নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন

আমি পেশায় একজন স্পীচ থেরাপিষ্ট কিন্তু ব্লগ পড়া আমার নেশা। আর একটা নেশা আছে সেটা হল মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস প্রতিটা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া। আমি সে চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন ভালো লেখক নই কিন্তু আমি একজন ভালো পাঠক।

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন

পেশাঃ স্পীচ থেরাপিষ্ট। প্রতিষ্ঠানঃ প্রয়াস, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা। মোবাইল নাম্বার - ০১৭১৭২৭৬৮১০ ই-মেইল : [email protected] ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumonslt

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অটিজম ও স্পীচ থেরাপী

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

অটিজম একটি সারা জীবন ব্যাপি সমস্যা যা বাচ্চা যোগাযোগ ও তার সাথে সম্পর্কিত ব্যাপারগুলোর উপরে প্রভাব ফেলে এটা তাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে চিন্তাতেও বাধা দেয়।

অটিজম বাচ্চাদের সাধারনত কি কি সমস্যা হয় ?

সামাজিক যোগাযোগ: অটিজম বাচ্চাদের সামাজিক যোগাযোগ বুঝতে এবং করতে সমস্যা হয় এটা মৌখিক যোগাযোগ ছাড়া অন্য যোগাযোগ যেমন ইশারা, মুখভঙ্গী, গলার স্বরের উপরও প্রভাব ফেলে।

বুলি: বাচ্চা যেকথা একবার শোনে তাই বারবার বলতে থাকে।

অর্থহীন কথা: বাচ্চারা এমনভাবে কথা বলবে তার অর্থ উদ্ধার করা যাবেনা।

আক্ষরিক ভাষা: বাচ্চাদের অলংকৃত ভাষা বুঝতে সমস্যা থাকে যেমন তুলনা, রুপক, সমাস বদ্ধ শব্দ।

স্পীচ থেরাপিষ্ট কাদের সাথে কাজ করে?

বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবি অটিজম বাচ্চাদের চিকিৎসায় একসাথে কাজ করে থাকে। যেমন বিশেষ শিক্ষায় দক্ষ শিক্ষক, স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ, অকুপেশনাল থেরাপিষ্ট, ফিজিও থেরাপিষ্ট, মনোবিজ্ঞানী, অডিওলজিষ্ট, সমাজ কর্মী ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ।

স্পীচ থেরাপিষ্ট অটিজম বাচ্চার কি কি পর্যবেক্ষণ করে থাকে?

অটিজম জৈবীক ভাবে নিরীক্ষণ করা না গেলেও আচরণগত লক্ষণ দেখে করা যায়। সেগুলো হলো যোগাযোগ ( মৌখিক/ অমৌখিক, ভাষাগত দক্ষতা, বাকশক্তি, কথোপকথন ), সামাজিক দক্ষতা ( অন্তরঙ্গতা, খেলাধুলা, কারিগরি শিক্ষা, শিখন পদ্ধতি, বাকশক্তি ), আচরণগত (সীমাবদ্ধতা, পূণরায় একই আচরণ করা, অস্বাভাবিক আচরণ করা), অপ্রত্যাশিত চাহিদা বা আগ্রহ, স্বর ও সুর তীব্রতা, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি।

স্পীচ থেরাপির ভুমিকা

স্পীচ থেরাপিষ্ট নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর উপর ভিত্তি করে থেরাপি প্রদান করেন।

মনোযোগ বৃদ্ধির খেত্রে, খেলাধুলা, সামাজিক দক্ষতা, সামাজিক বোধগম্যতা, ভাষা ও যোগাযোগ।

যখন একটি বাচ্চা বাক শক্তি ছাড়াই যোগাযোগ করতে চায় তখন ইশারার মাধ্যমে, প্রতিকের মাধ্যমে, এবং ছবির মাধ্যমে যোগাযোগ করানো হয়।

কেন স্পীচ থেরাপিষ্ট দেখানো প্রয়োজন

যখন একজনকে অটিজম হিসেবে বিবেচনা করা হয় তখনই তাকে স্পীচ থেরাপি নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় কারন তাদের মৌখিক এবং অমৌখিক যোগাযোগে সমস্যা থাকে।

এটা আপনাদের কাছে ঝামেলা মনে হতে পারে এবং বাচ্চার ভাষার বিভ্রান্তি ও অপপ্রয়োগ, সামাজিক অদক্ষতা অস্বাভাবিক আচরণ তাকে পরিবার ও সমাজ থেকে বিতারিত করে। আর এখানে স্পীচ থেরাপি নেয়ার মাধ্যমে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে অসাধারণ ভুমিকা পালন করে। এমনও দেখা গেছে কোন কোন বাচ্চা যারা কোন ভাবেই যোগাযোগ করতোনা তারা কেউ কেউ স্পীচ থেরাপি নেয়ার পর মৌখিক ভাবে যোগাযোগ শিখে গেছে।

তাই আপনার শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য স্পীচ থেরাপিষ্টের সাথে যোগাযোগ করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪০

আকরাম বলেছেন: ভালো লাগলো।

৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.