নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://m.facebook.com/sumon.miya.7330

এস,এম,সুমন

সাধারন ক্যারেক্টার।

এস,এম,সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ একে একে ধ্বংস করে মওদূদী তার নিজস্ব

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪০

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ,
ইসলামের মৌলিক
বিষয়সমূহ একে একে
ধ্বংস করে মওদূদী
তার নিজস্ব মতবাদের
রূপরেখা পেশ করেন ।
তিনি স্পষ্ট ভাষায়
ঘোষণা করেন, “দীন
প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্র
ব্যবস্থার নাম
।” (আবুল আ’লা
মওদূদী, খুতবাত, নয়া
দিল্লী ঃ মাকতাবায়ে
ইসলামী পাবলিশার্স,
প্রকাশকালঃ-
ডিসেম্বর ২০০২,
পৃষ্ঠা ঃ৩২০) তিনি
আরো বলেন,
“প্রকৃতপক্ষে ইসলাম
কোন ধর্ম এবং
মুসলমান কোন জাতির
নাম নয় । ইসলাম
হচ্ছে মূলত এক
বিপ্লবী মতবাদ ও
মতাদর্শের নাম
।” (আবুল আ’লা
মওদূদী, তাফহীমাত,
প্রথম খণ্ড, নয়া
দিল্লী ঃ মারকাযী
মাকতাবায়ে ইসলামী
পাবলিশার্স,প্রথ ম
প্রকাশ ঃ জুন ২০০১,
পৃষ্ঠা ঃ ৭৭) মওদূদী
আরো বলেন, “আপনি
হয়তো মনে করেন, হাত
বেঁধে কেবলামূখী হয়ে
দাঁড়ানো, হাঁটুর ওপর
হাত রেখে মাথা নত
করা, মাটিতে মাথা
রেখে সিজদা করা এবং
কয়েকটি নির্দিষ্ট
শব্দ উচ্চারণ করা—
শুধু এ কয়টি কাজই
প্রকৃত ইবাদাত। হয়ত
আপনি মনে করেন,
রমযানের প্রথম দিন
হতে শাওয়ালের চাঁদ
উঠা পর্যন্ত প্রত্যেক
দিন সকাল থেকে
সন্ধ্যা পর্যন্ত
পানাহার বন্ধ রাখার
নাম ইবাদাত । আপনি
হয়তো এটাও মনে
করেন যে, কুরআন
শরীফের কয়েক রুকূ
পাঠ করার নামই
ইবাদাত, আপনি বুঝে
থাকেন মক্কা শরীফে
গিয়ে কা’বা ঘরের
চারদিকে তাওয়াফ
করার নামই ইবাদাত।
মোটকথা, এ ধরনের
বাহ্যিক রূপকে
আপনারা ‘ইবাদাত’ মনে
করে নিয়েছেন এবং এ
ধরনের বাহ্যিক রূপ
বজায় রেখে উপরোক্ত
কাজগুলো কেউ সমাধা
করলেই আপনারা মনে
করেন যে, ইবাদাত
সুসম্পন্ন করেছে এবং
‘ওমা খালাক্তুল
জিন্না ওয়াল ইন্সা
ইল্লা লিয়া’বুদূন’-এর
উদ্দেশ্য পূর্ণ করেছে ।
তাই জীবনের
অন্যান্য ব্যাপারে সে
একেবারে আযাদ—
নিজের খেয়াল-খুশী
অনুযায়ী কাজ করে
যেতে পারে । কিন্তু
প্রকৃত ব্যাপার এই যে,
আল্লাহ্ তাআলা যে
ইবাদাতের জন্য
আপনাকে সৃষ্টি
করেছেন এবং যে
‘ইবাদাত’ করার আদেশ
আপনাকে দেয়া হয়েছে
তা সম্পূর্ণ ভিন্ন
জিনিস ।” (আবুল
আ’লা মওদূদী, নামায-
রোযার হাকীকত,
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ
আবদুর রহীম, ঢাকাঃ
আধুনিক প্রকাশনী,
৪৪তম প্রকাশ ঃ
জানুযারি ২০১০,পৃষ্ঠা ঃ
৯) তিনি আরো বলেন,
“আসলে নামায, রোযা,
হজ্জ, যাকাত এবং
যিক্র-তাসবীহ্
মানুষকে ঐ বড়
ইবাদাতের জন্য তৈরি
করার ট্রেনিংকোর্স
।” (আবুল আ’লা
মওদূদী, তাফহীমাত,
প্রথম খণ্ড, নয়া
দিল্লী ঃ মারকাযী
মাকতাবায়ে ইসলামী
পাবলিশার্স, প্রথম
প্রকাশ ঃ জুন ২০০১,
পৃষ্ঠা ঃ ৬৯) অথচ
কুরআন ও হাদীসে
ঈমান, নামায, রোযা,
হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি
আমাল ও ইহ্সান
অর্থাৎ তাসাউফকে
দীন বলা হয়েছে ।
ইসলামকে কুরআন ও
হাদীসে স্পষ্টভাবে
দীন-ধর্ম (আল্লাহ্র
মনোনীত একমাত্র
ধর্ম) বলা হয়েছে ।
সুতরাং পাঠকগণ ভেবে
দেখুন, মওদূদী কর্তৃক
প্রবর্তিত জামাত-
শিবিরের দীন এবং
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লামের উপর
নাযিলকৃত
আল্লাহ্প্রদত্ত দীন
কি এক?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.