![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন বিশ্বে প্রতি পাঁচ মিনিটে প্রায় ২০ লক্ষ প্লাস্টিক বোতল বিক্রয় হয়। নির্দ্বিধায় বলা যায় যে প্লাস্টিক হচ্ছে পুরো বিশ্বেই বহুল ব্যবহৃত একটি সামগ্রী। কিন্তু নতুন গবেষণায় জানা যায় যে প্লাস্টিক অজান্তেই ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয়।
আমরা অনেক দিন থেকেই জেনে আসছি যে বোতলজাত পানি বা মিনারেল ওয়াটার সাধারণ পানি থেকে ভালো, কারণ সেটা থাকে বিশুদ্ধ এবং ভিটামিনে ভরপুর। সাধারণত কলের পানিকে বোতলে ভরে পরিবেশ অবান্ধব জল যোজন পদ্ধতিতে তা বিশুদ্ধ করা হয়। সত্যি কথা বলতে কি, কেবল প্লাস্টিক বোতল নয় বরং বোতল ছাড়াও প্লাস্টিকের যে কোন পণ্য আসলে মানুষের জন্য বিপদজনক। তাই প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করার আগে সেগুলোর প্যাকেটে গায়ের লেখা ও চিহ্ন দেখে নেয়া খুবই জরুরি। কীভাবে বুঝবেন আপনার ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যটি নিরাপদ কিনা? শিখে নিন সেই পদ্ধতিটি।
প্লাস্টিক পণ্যে থাকা বিভিন্ন চিহ্ন ও তার অর্থ-
আপনারা সবাই একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে, যে কোনো ভালো মানের পানির বোতলের একদম নিচে একটি ত্রিকোণ চিহ্নের ভেতরের যে কোনো একটি শব্দ বা একটি সংখ্যা দেয়া থাকে। সেটা ১ থেকে ৭ এর ভেতরে হয়।এই চিহ্নটির মাধ্যমেই আপনি বুঝতে পারবেন আসলে বোতলটি সত্যিকার ভাবে নিরাপদ কিনা।
যদি নম্বর ১ থাকে-
যদি বোতলের গায়ে ১ লেখা থাকে তাহলে তা PET বা PETE হিসেবে পরিচিত যার অর্থ হচ্ছে এই সামগ্রীটি একবারই মাত্র ব্যবহার করা যাবে। কারণ বিভিন্ন দেশের einvironmental protection agency(EPA) এর মতে এসব সামগ্রী পুনরায় ব্যবহার করলে তা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বের হতে পারে। এসব প্লাস্টিক থেকে antimony নামক এক প্রকার ভারি ধাতু নির্গত হতে পারে যা আমাদের দেহের হরমোনের কাজের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে। এটি থেকে ক্যান্সার উৎপাদক পদার্থও দেহে প্রবেশ করতে পারে।
যদি নম্বর ২ থাকে-
যদি প্লাস্টিক সামগ্রীটির ত্রিকোণের ভেতরে ২ লিখা থাকে তাহলে তা HDPE বা HDP হিসেবে পরিচিত যা ভাল মানের প্লাস্টিক হিসেবে বিবেচিত। এর কারণ হচ্ছে এই মানের প্লাস্টিকটি অন্য প্লাস্টিকের মত পানির সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে না।
যদি নম্বর ৩ থাকে-
এটি V বা PVC ধরনের যদি বোতলের গায়ে ৩ লেখা থাকে। আর এর মানে হচ্ছে ২ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আমাদের দেহের হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু তারপরও সারা বিশ্বেই PVC ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার হয়ে আসছে।
যদি নম্বর ৪ থাকে-
LDPE ধরনের প্লাস্টিক হচ্ছে ৪ নাম্বার। এর অর্থ হচ্ছে এটি পানির সংস্পর্শে এসে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে না। যদিও তাদের বেশির ভাগই অধিকাংশ প্লাস্টিক ব্যাগেই থাকে।
যদি নম্বর ৫ থাকে-
PP বা ৫ নাম্বার হচ্ছে ভালো মানের প্লাস্টিক। সাদা রঙ দেখে এই মানের প্লাস্টিক চেনা যায়। অনেক সময় এটা দেখতে একদম স্বচ্ছ হয়। PP প্লাস্টিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দইয়ের কাপ ও সিরাপের বোতলে দেখা যায়।
যদি নম্বর ৬ থাকে-
৬ লেখা প্লাস্টিক সামগ্রী যদিও STIREN নামক পদার্থ নির্গত করে যা ক্যান্সার উৎপাদক। তবুও এই ধরনের প্লাস্টিক বিভিন্ন খাবার প্যাকেট করার জন্য ও কফি মগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
নম্বর ৭-
সবশেষে যখন প্লাস্টিকের গায়ে কোন কিছু লেখা থাকে না তা PC ধরনের প্লাস্টিক হিসেবে পরিচিত। লেভেল ছাড়া বা কিছু লিখা ছাড়া প্লাস্টিক কোন ভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এসব ধরনের প্লাস্টিক থেকে BPA নির্গত হয়। BPA এর পুরো নাম হচ্ছে bisphenol A যা শিল্প খাতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ এবং এটি আমাদের দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত PC ধরনের প্লাস্টিক খাবার রাখার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস ড্রিঙ্কস ইত্যাদির বোতল হিসেবে ব্যবহার হয়। আর সবচেয়ে খারাপ যে ব্যাপারটা হয় সেটা হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের বোতল তৈরিতেও ব্যবহার হয়ে থাকে।
অতএব, যেসব প্লাস্টিক সামগ্রীতে ২, ৪ বা ৫ নম্বর থাকে সেসব নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু যদি ১,৩,৬ বা ৭ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে সেসব সামগ্রী ব্যবহার করলে তা থেকে বিপদজনক রাসায়নিক পদার্থ অবশ্যই শরীরে প্রবেশ করবে। তাই চলুন আমরা এখনই সাবধান হই। নিজে রাসায়নিক উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচি এবং প্রিয়জনকেও বাঁচাই।
স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো তথ্য জানতে আমার ব্লগে ঘুরে আসতে পারেন
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৫
বিপরীত বাক বলেছেন: ফর্মালিন,, কার্বাইড,, চামড়া কারখানা র রঙ,,, পোড়া মবিল,,, ইউরিয়া,,, এত কিছু খেয়ে দিব্যি হজম করে ফেলছে বাঙালাদেশের বাঙালাদের হাই ইলাস্টিক হাই পোটেনশিয়াল সুপার রেসিস্ট্যান্স পেট মহাশয় আর প্লাস্টিক করবে মস্তানি? মুরোদ আছে?? ওই যে কবিতা আছে না একটা,,,
বার্ড ফ্লু সোয়াইন ফ্লু গেল তল।
প্লাস্টিক শালা কিনা বলে কত জল?
( এ তো বাংলা পেট)
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত সাইট দেখার লিংকটি পোস্ট থেকে সরিয়ে নিন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের দেশে পানির বোতলে প্রায় বিষই থাকে আর সেটা বোতলের দোষে না পানিটাই পুরা ওয়াসার মাগনা পানি দিয়ে ভরা বোতল। কোনরকম রিভার্স অসমোসিস বা ফিলট্রেশন করার ধার ধারেনা এই দুর্ণীতিবাজ দেশের মহা ুর্ণীতিবাজ ব্যাবসায়ীরা। ৩ টাকা খরচ করে ১৫ টাকা নিচ্ছে!