নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবিনের আলো

নবিনের আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকুরীর শুরুতে প্রবেশনারি পিরিয়ড যোগ্যতা প্রমান নাকি নিজেকে সপে দেয়ার জন্য ???

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আমাদের দেশে সরকারী চাকুরীতে লিখিত এবং ভাইভা পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদানের শুরুতেই সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণদের ১-২ বছরের প্রবেশনারি পিরিয়ডে রাখা হয়। বলা হয়, এই সময় একজন একজন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ দিয়ে তাকে চাকুরীতে স্থায়ী করা হবে । যদি সে কর্ম ক্ষেত্রে নিজের জ্ঞ্যান দিয়ে দক্ষতা প্রমান করতে পারে তাহলে তার চাকুরী স্থায়ী করা হবে অন্যথা নয় । এজন্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রবেশনারী চাকুরীজীবী যার অধীনে থাকবে তার সন্তুষ্টির উপর ভিত্তি করে স্থায়ী করা হবে !!! সমস্যার শুরু এখান থেকেই ।
একজন তরুন প্রবেশনারী অফিসার তার শৈশব থেকে ছাত্রত্বের শেষ দিনটি পর্যন্ত নিজেকে সৎ রেখে জীবিকা উপার্জনের যে সংকল্প শক্তভাবে লালন করত তা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরতে থাকে । কারন বসের অসন্তুষ্টি সবসময় তাড়া করে ফিরে তাকে । নিজের কর্মস্থলে সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে এক সময় বসের অনৈতিক চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে অধিনস্ত কর্মচারীদের অন্যায় দাবিও মেনে নিতে হয়। প্রবেশনারী অফিসারের মনে সবসময় একটা ভীতি কাজ করে যে, হয়ত কোন কর্মচারীর অন্যায় আবদার না রাখলে উপর মহলে ভুল বুঝিয়ে প্রতিশোধ নিতে পারে । এভাবে প্রবেশনারী পিরিয়ডে অন্যের অনায্য দাবি-দাওয়া মানতে গিয়ে একসময় সদ্য চাকুরী প্রাপ্তরা নিজেরাই অন্যায় অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে । ধীরে ধীরে সৎ ভাবে চলার যে দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন তা বিলীন হতে থাকে । ফলে গতানুগতিক ঘুষ-দুর্নীতির বাইরে গিয়ে নিজেকে স্বচ্ছ ভাবে অফিস পরিচালনা করা অনেক দুরূহ হয়ে যায় ।
যদিও প্রবেশনারী পিরিয়ডের পর কাউকেই সাধারনত অযোগ্য ঘোষণা করা হয়না কিন্তু দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তের মাঝে ভীতি কাজ করে । অথচ চাকুরীর শুরু থেকে যদি স্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেয়া হত তাহলে অনেক তরুন কর্মকর্তা এসব অন্যায়- অপকর্মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান পুরো চাকুরী জীবন সৎ থেকে রাষ্ট্রের সেবা করে যেতে পারত । পরিবর্তন আসতে পারত বছরের পর বছর ধরে চলা আসা ঘুষ-দুর্নীতিতে জীর্ণশীর্ণ রাষ্ট্র ব্যবস্থায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ভুল ধারণা। সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া মানে বয়স শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনার চাকরি নিশ্চিত। অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলেকে লোন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েও চাকরিতে টিকে থাকার নজির আছে। ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে "আপনি হইলেন মাগুরার আর আমি হইতাছি লোকাল" বলা কলিগও চাকরি করছে। কারো সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টিতে সরকারি চাকুরেদের কিছু যায় আসে না, বড়জোর ঢাকার বাইরে ট্রান্সফার করতে পারবে। দুর্নীতি করে ধরা পড়া ছাড়া আর কোন কারণে সরকারি চাকরিতে কোন সমস্যা হয় না। ছয় মাসের অস্থায়ী পিরিয়ডটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। এই সময়টায় বেসিকের সাথে অন্যান্য ভাতাগুলি মিস করবেন আর কিছু না। এটা গেল ব্যাংকের ঘটনা। আর আমার জানা মতে পাবলিক সার্ভিসে এই সময়টা ট্রেনিংয়েই কেটে যায়। যেগুলি লিখেছেন প্রাইভেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমি প্রাইভেট এক কোম্পানির হিসাবরক্ষক ছিলাম তাই কিছুটা জানি। ছেলেদের অসম্ভব, বেসম্ভব সব টার্গেট ধরিয়ে দেয়া হয় আর মেয়েদের কথা নাই বললাম। এইচআর ম্যনেজার বলতো, "খাবার বাইড়া রাখছি, এক কুত্তা গেলে আরেক কুত্তা আসবো।"

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

নবিনের আলো বলেছেন: ভাই, আপনার কথাগুলো ক্ষেত্র বিশেষে অবশ্যই ঠিক ।কিন্তু নিয়োগ পত্রেই উল্লেখ থাকে প্রবেশনারি পিরিয়ড যেকোন মুহুর্তে যেকোনো কিছু করার ক্ষমতা রাখে যা স্থায়ী হয়ে গেলে বলা হয়না। এমনকি সন্তোষজনক ভাবে প্রবেশনারী পিরিয়ড পার করতে না পারলে কিংবা অথোরিটি যোগ্য মনে না করলে স্থায়ী না করা হতে পারে । যদিও এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় না কিন্তু এগুলো এক ধরনের ভীতি হিসেবে কাজ করে । আর হ্যাঁ, ২ বছর কোথাও শুধু ট্রেনিং করতে করতে শেষ হইনা । যদিও বিসিএস ক্যাডারগন একটু বেশি ট্রেনিং পায় প্রবেশনারি পিরিয়ড এ। একটা অফিসে যদি আগে থেকে দুর্নীতি চলে আসে তখন একজন নতুন অফিসার কারো বিরুদ্ধে যেতে পারেনা প্রবেশনারী হবার কারনেই ।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :``>> দেশে আপনার চাকরি করার কি দরকার তার চেয়ে মালোসিয়া কিংবা মালদ্বীপে অথবা আরবে গিয়ে কুলুর বলদের মত খেটে দু' চার টাকা যা বেতন পাবেন তা খেয়ে না খেয়ে তার থেকে কিছু পরিবারকে পাঠাবেন। বাড়িতে আপনার মা-বাবা সারাদিন দুশ্চিন্তা করবে। আপনি নিরবে দু ফোটা চোখের পানি ফেলবেন। আপনার ঘরের বউ আপনার বিরহে কাতর হয়ে সারাদিন ইন্ডিয়ান সিরিয়ালে মগ্ন থাকবে? কিন্তু আসলে কাজটা করবে সরকার, তারা মাঝ খান থেকে তৃপ্তির ঠেকুর তুলবে তাদের আমলে রেমিটেন্স প্রবাহ সবচেয়ে বেশি!
অথচ আপনি বিদেশে বিপদে পড়লেও সরকারে এই বেতনভূক্ত কমচারীরা আপনার দিকে ফিরে তাকায়নি।
'হে মাটি তুই দুই ভাগ হও আমি তার ভিতর ঢুকি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

নবিনের আলো বলেছেন: আমি জানিনা আপনার মন্তব্যটি কোন অর্থে লেখার প্রাসঙ্গিকতা বহন করে

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

মুসাফির নামা বলেছেন: উপরের জন মনের কষ্ট থেকে এসব বলেছেন।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ফুল টাইম জব ইজ ওয়ান কাইন্ড অব স্লেভারি। এজন্য চাকুরী দাতা চায় প্রবেশন সময়ে আপনাকে (চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, সব্কীয়তা) হারিয়ে চাকুরী দাতার ইচ্ছানুযায়ী চলা বা সপে দেয়ার প্রমান।

এবং যোগ্যতা বলতে তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.