নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন তালেবান যোদ্ধার জবানবন্দী

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২

কথা গুলো আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে এমন কিছু আমি বলছি না। এই লেখাটা আরব্য রজনীর একটা সিক্যুয়েল হতে পারে, আরব দেশে বসেই হয়ত লিখতাম। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত কিছু কারনে তখন ব্যাপারটা স্কিপ করে গেসি। আসলে এই লেখাটার মূল বক্তব্য আমার নয়, একজন সাবেক তালেবান যোদ্ধার, যিনি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান এসেছিলেন, এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ব্যবহার করে আরব দেশে এসেছিলেন। ব্যাপারটা কে কিভাবে নেবেন আমি জানিনা, তবে তার জবানীতে লেখা আমার এই কথা গুলো যে একেবারেই মিথ্যা এমনটা আসলে আমার নিজের ও বিশ্বাস হয় না।


সেদিন ছিল খুব সম্ভব আমাদের নাইট ডিউটি, আমি হসপিটালের ইমার্জেন্সীতে বসা, ডা আশফাক যিনি ছিলেন রেডিওলজিস্ট, তিনি আর ডা জন ওয়েইগনার পেডিয়াট্রিক সার্জন, যার বেতন আমাদের পুর হস্পিটালে সবার চাইতে বেশী তারা এসেছিলেন আমার জরুরী কলে। তো রোগী ম্যানেজ করার পর আমরা কফি খেতে খেতে গল্প করছিলাম। নানান গল্পে একসময় আমেরিকার আফগানিস্তানে তালেবান বিরোধী হামলার কথা চলে আসে, এবং তার সাথে পাকিস্তানের জড়িয়ে পরা নিয়ে ডাক্তার আশফাক কে বেশ ভাল ক্রিটিসাইজ করা শুরু করেন বৃটিশ ডাক্তার জন। ব্যাপারটা গায়ে লেগে যায় একসময় ডা আশফাকের।

হঠাত করে তিনি ক্ষেপে যান, এবং প্রচন্ড আক্রমনাত্নক হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি সাথে সাথে সরি বলে, এক ধরনের জবানবন্দী দেন, এতা আসলে ডা আশফাকের গল্প। আমি তার মুখের কথা গুলোই লিখে যাচ্ছি…


এই যে আমি, ডা আশফাক, আপনাদের সামনে বসে আছি, আপনারা সবাই জানেন আমি একজন পাকিস্তানী, হ্যা, পাকিস্তান আমাকে ডাক্তার বানিয়েছে, কিন্তু জন্ম সূত্রে আমি একজন আফগান। আমার বেড়ে ওঠা ওয়াজিরিস্তানে। এবং এই আমি একজন সাবেক তালেবান যোদ্ধা। আমার পুরো পরিবার, আমার বাবা, চাচা সবাই তালেবান যোদ্ধা, আমার বাবা আমেরিকার বুলেটে শহীদ কিংবা আপনাদের ভাষায় নিহত। সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়াতে তাদের ফেলে যাওয়া অজস্র মাইনের আঘাতে হাত পা বিচ্ছিন্ন লোক গুলোর অবস্থা দেখে আমি যখন স্বপ্ন দেখতাম একজন ডাক্তার হব, আমার বাবা চাচারা আমাকে বাধ্য করতেন তাদের রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ প্র্যাক্টিস করতে। আমাদের স্কুল ছিল না, আমরা মাদ্রাসায় যেতাম, সেখানে আমাদের ইংরেজী শিক্ষা দেয়া হত না। পরবর্তিতে বেশ কিছু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আমি যুদ্ধের ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাই পাকিস্তানে। কিন্তু ডাক্তারি পরার সময় কিংবা ডাক্তার হওয়ার পরেও আমি আফগানিস্তানে গিয়েছি।


আপনারা মনে করেন তালেবানরা নীরিহ মানুষ, শিশু হত্যা করে পৈশাচিক আনন্দ লাভ করে, কিন্তু আবার এই সাথে এটাও বলেন তারা ইসলামী মৌলবাদী, একজন সত্যিকারের ইসলামী মৌলবাদী তালেবান বিনা কারনে আদম সন্তান হত্যা করে না, কারন সে ইসলামী মৌলবাদী, সে জানে তার এটার জন্য পরকালে কঠোর শাস্তি পাওনা থাকবে। তো এখন তালেবানরা যে সমানে গাড়িতে, মসজিদে বোমা হামলা চালিয়ে, আত্নঘাতী হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করছে, তার কি ব্যাখ্যা?


এটুকু বলে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন, এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন তোমাদের ফাদার অফ নেশন কে হত্যার পিছনে একটি বিদেশী শক্তি জড়িত ছিল, জান? আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, আপনি কি সিআইএ(CIA) কে মীন করছেন? জবাবে তিনি হাসলেন, অসাধারন জ্ঞানী লোকটা এবার জন ওয়েইগনারের দিকে তাকালেন, চে গুয়েভারা কার সৃষ্টি ছিল, বলতে পারেন?

ডা ওয়েইগনার সম্যক বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান রাখতেন, অসাধারন পাণ্ডিত্য ছিল তার। তিনি বললেন হ্যা আমেরিকার সৃষ্টি। তখন ডাক্তার আশফাক, আবার বললেন, চে গুয়েভারা কে হত্যা করেছিল জানেন? সেই আমেরিকার সিআইএ! বলেই হাসতে হাসতে বললেন, সিআইএ কে আমেরিকার লোকজন ই বলে ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স অফ আমেরিকা! আচ্ছা ডাক্তার জন, আমাকে বলুন, আজ আইসিস সিরিয়ায় যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, তাদের অস্ত্রের প্রধান জোগান দাতা কে? সেই আমেরিকা, যারা ফ্রী সিরিয়ান মুভমেন্ট এ আমেরিকার এমুনিশন পেয়েছিল, আজ তারাই আমেরিকার দেয়া অস্ত্র আমেরিকার দিকেই তাক করে রেখেছে! কি অদ্ভুত! তাই না?


সে যাইহোক, আমি আমার ব্যাখ্যায় আসি, সামরিক দূর্বলতায় তালেবান দের পতন হয়। তালেবান শব্দটির ব্যাসিক অর্থ হল জ্ঞানের জন্য আসা ছাত্র কিংবা জ্ঞানী ছাত্র। তালেবান দের মূল উদ্দেশ্য ছিল শরিয়াহ আইন কায়েম করা, ঠিক একই শরিয়াহ আইন কিন্তু এই সৌদি আরবেও চালু রয়েছে, যা নিয়ে আমেরিকার ন্যুনতম মাথা ব্যথা নেই! তাহলে তালেবান দের নিয়ে তাদের এত সমস্যা কেন? এর সোজা উত্তর হল, ভু প্রাকৃতিক সম্পত্তি দখল, যেমন আজ রাশিয়া দখল নিয়েছে ইউক্রেন কে!


একটু নিঃশ্বাস নিলেন ডা আশফাক, এরপর বলতে শুরু করলেন আবার। ডা ওয়েইগনার, আপনি কি জানেন অঢেল ধন সম্পদ থাকার পরেও সৌদি বিন লাদেন গ্রুপ (ওসামা বিন লাদেনের পরিবার) যদি কাজ বন্ধ করে দেয়, সৌদি বাদশাহ বেশ ভাল বিপদে পড়ে যাবে!(উল্লেখ্য, সৌদি আরবে বিন লাদেন গ্রুপ নামের কোম্পানী কিংবা পরিবার ভয়ঙ্কর ধনী এবং প্রভাবশালী)। তবে আমার বক্তব্য ওসামা কে নিয়ে নয়, আমার বক্তব্য তালেবান দের নিয়ে। আপনি কি জানেন, প্রচন্ড জ্ঞান, বিচক্ষণতা, বিচারের নিরপেক্ষতা না থাকলে যে কেউ চাইলেই তালেবান দের নেতা হতে পারবে না? আপনি অস্ত্র চালাতে জানেন, আপনার শহীদ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা আপনাকে তালেবান দের বুযুর্গ (নেতা) হতে দেবে না। আপনাকে অবশ্যই জ্ঞাণী এবং বিচক্ষণ হতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইমান আল জাওয়াহিরি ছিলেন একজন ডাক্তার, একজন সার্জন!


আপনি ডা ওয়েইগনার আর ডা রহমান আজ আমাকে অপমান করলেন, আমরা যুদ্ধ ছাড়া কিছু বুঝি না, আমরা নীরিহ মানুষ দের হত্যা করে আনন্দ পাই। এবার আমি ঘটনার ব্যাখ্যা দিই, আমেরিকার অঢেল অর্থ ইরাকী জেনারেল দের কিনে নিয়েছিল বলেই কিন্তু এত সহজে আমেরিকা ইরাক দখল করে নিয়েছিল। পাকিস্তান কিংবা আফগান যেখানেই বলুন, সীমান্তবর্তী মানুষ গুলো প্রচন্ড রকম গরীব। তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানেনা কিছুই, কিন্তু বালেগ (পিউবার্টি) হলেই তারা বিয়ে করবে, এবং রেগুলার সন্তান উতপাদন করবে। যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানে, তারা ধমীয় কুসংস্কারে আক্রান্ত হয়ে তা থেকে বিরত থাকে। প্রতিটি পরিবার ই মাদক, অস্ত্র ইত্যাদি চোরাচালানে জীবিকা নির্বাহ করে। অভাবের তাড়নায় এই আমি ডা আশফাক এক পিস খবুস আর পানি খেয়ে তিনদিন কাটিয়েছি, প্রতিটি পরিবারের খেতে চাওয়ার মুখ অনেক, কিন্তু যোগান দাতা একজন, এরা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন। কেউ কেউ বছরের অর্ধেক সময়টা রোজা রাখেন, অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য।


এদের মাঝে কিছু লোক, যারা আগে তালেবান দের ফুট ফরমায়েশ খাটত, তাদের সাথে স্থানীয় সিআইএ এজেন্টরা দেখা করেন, এক ধরনের স্টিং অপারেশন বলতে পারেন। তারা তাদের স্বপ্ন দেখায়, জিহাদ করার, আমেরিকার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার। আফগান যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে উপজাতীয় নেতারা অনেকেই মৃত্যুবরন করেন। তাদের জায়গায় অপরিণত, কিংবা অস্ত্রের মুখে গোত্রপতি হওয়া এসব লোক সিআইএ এজেন্ট দের যোগান দেয়া অর্থ আর জিহাদী বয়ান এ উদ্যোগী হয়ে নতুন করে জন্ম দেয় নিজেদের। গোত্রপতিরাও ভাবেন, এবার হয়ত সুযোগ পাওয়া যাবে, আমেরিকার বুলেটে নিহত স্বজনের বদলা নেয়ার। সেই সাথে আসতে থাকে বেশুমার অর্থ, যার আসল যোগান দাতা আমেরিকা, আর সেইসব নতুন গোত্রপতিদের জানানো হয় মিডল ইস্টের কিছু ধনী ব্যক্তি যারা ইসলামী শাসন কায়েমে আগ্রহী তারা পাঠিয়েছেন। এরপর স্থানীয় এজেন্টরা তাদের কাছে নির্দেশনা দেন, কিভাবে কি করতে হবে।


এখন আপনি বলুন, আপনার ঘরে আসার দিকে তাকিয়ে আছে মিনিমাম ছয়টি মুখ, যারা সারাদিনের অনাহারী, আছে বিবাহ যোগ্য কন্যা যাদের বিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আপনার নেই, সম্পত্তি বলতে মাটির তৈরি ঘর, সেই আপনাকে বলা হয় জান্নাতের সুখবর দিয়ে, যে প্রাণ দিন আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করে যারা কাফের এবং আপনার দেশকে কলুষিত করেছে, হত্যা করেছে আপনার কোন ভাই কে, আপনার পুরো পরিবার এর সব ধরনের দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি, সেই সাথে এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা, যতগুলো টাকা আপনি একসাথে জীবনে চোখেও দেখেন নি, আপনি কি বিষয়টা একবার ও চিন্তা করে দেখবেন না? রাজী নাহয় নাই হলেন! একদিকে বদলা, অন্যদিকে ফ্যামিলির স্বচ্ছলতা, আপনি হলে কি করতেন ডা ওয়েইগনার? জাস্ট পুট দ্যাট শ্যু ইন টু ইয়োর ফিট!


খুব সাবধানে বাছাই করা এসব লোকদের এরপর ট্রেনিং দেয়া হয়, এসব হামলা পূর্ববর্তী কিংবা পরবর্তী ইউটিউব ভিডিও ছাড়ার কথা একজন ইসলামী মৌলবাদীর মাথায় আসেনা, আসে একজন দক্ষ ক্রিমিনাল সংস্থার কাছে থেকে! একটা সময় তারা হামলা চালায়, নিশ্চিত করে পরিবারের ভবিষ্যত! কিন্তু হায়, পরিবারের সদস্যরা খুব অল্প সময়েই গ্রেফতার নাহয় হত্যার স্বীকার হয়ে যায় আমেরিকান সেনাবাহিনীর হাতে, জান্নাত থেকে আত্নঘাতী হামলাকারী পরিবার প্রধান নিশ্চই দেখে কিন্তু এটাকে আটকাতে আর পারে না! কারন তারা তালেবান, জঙ্গী, ড্রোন হামলায় কোন বাছবিচার হয় না, নারী পুরুষ সবাই মারা পড়ে, যে দুই একজন বেচে থাকে তারা প্রতিশোধের জন্য আবার সুযোগ খুজতে থাকে, সিআইএ ঠিক খুজে খুজে এদের বের করে! আবার তাদের ট্রেনিং দেয়!

হহাহাআহ, বলে খুব একচোট হাসলেন ডা আশফাক! আপনাদের বিবিসি, সিএনএন এত হলদে কেন ডা জন? অথচ বাক স্বাধীনতা আর সত্য প্রকাশে তারা সারাক্ষন সারা দুনিয়া জুড়ে কি চেষ্টাটাই না চালিয়ে যাচ্ছে!! আপনারা মালালা কে নোবেল দিয়েছেন, ডা. জন, ডু ইউ নো দ্যাট, অলমোস্ট অল পাকিস্তানী টুক ইট এজ এন ইনসাল্ট টু দেয়ার নেশান?


ডা রহমান, হোয়াই ডু ইউ কিপ সাইলেন্স? ফরগেট ইট, নোবডি এভার কনকয়ার্ড মাই কান্ট্রি, নো বডি এভার! ফ্রম চেঙ্গিস টু রুশ! ওয়ান ডে, আমেরিকা উইল পে ফর দিস ঠু!

আমি চুপ করে থেকে শুধু এটুকুই বললাম, আল্লাহ ভাল জানেন, স্যার! তিনি সর্বজ্ঞ!


পেশোয়ারের স্কুল হামলার পর তার সাথে আমার একবার অনলাইনে কথা হয়েছিল, স্কুল বাচ্চাদের প্রতি নির্মমতার কথা বলতেই তিনি বললেন, ডা রহমান তুমি কি জানো না, মহানবী (সাঃ) শিশুদের কত ভালবাসতেন? একজন ইসলামী মৌলবাদী (তোমাদের ভাষায়) তালেবান সে কি এই মিনিমাম বিষয়টা জানবে না? আবার দেখ, হামলা হয়েছে আর্মি স্কুলে, যাতে আর্মির সন্তানরাই বেশী মারা পড়ে, সন্তান হারানোর শোকে এবার খুন চেপে যাবে মদ্যপ পাকিস্তানী আর্মির মাথায়! গণহতা চালাবে এবার তারা, কি সুন্দর তাই না? কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলে ফেলা হচ্ছে!

একটু থেমে যা বললেন ডা আশফাক, সে এখন আবার আফগান ফিরতে চায়, কিংবা পাকিস্তান, যে দেশ তাকে ডাক্তার বানিয়েছিল, সে কিছু পশ্চিমা এজেন্ট হত্যা করতে চায়, ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে গিয়ে নাকি তার ঘেন্না লাগে! এখন প্রায়শ মনে হয়, পিতারা ভুল করেন নি, অস্ত্রের ট্রেনিং টা এবার সে সর্বোচ্চ কাজে লাগাবে!

আমি জানিনা, এখানে কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা, কিন্তু আমি এটা খুব জানি, চে গুয়েভারা, বংগবন্ধু এরা কার নির্মমতার স্বীকার। সাইহ! তবু আমাদের একটা আমেরিকান ভিসার জন্য কতখানি হাহাকার!




মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: চে গুয়েভারা, বংগবন্ধু এরা কার নির্মমতার স্বীকার। প্রশ্ন থেকেই যায় , সুন্দর পোস্ট ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ বস!!!

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

আলাপচারী বলেছেন: +++

ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী।

শ্রেণী সংগ্রাম সত্যি মনে হয়। হাইপোথেসিস নয়।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সানড্যান্স বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:



বাস্তবতা কত নির্মম!!
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে ডক!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৩

সানড্যান্স বলেছেন: ওয়েল্কাম!

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শহীদ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা?
জান্নাতে থেকে দেখা?
শিশুহত্যা সমর্থন করা বাষ্টার্ড ডা আশফাকরা এযুগে কখনো মানুষ হবে না।

মৌলবাদি আইএস, তালেবান, বোকো হারামজাদারা এজাবৎ যত হামলা করেছে প্রায় সবই স্বজাতি নিরিহ বেসামরিক মোসলমানদের ও মুসলিম স্থাপনার উপর।
পাকিস্তানে তো প্রায় প্রতি শুক্রবারে মসজিদে জঙ্গি হামলা হয়, এরপর হয় পালটা হুমকি দিয়ে প্রতিপক্ষের মসজিদে বোমা-মেসিনগান হামলা,
এদের হাতে জানাজা, এমনকি ঈদের জামাতও রেহাই পায় নাই।

ইসলাম ধর্মে আত্নহত্যা মহাপাপ। এরপরও পাকি তালেবান নামের অমানুষরা শহীদ হওয়ার, জান্নাতে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছায় শিশু হত্যার জন্য নিজের গায়ে বোমা বাধেঁ।

বাঙ্গালীরা গরিব হলেও চরিত্র ওদের চেয়ে হাজারগুনে ভাল।
জান্নাতে যাওয়ার লোভ বা টাকার লোভ ছাড়াই মাত্র একটি শিশুকে বাঁচাতে বশিররেরা ৩০০ফুট গভীর নলকুপের পাইপের পাতালে ঢুকতে চায়, চানমিয়ারা লাইফলাইন ছাড়াই ডুবদিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে, কায়কোবাদের মত প্রকৌশলিরা শাহিনাকে বাঁচাতে হ্যাক্সো নিয়ে বিধ্বস্ত ভবনের গভীর গর্থে নেমে জীবন বিলিয়ে দেয়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৬

সানড্যান্স বলেছেন: ভাই লেখাটা মনে হয় পুরোপুরি বোঝেন নাই, আবার পড়ে মন্তব্য করে দেখতে পারেন!

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২২

রাফা বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদ , সকল কিছু গ্রাস করতে উন্মূখ হয়ে আছে।এখন নিজেদেরই ভাবতে হবে আমরা তাদের ফাঁদ কিভাবে এড়িয়ে থাকবো।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৫

সানড্যান্স বলেছেন: মনে হয় না কোন ওয়ে আছে, সব দিক দিয়ে গ্রাস করে ফেলতেসে!

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

এহসান সাবির বলেছেন: হুম!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

সানড্যান্স বলেছেন: ম্ম! :ভ

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

রাফা বলেছেন: ভুল বললেন...এটা একবিংশ শতাব্দি,আপনি স্বেচ্ছায় তাদের ছত্রছায়ায় না গেলে মুক্ত পৃথিবিতে কেউ আটকে রাখতে পারবেনা।
আপনি লান্ছনা ও বন্চনার স্বিকার হোতে পারেন,কিন্তু জোড় করে কিছু করিয়ে নিতে পারবেনা।
পাকিস্তানিরা পৃথিবির সবচাইতে নিকৃষ্ট জাতি,তারা যখনই আক্রান্ত হয় তাদের কোন অপকর্মের জন্য ।তখনি তারা ধুয়া তুলে ইসলাম আক্রান্ত হোয়েছে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

সানড্যান্স বলেছেন: দুনিয়াতে মুক্ত পৃথিবী বলে কিছু নাই ভাইয়া, কারন এটা একবিংশ শতাব্দী!
অবশ্যই আপনি কাউকে দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করিয়ে নিতে পারেন, যদি আপনার হাতে অঢেল ক্ষমতা আর টাকা থাকে!

আর আমার বক্তব্য পাকিস্তান নিয়ে নয়, তালেবান নিয়ে, আবার পড়েন, বুঝতে পারবেন!

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: চমৎকার লেখা । ভীষণ ভাল লেগেছে । প্রিয়তে নিচ্ছি ।

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৪

শয়ন কুমার বলেছেন: "আবার দেখ, হামলা হয়েছে আর্মি স্কুলে, যাতে আর্মির সন্তানরাই বেশী মারা পড়ে, সন্তান হারানোর শোকে এবার খুন চেপে যাবে মদ্যপ পাকিস্তানী আর্মির মাথায়! গণহতা চালাবে এবার তারা, কি সুন্দর তাই না? কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলে ফেলা হচ্ছে ।"
------------------------------------------------------------------------------

খুব সুকৌশলেই ছোট্র বাচ্চাগুলোর উপর হামলাকে জায়েজ করার চেষ্টা !!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৮০২
আহমদ ইব্ন ইউনুস (র)..............আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রা) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর এক যুদ্ধে জনৈকা মহিলাকে নিহত পাওয়া যায়, তখন মহানবী (সাঃ) মহিলা ও শিশুদের হত্যা করা সম্পর্কে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের সাথে কি ধরনের আচরন করতে হবে, এ বিষয়ে মুসলীম শরীফে বুরাইদা (রাঃ) কর্তৃক বিস্তারিতভাবে বর্ণীত ও ইবনে ওমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণীত দুটি সহী হাদিছ তুলে ধরা হল।
১/ বুরাইদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)যখন কোন সেনাবাহিনী কিংবা সেনাদলের উপর আমীর নিযুক্ত করতেন, তখন বিশেষ করে তাঁকে আল্লাহ ভীতি অবলম্বনের এবং তাঁর সঙ্গী মুসলমানদের নেক আমলের উপদেশ দিতেন। আর বলতেন, যুদ্ধ করো আল্লাহর নামে, আল্লাহর রাস্তায়। লড়াই কর তাদের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহর সাথে কুফরি করে। যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তবে গনিমতের মালের খেয়ানত করবে না, শত্রু পক্ষের অঙ্গ বিকৃত করবে না ও শিশুদেরকে হত্যা করবে না।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহানবী (সা:) শিশু-কিশোরদের কতটা আদর-স্নেহ করতেন এবং তাদের কল্যাণ ও ভবিষ্যৎ জীবনকে বিকশিত করার লক্ষ্যে কতটা উদগ্রীব ছিলেন নিচের হাদিসগুলো থেকে তা সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করা যায়। তিনি বলেন : ‘যে ব্যক্তি ছোট ছেলেমেয়েদের প্রতি সদয় নয়,ওই ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ মহানবী (সা:) বলেন : ‘ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে এমন আচরণ কর যাতে তাদের মধ্যে আত্মসম্মান বোধ সৃষ্টি হয়।’ সর্বশেষ মহানবী (সা:) যুদ্ধক্ষেত্রে পর্যন্ত শিশুদেরকে হামলা করতে নিষেধ করেছেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এবার বলুন তালেবানেরা কি হাদিস মোতাবেক লড়াই করছে নাকি , যুদ্ধক্ষেত্রে পরিকল্পিত ভাবে বাচ্চাগুলোর উপর হামলা করে হাদিসের বরখেলাপ করেছে ??

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩০

শয়ন কুমার বলেছেন: মহানবী (সা লেখার পর ঃ দিলে অনাকাঙ্গিত ইমো চলে আসে্‌, এজন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।ব্লগ এডমিনের এটি দ্রুত নজর দেওয়া উচিৎ

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

রাফা বলেছেন: টাকা এবং শক্তি প্রয়োগ করে যে সব কিছু অর্জন করা যায়না। এর সবচাইতে বড় প্রমান মনে হয় বাংলাদেশ আর আমরা বাঙালিরা।পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছেই ছিলো টাকা এবং শক্তি আমাদের দিয়ে তাদের ইচ্ছা পূরণ করিয়ে নিতে পারে নাই ভাইজান।

ভেনিজুয়েলা ও কিউবার মত দেশ পরাশক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেও বহাল তবিয়তে ভালই আছে আরো অন্য কোন দেশ থেকে।তারা কারো আজ্ঞাবহ হয়ে যায় নাই ভাইয়া।

এখনতো পাকিস্তানিরা আবার নতুন ফর্মুলা উদ্ভাবন করতেছে ভালো এবং খারাপ তালেবান।ইসলাম শব্দের অর্থ যেমন পাকিস্তান নয়,ঠিকতার বিপরীতে তালেবান শব্দের অর্থ কিন্তু পাকিস্তান আর আফগানস্থান।আপনার ড.সাহেবতো পাকিস্তানি পাসপোর্ট বহন করতেছে উনি এখন ডুয়েল সিটিজেন।সেই হিসেবেই আমি আপনার পোস্টে মন্তব্য করেছি।

ধন্যবাদ,সানড্যান্স ভাই ।

১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

ময়ূখ কিরীটি বলেছেন: হুম পড়লাম.....এরকম জবানবন্দী কিংবা প্রামাণিক লেখা খুবই ভালো লাগে আমার.....কিন্তু আপনার তাৎক্ষণিক যুক্তিবোধ কিছুটা প্রয়োগ করা উচিত ছিল, যুক্তির কখনো শেষ নেই - একটার পিঠে আরেকটা তৈরি হয়

সর্বধর্মে সর্ব অবস্থায়ই আত্মহত্যা মহাপাপ.....তালেবান যে অহরহ আত্মঘাতী হামলা চালায় এবং স্বগর্বে সেটার দায়ও স্বীকার করে তার কী ব্যাখ্যা? সব যদি সিআইএ করত তবে তালেবান এসব দায় স্বীকার ব্যাপারের বিরোধীতা করত....প্লিজ আশরাফকে জিজ্ঞেস করে আপডেট জানাবেন.....কোন কিছুরই বিশ্বাস করার মতো পর্যায়ে না এসে তাকে বিশ্বাস করা মূর্খামি ছাড়া কিছু না

আপনার লেখা অবশ্যই চিন্তার দাবীদার.....কিন্তু কিছু প্রশ্নের অাবশ্যক জবাবের অভাবে এটা আর দশটা জবানবন্দীর মতই শোনাচ্ছে :(

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: বাংলাদেশ তাদের শ্যোনদৃস্টি থেকে অদ্যবদি নিরাপদ ছিলো এই কারনে যে আমাদের তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। তবে অধুনা আবিস্কৃত বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্হানের গুরুত্বের কারনে আমরা এখন অনেকগুলি বিশ্বশক্তির শ্যোনদৃস্টিতে পড়ে গেছি।

এখান থেকে উত্তরনের জন্য আমাদের প্রয়োজন দূরদৃস্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব যেটার প্রচন্ড ঘাটতি আছে বাংলাদেশে।

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ভালো পোস্ট, যুক্তি আছে কথায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.