নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোহিত কণিকায় কবিতা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭



দেনার দায়ে ডুবে যাওয়া কবি
পদে পদে অপমানিত হওয়া কবি
বিধির বিধানে হেরে যাওয়া কবি

মনখারাপি মেঘ শোনায় তাঁর কিসসা
সুখ যাঁকে দিতে নারাজ দিতে হিসসা

লোহিত কণিকায় কবিতা ছিল যাঁর
মির্জা গালিব হোলো নাম তাঁর ।

আজ সকালে আকাশটা হাল্কা মেঘের চাদর মুড়িয়ে ছিল । মাঝে মধ্যে কৃষ্ণাভ মেঘ এসে এসরাজে মনখারাপি সুরের টান দিয়েই অদৃশ্য হচ্ছিল । এমন দিনে আমার একমাত্র আশ্রয় সর্বশ্রেষ্ঠ উর্দু কবি মির্জা আসদ-উল্লাহ বেগ খান অর্থাৎ মির্জা গালিব । যিনি সারাজীবন মনখারাপি সুরকে দূরে সরিয়ে রাখে মন-পসন্দ সুর তুলতে পেরেছিলেন ।

ছোটোবেলাতেই বাবা আবদুল্লা বেগ খানকে হারিয়ে ছিলেন । এরপর কাকা নসরুল্লাহ বেগ খানের কাছে তিনি ও তাঁর ভাই বড় হতে থাকেন ।১৩ বছর বয়সে উমরাও বেগমের সাথে তাঁর বিয়ে হ্য় । তারপর তিনি স্ত্রী এবং সিৎজোফ্রেনিক ভাইকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি চলে আসেন ।

দিল্লি ! শায়র মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের দিল্লি , হয়ে গেল কাসেম গলির গালিবের দিল্লি ।



দিল্লিতে গালিবের হাভেলী

কিন্তু হায় দিল্লি ! যে কবি ১১ বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা শুরু করেছলেন , তিনি এখানে এসে স্বীকৃতি পেলেন না ।

১৮৩৫ সালের কোনো এক সময় । গালিবকে তাঁর বন্ধু হাজি মীর বললেন ' মির্জ়া, তুমি দিওয়ান ছাপাচ্ছ না কেন? এমন অসামান্য লেখ তুমি '
উত্তরে গালিব বলেন ' আমার দিওয়ান কে ছাপাবে হাজি সাহেব ? এই যে আপনার বইয়ের দোকানে বসে দু চারটে শের পড়বার গুস্তাখি করি, সে-ই আমার ভাল।'
এর জবাবে হাজি মীর এক গোছা কাগজ তাঁর সামনে তুলে ধরে বললেন ' আর আমি সেই বহুমূল্য গুস্তাখিগুলো লিখে রাখি ! '
আর একদিন এই হাজি মীরের বইয়ের দোকানে বসেই হঠাৎ শুনতে পেলেন এক সুরেলা নারী কন্ঠের গজল । যা ছিল তাঁরই লেখা শের । ' ‘ইয়ে ন থি হমারি কিসমত কে ভিসাল-এ .......................।
( Ye na thee Hamaaree Qismat ke Wisaal-e-Yaar hota
agar aur jeete rehte yaheen Intezaar hota...
Tere Waade par jiye ham to ye Jaan Jhoot jaanaa,
ke Khushi se mar na jaate agar Aetbaar hota... )

রহস্য উন্মোচন করলেন সেই বন্ধু হাজি মীর । গান গাইছিলেন এক সুন্দরী তওয়ায়েফ , নওয়াবজান । গালিবের অন্ধ ভক্ত । তিনি হাজির দোকান থেকে গালিবের শের টুকে নিয়ে যেতেন । শোনা যায় তাঁর কোঠায় যাতায়াতকারী এক কোতোয়াল একবার বলেছিল, ‘‘তুমি যে গালিবের প্রেমে পাগল, সে সারা দিল্লির কাছে দেনায় ডুবে আছে, জানো?’’ সুন্দরী নওয়াবজান উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘জানি। আর এটাও জানি যে একদিন তামাম হিন্দুস্থান তাঁর শায়রীর দেনায় ডুবে থাকবে।’’ তখন কে জানত এক তওয়ায়েফের ভবিষ্যৎবানী এমন অক্ষরে
অক্ষরে মিলে যাবে ।

দিল্লির দরবারে বাহাদুর শাহ জাফরের সভাকবি ইব্রাহিম জ়ওক। তিনিও গুণী । কিন্তু পদ চলে যাওয়ার ভয়ে শায়রীর চেয়ে জি-হুজুরিতেই তাঁর পারদর্শিতা ছিল বেশি। গালিবের শের তখন দিল্লির যুবকদের মুখে মুখে ঘুরছে । কিন্তু একটিও ছাপা হয়নি কোনো বইতে । তাঁকে ডাকা হল মুশায়েরায়। আদত ফারসিতে গজল পড়লেন,কিন্তু তারিফের বদলে জুটল পরিহাস। সম্রাটের অনুমতি না নিয়েই সে দিন দরবার ছেড়েছিলেন মির্জ়া।তবে আবার ডাক পেলেন কয়েক বছর পর । এবারে স্বয়ং জ়ওক তাঁকে মুশায়েরায় আমন্ত্রণ জানালেন।

যদিও গালিব জানতেন জ়ওক-এর উদ্দেশ্য কী ছিল । দিল্লির অলিগলির হাওয়ায় এই যে তাঁর নাম উড়ছে এখন, দরবারের জানলা দিয়ে সে-হাওয়া তো জ়ওক সাহেবের কানেও কথা বলছে। কী এমন লেখে এই গালিব, একবার সেটাই যাচাই করে নিতে চান রাজ কবি ।

মির্জ়ার কিছুই ছিল না। না ধনদৌলত, না শিরোপা, না শাসকের বদান্যতা। বরং বদনামটাই কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু যেটা ছিল, সেটা একজন শায়র হিসেবে মাথা উঁচু করা আত্মবিশ্বাস। তাকে সম্বল করেই বাহাদুর শাহ জাফর-এর মুশায়েরায় আসন গ্রহণ করেছিলেন মির্জা গালিব ।

সেই শম-আ জ্বালানো সন্ধের দরবারি মুশায়েরা দিল্লির কাব্য ইতিহাসে আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে আছে। ‘হর এক বাত পে কহতে হো তুম কে তু ক্যা হ্যায়...’ ( Har eik baat pay kehtay ho tum key ‘toh kya hai’ ?
Tumhi kaho key ye andaaz-e-guftguu kya hai ?
Ragon may daudtay firnay kay ham nahi qayal,
Jab aankh hi say na tapkaa to firr lahoo kya hai ? )
এই একটি গজলেই মুশায়েরা মাত করেছিলেন মির্জা গালিব । রাজ কবি জ়ওকও তারিফ করতে বাধ্য হয়েছিলেন । যদিও শাহি ভেট কিছুই জোটেনি ।




এরপর হাজি মীরের কাছ থেকে নিজের শেরগুলো কুড়িয়ে বাড়িয়ে একটি দিওয়ান খাড়া করেছিলেন গালিব , তাঁর আগরানিবাসী বাল্যবন্ধুবংশীধর সেটা নিয়ে গেছিলেন। কিন্তু দিল্লি, আগরা বা লখনউ-এর কোনও প্রকাশক এই অনামী কবির দিওয়ান ছাপতে রাজি নয়।
এই প্রকাশক নামক জহুরিরা বরাবরই অসফল। আসল হিরেকে তাঁরা চিরকালই বহু দেরিতে চিনেছেন ।ব্যর্থ পান্ডুলিপি হাতে নিয়ে গালিব পা বাড়ালেন আবার কাসেম গলির নুক্করে ।





দিল্লিতে কবিতার চাইতে ধারের জন্য তখন মির্জ়াকে বেশি মানুষ চেনেন। রোজগার বলতে পারিবারিক নবাবি পেনশন । কিন্তু নবাবি আমল তখন অস্তাগামী । ব্রিটিশ সরকার পেনশনেও হস্তক্ষেপ করেছে।নতুন করে পিটিশন করতে হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। শেষমেশ মির্জ়ার উকিল হীরালাল বললেন, কলকাতায় গিয়ে লর্ড মেটক্যাফের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারলে কাজটা হলেও হতে পারে।
১৮৪৬ সাল । শিমলা বাজার, কলকাতা ।মানিকতলা গির্জার পিছনে একটা দু কামরার বাসা ভাড়া নিলেন গালিব । . শেষমেশ লর্ড মেটক্যাফে একটা তারিখ দিলেন মির্জাকে। তাঁর কবিতা বাজারে বিকোলেও হাওয়াতে ভেসেই পৌঁছে গেছে এদিক সেদিক । তাই
বাংলার মাটিতেও কয়েকজন সুহৃদ মির্জ়ার সম্মানে এক মুশায়েরার আয়োজন করলেন । তাঁর পড়ে পাওয়া কবিখ্যাতির কিছুটা কলকাতাতেও পৌঁছেছে দেখে বেশ অবাকই হলেনগালিব । রাজি হলেন মুশায়েরায় যেতে। আর সেখানেই ঘটল বিপত্তি। সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠরা বলেন “ উর্দু আসলে মুসলমানদের ভাষা।“ বেশ বিরক্ত হয়েই বিরোধিতা করলেন মির্জ়া, ‘‘উর্দুর জন্ম ভারতবর্ষের সেনা ছাউনিগুলোতে। উর্দু শব্দের অর্থই তো ছাউনি। সেই ভাষা আজ কেবল মুসলমানদের সম্পত্তি হয়ে গেল কী করে? ভাষার ওপর ধর্মের মালিকানা হয় কখনও? তাহলে আমীর খসরু অওয়ধি-তে লিখলেন কেন আর ফরিদ কেন লিখলেন পঞ্জাবিতে? উর্দু তামাম হিন্দুস্তানের ভাষা। দয়া করে কেবল ইসলামীদের ভাষা আখ্যা দিয়ে তাকে ছোট করবেন না। হিন্দু আর মুসলমান একই মাটির সন্তান, ভাষার প্রশ্নে তাদের বিরোধ ঘটিয়ে দেশটাকে লুটে নিতে চাইছে সাহেবরা। সেটা কি আপনারা বুঝতে পারছেন না?’’হায় সেদিন কবি এটা জানতেন না , একদিন এই উর্দু ভাষাই জোড় করে চাপিয়ে দেওয়া হবে । যদিও সেদিন গালিব শের পড়লেন না আর। মুশায়েরায় হাজির ছিলেন কয়েকজন ব্রিটিশ। মির্জার বক্তব্য লর্ড মেটক্যাফের কানে পৌঁছতে এক দিনও লাগল না। খারিজ হল মির্জার পেনশনের আর্জি। ব্যর্থ , ক্লান্ত কবি খালি হাতে ফিরে চললেন দিল্লি।


১৮৫৪ বা ৫৫ সাল । দেনা। আরও দেনা। হুমকি। শাসানি। শেষে পাওনাদারদের ডিক্রি জারি। শোধ না করতে পারলে আদালতে জবাবদিহি।কীভাবে সমাধান হবে এই পরিস্থিতির? জানেন না মির্জা ।
সন্ধ্যা নামতেই বেরিয়ে যান সামনের নুক্কড়ের পাকা জুয়াড়িদের আসরে। কোতোয়াল বহুবার তাঁদের গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে, কিন্তু ওই জুয়াই গালিবের শেষ ভরসা। যদি ভাগ্য ফেরে!
এমন সময়ে এক প্রভাবশালী বন্ধুর দৌলতে মোটা বেতনের অধ্যাপনার চাকরি পেলেন দিল্লি কলেজে। ফারসি পড়াতে হবে, পাকা চাকরি।
প্রথম দিন গিয়ে আর গেলেন না তিনি। তদবিরকারী বন্ধুটি খবর পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন এই বিরাগের কারণ। মির্জা জানালেন, প্রথম দিন যখন তিনি টাঙ্গা থেকে কলেজের দরজায় নামেন, তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য কেউ সেখানে ছিলেন না। এই অসম্মান তিনি মেনে নিতে পারেননি।
বন্ধুটি এ সব শুনেও তাঁর অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘দোস্ত, এ বয়সে এসে চাকরি করলে সম্মান অর্জনের জন্য করব। সম্মান খোয়ানোর জন্য নয়।’’এটাকে নিস্ফল কবির অহঙ্কার মনে হতে পারে । কিন্তু এ ছিল এক কবির চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস ।
এর মাস ছয়েক পরের কথা। আদালতে হাজিরা দিতে হল ডিক্রির কারণে। তার পরপরই প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে ছ’মাসের হাজতবাস। স্বয়ং বাহাদুর শাহ জাফরের হুকুমনামাও তাঁকে মুক্ত করতে পারল না।
এক জীবনে যত রকমের বিপদ হতে পারে, দেখে নিলেন মির্জ়া। ভোগ করে নিলেন সব ধরনের অপমানের মুকুট। ভেঙে গেল শরীর ।আর কবি পরিবারকে এক বেলার জন্যেও সুদিন এনে দিতে পারলেন না ।
তবে হাজতে থাকতেই বন্ধু বংশীধর খবর এনেছিলেন, খোদ লখনউ-এর নামজাদা প্রকাশকের ঘর থেকে বেরিয়েছে গালিবের প্রথম দিওয়ান, কয়েক দিনের মধ্যে তার দ্বিতীয় সংস্করণও ছাপাতে হয়েছে।




প্রতিভা যতই থাকুক , সাফল্য আসলেই বোধহয় তা মর্যাদা পায় ।
হাজতবাস শেষ হবার পরেই তাঁকে আপ্যায়ন করে দরবারে ডেকে ‘দবির-উল-মুলক’ খেতাবে ভূষিত করেন বাহাদুর শাহ, সভাকবি জ়ওক-ও উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে প্রচুর উপঢৌকন ও বেশ কিছু মুদ্রা। সংসারের অভাব শেষমেশ কিছুটা হলেও মিটল, ধার শোধ করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন গালিব ।






১৮৫৭। সিপাহি বিদ্রোহে গোটা দেশ উত্তাল, দিল্লিতে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার আগুন ছড়িয়েছে হু হু করে। কারফিউ চলছে। বসে এ কোন দিল্লি? এ কেমন ভারতবর্ষ? এটা কি সেই দেশ যেখানে এক মুসলিম বন্ধু গালিবের শের সংরক্ষণ করে রাখেন তো আর এক হিন্দু বন্ধু তাঁর পান্ডুলিপি ছাপানোর আশায় এক শহর থেকে আর এক শহরে ঘুরে ঘুরে বেড়ান । যাও বা সংসারে সামান্য টাকা এল, প্রিয় শহরটা ছারখার হয়ে গেল চোখের সামনে।
বেখেয়ালে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়া সিৎজোফ্রেনিক ভাই ইউসুফ নিহত হলেন ব্রিটিশ পেয়াদার গুলিতে। সারাজীবনের বন্ধু হাজি মীরকে হত্যা করে গাছে টাঙিয়ে দিল হিন্দুরা, জ্বালিয়ে দিল তাঁর বইয়ের দোকান। অগুনতি বইয়ের সঙ্গে চিরকালের মতো ছাই হয়ে গেল গালিবের বহু শের, যা হাজি নিজের হাতে লিখে রাখতেন রোজ। লখনউ-এর নবাব, সুকবি ওয়াজিদ আলি শাহকে গৃহবন্দি করে রাখা হল কলকাতার মেটিয়াব্রুজে। দিল্লি ছাড়তে বাধ্য হলেন বাহাদুর শাহ জাফর ।

এ বার অবসানের অপেক্ষায়। ধোঁয়া-ওঠা পুড়ে-যাওয়া দিল্লির রাস্তায় তখন খুব কম পড়ত মির্জ়ার ক্লান্ত দুটো পা। ইয়ার দোস্ত-রা মৃত, গানবাজনা বন্ধ শহরে, মদেও আর তেমন নেশা নেই। ‘নেই’ দিয়ে ঘিরে থাকা সময়ে আছে বলতে ছিল কেবল লেখা।আরও একবার কলম তুলে নিলেন গালিব । লিখলেন, ‘হুই মুদ্দত কে গালিব মর গয়া পর ইয়াদ আতা হ্যায় (Hui muddat ki 'Ghalib' mar gaya par yaad aata hai
Wo har ek baat par kehna ke yun hota to kya hota )

১৮৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী গালিবের জানাজা কাসেম গলির পথে এগিয়ে চলল ।






গালিবের সমাধি

আসলে গালিবের মতো কবির কখনোই মৃত্যু হতে পারে না । আজ যখন দাঙ্গা মানে একটা ইস্যু । তা নিয়ে কে কিভাবে চিৎকার করলে বেশী ফুটেজ পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় । শিল্পের থেকে শিল্পের ভণিতাটাই এখন বেশী বলে মনে হয় । ঠিক এখন গালিবের মতো কবিই পথ দেখান । তিনিই শেখান কিভাবে রক্তে ভেজা পান্ডুলিপি হাতে নিয়ে নতুন অক্ষর সাজাতে হয় ।




তথ্যঋণ -- Mirza Ghalib: A Biographical Scenario
by Gulzar

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: গালিব বেচে আছে প্রতিটি প্রেমিকের অলিন্দে, প্রতিটি ফুলের কলিতে, প্রতিটি মাশুকার চিবুকে, প্রতিটি কোকিলের কন্ঠে আর কবির কবিতায়!

গালিবের মৃত্যু নেই!


খুবই সুন্দর গালিবনামা! প্লাস!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৯

নীলপরি বলেছেন: আপনার সাথে আমি একশোভাগ সহমত ।

লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসলে মহামানবদের জীবনের যে দুর্দশা সেইগুলো তাদেরকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। সময়ই নিজের প্রয়োজনে বোধহয় ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে দেয় তাদেরকে!
মির্জা গালিবের আত্মসম্মানবোধের ঘটনা খুব নাড়া দেওয়ার মত ব্যাপার! আপনার কল্যাণে সেটা সম্ভব হয়েছে। গালিবের জীবনবোধ খুব উন্নতমানের ছিল।
(ধন্যবাদ আপনাকে)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৩

নীলপরি বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন । সারাজীবন তিনি মেরুদন্ড সোজা রেখেছিলেন ।

‘রঞ্জ সে খুগর হুয়া ইনসান তো মিট যাতা হ্যায় রঞ্জ / মুশকিলেঁ মুঝ পর পড়ি ইতনি কে আসাঁ হো গয়ি’ - গালিব ।

লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দুর্দান্ত একটা পোস্ট। পড়তে পড়তে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম যেন দিল্লির রাজপথে। কী আজব জীবন তার। যে কদিনের জন্য বা সুখের মুখ দেখলেন, তাও হারালেব দাঙ্গা এর কবলে পড়ে। দুক্ষ চিরসঙ্গি না হলে হয়তো এমন অমর কবিতা লেখা যায় না।
খুব সুন্দর পোস্ট।
আপনার গদ্যের হাত দারুন। গাদ্য লিখেন না কেন?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

নীলপরি বলেছেন: হুম । সত্যি অদ্ভুত জীবন । সবাই মিলে হারাতে চাইছে । তবু তিনি হার মানছেন না ।
আমার কাছে দাঙ্গায় তাঁর পান্ডুলিপি পুড়ে যাওয়াটা খুব দুঃখের লাগে । বাকি ঘটনাগুলো তো আছেই । এই রায়েটগুলো উপমহাদেশকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছিলো ।

আসলে আমি খুবই অলস । আর গদ্য লিখলে আবার অনু লিখতে পারি না । বড় হ্য়ে যায় । তাই ! :)

তবে দু একটা লিখেছি । আবারো চেষ্টা করবো ।

লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমি পোস্টটাকে শুরুতে কবিতা মনে করে আর খুলতে চাইনি। কবিতা অতটা বুঝি না - তাই অত পড়িও না।

ভুলে খুলে ফেলি। এরপর তো দেখি পোস্টটা ভুল করে না খুললে মির্জা গালিব সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হত না। চমৎকার পোস্ট।

মির্জা গালিবের আত্নসম্মানবোধটা বেশ চোখে পড়ার মত। গুণী মানুষদের একটা ভাল গুণ এটাই যে - নিজেকে আত্নবিশ্বাসী রাখে সবসময়। নিজেকে কখনো ছোট হতে দেয় না।
কিন্তু, এইটা আর কয়জনই বা বুঝে। অহংকারই ভেবে নেয়। :(

পোস্টে প্লাস।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০

নীলপরি বলেছেন: আপনাকে ভুল করার জন্য ধন্যবাদ জানাই । ভাগ্যিস ভুল করেছিলেন , তাই এতো সুন্দর বিশ্লেষন মূলক উত্তর পেলাম ।

লেখাটা পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কবি মির্জা গালিবের জীবনকে নিয়ে চমৎকার পোস্ট ।
পোস্টে +++ ।

//‘‘দোস্ত, এ বয়সে এসে চাকরি করলে সম্মান অর্জনের জন্য করব। সম্মান খোয়ানোর জন্য নয়।’’এটাকে নিস্ফল কবির অহঙ্কার মনে হতে পারে । কিন্তু এ ছিল এক কবির চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস ।// - আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন কবির প্রতি রইল অকুন্ঠ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

নীলপরি বলেছেন: তাঁর জীবনটাকে দেখে চমৎকৃত হতে হয় । শ্রদ্ধায় নত হই আমরা ।

আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম ।

লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

আপনিও ভালো থাকুন ।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপু কবিতা ভেবেই ঢুকেছিলাম। একটা চমৎকার কবিতা পড়ার লোভে এসে দেখি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু দিয়ে পোষ্টটি সাজিয়েছেন। অসাধারন লেখনী অসাধারন মানুষকে নিয়ে। এমন চমৎকার পোষ্ট দেবার জন্যে ধন্যবাদ।

শুভকামনা আপনাকে, অসংখ্য শুভকামনা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

নীলপরি বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দিদি ।

শুভকামনা ।

ভালো থাকুন ।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট। দুর্দান্ত কাজ করেছো।
মির্জা গালিব নামের পেছনের কথা জানলাম। ইতিহাসও বটে। আত্মসম্মানের কথা।
+ ও প্রিয়তে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

নীলপরি বলেছেন: এটা কাজ না । নিজের কিছু অনুভূতি শেয়ার করা । সত্যিই গালিব আমার অনেক বড় আশ্রয় ।

হুম আত্মসম্মান আর আত্মবিশ্বাসের কাহিনী ।

মন্তব্য ভালো লাগলো ।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মির্জা গালিবের অজানা অধ্যায় জানলাম ।
চমৎকার পোস্ট , শুভ কামনা পরী ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০

নীলপরি বলেছেন: আপনি চমৎকার বলায় অনুপ্রেরণা পেলাম ।


লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

আপনাকেও অনেক শুভকামনা ।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেকে আরো একবার মূর্খ মনে হল।
কত কম জানা নিয়ে আমরা গর্বিত হই :`>

মির্জা গালিবেক ভালবাসী বলে অন্তরে ভাবি! অথচ- এমন দীপ্তিময় জীবনি আরকি দেখেছি? পড়েছি?

হ্যাটস অফ নীলপরি :)

কত যে ভয় সাঁঝের আঁধারে
প্রশ্র করো ঐ নীড়হারারে-
যার কোন আশ্রয় নেই।।

শুধু মুগ্ধ হয়ে শায়রী পড়েই গেছি! অনুভবের চেষ্টা করেছি। এমন করে দায় মোচনের
ভাবনাই আসেনি !

এক পলকে যেন ঘুরে এলাম শত বছর আগের দিল্লির অলিগলি। কি কষ্ট, বঞ্চনা আর বেদনায় জন্মেছে মহাকাব্য তা হয়তো ভাবনার ভাব ধরতে পারি-অনুভব সম্ভব নয়!

ইয়ে ইশক হ্যায় নেহী আছান
বাছ ইউ সমজ লিজিয়ে
আগকি দরিয়া হ্যায়
আউর ডুবকে জানা হ্যায়।।

উনার জীবনটাই যেন ছিল সেই ইশকের নদী। শায়রীর ইশক। জীবনকে অনুভবের ইশক
আগুনের সেই দরিয়া ডুবেই পার হয়েছেন- আমাদের দিয়ে গেছেন অমূল্য রত্ন ভান্ডার।



১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

নীলপরি বলেছেন: কত যে ভয় সাঁঝের আঁধারে
প্রশ্র করো ঐ নীড়হারারে-
যার কোন আশ্রয় নেই।।


বহুত খুব । তারিফ- এ -কাবিল অনুবাদ । হ্যাটস অফ টু ইউ ভৃগুজী । :)

হুম ঠিকই বলেছেন তাঁর ছিল শায়রীর প্রতি ইশক । যা হয়ত ইবাদত হয়ে গিয়েছিল ।

আর আমিও কিন্তু খুব কম জানি ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

নীলপরি বলেছেন: শুনে খুশি হলাম ।

লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

কালপুরুষ কালপুরুষ বলেছেন: এতো সুন্দর একটা পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬

নীলপরি বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

অনেক খাটুনি লেগেছে নিশ্চিত।

এতো সুন্দর একটা পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭

নীলপরি বলেছেন: নাহ , খাটুনি হয়নি !

নেগেটিভিটি দূর করতেই তো ওনার স্মরণে যাওয়া । তাই কাজটা করতে ভালো লেগেছে । :)

আপনার চমৎকার লাগায় অনুপ্রেরণা পেলাম ।

আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৬

প্রামানিক বলেছেন: মির্জা গালিবের অজানা কিছু কথা জানলাম । অনেক পরিশ্রমের পোষ্ট। শুভ্চেছা রইল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম ।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মির্জা আসদ-উল্লাহ বেগ খান অর্থাৎ মির্জা গালিব - এক বিরল প্রতিভার নাম। জীবনের হাজারো দুঃখ তার চোখে ফুল হয়ে ফুটতো, মনি-মুক্তো হয়ে তাঁর কলম থেকে ঝরতো। তাঁর প্রতি নিবেদিত আপনার এ শ্রদ্ধাঞ্জলি পড়ে মুগ্ধ ও অভিভূত হ'লাম, নীলপরি।
দারিদ্রের কশাঘাতে নিপীড়িত এই কবির উচ্চ আত্মসম্মানবোধ অনুকরণীয়। ‘‘দোস্ত, এ বয়সে এসে চাকরি করলে সম্মান অর্জনের জন্য করব। সম্মান খোয়ানোর জন্য নয়।’’- তাঁর উক্তি আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, আমি শিহরিত হয়েছি।
আমার মত উর্দু অজ্ঞ পাঠকদের জন্য (জানিনা আমার মত এতটা উর্দু অজ্ঞ আর কেউ আছে কিনা) যদি তাঁর কবিতাংশগুলো (উদ্ধৃত) একটু বাংলায় অনুবাদ করে দিতেন (সাদামাটা অনুবাদ হলেও চলতো), তাহলে কতই না ভাল হতো!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

নীলপরি বলেছেন: হুম ।মির্জা গালিবের আত্মবিশ্বাস আমাকেও অনুপ্রেরণা দেয় !
আর আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম । আসলে ওনার শের অনুবাদ করার সাহস নেই !

তবে বিদ্রোহী ভৃগু একটা খুব ভালো অনুবাদ করেছেন । দেখুন ।

আপনার কথা মতো আমিও চেষ্টা করবো । পারলে আপনাকে জানাবো ।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঠিক কতদিন পর এত চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম জানি না। তবে এত ভাল লেগেছে যে সেটা আসলেই বর্ননা করা যায় না। মির্জা গালিব তো মরেনি, বেঁচে আছে আমাদেরই মাঝে! চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা!

শুভ কামনা নীলপরি!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলাম । কিন্তু মন্তব্য পড়ে যে লজ্জা পড়ে গেলাম ।

প্রিয় কবি গালিবের প্রতি এটা আমার ছোট্ট একটা শ্রদ্ধাজ্ঞলী ।

আপনার চমৎকার লাগা খুশি দিল আমাকে ।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
আপনাকেও শুভকামনা ।

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কত যে ভয় সাঁঝের আঁধারে
প্রশ্র করো ঐ নীড়হারারে-
যার কোন আশ্রয় নেই
-- বিদ্রোহী ভৃগুর এই একটা অনুবাদ পড়েই বাকীগুলোর সম্বন্ধেও জানতে আগ্রহী হয়েছি। এখন আপনার চেষ্টা সফল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

নীলপরি বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আপনার জন্য আরো কয়েকটা অনুবাদ করেছেন ।একটু দেখে নেবেন প্লিজ ।

আর আমারটা তার পাশে একেবারেই মানাসই হবে না মনে হচ্ছে ! দেখছি ........। :)

১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এইটা তো অসাধারণ লিখেছেন ,আমার দুই সেন্ট, কপি পেস্ট !:

হাথো কে লাকিরু পে মত্ যা এ গালীব ,
নসীব উনকে ভী হোতে হয়্ জিনকে হাত নাহি হোতে।
Don't decide my fate according to lines on my hand Ghalib,
Even people without hands have fate.


গালীব শরাব পীনে দে মসজিদ মে বৈঠ কর ,
ইয়া ওহ জগাহ বাতা জাহাঁ খুদা নেহি।

Ghalib ,let me drink alcohol while sitting in mosque,
Or tell me that place where there is no God.

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ।

আর আপনার এই শায়েরীগুলো আমারো খুব ভালো লাগে ।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ খায়রুল আহসান ভাই
আপনার জন্য আরো ২ টা অধম সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি----
শায়রী স্রষ্টা (গালিব) আশা করি অজানা গোসতাকি ক্ষমা করবেন।

১. kuch iss tarah maine zindagi ko assan ker liya
kisi se maafi mang li kisi ko maf ker diya

উচ্চারন: কুচ ইছ তারা ম্যায়নে জিন্দেগীকো আসান কারলিয়া
কিসিসে মাফি মাঙ্গ লি কিসিকো মাফ কর দিয়া

কিছুটা এভাবেই আমি জীবনকে সরল করে নিয়েছি
কারোকাছে ক্ষমা চেয়েছি, কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছি।।

২.
Muskan Banaye Rakho To Sab Saath Hai Ghalib.
Verna Ansuon Ko To Ankho Me Bhi Pnah Nahi Milti…

উচ্চারন: মুসকান বানায়ে রাখখো তো সব হ্যায় গালিব
ওয়ারনা আসুঁকো তো আঁখ-মেভি পানাহ নেহী মিলতি..

হাসি-খুশি থাক-তো সবই থাকে গালিব
নাহয় অশ্রুকে দেখ- চোখে্ও আশ্রয় মেলে না…

:)




২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ লাগলো আপনার অনুবাদ ।

আর এগুলো গুস্তাখি নয় । এটা তাঁর অনবদ্য শায়েরীগুলোকে সবার কাছাকাছি নিয়ে আসা ।

তাই অনেক ধন্যবাদ ।

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাবুরাম সাপুড়ে ভাইেয়র দেয়া দুটো...

১.
হাথো কে লাকিরু পে মত্ যা এ গালীব ,
নসীব উনকে ভী হোতে হয়্ জিনকে হাত নাহি হোতে।

অনুবাদ:
হাতের ভাগ্যরেখার দিকে দেখোনা গালিব
ভাগ্য তারও থাকে, যার হাতই থাকে না -

২.
গালীব শরাব পীনে দে মসজিদ মে বৈঠ কর ,
ইয়া ওহ জগাহ বাতা জাহাঁ খুদা নেহি।

অনুবাদ:
গালীব কে মসিজেদ বসেই পান করতে দাও
নয়তো ঐ ঠিকানা বলো- যেখানে খোদা নেই।।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

নীলপরি বলেছেন: কি বলি ?

আপকে তারিফ মে তারিফ ভি কম পর গ্যায়ে
আপ ইঁহুয়ী অনুবাদ করতে রহেনা
অর হাম বাহ বাহ করতে যায়ে !

.................:) :)

২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু
ভৃগু ভাই অনুবাদ তো অসাম হইসে। আপনার ব্লগ ঘুরে এসে বুঝতে পারলাম আপনি কবি মানুষ , তা সাথে সাথে শায়রী রচনা কেন না শুরু হোক? আমরা পড়বো আর ওয়া : ওয়া : বলবো!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,



অনবদ্য পোস্ট ।

‘‘তুমি যে গালিবের প্রেমে পাগল, সে সারা দিল্লির কাছে দেনায় ডুবে আছে, জানো?’’
সুন্দরী নওয়াবজানের উত্তর, ‘‘জানি। আর এটাও জানি যে একদিন তামাম হিন্দুস্থান তাঁর শায়রীর দেনায় ডুবে থাকবে।’’


ডুবে ছিলো আর ডুবে থাকবেও তামাম হিন্দুস্তানবাসী ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

নীলপরি বলেছেন: সত্যি , আমরা গালিবের শায়রীর কাছে ঋণী ।

সুন্দর মন্তব্যের আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গালিবের জীবনী নিয়ে অনবদ্য রচনা , পাঠে হলাম প্রিত , স্মৃতিতে আবারো হলো ভাস্বর গালিবের জীবনগাথা ও তার শের এর কথা । তার জীবনের আরো অনেক অজানা কথা জানা হল । মির্জা নওশা ওরফে আসদুল্লাহ খাঁ গালিব-পারিবারিক নাম মির্জা নওশা মোটেও পছন্দ ছিলনা তার, তাই অসদ কিংবা গালিব ই ব্যবহার করতেন। তের বছর বয়সের এতীম গালিবের সাথে দিল্লীর অভিজাত উমরাও বেগমের বিয়ের পরে তিনি রচনা করলেন- সাত রজব ১২২৫- তারিখে আমার জন্য যাবজ্জীবন কারাবাসের বিধান হল। একটি বেড়ি অর্থাত বীবী আমার পায়ে পড়িয়ে দেয়া হল আর দিল্লী শহরকে কারাগার সাব্যস্ত করে আমাকে সেই কারাগারে নিক্ষেপ করা হল। অর্থ কস্ট লাঘবের জন্য দিল্লী কলেজে ফারসীর প্রধান অধ্যাপকের পদে যাওয়া এবং আসার কাহিনীটির হয়েছে সুন্দর বর্ণন এ লিখায় । টনটনে আত্মসন্মানবোধ অথচ অন্যদিকে অর্থাভাব আর মদ্যমানের জন্য লাঞ্ছনাও কম সহ্য করেননি যা হল জানা ।
সমাজমুখী কবি ছিলেননা গালিব তবে কাব্যের উপজীব্য তার নিজের সুখ দুঃখ, ভাগ্যের উত্থান-পতন। ঈশ্বরের উদাসীনতা তিনি সইতে পারছিলেননা, নিজের দুঃখ কস্টকে ঈশ্বরের নিষ্ঠুরতা জ্ঞান করেছিলেন তিনি- ” আমি কি এমন জ্ঞানী ছিলাম, কোন গুনেই বা সেরা ছিলাম / আকারনে আসমান আমার শত্রু হল ” । ঈশ্বরের অনুকম্পা কে না চায়- “না চাইতেই যদি দেন তিনি তো তার স্বাদই আলাদা; সেই ভিখারী শ্রেষ্ঠ, হাত পাতার অভ্যেস হয়নি যার ” ।
ব্যর্থতার সাক্ষ্যই গালিবের জীবনে প্রচুর, এই ব্যর্থতা তার জীবনকে কিঞ্চিত অসুন্দর এবং কাব্যকে অতিশয় সুন্দর করেছে। কর্মী মানুষের জন্য তাই গালিবের শের- ” জিজ্ঞাসা করলাম, একটি ধূলিকনার পক্ষে সূর্য পর্যন্ত পৌঁছানো কি সম্ভব ? সে বলল ‘অসম্ভব প্রায়’ / জিজ্ঞাসা করলাম ,’তবুও কি আমি চেস্টা করে যাবো’? সে বললো ‘তাই সঙ্গত ‘ ”
গালিবের শের এর জনপ্রিয়তার বিষয়টি নীলপরি তুলে এনেছেন সুন্দরভাবে । ভাল লাগত যদি তার সবগুলি শের তুলে আনা যেত একসাথে, কিন্তু তাত হওয়ার নয় বেশ কিছু শের জানা গেল পুরে হয়েছে ছাড়খার হাজী সাহেবের দোকানের সাথে । যাহোক গালিবের কয়েকটি শের যোগ করা হল সুপ্রিয়্ এ লিখকের লিখার উপর মন্তব্যের ঘরে

আকাশের দিকে তাকালে তার কথাই মনে আসে, আসাদ,
তার নিষ্ঠুরতায় আমি যে দেখেছি বিধাতার নিষ্ঠুরতার আদল।

প্রেমের নিষ্ঠুরতাকে ভয় করিনা , কিন্তু আসাদ;
যে হৃদয় নিয়ে গর্ব ছিল, সে হৃদয় আর নেই । ।

সে মিলন আর সে বিচ্ছেদ কোথায়?
সেই রাত, দিন , মাস, বৎসর কোথায় ?

পেয়েছিলাম বিশেষ একজনের রুপের ধ্যানে-
মনের সেই সরসতা আজ কোথায় ?

প্রেমের উপর জোর খাটে না, এ সেই আগুন , গালিব,
যা জ্বালালে জ্বলে না, নেভালে নেভে না । ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার অনুবাদগুলো ।

তবে সমাজের কথাও তিনি ভাবতেন । তাঁর দেশপ্রেমও ছিল মনে রাখার মতো । নাহলে স্তুতিকাব্য লিখে অনেক কিছু পেতে পারতেন !

আপনাকেও এতো সুন্দর মন্তব্যের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
Hazaroon khwaheeshen aise
ki har khwahesh pay dum nikale,
Bahhut nikale meray armaan
lekin phirr bhi kam nikale ...


হাজারো ইচ্ছে এমন
যে প্রতি ইচ্ছের জন্মেই আমার মরণ

অনেক আশাই বাস্তব ছুঁয়েছে
তবু কমতি রয়ে যায় অসংখ্য আশার সমীকরণ।।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো । :)

২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভৃগু, আমার অনুরোধে সাড়া দেয়ার জন্য (১৮ নং মন্তব্য)। আপনার অনুবাদটুকুর ঈষৎ সম্পাদনা করে আপনার নামোল্লেখসহ আমার ফেইসবুক ওয়ালে এই পোস্টটা সংযোজন করলাম, বহত্তর পাঠক সমাজকে মির্জা গালিব এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যঃ

I. "Kuch iss tarah maine zindagi ko assan ker liya
Kisi se maafi mang li kisi ko maf ker diya"

"কিছুটা এভাবেই আমি জীবনকে সরল করে নিয়েছি,
কারো কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি, কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছি"

"I have simplified my life somehow like this:
Begged pardon from some, some I've pardoned myself."

2. "Muskan Banaye Rakho To Sab Saath Hai Ghalib.
Verna Ansuon Ko To Ankho Me Bhi Panah Nahi Milti…

"হাসিখুশীতে থাকো- তো সবাই সাথে থাকে গালিব,
নইলে অশ্রুরও তো চোখে আশ্রয় মেলে না!"

"When you look happy and smiling, all are with you
Otherwise, even tears do not have a place in your eyes"

-- মির্জা আসদ-উল্লাহ বেগ খান ওরফে মির্জা গালিব
-- Mirza Asadullah Baig Khan alias Mirza Ghalib

(বাংলা অনুবাদটুকু "বিদ্রোহী ভৃগু" ছদ্মনামের একজন কবির কাছ থেকে নিয়েছি, ইংরেজীটুকুর প্রচেষ্টা আমারই)

(The Bangla translation is by a poet by the pen name Vidrohee Bhrigu", the poor English effort is mine. I was unable to reach the Urdu verses direct.)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

নীলপরি বলেছেন: বাহ , খুব ভালো প্রয়াস ।

শুভকামনা ।

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ , খুব ভালো প্রয়াস -- ধন্যবাদ, নীলপরি।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

নীলপরি বলেছেন: :)

২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

অদৃশ্য বলেছেন:




আহ্‌ গালিব! কি জীবন কাটালে! কি সব লিখে গেলে!...


এইসব লিখা পড়লে অনেকটা সময় আমি শান্ত থাকতে পারিনা, দৃশ্যত শান্ত দেখালেও অদৃশ্যে অশান্ত ও অস্থির অবস্থা তৈরি হয়... এমন ঘটনা ও লিখাপাঠ করলে সবসময়ই কিছু একটা লিখে ফেলতে ইচ্ছে করে... অথচ চাইলেই ইচ্ছে পূরণ করা যায় না...

শুভকামনা...


২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

নীলপরি বলেছেন: আপনার সাথে একমত ।

পাঠ ও মন্তব্যের আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

২৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: মীর্জা গালিব আমারো খুব ভালোলাগা একজন। তাকে নিয়ে আপনার আবেগ মেশানো লেখাটা অসাধারণ লেগেছে। " বিদ্রোহী ভৃগু" এর করা অনুবাদের কোন জবাব নেই। পোস্ট প্রিয়তে :)

//পাপ করে যে সুখ ভোগ করেছি তার জন্য যদি শাস্তি ধার্য থাকে, তবে হে ঈশ্বর,
আমার না করা পাপের হাহাকারও কিছু সাধুবাদ পাক তোমার কাছে । ।//

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্য জেনে খুশি হলাম ।

পাঠ ও মন্তব্যের আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

২৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

জেন রসি বলেছেন: গালিবের শায়রি খুব প্রিয়। চমৎকার পোস্ট আপু।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

নীলপরি বলেছেন: ওনার শায়রির ছাউনি আমারো অনেক বড়ো আশ্রয় ।

পাঠ ও মন্তব্যের আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

২৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

পুলহ বলেছেন: উনার সম্পর্কে এতো বিস্তারিত জানা ছিলো না, আপনার এই পোস্ট পড়ে তাঁর লেখালেখির সাথে পরিচিত হতে ইচ্ছা করছে....
"‘জানি। আর এটাও জানি যে একদিন তামাম হিন্দুস্থান তাঁর শায়রীর দেনায় ডুবে থাকবে।’’-- কি ভাগ্যবান ছিলেন কবি! কত দৃঢ় আর উচ্চ ধারণা গেথে দিতে পেরেছিলেন শুভানুধ্যায়ীদের মনে।
পোস্ট প্রিয়তে যুক্ত হোল।
শুভকামনা আপু

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

নীলপরি বলেছেন: হুম ! কোঠা থেকে মুঘল দরবার সবজায়গাতেই তাঁর শায়েরী তারিফ পেয়েছিলো ।

আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ।

পাঠ ও মন্তব্যের আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.