![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভেটেরিনারিয়ান। বর্তমানে ছাত্রাবস্থায় আছি।
কান্তজীউ মন্দির উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিনতলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিলো।
.
মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তাঁর শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
.
শুরুতে মন্দিরের চূঁড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। মন্দিরের বাইরের দেয়াজুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে। উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়।
.
মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত।
.
মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।
আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগের লিংক http://www.facebook.com/sunondito
আমাদের দিনাজপুর সম্পর্কে জানতে http://www.facebook.com/BeautifulDINAJPUR
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে জেনে। কৃতজ্ঞতা পোষ্টে।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভেতরে কি রুম আছে? আশেপাশে কি হিন্দুরা আছেন, নাকি মোটামুটি পরিত্যক্ত?