নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছা-অনিচ্ছা

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬



মোহনের একদমই ইচ্ছা ছিল না দোকানে বসার । তবুও বসতে হোলো । কি আর করে ? বাবা দুদিন ছাড়া অসুখে পড়ছে ! তবে , এরসাথে তার পড়াশুনার পাঠও চুকলো । মাধ্যমিকটাও দেওয়া হোলো না । যদিও পড়াশুনা নিয়ে তেমন আফশোষ ছিল না তার । পড়াশুনাটা তার কাছে এমন কিছু আহামরি লাগতো না । তবে তার ট্যাক্সি ড্রাইভার হওয়ার ইচ্ছে ছিল ! পাড়ার এক দাদার কাছে কিছুদিন শিখেও ছিল । যদিও তার ইচ্ছে ধোপে টেকেনি ! বাবার মনোহারি দোকানেই বসতে হয়েছে তাকে । কিন্তু মে্যেদের সাজার জিনিস বেচতে মোহনের একদমই মন চাইছিল না ! যদিও বন্ধুরা বলেছিল ' তোর তো কপাল খুলে গেলো রে ! তোর দোকানে মেয়েদের ভিড় লেগে থাকবে ! '


এর কয়েক বছরের মধ্যেই দোকানটা তার সয়ে গেছিল বা সওয়াতে হয়েছিল । তার দোকানটা বেশ ভালো জায়গায় । কাছেই অফিস-পাড়া , স্টেশন , কলেজ । যেতে আসতে অনেক মে্য়েরাই আসে তার দোকানে । তবে মে্য়ে বলে আলাদা কিছু নয় । বাবা বলে দিয়েছে ' কাস্টমার হোলো লক্ষ্মী ! তার অসম্মান যেন না হয় ' ।


সেদিন বিকেলটা যখন সন্ধ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন দোকানে তেমন ভিড় ছিল না । এমন সময় একটা মেয়ে আসল । ' ঐ গোলাপি পাথর দেওয়া দুলটা একটু দেখাবেন ? ' অভ্যেস মতো কাস্টমারের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে তার চোখ আটকে যায় একটা মেয়ের মা্যাভরা দৃষ্টিতে ।

হলুদ সালোয়ার কামিজ পরা মেয়েটার টানা টানা চোখে কি যেন একটা ছিল যে দেখেই ভালো লেগে মোহনের ! এরকমটা আগে কখনো হয়নি । যদিও মুখে সে বললো ' হ্যাঁ ম্যাডাম । এখনি দেখাচ্ছি । ' মেয়েটা মৃদু হাসি মেশানো সুরে বলে ' দূর থেকে ঐ কানেরদুলগুলো দেখেই আপনার দোকানে এলাম । ' সেদিন মেয়েটা কানেরদুলগুলো কেনে ।

পরদিন দোকানে বিকেল থেকে রাত গড়িয়ে যায় পরিচিত দিনের মতোই । রাতে বাড়ি ফিরে মোহনের হঠাৎ মনে হয় ' আচ্ছা , সে মেয়েটা কি আর কোনোদিন আমার দোকানে আসবে ? '

আবার পরের দিন বিকেল হতেই মোহনের চোখটা বার বার রাস্তার দিকে চলে যাচ্ছিল । কারনটা সে নিজেই বুঝতে পারছিল না । সেদিন মেয়েটা এল । চুড়ি কিনল সে । এরপর থেকে প্রায়ই মেয়েটা আসতে থাকলো । কখনো নিজের জন্য , কখনো কাউকে দেওয়ার জন্য জিনিস কিনতে থাকলো । একদিন যেমন বলেছিল ' ভালো কোয়ালিটির জিনিস দেখাবেন । একজনকে গিফট করবো । '


কে জানে কাকে দেবে ! মোহন জানে না । সে তো কিছুই জানে না । মেয়েটার নামটাও জানে না । মেয়েটা কলেজে পড়ে নাকি চাকরী করে সেটাও না । সন্ধ্যার দিকে ফেরার পথে দোকানে আসে । তারমানে সকালেও তো এই পথ দিয়েই কোথাও যায় !
আজকাল সকালের দিকে মোহনের অবাধ্য চোখগুলো মেয়েটাকে খুঁজে ফেরে । কিন্তু মেয়েটাকে দেখা যায় না । মোহন কি মেয়েটাকে জিজ্ঞস করতে পারে যে কেনো তাকে যেতে দেখে না ! কিন্তু এতে যদি মেয়েটা তাকে ভুল বোঝে । সে কি করে বোঝাবে তার কোনো বদ মতলব নেই । শুধু সে রোজ একবার তাকে দেখতে চায় । তাকে দেখলেই মোহনের সবকিছু যেন খুব ভালো লাগে । তবে কি সে বলবে যে তার ঘরে বৌ আছে । রোজগারপাতি ভালো হচ্ছে দেখে তার বাবা তাকে বছরখানেক আগে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে । মনে হচ্ছে এই প্রথম বৌ শব্দটা তার জীবনে কোনো কাজে লাগবে । নাহলে সবার বিয়ে হয় । তারও হয়েছে । এরমধ্যে কোনো বিশেষত্ব ছিল না ।


এদিকে সপ্তাহ খানেক হোলো মেয়েটা আসে না । এমনকি তাকে রাস্তায়ও দেখা যায় না !

একদিন চায়ের দোকানের পিন্টু বলে ' কি রে , তোর চিকনী চামেলী ফুড়ুৎ ? '
মোহন বলে ' কি বলতে চাস ? '
পিন্টু - যা দেখি তাই বলেছি
মোহন রাগত কন্ঠে বলে - কাস্টমার লক্ষ্মী ! ফালতু কথা বলবি না !
পিন্টু - লক্ষ্মী তোর সাথে হেসে হেসে কথা বলে
তখন মোহন পিন্টুর দিকে এগিয়ে চাপা গলায় বলে ' মুখ সামলে কথা বল ! বলছি !
তখন কোথা থেকে আরো কয়েকজন চলে এসে বলে ' ভদ্দরলোকের মেয়ের সাথে মহব্বত করছিস কর ! মস্ত আইটেম আছে ! আমাদেরও একটু দেখার ভাগ দে ! '
এবারে মোহন এগিয়ে এসে পিন্টুকে ধাক্কা দেয় । যদিও ঘড়ির দোকানের রতনকাকা এসে যায় বলে হাতাহাতি আর বেশী দূর এগোয় না । যদিও তারা মোহনকে শাষিয়ে যা্য় । আর হাসতে হাসতে বলে ' তোর চিড়িয়ার বিয়ে গেলো নাকি দেখ ! '
কিন্তু মোহনের মনে মনে ভাবে বিয়ে হলে সে জানতে পারতো ! যদিও তার এমন ভাবনার পিছনে কোনো কারন ছিল না ।

এর কয়েকদিন বাদে , একটা দুপুরবেলা মেয়েটা আসল ।দোকানটা ফাঁকা ছিল । গোলাপি সালোয়ার কামিজ পরেছিল সে । কানে ছিল গোলাপি পাথরের দুল । মোহন দেখে চিনতে পারলো , তার দোকান থেকে কেনা দুলগুলো ।
সেদিনও সে কানের দুল দেখতে চাইল । দেখতে দেখতে সে বলে ' আপনাদের মার্কেটটা শপিংমল হবে শুনছিলাম । '
মোহন বলে ' হ্যাঁ ম্যাডাম । '
ইশ দোকানটা আর থাকবে না ! আপনার দোকানটা ছোটো হলেও চয়েসেবল জিনিস আছে । তাই আসতাম । অনেকদিনের দোকান আপনার ? '
কথাগুলোর জাদুস্পর্শে মোহনের মুখটা উজ্জ্বল লাগে । সে বলে ' আসলে দোকানটা আমার বাবার ছিল। বাবার এখন অসুখে ভোগে । তাই আমি চালাই । '
মেয়েটা বলে তাহলে তো আপনার দোকানটার উপরেই সংসারটা নির্ভর ।
তা বলতে পারেন । তবে দিদিদের বিয়ে হয়ে গেছে । এখন সংসারে আমি , বাবা , মা আর আমার বৌ ।

এবারে মেয়েটা কানের দুল থেকে মুখ না তুলেই বলে ' আপনাদের তো আবার অল্প বয়সে বিয়ে হয় । '
সেদিন ওরা বলেছিল ভদ্দরলোকের মেয়ে । আজ মেয়েটা নিজেই বলছে যে তাদের নাকি তাড়াতাড়ি বিয়ে হয় ! এরমানে কি ? সে কি মেয়েটার থেকে অনেক আলাদা ? কোন অভদ্র কাজটা সে করেছে ? যদিও তার এই চিন্তা এক মুহূর্তেই উড়ে য়া্য় । সে বলে ওঠে ' দোকান ছাড়ার আমার কোনো ইচ্ছে নেই । দেখি আরো কয়েকজনকে সাথে পাই কিনা !
তখন মেয়েটা খুব শান্ত গলায় বলে ' দুনিয়া তার নিজের নিয়মে চলে । কে আর কার ইচ্ছে - অনিচ্ছের কথা জানতে চা্য় ! '
মোহন কথাটার কি অর্থ বোঝে বোঝা যায় না । সে বলে ' দুনিয়াদারি মানে ব্যবসা ম্যাডাম । শুধু লাভ আর লোকসানের হিসেব । '
মেয়েটা একথার কোনো উত্তর দিল না । তার ঠোটের কোনে মৃদু হাসির রেখা এসেই মিলে গেলো । সে একজোড়া কানের দুল হাতে নিয়ে বলে ' এমনিতেও আমার আর আপনার দোকানে আসা হবে না । ' মোহন কিছু বলার আগেই মেয়েটি বলে ' আমার বিয়ে ঠিক হ্য়ে গেছে । আজ চাকরীটা ছেড়ে দিলাম । এদিকে আর আসা হবে না ।'

হঠাৎ কি একটা শক্তি এসে মোহনের কন্ঠরোধ করতে চায় । অস্পস্ট স্বরে সে বলে ' তাও যদি এদিকে আসেন তবে আসবেন । আর ঐ দুলজোড়ার দাম আজকে আমি নেবো না । '
মেয়েটা বলে ' তা কি করে হয় ? '
মোহন জবাব দেয় ' আপনি আমার দোকানের বাঁধা কাস্টমার ছিলেন । অনেক জিনিস কিনেছেন । অনেক জিনিস কিনলে দোকানির তরফ থেকে একটা ফ্রি গিফট থাকে । সেরকম কিছু একটা ধরে নিন । '
মেয়েটা শান্ত কন্ঠে বলে ' ঠিক আছে দাম দেবো না । '
এরপর মেয়েটা দোকান থেকে বেরিয়ে যায় । মোহনের দৃস্টি তাকে অনুসরণ করে । যতদূর দেখা যায় । যদিও মেয়েটা ফিরে তাকায় না।


আজ মোহন দোকানটা বিক্রি করে দিল । ।
এমনিতে বৃস্টি আসার সম্ভাবনা না থাকলে মোহন আকাশ দেখে না । আজ মাঝরাতে বাইরে বেরিয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে কেনো সে দোকানটা বেচলো ? লোভে ? নাকি মেয়েটা আর আসবে না বলে ? কংক্রিটের দোকানটাকে সে সাজাতো , গোছাতো । তা কি ইচ্ছে করে ? ভালোবেসে ? নাকি নেহাৎই অভ্যাসবশত অনিচ্ছায় ?
অজানার উদ্দেশ্য সে প্রশ্ন করে ' আমি কি কখনো জানতে পারবো মেয়েটা এখন কোথায় ? সেখানে কি নিজের ইচ্ছেতে আছে ? '

মোহনের চোখ থেকে নিঃসাড়ে জলধারা বইতে থাকে । জানা নেই তা তার ইচ্ছায় না অনিচ্ছায় ।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল লেগেছে। বানাগুলো দৃষ্টিকটু লাগছে। ঠিক করে নিন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

নীলপরি বলেছেন: প্রথমেই ভালো লাগা মন্তব্য পে্য়ে ভালো লাগলো ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ অনুভবের কোন ব্যাখ্যা নেই।

এ সত্য মিথ্যা হলেই বুঝি ভাল হত! অথচ সবার জীবনেই বুঝি এমন সত্য আসে আচন্বিতে! অকস্মাৎ- ভাবনারও অগোচরে!
নাড়িয়ে দিয়ে যায় অস্তিত্ব!

সে মধুর ব্যাথা বুকে নিয়ে বাঁচাই জীবন! তা দোকান বেঁচেই হোক বা দোকানে বসে :)

গল্পের ভুবনে স্বাগত:

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

নীলপরি বলেছেন: আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনার স্বীকৃতি পেলো বলে খুব ভালো লাগছে ।

চেষ্টা করবো গল্প লেখার ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পের ভুবনে সাবাগতম । তবে কি সে বলবে যে তার ঘরে বৌ আছে । রোজগারপাতি ভালো হচ্ছে দেখে তার বাবা তাকে বছরখানেক আগে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে । মনে হচ্ছে এই প্রথম বৌ শব্দটা তার জীবনে কোনো কাজে লাগবে । এটাকে আর একটু সামনের দিকে টেনে নিয়ে গেলে হতোনা .. :)
মন্তব্য পোস্ট হচ্ছেনা চাকা ঘুরছে তো ঘুরছেই

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

নীলপরি বলেছেন: হুম সামু মাঝে মাঝেই খুব স্লো হয়ে যাচ্ছে ।
তবু কষ্ট করে পড়ে , মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

বৌ থাকার কথাটা ওখানেই বলে দিতে চেয়েছিলাম । তাও মনে রাখবো আপনার কথাটা ।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি,



হুমমমমমম.. গল্পে হাত পড়েছে দেখছি ।
সবাই তো যায় । এদিক সেদিক । পোড়ার মুখ পথ চেয়ে থাকা কি আর ফুরোয় ?
কিছুই নয়, আবার অনেক কিছুই নিয়ে মোহনের আকাশটা যে জল ভাঙছে , সে জলের শব্দ গল্পের গায়ে ।
ভালো লাগালো বেশ ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৩

নীলপরি বলেছেন: আমার ও ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

সুমন কর বলেছেন: ছোট কিন্তু মিষ্টি গল্প। ভালো লাগল।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

নীলপরি বলেছেন: গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বিচ্ছেদের সুরে বিধাতার কি সুখ?
সে তো কপালের লিখন, খণ্ডানো যায় না,
এমনি করে কত প্রেম ভেসে ঝড়ের হাওয়ায়,
এমনি করে কাদে মেঘেদের দল,
মোহনের মনে মেখে,
কালবৈশাখীর কি তবে এতই বিষাদ,
উড়িয়ে নেয় সব কিছু আমার মত।

হারিয়ে অভিলাষীর প্রেমময় দুল,
সে শুধুই চোখের জল,
ভিজে কাজলের কালো,
সে তো কালবোশেখির ঢল,
নেমে গেছে ঝর্ণা হয়ে হয়ে!



প্রেমের গল্পে প্লাস +++

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০০

নীলপরি বলেছেন: আপনার কাব্যিক মন্তব্য পড়ে আপ্লুত হয়ে গেলাম ।

মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাল লিখেছেন! পিরিত গল্পে ভাল লাগা রেখে গেলাম।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

নীলপরি বলেছেন: জেনে খুশি হলাম ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব একটু ভালো লাগে নাই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

নীলপরি বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো ।

পাঠ ও মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো। তবে শেষটা আরো ভালো করতে পারতে। কয়েক্টা ব্যাপার ধোঁয়াটে রয়ে গেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬

নীলপরি বলেছেন: হুম মনে রাখবো
মন্তব্যে ভালো লাগা।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

প্রামানিক বলেছেন: তবুও বসতে হোলো । কি আর করে ? বাবা দুদিন ছাড়া অসুখে পড়ছে !

ভালো লাগল তবে বাবা দুদিন ছাড়া অসুখে পড়ছে এর অর্থ বুঝলাম না।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২০

নীলপরি বলেছেন: কয়েক দিন বাদে ।

অনেক ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা গতকাল রাত্রে পড়ছিলাম নীলপরি! শুরুর দিকটা খুব চমৎকার লাগলো। তবে মাঝ খান থেকে শেষের দিকে এসে কেমন জানি খেই হারিয়ে গেছে। যদিও শেষের প্যারাতে যথেষ্ট আবেগ সঞ্চার করতে পেরেছেন, তবে ফিনিসিংটা আরো একটু জমজমাট হলে ভাল হতো!

যাহোক, পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২২

নীলপরি বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো।
অনেক ধন্যবাদ। :)

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জুন বলেছেন: আপনার লেখা প্রথম গল্প। ভালোই লেগেছে। মোহনের মত এমন কল্পনায় দিন কাটে অনেকেরই। লিখতে থাকবেন আগামীতেও।
+

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫

নীলপরি বলেছেন: শুনে অনুপ্রেরণা পেলাম।
অনক ধন্যবাদ ।

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাল্লাগছে গল্প! চেষ্টা অব্যাহত থাকুক ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৮

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার এক্স কই আছে সেটাই জানতে পারি না আর এতো কাস্টোমার!!
গল্পটা সুন্দর। অনুভবের অনেককিছু আছে। ভাল লাগলো।
আচ্ছা গল্পটা কি পশ্চিম বাংলার প্রেক্ষাপটে লেখা? ভাষা, শব্দচয়ন দেখে তাই মনে হলো- এটা অবশ্যই দোষের কিছু নয়, শুধু জানতে ইচ্ছে করলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩২

নীলপরি বলেছেন: হুম ।
আপনার এক্স অবশ্যই আছেন । চিন্তা করবেন না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইচ্ছা অনিচ্ছার গল্পটা পড়ে বেশ ভাল লেগেছে। যদিও গল্পটা ততটা সুসসংহত নয়, তথাপি গল্পের মিষ্টি আমেজ আর শেষের দিকের একটা ব্যথার অনুভূতি মন ছুঁয়ে গেছে।
এ যাবত আমি শুধু আপনার কবিতাই পড়েছি। গল্প এই প্রথম পড়লাম। বুঝলাম, চেষ্টা করলে আপনি গল্প লেখার ক্ষেত্রেও সিদ্ধি অর্জন করবেন। ৪ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া লিঙ্ক দুটোতে দেয়া আপনার অন্য গল্প দুটোও পড়ে দেখার আশা রাখছি। আপনার আগের নিক কি সূর্যমুখী ছিল?
বিদ্রোহী ভৃগু, আহমেদ জী এস এবং জুন এর মন্তব্য ভাল লাগলো।
এমনিতে বৃস্টি আসার সম্ভাবনা না থাকলে মোহন আকাশ দেখে না । আজ মাঝরাতে বাইরে বেরিয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে... বৃষ্টির সময় আমিও মোহনের মত মাঝরাতে উঠে আকাশ দেখি, আর ছ'তলার বাসা থেকে নীচে তাকিয়ে থাকি কালো পীচঢালা রাস্তার দিকে। নিঝুম রাতে নিথর রাস্তাটাকে দেখে মনে হয়, তার বুকে চাপা পড়ে থাকা অনেক কষ্টের বুঝি কিছুটা উপশম হয় আকাশের কান্নায়। লাইটপোস্টগুলো দাঁড়িয়ে থাকে তার নীরব সাক্ষী হয়ে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪০

নীলপরি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য ভালো লাগলো ।

আমার একটাই নিক। ওটা কেনো আসলো জানিনা । সামুতে অনেক উল্টো পাল্টা হয়। তাই মুছে দিলাম। আমাকে এক্স ওয়াই যেই অনুসরণ করুক শুধু টাইম টিউনার নিক খোলে। :)
অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৪ নম্বর মন্তব্যের উত্তরে কি একই গল্পের লিঙ্ক দু'বার দিয়েছেন?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৩

নীলপরি বলেছেন: নাহ ।
পরে আবার লিঙ্ক দিচ্ছি । এখন মোবাইল এ আছি।

১৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার প্রতিউত্তরের জন্য ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

নীলপরি বলেছেন: আপনাকেও আবারো ধন্যবাদ ।

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
কমেন্ট পড়ে বুঝলাম গল্পের জগতে আপনি খুবই নতুন। তাই সমস্যাগুলো রয়ে গেছে গল্পে।

আপনার গল্পের মূলভাব মানে যে অনুভূতিটা বুঝাতে চেয়েছেন তা বুঝতে পেরেছি। তবে, আপনার লেখার কিছু ত্রুটির কারণে গল্পটা অতটা আকর্ষণ করতে পারেনি।

আশা করছি সমস্যা দূর করে গল্পগুলোকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করবেন পরবর্তীতে। +

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩০

নীলপরি বলেছেন: চেষ্টা করবো ।
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

মেহেদী রবিন বলেছেন: আগেই পড়ব ভেবেছিলাম। সময় নিয়ে পড়লাম। সবই ঠিক ঠাক। দিন দিন আপনার গল্প আরো ভালো হবে জানি। বিরহের গল্প। কষ্ট পাওয়ার কথা। পেয়েছিও। কিন্তু মোহনের বৌ থাকতেও অন্য মেয়ের প্রতি চোখ পড়াটাতে কষ্ট পেয়েছি সবচেয়ে বেশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.