নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প, অনুভূতি আর জীবনের টুকরো কথা

সুম১৪৩২

আমি লিখি আমার দেখা, শোনা আর অনুভবের গল্প। কল্পনা আর বাস্তবের মিলনে গড়ে তুলি নতুন এক জগত। কলমে আমি হলো আমার একান্ত লেখা, শুধু আমার নিজের শব্দের ভুবন।

সুম১৪৩২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউ: “ঢাকার বাইজি উপাখ্যান”, লেখক আরিফ নজরুল

০৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬



ছোটবেলায়, পরীক্ষার আগে কিংবা কোনো কিছু মুখস্থ করার সময় আমি একই জিনিস বারবার পড়তাম। একটা উদাহরণ দিই—“সাগর কাকে বলে” এর সংজ্ঞা মুখস্থ করব। ধরুন, বইতে লেখা আছে— “কয়েকটি নদী বা জলধারা একত্রে মিলিত হয়ে যে বিশাল জলরাশি সৃষ্টি করে এবং যা শেষে সমুদ্রে মিশে যায়, সেটাকে ‘সাগর’ বলা হয়।”

আমি যখন এই সংজ্ঞাটা মুখস্থ করতে বসতাম, তখন ঠিক এইভাবেই করতাম, জোরে জোরে—
“আয়াআআআ কয়েকটি নদী বা জলধারা একত্রে মিলিত হয়ে…”
“আয়াআআআ কয়েকটি নদী বা জলধারা একত্রে মিলিত হয়ে…”
“আয়াআআআ যে বিশাল জলরাশি সৃষ্টি করে…”
“আয়াআআআ কয়েকটি নদী বা জলধারা একত্রে মিলিত হয়ে যে বিশাল জলরাশি সৃষ্টি করে…”
“আয়াআআআ এবং যা শেষে সমুদ্রে মিশে যায়, সেটাকে ‘সাগর’ বলা হয়।”
“আয়াআআআ কয়েকটি নদী বা জলধারা…”
“আয়াআআআ কয়েকটি নদী বা জলধারা একত্রে মিলিত হয়ে…”
এইভাবে মুখস্থ করতাম। আমার ধারণা, ছোটবেলায় আমরা প্রায় সবাই এই স্টাইলেই, তবে নিজের মতো করে মুখস্থ করতাম।

বইয়ের রিভিউ করছি—এর মধ্যে মুখস্থের গল্পটা কেন এলো, ভাবছেন নিশ্চয়ই? আসলে আমি যে বইটা নিয়ে লিখছি, সেটাই এমন একটা বই—মনে হবে, লেখক যেন পাঠককে মুখস্থ করানোর মিশনে নেমেছেন।

বইটার নাম “ঢাকার বাইজি উপাখ্যান”, লেখক আরিফ নজরুল।

ইতিহাস নিয়ে আমার বরাবরই একটা টান আছে। তাই ইতিহাসের বই কেনার আগে আমি সবসময় লেখকের পরিচয় দেখি। কিন্তু এই বইটা আমাকে ভীষণ হতাশ করেছে। একই কথা, একই তথ্য—৭ থেকে ৮ বার! সত্যি বলতে, পাঠক হিসেবে একসময়ে বিরক্তি ধরে যায়।

যারা বইটি পড়েছেন, তারা হয়তো বলবেন—একেক জায়গায় বাইজিদের প্রসঙ্গে একটু একটু বদল আছে, তাই পুনরাবৃত্তি মনে হয়েছে।আমি যদি সেই যুক্তি মেনে নিই, তাহলেও বলব—বইটির ইতিহাস আর উপস্থাপনা ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের।

বাইজিদের নাম ধরে, সময় ধরে, অঞ্চল ধরে বলা যেত—এখানে এমন, ওখানে তেমন। তাহলে বইটা হতো তথ্যসমৃদ্ধ, মনোগ্রাহী। কিন্তু লেখক সেই কষ্টটুকু নেননি। মনে হয়েছে, যত্রতত্র থেকে তথ্য এনে কপি-পেস্ট করে দিয়েছেন। নিজের ভাষা বা নিজস্ব ভাবনা খুব একটা ধরা পড়ে না।

রকমারিতে দেখলাম—maximum not verified purchaser রা বইটাকে ৫ রেটিং দিয়েছেন। তারা কি “বিরিয়ানি রিভিউয়ার”? কে জানে! কিন্তু verified purchaser দের মন্তব্যগুলো একটাই কথা ঘুরেফিরে বলেছে—একই তথ্য বারবার এসেছে।

এই লেখকের আরও অনেক বই আছে—বেশিরভাগই ইতিহাসধর্মী। কিন্তু এটা ছিল তাঁর লেখা আমার প্রথম পড়া বই, আর তাতেই অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি। সোজা কথা—এই লেখকের পেছনে আর টাকা খরচ করতে চাই না। যদিও আমার মতো একজন পাঠক বই পড়ুক বা না পড়ুক, তাতে লেখকের তেমন কিছু আসে যায় না।

রকমারিতে আমার রেটিং ছিল—১।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম লেখকের নাম আসিফ নজরুল । =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.