝে মাঝে ইমেইল এ কিছুটা অনুভূতি প্রকাশ করে .....সেই ইমেইল কত বার যে পড়ি!
শুভেচ্ছা থাকলো।
২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৫৬
প্রচেত্য বলেছেন: কখনো কোন সময় চিঠি লিখতে হয়নি
কাউকেই না
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১১
রুবেল শাহ বলেছেন: প্রকৃতির মত চিঠিও কাউকে ধোকা দেয় না, অনুভব অনুভুতি শত বছর পরেও থাকে ---- ++