নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The supporter of progress, nonconformist, defendant Bangladeshi author Sunnyur Rahman was born on 1st October 1987. Sunnyur, who was born in Saudi Arabia, his extensive rational discourse, nonconformity and distinct outlook towards religion, made him so m

সানিউর রহমান

শ্বরণী বাবু

সানিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্পনখা

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২


আমার বোন যদি কোন ছেলের রূপে গুনে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়ে যায় তাতে আমার কোন আপত্তি নেই| প্রেমে পড়ে আমার বোন ছেলেটিকে প্রেম নিবেদন করতে যদি বলে ফেলে “আমি তোমাকে ভালবাসি”, তাতেও আমার আপত্তি নেই| প্রেম নিবেদনের পর যদি আমার বোন জানতে পারে যে যাকে সে ভালোবেসে ছিল সে বিবাহিত, তারপর যদি সে মন কষ্টে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে ভালোবাসার মানুষটির স্ত্রীর উপর হিংসা প্রকাশ করে, অথবা ভালোবাসার মানুষটির স্ত্রীকে গালিগালাজ কিংবা হত্যার হুমকি দেয়, তবে আমার বোনের আচরণের উপর আমার আপত্তি আছে| এ আচরণের কারণে আমি তাকে বোঝাবো প্রয়োজনে শাসনও করবো, কেননা ভালবাসায় জরপুর্বকতা চলেনা, এবং উচিতও নয়| কিন্তু যদি আমার বোনের এই গালিগালাজ কিংবা হত্যার হুমকির মত অসামাজিক আচরণের শাস্তি সরূপ কেউ যদি আমার বোনের নাক-কান কেটে দেয়, তখন আপত্তি তো বটেই সাথে আমার বোনের উপর চালানো এমন বর্বরতার কারণে আমার মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠা অস্বাভাবিক কিছু না| বোনের অঙ্গহানিতে প্রতিশোধের আগুনে ক্ষেপে ওঠা ভাই আমার দৃষ্টিতে কোন মতেই দোষী নয়, বরং সেই বেক্তিকে দোষী বলে সাব্যস্ত করতে আমি দিধা বোধ করবো না, যে আমার বোনের নাক এবং কান কেটে দিয়েছে|

সে হিসেবে আমার দৃষ্টিতে রামায়নে রাবণ নির্দোষ| নির্দোষ বলার কারণ হলো রাবণ বিনা কারণে সীতাকে অপহরণ করে অশোক কাননে নিয়ে যায় নি| ঘটনাটি হয়েছিল এই যে রাবণের বোন সূর্পনখা রামচন্দ্রের রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে প্রেম নিবেদন করে বসে| রামচন্দ্র যেহেতু সীতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ, এবং যেহেতু সে আরবের পেডোফিলিয়াক মোহাম্মদের মত বহু বিবাহে বিশ্বাসী নয়, তাই সে সূর্পনখার নিবেদিত প্রেম প্রত্যাখ্যান করে| এতে সূর্পনখা উত্তেজিত হয়ে রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতার উপর হিংসা প্রকাশ করে| রামচন্দ্রের ভাই লক্ষন যার মনমানসিকতা মুসলিম জিহাদিদের মত আক্রমনাত্মক এবং হিংস্র, সে তখন সীতা ভাবির প্রতি হিংসা প্রকাশ করার অপরাধের শাস্তি সরূপ সূর্পনখার নাক এবং কান কেটে দেয়| বোনের অঙ্গহানির প্রতিশোধ নিতে উত্তেজিত রাবণ ছদ্মবেশে সীতাকে অপহরণ অশোক কাননে করে আটকে রাখে। এই ঘটনায় অপরাধীর কাঠগোড়াই যদি কাউকে দার করাতে হয় তবে আমি রামচন্দ্রের হিংস্র ভাই লক্ষনকেই দার করাবো, কেননা বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী একজন নারীর নাক-কান কেটে অঙ্গহানি করা নারী নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত যার অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.