![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গীবত হচ্ছে কারো
অগোচরে তার মধ্যে
থাকা তার
অপছন্দনীয় কিছু
তুলে ধরা । তা হারাম ও
কবীরা গুনাহ । আর
অপবাদ হচ্ছে কারো
দিকে এমন কোন
অপকর্ম আরোপ করা
যা সে করেনি । যা
গীবত থেকে বহুগুণে
মারাত্মক । কারো
গীবত যদি মিথ্যা
অপবাদ মূলক হয় তবে
তো এর জঘন্যতা
কতটুকু চরম পর্যায়ে
পৌঁছাবে তা বলাই
বাহুল্য । গীবত কিংবা
মিথ্যা অপবাদ দেয়া
কোন অমুসলিমের
উপরই জায়িয নয় আর
মুসলিমের উপর হলে
তো তার ঘৃণ্যতা অনেক
বেড়ে যায় । তাছাড়া
কারো মৃত্যুর পর তার
গীবত করা কিংবা তার
উপর মিথ্যা অপবাদ
দেয়া তো কুরআন ও
হাদীস ছাড়াও মানবতা
সুলভ আচরণ তথা
সাধারণ শালীনতা ও
শিষ্টাচার পরিপন্থী ।
যার গীবত করা হয়
এবং যার উপর মিথ্যা
অপবাদ তুলা হয় তিনি
যদি রাসূলুল্লাহ সা.
এর প্রিয়পাত্র হন,
তাঁর সাহাবী এবং
আস্থাভাজন হন তবে
এ গীবত ও মিথ্যা
অপবাদ কত যে ঘৃণিত
ও গর্হিত হবে তা
বলার ভাষাই আমি
খুঁজে পাচ্ছি না ।
উপরন্তু গীবত ও
মিথ্যা অপবাদটা যদি
মুখে বলে কান্ত না
হয়ে লিখিত আকারে
করে এবং যে বইয়ে
লিখেছে সে বইটির
নামও দেয় ইসলামী বই
তাইলে কী কাজ
করলো তা আপনারাই
নির্ণয় করবেন ।
এবারে লক্ষ্য করুন
বিংশ শতাব্দির এক
কুলাঙ্গারের কাণ্ড-
আল্লাহর রাসূল সা.
এর প্রিয় সাহাবী
হযরত মুআবিয়া রা.
যিনি ওয়াহীর লেখক
এবং রাসূলুল্লাহ সা.
এর সচিব ছিলন ।
তিনি ফকীহ ও
মুজতাহিদ ছিলেন ।
তিনি একটি
মাসআলায় অপরাপর
কয়েকজন সাহাবীর
মতই একটি মত
ব্যক্ত করেছিলেন যে
মতটির ব্যাপারে
উচ্চস্তরের তাবিঈ
ইমাম মাসরূক রাহ.
বলেন ইসলামে এ
সিদ্ধান্তের চেয়ে
বেশী সুন্দর সিদ্ধান্ত
নেই যা মুআবিয়া
নিয়েছেন । অবশ্য এর
বিপরীত মতও
সাহাবীগণের রয়েছে ।
হযরত মুআবিয়া রা.
এর উক্ত ফাতওয়া
তথা সিদ্ধান্তের
ব্যাপারে ঐ কুলাঙ্গার
মন্তব্য করেছে যে,
এটি একটি বিদআত
যা মুআবিয়া চালু
করেছেন । দ্রষ্টব্য-
খেলাফত ও
রাজতন্ত্র, আবুল
আলা মওদূদী, পৃষ্ঠা-
১৭০.
©somewhere in net ltd.