নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুনন্দিত বাতায়ন ফেসবুক www.facebook.com/sunondito

সুনন্দিত রায় সুমন

আমি একজন ভেটেরিনারিয়ান। বর্তমানে ছাত্রাবস্থায় আছি।

সুনন্দিত রায় সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনাজপুরের লিচু এখন বাজারে

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২২



সবার মন জয় করা অনন্য স্বাদের টসটসে লাল দিনাজপুরী লিচু এখন বাজারে। আর দিনাজপুরী লিচু মানেই অন্যরকম মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচু এখন গাছে গাছে। বাগানগুলোতে মৌ মৌ গন্ধ।



লিচু লাভবান ফল হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে লিচুর আবাদ। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২০০৯ সালে লিচু চাষের জমির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫০০ হেক্টর, ২০১০ সালে ১ হাজার ৭৮০ হেক্টর, ২০১১ সালে ১ হাজার ৯৬৫ হেক্টর। ২০১২ সালে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর।
বছরে দিনাজপুর জেলায় ৪ হাজার ১৮৩ হেক্টর জমির ৫ হাজার ২৯৮টি বাগানে ৬ লাখ ৪৫টি গাছে লিচু উৎপাদন হচ্ছে। এ পরিমাণ গাছ থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন লিচু। আর একেকটি গাছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার লিচু ধরে।

প্রতি বছরই মধু মাসের আগমনে খুশি হয় দিনাজপুরের লিচু চাষি, বাগানি ও ব্যবসায়ীরা তথা সারাদেশের মানুষ। তবে এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে শুরুতে লিচুতে দেখা দেয় খোসা পঁচা ও ফেটে যাওয়া রোগ। বালাইনাশক স্প্রে করেও এর প্রতিকার পায়নি কৃষকরা। এতে করে দামের ব্যাপারে এবারে লিচুতে ক্ষতির আশঙ্কা ছিল কৃষকদের। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছিল ফরমালিন আতঙ্ক। তবে সেসব আতঙ্ক কাটিয়ে বাজারে পুরোদমে লিচু আনতে শুরু করেছে কৃষক ও বাগান ব্যবসায়ীরা। আর ফরমালিনের যে আতঙ্ক ছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষা করেও তা এবারে পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের নিউ মার্কেট এলাকায় লিচু বিক্রি করতে আসা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান,খরার কবলে পড়ে এবারে লিচুর দানা ছোট হয়েছে। পাশাপাশি লিচুতে দেখা দিয়েছিল পচা ও ফেটে যাওয়া রোগ। দামের বিষয়ে শঙ্কা থাকলেও ভালো দাম পাচ্ছেন তারা।

কিসামত মাধবপুর থেকে লিচু বিক্রি করতে আসা কৃষক কুদ্দুস আলী ও মোবারক শাহ জানান, লিচুর মোটামুটি দাম ভালো। তবে আরও দাম বেশি হওয়া উচিৎ ছিল, কারণ এবারে লিচু উৎপাদন করতে বেশি খরচ হয়েছে। তারা জানান, খরার কারণে পানি সেচ ও সারের ব্যবহার বেশি হয়েছে। যাতে করে প্রতিটি লিচু গাছে প্রায় ৫ থেকে ৭শ’ টাকা বেশি খরচ হয়েছে।

দিনাজপুরের লিচু বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ওঠা বোম্বাই জাতের লিচু প্রতি একশ’টি ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, মাদ্রাজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, বেদেনা লিচু ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, চায়না থ্রি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাধববাটি থেকে আসা লিচু বাগান ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে লিচুর দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। যার ফলে তাদেরকে কোনও দিন লাভ আবার কোনওদিন আসল নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। তবে লোকসানের যে আশঙ্কা ছিল তা নেই।

স্থানীয় কিংবা ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভিন্ন স্থান থেকে আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে এবার অনেক লিচু আবাদ হয়েছে। যার ফলে লিচুর দাম কম-যার প্রভাব পড়ছে দিনাজপুরের বাজারে। তবে তুলনামূলকভাবে গত বছরের চেয়ে এবারে লিচুর বাজার দাম বেশি।

ময়মনসিংহ থেকে আসা লিচু ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন জানান, এবারে রংপুর, নওগাঁ, পাবনা, নাটোরেও লিচু আবাদ হয়েছে। যার ফলে এবার দাম কিছুটা কম। তবে তিনি জানান,সব জায়গার চেয়ে দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা অনেক বেশি।

ঢাকা থেকে আসা লিচু ব্যবসায়ী দিলদার আলী জানান, দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা সবখানেই বেশি। লাভ কম হলেও ব্যবসা ভালো হওয়ার জন্য এখানের লিচুর ব্যবসা করেন।তিনি আরও জানান, এ বছরে লিচুর ব্যবসা করতে কোনও শঙ্কা নেই তার। তাছাড়া আবহাওয়াও মোটামুটি ভালো বিরাজ করছে।

দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল আহসান জানান, এবারে খরা আবহাওয়ার কারণে লিচুর দানা কম হয়েছে। তাছাড়া এবারে লিচু মোটাতাজাকরণের হরমোন ব্যবহার না হওয়ায় আকারে লিচু ছোট হয়েছে। যাতে করে আকার অনুযায়ী দাম কম। তাছাড়া রমজান মাসে লিচুর চাহিদা কমে যাবে এই অজুহাতে দাম কম হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এবারে আংশিক হলেও আগামী বছর পুরোপুরিভাবে কোনও প্রকার কীটনাশক ও হরমোন ছাড়াই লিচু আবাদ হবে, যেটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য একটি ভালো দিক।


আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগের লিংক http://www.facebook.com/sunondito
আমাদের দিনাজপুর সম্পর্কে জানতে http://www.facebook.com/BeautifulDINAJPUR

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দিনাজপুরের লিচু খাওয়ার খুব শখ । B-)

২| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লিচুতে হরমোন কিভাবে প্রয়োগ করে?

৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাংলাদেশের সব ফলেই এদেশের সব ব্যাবসায়ীরা বিষ মেশায়। বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী মানেই অসৎ চোট্টা লোভী নিষ্ঠুর।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: বাংলাদেশের সব ফলেই এদেশের সব ব্যাবসায়ীরা বিষ মেশায়। বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী মানেই অসৎ চোট্টা লোভী নিষ্ঠুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.