নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেঁচে থাকাটা দারুণ ব্যাপার ....

সুলতানা শিরীন সাজি

shazi১৯এট জিমেইল ডট কম আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।খেলে যায় রৌদ্র ছায়া,বর্ষা আসে বসন্ত।কারা এই সমুখ দিয়ে আসে যায় খবর নিয়ে,খুশী রই আপন মনে-বাতাস বহে সুমন্দ।সারাদিন আঁখি মেলে দুয়ারে রব একা,শুভক্ষণ হঠাৎ এলে তখনি পাব দেখা।ততক্ষন ক্ষণে ক্ষণে হাসি গাই আপন-মনে,ততক্ষন রহি রহি ভেসে আসে সুগন্ধ

সুলতানা শিরীন সাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষা

০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩১



আমি যখন আনমোনা বালিকার মত একটা বিকেলকে দেখছি।গাছের পাতাগুলো ধূসর হয়ে আছে। শরত এর বিকেলগুলো ছোট হতে শুরু করেছে । আর আকাশ এর সেই মেঘগুলো ,কিযে সুন্দর!
তুমি,তোমার সকালে হয়তো কোন বই এর দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছো। তোমার চশমার পাওয়ার বদলে গেছে আবারো।অনেকদিন আমাদের কথা হচ্ছেনা।
অনেকদিন তুমি আমাকে কোন চিঠি লিখছোনা। অনেকদিন কতদিনে হয় সেকথাই জানতে চেয়েছিলে সেই কবে! খুব ব্যস্ত যে আছো সেকথা বুঝতে পারি।

আসবার আগে প্যারিসের ক্যাফে দ্যু ট্রোসাডেরো তে দেখা হয়েছিল আমাদের। অজস্র মানুষ বসে ছিল।
আমরা দুজন সেই মানুষের কোলাহলে বসে শুধু মানুষ দেখছিলাম।
তোমার সাথে আমার দেখা হবার সেই দিনটা তো মনে পড়ে,একটা বাসে তোমার সাথে দেখা। তোমার হাতে একটা গীতবিতান। আমি অবাক হয়ে একবার তোমাকে আর একবার গীতবিতান দেখছি।
"আমি বাংলা জানি", এই কথাটা এমন সুন্দর করে বললে,বসে না থাকলে আমি ঠিক দাঁড়ানো থেকে পড়েই যেতাম। এই তো শুরু।

তোমার মা বাংলাদেশ থেকে তিনটা প্রিয় জিনিস নিয়ে ফিরেছিলেন,তুমি,গীতবিতান আর তোমার দাদীর আচারের রেসিপির নোট বই।
আমি মাস্টার্স করতে গিয়েছিলাম ।ভাষাশেখা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে ভীষন হিমশিম খাচ্ছিলাম।
তোমার সাথে দেখা হবার পর সবকিছু অনেক সহজ হলো। আমি বলি ম্যাজিক হলো।
আর তোমার বাসাতে গেলেই তোমার মা এমন করে জড়িয়ে ধরতেন,চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে বলতেন,আহা বাংলাদেশ। মায়েদের অদ্ভুত কিছু প্রকাশ থাকে ভালোবাসার। তুমি বলছো।
ছোটবেলায় মা হারিয়েছিলাম ,তাই এই অধ্যায়টা আমার অজানা ছিল।
তোমাদের বাসায় গেলে আমি খিঁচুরি আর আচার খেতাম।তোমার মা ভাঙা ভাঙা বাংলায় আমার সাথে কথা বলতেন। তোমার বাবা গাড়ি এক্সিডেন্ট এ হঠাৎ চলে যাবার পর তোমার মা চেয়েছিলেন দেশেই থাকতে। কিন্তু পারেননি। সে না পারার কারনগুলো তোমার আজো অজানা।দশ বছরের তোমাকে নিয়ে ফিরেছিলেন নিজের দেশে।

প্যারিস এর সেই দিনগুলো ঝিরঝির বৃষ্টির মত মনেপড়ে যায়।
কত দিন শুধু তুমি আর আমি ,ঘন্টার পর ঘন্টা পথ হেঁটেছি।
তুমি বলতে ঢাকার স্মৃতির কথা! তোমার দাদাবাড়ি ছিল গনকুটলী লেন। তুমি যখন গল্প করতে,তোমার চোখ চকচক করতো। আমি ঘুড়ি আর নাটাই হাতে তোমাকে দেখতাম।
তোমার সাথে আমার দেখা হবার পর তুমি যেনো বিশাল একটা ঘরের মধ্যে বন্দীদশায় একটা জানালা পেয়েছিলে। এক যুগের বেশি সময় কেটে গিয়েছিল, একদিন ও তুমি বাংলা বলোনি । মাঝে মাঝে মায়ের সাথে রাগ করলে শুধু বাংলা বলতে।
আর তোমার পুরো স্কুল জীবন আর ভার্সিটি জীবন কেটে গেছে শুধু অদ্ভুত অপেক্ষায়, আবার বাংলাদেশে যাবে। মাকে নিয়েই যাবে।

আমার মাস্টার্স শেষ হবার পর আমি আমি ফিরে এসেছি দেশে। আসতে হয়েছে। তোমার মত আমার ও বাবা ছাড়া কেউ নেই।এই বাবা আমাকে বড় করেছে। আমাদের চারবোনকে বাবা একাই বড় করেছেন। বোনদের বিয়ে হয়ে যাবার পর বাবা আর আমি একসাথে থেকেছি।

আমি এসেছি কিন্তু আমার হৃদয় এর একটা বিশাল অংশ তোমার কাছে রেখে এসেছি। মাঝেমাঝেই একা হলে নিজেই খুঁজে বেড়াই সেই আমাকে।তুমি যখন প্যারিস এ গভীর ঘুমে থাকো,আমি তখন গণকটুলী লেন এর তোমাদের বাড়ির সামনে যেয়ে দাঁড়াই। জানালার শিক ধরে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। আমি জানি তিনি কে। আমি জানি তিনি কার অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন।

তোমার মায়ের চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার পারমিশন দিলে তুমি তাকে নিয়ে আসবে । আমাদের বাড়িতে তোমার মায়ের জন্য একটা ঘর ঠিক করেছি। মায়ের কাছ থেকে যেসব রেসিপি ছবি তুলে এনেছিলাম, সব আঁচার বানিয়েছি। চালতা,আমড়া ,আম আর বরই।
তুমি আসবে বলে, তোমার ভালোলাগার সবকিছু জমা করছি।
তুমি এলে আমরা আজিমপুর কবরস্থান এ যাবো,যেখানে তোমার বাবার আর আমার মায়ের কবর আছে।
কি অদ্ভুত কো ইন্সিডেন্স তাইনা? আমাদের প্রিয় দুইজন মানুষ ওখানে শুয়ে আছেন।
আমি মায়ের কবরে গেলেই তোমার বাবার কবরে যাই। প্রথমদিন যেয়ে খুব সংকোচ লাগছিল। কি বলবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে তোমার নাম বললাম। বললাম আমি তোমার খুব আপন বন্ধু। বললাম, তুমি কি ভীষনভাবে অপেক্ষা করছো এখানে আসবে তাই। তোমার মায়ের অদ্ভুত ভালোবাসার কথাও বলেছি। অপেক্ষার কথা বলেছি। খুব সুন্দর ঝিরঝির বাতাস বইছিল। মনে হচ্ছিল তোমার বাবা বাতাস হয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছিলেন আমাকে।
তুমি আর তোমার মা যে গাছটা লাগিয়ে গিয়েছিলে। হাসনাহেনা।এত সুন্দর ফুল ফুঁটেছে তাতে। কিছু ফুল মাটিতে পরে ছিল। আমি অনেকক্ষন বসেছিলাম। আর হ্যা তুমি যে আসার আগে আমাকে অনেকগুলো একটা কার্ড দিয়েছিলে আর ফুলের পাঁপড়ি,আমি তা রেখে এসেছিলাম। কার্ড এর লেখাটা পড়ে শুনিয়েছি। আমি জানি তিনি শুনেছেন।
মায়ের কবরের কাছেও গিয়েছিলাম। তোমার দেয়া কার্ড আর ফুলের পাঁপড়ি ওখানেও দিয়ে এসেছি। মাকে বলেছি তোমার কথা। তোমার অদ্ভুত সুন্দর মনের কথা। তোমার মায়েরও গল্প করেছি। বলেছি,আমার মা করে ডাকবার একটা মানুষ আমি খুঁজে পেয়েছি।
মা শুনে খুশি হয়েছেন আমি নিশ্চিত। পৃথিবীর সব মায়েরা অসাধারন হয়,তোমার মাই আমাকে একদিন একথা বলেছিলেন।

অনেকেই খুব অবাক হয়। কি করে প্রতি সপ্তাহে ওখানে যাই!
যেতে হয়। জন্মের পরই যারা মা হারায়, তাদের বুকের ভিতর শূন্যতার এক গহ্বর থাকে। পৃথিবীর সব সুখ যদি তাকে হাতের মুঠোয় এনে দাও,সেই শূন্যতার একটুকুও ভরবেনা তাতে। যেই মা কখনো ছিলোনা তার জন্য এত কষ্ট ,এত শূন্যতা! যে বাবা তোমার জীবনে ছিল,দশটি বছর ধরে। তার জন্য কি অপরিসীম কষ্ট তোমার জমা,তা আমি বুঝি। কত ভালোবাসার স্মৃতি বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াও। কত অসম্পূর্ণতা! তাই তোমার দুঃখ ছুঁতে হাত বাড়িয়ে রাখি। এ হাত ভালোবাসার হাত। এ হাত দুঃখ ভাগ করার হাত।
যে কোন অপেক্ষাতেই অনেক সেকেন্ড,মিনিট,ঘন্টা জমা হয়ে দিন,রাত,মাস পেড়িয়ে বছর হয়।
দেখা হলে সেই অপেক্ষার যেই আনন্দ থাকে,সেই আনন্দর জন্য আমি বসে আছি। আমি জানি ,তুমিও আছো! তুমি এলে তুমুল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমরা আজিমপুর এ যাবো।
আমাদের সেই অপেক্ষা যতবড়ই হোক, সেটা তো বুকের সেই শূন্য গহ্বর না, যে কোনদিন পূর্ণ হবেনা!

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

আসাদ ইকবাল তামিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: পাঠে ভালোলাগা। শুভেচ্ছা আসাদ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অদ্ভুত আবেশে বুদ হয়ে রইলাম :)

হৃদয় ছোঁয়া সব অনুভুতিকে দারুন শৈল্পিকতায় তুলে এনেছেন, হৃদয়ে খোঁচা মেরে যেন জাগিয়ে তোলে ঘুমন্ত অনুভবকে।

অনেক অনেক ভাললাগা
+++++++++++

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো ভালো লেগেছে।

শুভেচ্ছা রইলো।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনুভূতি প্রকাশ ভাল লেগেছে...

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকবেন

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন আবেশিত করে আপনার লেখাগুলো আপু !!
মায়া ভরা লেখা।
ভালোবাসা আপু।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: থ্যাঙ্কস মনিরা।
লেখা পড়া শুধু নয়,মন্তব্য করাটা যে লেখে তাকে অনেক সুখি করে।
ভালোবাসা নিও মনিরা ।ভালো থেকো।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম । কি এক উদাসী হাওয়ায় যেন ভিজিয়ে দিলো মনটা আপনার এই লেখাটা ! আপনারা যারা ব্লগে অনেক পুরোনো তারা আমাদের নতুন জেনারেশনের চেয়ে অনেক ভালো লেখেন মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করে নিলাম আপনার এই লেখাটা পড়ে। এই লেখাটা মনে হয় একশো বছর চেষ্টা করলে আমি লিখতে পারবো ।একমাস কম হলেও মনেহয় লেখা যাবে না। রিয়েলি বিউটিফুল !

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আহা কি মায়াময় মন্তব্য।
উদাসী হাওয়ায় মন ভিজিয়ে দেয়া কি কম আনন্দ?
সারাজীবন ধরেই ভালো লেখা হয়। আর যে যখন লেখে ,তার সমস্ত ভালোলাগা দিয়েই লেখে বলে আমি মনে করি।
কিছু কিছু লেখা পড়ে মনে হয় আমি তো এভাবেই লিখতে চেয়েছি ,বলতে চেয়েছি।
আমি লিখি আমার ভালোলাগা থেকে।
অসম্ভব আনন্দ থেকে। আমি বিশ্বাস করি ,আমরা যে যেমন,তার ছাপ রেখে যাই সবখানে।কি লেখাতে,কি পথ হাঁটাতে।
ছাপ থেকে যাই। সুরভী রেখে যাই।
আমাদের আবারো দেখা হবে লেখা তে।
হয় এই বাড়ি, নাহলে ইলমুইনার ব্লগ বাড়িতে।
শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: মনোমুগ্ধকর।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

সাহিনুর বলেছেন: অসাধারণ এক কথায়

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা সাহিনুর

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! অনুভূতিগুলি সুন্দর সাজিয়েছেন। বড্ড অসহায় পড়লাম পাঠ শেষে।


শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: অসহায় হয়ে পড়ার কথা বললেন কেনো বুঝিনি।
মন খারাপ হয়েছিল তাই বোঝাতে চেয়েছেন কি?

শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কোন মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন না যে?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: রাতে পোস্ট করে গিয়েছিলাম। সারাদিন নানান ব্যস্ততায় বসা হয়নি।
শুভেচ্ছা

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: খুব খুব ভালো লিখেছেন। আমি আপনার বর্ণনার প্রতিটি দৃশ্য দেখতে পেয়েছি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ।
এই দেখতে পারাটুকুই তো চাই। ভালো লাগলো জেনে।

শুভেচ্ছা মৃণ্ময়।

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুলতানা শিরীন সাজি,




ভালোই লাগলো । তেমন কোনও অপেক্ষা আসলেও সুন্দর ............





০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই সব অপেক্ষাতেই সুন্দর আছে।
কারন ওখানে দেখা হবার প্রত্যাশা জুড়ে থাকে।
শুভেচ্ছা

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: সাজি মন কেমন করা লেখা। পড়লেই মন উদাস হয়ে যায়, মন কোথায় যে হারায়, কেন হারায়!!

খুব ভালো লেগেছে। শুভকামনা আর একরাশ ভালোলাগা রইলো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: শিখা আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হলো,আমাদের আগে থেকে চেনাশোনা।
মন উদাস সবার হয়না শিখা। মনতাড়িত মানুষদের এই এক স্বভাব,উদাস হওয়া। মনে রাখা। যারা খুব বাস্তববাদী,তাদের অনেকের কাছে মনের এই টুকরো টুকরো বোধগুলো খুব বিস্ময়কর।
আমাকে অনেক বছর আগে এক আত্মীয় খুব অবাক হয়ে জানতে চেয়েছিলেন,ইংরেজী সাহিত্য পড়ি কিভাবে? কেনোই বা পড়ি?
তিনি পাঠ্য বই এর বাইরে কোনদিন কোন কবিতা বা গল্প এক লাইন ও পড়েন নি। জীবন এ খুব সফল একটা মানুষ ,অথচ একটা কবিতা বলতে জানেন গান গুনগুন করেন না। তাদের আনন্দ,তাদের প্রাপ্তি জীবনে অনেক।
মাঝে মাঝে ঠিক বুঝিনা, এই উদাস হওয়া ভালো,নাকি তাদের মতই?
আসলে কেউ তো কারো মত হয়না। প্রকৃতি যেভাবে যাকে সাজায়। আমরা তো প্রকৃতির অংশ ছাড়া কিছু নই। তাইনা?
শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো শিখা। ভালো থাকবেন আর ভালোবাসায় থাকবেন।

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

মিথী_মারজান বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধের মত একটানে পড়লাম আপু।
আরো কয়েক হাজার শব্দ থাকলেও একফোঁটা বিরক্ত হতাম না।
বরং আফসোস হচ্ছে, কেন আরো বড় হলোনা লেখাটা।

কি যে সুন্দর লিখেন আপনি!!!
ভালোবাসা সাজি আপু।:)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
থ্যাঙ্কস মিথী। এত্ত সুন্দর মন্তব্য পড়লে এখনো মন কেমন করে।
এই জন্যই ভালোবাসি এই ব্লগ বাড়ি।
আকাশের এই ঠিকানাটার কথাই বোঢ প্রিয় কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলে গিয়েছিলেন সেই কবে।
আকাশের ঠিকানা যে কোনদিন এভাবে হতে পারে কে জানতো ?
ইমেইল,ব্লগবাড়ি,ফেইস বুক সব,সব তো বিস্মিত করে আমাদের ,তাইনা মিথী।

অনেক ভালো থেকো। আমার এখনো সময় খুব হচ্ছেনা ব্লগবাড়িতে ঘুরে লেখা পড়ার। প্রতিদিন পড়তে চাই কিছু ।
ভালো বাসা নিও। যেমন খুশি ভালো থেকো।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাহ, খুব সুন্দর এক অপেক্ষার গল্প। যদিও পুরো লেখাতে একটা বিষণ্নতা জড়িয়ে থাকলো।
একটা বিষয় নোটিশ করলাম, আপনি খুব যত্ন নিয়ে লেখেন এবং খুব সম্ভবত লেখার পর কয়েকবার পড়ে কারেকশন করেন। একটাও বানান ভুল/বা বিভ্রাট চোখে পড়লো না। কেবলমাত্র ছয় নম্বর প্যারায় গনকুটলী সম্ভবত গণকটুলী হবে।

আরেকটা বিষয়, অপেক্ষার মানুষটিতো মনে হচ্ছে বাংলাদেশী-ফ্রেঞ্চ, তাহলে তার বাংলা বলায় এত আশ্চর্যের কি ছিলো?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: থ্যাঙ্কস।
বানান খুব না হলেও ভুল হয় আমার।
হ্যা গণকটুলী লেন হবে। ঠিক করলাম। ধন্যবাদ।
আগে আমরা ব্লগে সবাই সবাইকে বানানে সাহায্য করতাম। এখন তো অভিধান ভরতি অনলাইন এ।
লেখাতে দেখেছিলাম ছেলেটা সেই ছোট বেলায় ফিরে গেছে জার্মানী। ধরা যাক বয়স তখন সাত বা আট। যুগের বেশি কেটে গেছে ।হতে পারে ১৫ বা ১৬ বছর।মেয়েটার সাথে পরিচয়।২/৩ বছরের ।তাহলে ছেলেটা এখন ২৬ বা ২৭।
আর ছোটবেলায় শেখা ভাষা অনভ্যাসে অনেকটা ভুলে যায় মানুষ। আমি কানাডায় বাবা মায়েদের সাথে আসা অনেক বাচ্চাদের দেখেছি তারা বাংলা লেখা ভুলে গেছে। বা পড়তে ভুলে গেছে। অনভ্যাস এ। আমার বড়ছেলে ছোটবেলায় ফ্রেঞ্চ স্কুলে গিয়েছিল দুই বছর। শহর বদলানোতে অন্য ইংরেজী স্কুলে যাওয়ায় ভুলে গেছে। হয়তো কথা বললে মনে রাখতো। পরে আবার ফ্রেঞ্চ পড়েছে,একটা সাবজেক্ট হিসাবে।
আর এখানে ছেলেটার মা জার্মান না হয়ে বাংলাদেশী হলে অবাকের কিছু থাকতোনা। এটা আমার উপলদ্ধি।মায়েরা বাচ্চাদের সাথে নিজের ভাষা বলে কমফোর্ট পায় বেশি। আমরা এই বিদেশে বাচ্চাদের সাথে বাংলায় বলি।
শুভেচ্ছা জানবেন। পাঠে ভালোলাগা।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: অাবেশিত লেখা। লেখাটা পড়ে মনটা বেদনায় ভরে গেল কারণটা সেই মা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ধন্যবাদ।
মা হারিয়ে গেলে সব শূন্য হয়ে যায়।
পৃথিবীতে সব চলে কিন্তু কি যেন এক হাহাকার এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
শুভেচ্ছা রইলো। পাঠে ভালোলাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.