নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন

আমি পেশায় একজন স্পীচ থেরাপিষ্ট কিন্তু ব্লগ পড়া আমার নেশা। আর একটা নেশা আছে সেটা হল মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস প্রতিটা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া। আমি সে চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন ভালো লেখক নই কিন্তু আমি একজন ভালো পাঠক।

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন

পেশাঃ স্পীচ থেরাপিষ্ট। প্রতিষ্ঠানঃ প্রয়াস, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা। মোবাইল নাম্বার - ০১৭১৭২৭৬৮১০ ই-মেইল : [email protected] ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumonslt

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরদোলা !!! নাগর দোলা !!!

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৪

প্রথম_ওপেন_ডের_সৃতি
আজ থেকে প্রায় ১0 বছর আগের ঘটনা, সি আর পি তে আমি তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। সেবার ই প্রথম সি আর পি তে ওপেন ডে দেখার সুযোগ হয়। মেয়েদের হোস্টেল এর সামনে বরাবর এর মতো সেবার ও নাগরদোলা তে সবার একে একে ওঠার জন্য ভিড় লেগে আছে। সব বন্ধু বান্ধব মিলে ঠিক করলাম সবাই একসাথে নাগরদোলায় উঠবো। যেই কথা সেই কাজ। সবাই লাইন ধরে সিট ধরতে ব্যস্ত এই সুযোগে আমি আস্তে করে তুষ্টিতে(খাবার দোকান টার নাম তখন ছিল তুষ্টি) ঢুকে গেলাম। ওখান থেকে একটা পলিথিন এ পানি ভরে নিলাম আর পানিভর্তি পলিথিন ব্যাগটা ক্যাপ এর ভিতরে লুকিয়ে ফেললাম। তার পর সব বন্ধু যখন একসাথে নাগরদোলায় উঠতে ব্যস্ত তখন ইচ্ছা করেই সবার থেকে আলাদা ভাবে বসলাম সাথের ৩ জন ই অচেনা। নাগরদোলা ঘুরতে শুরু করলো, গতি বাড়ার সাথে সাথে সবার ভয়ে চিৎকার শুরু হয়ে গেলো। আর আমি এই সুযোগে পলিথিন ফুটা করে দিলাম হাত দিয়ে খুচিয়ে। পানি পরতে লাগলো আর নাগরদোলা ঘুরতে লাগলো। গায়ে পানি পড়ার সাথে সাথে সবাই ভাবলো কেউ ভয়ে মুত্র বিসর্জন করছে!! সবার ভয়ের চিৎকার এর সাথে এবার যোগ হলো গায়ে মুত্র পড়ার আতংকের চিৎকার।
বরই মধুর লাগছিল শুনতে।
২/৩ জন বান্ধবী দেখলাম বমী করতে প্রস্তুত হচ্ছে। আর আমি ভাবতেছি আসলেই বমি করে দিলে আমিও রক্ষা পাবো না । নীচ থেকে মধুর চিৎকারঃ
এই কে যেন ছেড়ে দিয়েছে!!!!
এই আমার গায়ে পড়েছে...
এই আমার বমি পাচ্ছে...
না না প্লিজ বমি করিস না...রুমে যেয়ে ধুয়ে নিস......
না গোসল করতে হবে ভালো করে।
এ্যা এ্যা এ্যা এ্যা......
নাগরদোলা মামা খুজতে ব্যস্ত যে তার ব্যাবসার লালবাতি কে জালানোর চেস্টা করছে, আসলে কি ঘটছে এবং ধরেও ফেলল ব্যাপারটা। নাগরদোলা থামাতে থামাতে বলল ঐ যে ঐ মামা ঐ মামা পানি মারতেছে। বন্ধুরা তাদের নতুন বান্ধবীদের এই অপমান মানতে না পেড়ে আমাকে হুমকি দেয়া শুরু করায় আমি নাগরদোলা থামার আগেই লাফিয়ে নেমে নার্সারী হোস্টেল এর দিকে উসাইন বোল্টের চাইতেও জোরে দৌড় দিলাম কারন মাইর একটাও মাটিতে পরবে না এটা শিওর ছিলাম।
পিছনে বন্ধু বান্ধব এর আমাকে ধরার জন্য সে কি দৌড়, কিন্তু বাজী দিয়ে বলতে পারি ঘটনা টা এখন ঘটালে সবাই আমাকে দৌড়ান না দিয়ে বাহবা দিত, প্রথম প্রথম তো আবেগ মানে নাই , তাই আমারে দৌড়ান দিছে-আমিও মাইনা নিছি!! নার্সারী হোস্টেলে সিট ছিল আমার। নিজ রুমে ঢুকে ঐ যে দরজা লাগালাম আর খুলিলাম না। ঘটনাটা এখনও মনে পড়ে আর মনে মনে হাসি কি ভদ্র ছেলেই না ছিলাম আমি আগে !!!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: হাহ হাহ হাহ হা!

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেদিন কাজের ওখানে নাকি বার্থরুমে তালা লাগিয়ে বাইরে লান্চে গিয়েছিলেন?

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: আহা,ছেলেটা কত ভদ্রই না ছিলো। ;)

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: মজা পেলুম।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০১

ওমেরা বলেছেন: দারুন মজা পেয়েছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.