![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান
আমার তখন ইন্টার্নী লাইফ চলসে। একটা ছেলে কলম আর এপ্রণ না কিনে যে মেডিকেল লাইফ পার করতে পারে তার বোধয় একমাত্র উদাহরন হচ্ছি আমি। ইভেন রাইট নাও আমি যে এপ্রন টা ইউজ করি সেটাও সরকারী হাসপাতালের গোডাউন থেকে নেয়া, আর আরব দেশেও যেটা ব্যবহার করতাম হসপিটাল থেকে দেয়া ছিল। আর ঔষুধ এর বিভিন্ন কোম্পানী আমাদের কলম দিলেও আমার প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পকেটে করে নিতে মনে থাকত না।
আমার কলিগ ছিল, ধরা যাক ''ডা. এলি'', ভদ্র, চমৎকারএবং সুইট একটা মেয়ে। ভদ্র বলতে সেই মাত্রায় ভদ্র এবং সেই মাত্রায় সুইট। তো যথারীতি একদিন কলম না নিয়েই গেসি, যেয়ে দেখি এলি হাজিরা খাতা সামনে নিয়ে বসে আছে, সবার সাইন করা হয়ে গেছে, আমার বাকি। বাকিরা পাশে বসে আছে, ভাবলাম ডা. এলি যেহেতু অতিরিক্ত ভদ্র তাই একটু মজা করি, এলিকে বললাম,
-- এই যে, ডা. এলি, তোমার পেন্টি দাও তো, সাইন করব!
আমার ধারনা ছিল এলি খুব বিরক্ত হবে, কিংবা চেতে যাবে এরকম, অথবা ভয়াবহ রিএকশন দেখাবে, সে আমাকে অবাক করে আমার ভুল ভেঙ্গে দিয়ে সবার সামনেই বলতেসে
--ভাইয়া আজকে তো পড়ে আসিনি!
আমি মনে মনে বললাম, সাইহ, আধুনিক মেয়ে তো!! আই মিস ইউ এলি!
দ্বিতীয় ঘটনা আরো হৃদয় বিদারক!
ডাক্তার হিসেবে অনেকের ই গোপন রোগের চিকিতসা আমার করতে হয়। ইভেন অচেনা ফেসবুক ভাই বোন দের ও। এক্ষেত্রে ছেলেদের কমন অসুখ হল, ভাই ভেতরে ফেলে দিসি, এখন কি করব? আর মেয়েদের কমন অসুখ হল ডেট ওভার হয়ে গেসে পিরিয়ড হচ্ছে না!
কিছুদিন আগে একজন রিপিটেডলি কমপ্লেইন দিচ্ছিল তার ডেট ওভার হয়ে গেসে, বাট পিরিওয়ড হচ্ছে না। তো একদিন আমি তাকে বুঝালাম যে, সে যেহেতু কিছু করে নাই (সেক্স), আর যেহেতু বিভিন্ন মানসিক চাপের মাঝে দিয়ে যাচ্ছে, তাই একটু দেরি হচ্ছে, এটা কোন ব্যাপার না, পরে তার আগের বারের ডেট হিসাব করে বললাম দেখো, চিন্তা কর না, দুই এক দিনের মাঝেই পিরিয়ড হবে, সময় হয়ে গেসে!
পরের দিন আমি অপারেশন থিয়েটারে, দুই হাতে গ্লাভস, অপারেশন করতেসি, সাথে আমার প্রফেসর আমিনুর। যারা পুরনো বন্ধু তারা জানেন মোবাইল হারাইসি কিছুদিন আগে, তো আমি এখন যে ফোন টা ব্যবহার করি, এইটা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া, মা দিসেন, এবং অদ্ভূত ব্যাপার হইল ফোনটাতে লাউড স্পীকার ছাড়া কথা বলা যায় না। হঠাত শুনলাম আমার ফোন বাজতেসে, তো আমি সিস্টার কে বললাম ফোন টা ধরে রিসিভ করে আমার কানের কাছে এনে লাউড স্পীকারে দিতে (ওটির সময় গ্লাভস হাতে যন্ত্রপাতি আর রোগী ছাড়া কিছু ধরা যায় না),
ওই বান্ধবীর ফোন, আবার কি হইল? মেয়ে দের ব্যাপারে টেনশন আমার এমনিই একটূ বেশী,
ফোন ফুল ভলিউমে লাউড স্পীকার এ ধরা, আমার আর ডা আমিনুর এর মাঝে সিস্টার দাঁড়ান তার হাতে, আমি বললাম, হ্যালো, কি হইসে আবার?
---ভাইয়া, আমার পিরিয়ড হইসে!!
গ্লাভস পড়া হাতেই সিস্টারের হাত থেকে মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে অফ করে দিলাম। চেয়ে দেখি ডা আমিনুর তাকায় আছে আমার দিকে, আমি মাথা নীচু করে বললাম, স্যার আধুনিক মেয়ে তো!! প্রফেসর আমিনুর বললেন, আসলেই!!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৭
সানড্যান্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৩
নির্বোধ পাঠক বলেছেন: স্যার, আধুনিক ডাক্তার তো
ভাল হইসে খউব।
ধন্যবাদ ডাকতর সাব।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৯
সানড্যান্স বলেছেন: নাহ, ডাক্তার সেই পুরনো দিনের ই! আপনাকে স্বাগতম ভাই
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৪
অপ্রতীয়মান বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডাক্তারকে আরও আধুনিক হতে হবে। এত্ত লজ্জ্বা পেলে কেম্নে কি?
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ রস কাহিনী ধন্যবাদ