![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দারিদ্র পরিবারে জন্ম ওদের। কিন্তু স্মার্টফোনের বড্ড শখ। আর তাই বেআইনিভাবে ৫০০ টাকায় ইউনিট প্রতি রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিল ৩ নাবালক। এবং ধরাও পড়ে গেল। উত্তরপ্রদেশের কোহলি ব্লাড ব্যাঙ্কে অভিযান চালিয়ে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানতে পারেন এই ৩ বালক রক্ত দেওয়ার জন্য এখনো উপযুক্ত নয়। তারা স্রেফ টাকার লোভে রক্ত দিয়েছে ওই ব্লাডব্যাঙ্ককে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্লাডব্যাঙ্কটিতেও।
যে তিন বালক রক্ত দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বিজয় (ছদ্মনাম), বয়স ১৪ বছর। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সে জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে সে একটি সেল ফোন কেনার জন্য টাকা জমাতে শুরু করে। সেই সময় এই ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে একজন ফোন করে তাকে টাকার বিনিময়ে রক্ত দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অতিরিক্ত টাকা পাওয়া যাবে, এই লোভেই সে রাজি হয়ে যায়। বিজয় জানিয়েছে, সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকে তাদের। বাবা মারা যাওয়ার পর মা একটি ক্লিনিতে ৩০০০ টাকার বিনিময়ে চাকরি করেন। মাকে সাহায্য করতে সেও একটি ছোটখাটো কাজ করে। কিন্তু দুজনের উপার্জনে পাঁচ জনের সংসার টানাটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। গজনি নামে এক ব্যক্তি টাকার লোভ দেখাতেই আর সে দ্বিতীয়বার আর ভাবেনি। পাশাপাশি বিজয় এও জানায় যে, ওই ব্যক্তি তাকে আশ্বাস দিয়েছিল, রক্ত দেওয়ার পরও সে দুর্বল বোধ করবে না। তার শারীরিক কোনও ক্ষতি হবে না। রক্ত দেওয়ার আইনত বয়স ১৮ বছর। এবং রক্তদাতার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমপক্ষে ১৩ হতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানতে পারেন, যে ৩ জন রক্ত দিয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছরের কম এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১৩-র নিচে। প্রত্যেকেই দুস্থ পরিবারের।
বিজয়ের পাশাপাশি স্নেহাশিস বলে এক নাবালকও রক্ত দেয় এই ব্লাড ব্যাঙ্কে। তবে এটাই তার প্রথমবার ছিল না। এর আগে আরও দুবার রক্ত দিয়েছে স্নেহাশিস, সে জানিয়েছে মাকে সাহায্য করার জন্য এক বছর ধরে চাকরি খুঁজছিল সে। তখনই এই প্রস্তাব মেলে। রক্ত বিক্রি করে তার পকেটমানি চালানোর মতো টাকা ভালই আসছিল। তাই সে এই কাজে রাজি হয়। তৃতীয় কিশোরের বাবা তাকে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে দেননি।
আরো সংবাদ জানতে আমার ব্লগ একবার ঘুরে আসতে পারেন।
©somewhere in net ltd.