![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান
সকাল বেলা তখন ভোর সাড়ে ছয়টা বাজে, আমি আর খালিদ সদ্য ওঠা সূর্যের আলোয় দাড়িয়ে আছি, আর আরব দারোয়ান কে ফাইতামিন ডি সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছি, মূহুর্তের মাঝে হর্ণ চেপে ধরে গুনে গুনে আট টা হায়োলাক্স পিক আপ আর চারটে ল্যান্ড ক্রুজারকে নরক গুলজার করে হস্পিটাল ঢুকতে দেখে বুঝলাম রোড এক্সিডেন্ট এর পেশেন্ট আসছে, দৌড়ে ভেতরে ঢুকে পোশাক পাল্টে আমি আর খালিদ দুই জন কে হাতে নিতে নিতে খালাস হয়ে গেল, চেঞ্জ করে আরো দুজন এর দিকে আগালাম দেখি খালিদ ভয় পেয়ে বের হয়ে যাচ্ছে, ওকে ধমকাতে ধমকাতে আরো একজন খালাস, শেষমেষ টিকলো একজন! বহু কস্টে কোনরকমভাবে আজরাইল (আ) কে সালাম দিয়ে একজন ঠেকালাম!
এদেশেরর মানুষ এর একটা বড় অংশ মারা যায় রোড এক্সিডেন্ট এ! পরে খালিদ রে জিজ্ঞেস করলাম প্রথম দুইজন মরার পর এভাবে বের হয়ে যাচ্ছিলে কেন? ভাংগা ইংলিশে সে বলল, সে আসলে ব্যাপারটা নিতে পারছিল না!
দেখেন মানুষ কত দুর্ভাগা হয়, কেউ মারা গেলে, সে যেই হোক না কেন, আমরা তার মৃত্যু পরবর্তী জীবন যেন শান্তির হয়, সেই কামনা করি, পরে সকাল আটটায় ডিউটি শেষে বের হলাম, নিজের গাড়ী নাই, পানির লরি পেলাম একটা, সেটায় করে ইয়াদামায় নামতেই দেখি ইউসুফ দাড়ায়ে আছে, ছোট শহর, ঘটনা বাতাসের আগে দৌড়ায়, চোখে উদ্বেগ, মুখে ভালোবাসা নিয়ে জিজ্ঞেস করল, যে তিন জন মারা গেছে তার মাঝে আজনবী কয়জন, আমি বললাম তিনোটাই আরব, সৌদি, এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবে খ্যাতিমান শ্রীলনকান শুনেই বলল মাশাল্লাহ! কতটা নির্যাতন করে আমেলের উপর যে এতটা ঘৃণা জন্মায়?
যাইহোক, এ দেশের রীতি অনুযায়ী বাড়ির বাইরে আপনার মৃত্যু হলে আপনি আর বাড়ি ফিরবেন না, হস্পিটাল থেকে আপনি যাবেন গোসলখানা তে, সেখান থেকে মসজিদে, আর সেখান থেকে কবরে, এবং সেই কবরের কোন চিনহ থাকবে না, এবং আপনার মৃত্যু উপলক্ষে উট আর দুম্বা কিনে জীবিতরা আয়োজন করে খাওয়া দাওয়া করবে (আজুমা বলে), আত্মীয়রা আসবে, ভালো মন্দ বলে বিদায় নিবে!
আজকেও নাইট ডিউটি, বারোটা থেকে আটটা, এসেই আরো একজন কে মৃত ঘোষনা করলাম, আজকে চারজন হল, এবারেরটা মদ খেয়ে গাড়ী চালাচ্ছিল, দুজন ছিল, একজন ডেড আরেকজন পিনিকে, যে পিনিকে তাকে দেখতে রিফিউজ করসে মাসরী আহমাদ রমাদান, পরে আমি দেখে পাছায় সুই মেরে পিনিক আরো গাড় করে ঘুম পাড়ায় দিয়ে রমদান কে বললাম রোগী মদ খাইছে, তার পাপ হইসে, তুমি ইচ্ছে করে তাকে চিকিৎসা দাওনি, তোমার পাপ হইসে, তুমি বিচারক নও, বিচারক আল্লাহ!
হারামজাদা অপমান হিসেবে নিছে কথা গুলো, শোধ ও নিছে, রাতে খুধা লাগে দেখে দুইটাকার ওরিও আনছিলাম ব্যাগে, সব খায়া ফেলছে, হাদা মাসরী খারবান!
দ্য রিটার্ন অফ আরব্য রজনী, 07/02/1438
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: হাদা মাসরী খারবান! মানে বেটা মিসরীয় কিন্তু খারবান মানে কি?
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
তানভীর আহমদ সায়েম বলেছেন: আপনের ওরিও খায়া ফেলসে
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
মানবী বলেছেন: অপমানের শোধ নেয়াটা মজার মনে হলো :-)
সঙ্গত কারনেই শেষের লাইনটি বোধগম্য নয় তবে ধরে নিচ্ছি খুব ভালো কিছু নয়!!!
"দারোয়ান কে ফাইতামিন ডি" এর স্থানে ".......ফা্ইতামিন দি" হবেনা? আরবী ভাষায় "ড" অক্ষরটিও অণুপস্থিত!
ভালো লেগেছে রিটার্ন অফ আরব্য রজনী, ধন্যবাদ সানড্যান্স।