![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহাবায়ে
কিরামের উপর
আক্রমণ ।
মুসলমানদের বিশ্বাস,
সাহাবায়ে কিরাম
রাযিয়াল্লাহু আনহুম
সবাই বেহেশ্তী ।
দীনের ব্যাপারে তাঁরা
সবাই নির্ভরযোগ্য ।
তাঁদের প্রতি
মহাব্বাত, ভক্তি-
শ্রদ্ধা হচ্ছে ঈমানের
অংশ এবং তাঁদের সাথে
বিদ্বেষ পোষণ করা
হচ্ছে কুফরী ও
মুনাফিকী । কিন্তু
মওদূদী তাঁদেরকে হেয়
প্রতিপন্ন করা এবং
তাঁদের প্রতি মানুষের
ভক্তি-শ্রদ্ধা নষ্ট
করার জন্য তাঁদের
উপর মিথ্যা অপবাদের
ঝড় তুলেন । নিম্নে
তার কিয়দংশ প্রদত্ত
হল ঃ
১. মওদূদী বলেন, “যে
সমাজে ব্যাপকভাবে
সুদখোরী প্রচলিত
থাকে সেখানে এই
সুদখোরীর কারণে
দু’প্রকারের নৈতিক
ব্যাধি দেখা দেয় । তা
হলো সুদ
গ্রহণকারীদের মধ্যে
লোভ-লালসা, কার্পণ্য
ও স্বার্থপরতা; আর
সুদদাতাদের মধ্যে ঘৃণা-
বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা
। ওহুদের পরাজায়ের
পিছনে এ উভয় প্রকার
রোগেরই কিছু-না-কিছু
প্রভাব বিদ্যমান ছিল
।” (আবুল আ’লা
মওদূদী, তাফহীমুল
কুরআন, দ্বিতীয়
খণ্ড-, অনুবাদ ঃ
মুহাম্মাদ আবদুর
রহীম, ঢাকাঃ খায়রুন
প্রকাশনী, ১২
প্রকাশ ঃ জুন ২০১২,
সূরা আলি ইমরান ঃ
৯৯নং টীকা,পৃষ্ঠা ঃ ৬০)
মওদূদীর মতে,
সুদখোরীর কারণে সৃষ্ট
নৈতিক রোগ যথা
লোভ-লালসা, কৃপণতা,
স্বার্থপরতা, ঘৃণা-
বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা
যা নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এবং
সাহাবায়ে কিরামের
মধ্যে বিদ্যমান ছিল
তার প্রভাবে উহুদের
যুদ্ধে পরাজয় ঘটে ।
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এবং সাহাবায়ে
কিরামের চরিত্রের
উপর এত জঘন্য
অপবাদ দেয়ার ধৃষ্টতা
কোন ইয়াহুদী-খৃষ্টান
ও কোন দিন করেনি।
২. উসমান
রাযিয়াল্লাহু আনহু
সম্পর্কে মওদূদী
লিখেন, “তিনি তাঁর
আত্মীয়-স্বজনকে
একের পর এক বিরাট
বিরাট পদ দান করতে
থাকেন। তিনি
তাদেরকে এমন সব
সুযোগ-সুবিধা দান
করেন, যা জনগণের
মধ্যে সাধারণভাবে
সমালোচনার
লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত
হয়।” (আবুল আ’লা
মওদূদী, খেলাফত ও
রাজতন্ত্র,অনুবা দ ঃ
গোলাম সোবহান
সিদ্দিকী,
ঢাকাঃআধুনিক
প্রকাশনী, ৮ম
প্রকাশ ঃ জুলাই ২০০৮,
পৃষ্ঠাঃ ১০৬) এটি
তৃতীয় খলীফা উসমান
রাযিয়াল্লাহু আনহুর
বিরুদ্ধে
বিরুদ্ধবাদীদের একটি
ষড়যন্ত্র মাত্র।
৩. ওয়াহী লেখক
মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু
আনহু সম্পর্কে
মওদূদী লিখেন,
“হযরত মুয়াবিয়া রা.-র
শাসনামলে একটি
নিকৃষ্টতম বেদআত
চালু হয়। তিনি নিজে
এবং তার গভর্নরগণ
মিম্বারে দাড়িয়ে
খুতবায় হযরত আলী
রা.-র উপর প্রকাশ্যে
গাল-মন্দ শুরু
করেন।” (আবুল আ’লা
মওদূদী, খেলাফত ও
রাজতন্ত্র, অনুবাদ ঃ
গোলাম সোবহান
সিদ্দিকী, ঢাকা ঃ
আধুনিক প্রকাশনী,
৮ম প্রকাশ ঃ জুলাই
২০০৮, পৃষ্ঠা ঃ ১০৬)
এটি ছিল মুয়াবিয়া
রাযিয়াল্লাহু আনহু
এবং তাঁর গভর্নরদের
উপর শীয়া১র সাজানো
একটি জঘন্যতম
মিথ্যা অপবাদ।
(দ্রষ্টব্য ঃ বুখারী
শরীফ, বাবু মানাকিবে
আলী রাযিয়াল্লাহু
আনহু)
৪. তিনি আরো লিখেন,
“গনীমতের মাল
বন্টনের ব্যাপারেও
হযরত মুয়াবিয়া রা.
কিতাবুল্লাহ্ এবং
সুন্নাতে রাসূলের
স্পষ্ট বিধানের
বিরুদ্ধাচরণ করেন।
”(আবুল আ’লা মওদূদী,
খেলাফত ও
রাজতন্ত্র, অনুবাদ ঃ
গোলাম সোবহান
সিদ্দিকী, ঢাকা ঃ
আধুনিক প্রকাশনী,
৮ম প্রকাশ ঃ জুলাই
২০০৮, পৃষ্ঠা ঃ ১৭২)
মওদূদী যে ঘটনার উপর
ভিত্তি করে মুয়াবিয়া
রাযিয়াল্লাহু আনহুর
উপর এত বড় মিথ্যা
অপবাদ আরোপ
করলেন, ইতিহাস
পর্যালোচনা করলে
দেখা যায় যে, উক্ত
ঘটনায় মুয়াবিয়া
রাযিয়াল্লাহু আনহু
কিতাবুল্লাহ্ ও
সুন্নাতে রাসূলের
বিধানকে সমুন্নত
করেছেন এবং এটি
তাঁর গৌরবোজ্জল
কীর্তি হিসাবে গণ্য।
(মুখতাসার তারীখে
ইবনে আসাকির,
মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু
আনহুর জীবনী
অধ্যায়)
©somewhere in net ltd.