নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তোহার

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৩




প্রথম দর্শনে তাঁর রূপ নিরিক্ষণ করে একটা বাক্যই হৃদয়ে উচ্চারিত হয়েছিল ' হে রাম ' ! যেন স্বয়ং রাম ধরিত্রীতে পদার্পণ করেছেন । সামনে উপবিষ্ট ভাসুসেনার দিকে তাকিয়ে একথাই ভাবছিলেন রানী ভানুমতী । তাঁর জন্ম ক্ষত্রিয়কুলে । সুপুরুষ তিনি কম দেখেননি ।কিন্তু এই রূপবানের ন্যায় রূপ তাঁর অদেখাই ছিল । নীলপদ্মাক্ষী , আজানুবাহু , স্বর্ণের মতো গাত্রবর্ণ , সুললাটের দুপাশে বহমান কৃষ্ণমেঘবর্ণ কেশরাশি মুখমন্ডলকে সমৃদ্ধ করেছে । রানী সন্ধিহান হন এই ভেবে যে এই দিব্যরূপ এক সামান্য সারথির সন্তানের কি করে হতে পারে ? হায় ! বড়ই হতভাগ্য সেই পিতা যিনি এহেন পুত্রের পিতৃপরিচয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।

' পাশার দান দিন ভদ্রে ' -- অঙ্গরাজা কর্ণের সুগম্ভীর স্বরে সম্বিত ফেরে রানী ভানুমতীর । পাশার দান সাজাতে গিয়ে তাঁর মনে হয় , আজ যেন তিনি নিজের তৈরী বুহ্যে নিজেই আবদ্ধ হয়েছেন। ইতিপূর্বেও ভাসুসেনার সাথে বহুবার পাশা খেলেছেন রানী ভানুমতী । প্রতিবারই তিনিই জিতেছেন । তবে এই জয় নিয়ে প্রবল সংশয় তৈরী হচ্ছিল রানীর । কারন অঙ্গরাজা কর্ণ শুধুই পরাক্রমী ধনুর্ধর নন , তিনি সর্ববিদ্যায় পারদর্শী ।
তাঁর স্বয়ম্বর সভায় , অঙ্গরাজা যেভাবে জরাসন্ধকে মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন , সেই স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল ভানুমতীর ।

সেইসাথে এই পরশুরাম শিষ্য বেদঙ্গ , সুপন্ডিত । তিনি যে কিভাবে ভানুমতীর কাছে পাশা খেলায় পরাজিত হতেন সেটা বোধগম্য হতে রানীর কিছুকাল সময় লেগেছিল ।

ইতিপূর্বে অঙ্গরাজা কর্ণ তাঁর প্রিয় মিত্র দুর্যোধন পত্নী ভানুমতীর সাথে যতবারই পাশা খেলেছেন ততবার নিজের যুদ্ধে জেতা কোনো রাজ্য পাশার পন হিসাবে রেখেছেন আর পরাজয় বরন করে রাজ্যহারা হয়েছেন । তারপর দুর্যোধন তা পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছেন । আসলে এ ছিল দুই মিত্রের খেলা । একজন যদি আনুগত্য দেখান তো অপরজন সেই আনুগত্যের প্রতি সম্মান দেখান । কিন্তু ভানুমতীও ক্ষত্রিয়কন্যা । এইভাবে জয়ী হতে তিনি সম্মত নন। তাই ভাসুসেনা চতুর্থবার দিগ্বিজয় করে যখন পাশা খেলতে এলেন তখন দুর্যোধন মহিষী স্মিত হাস্যের সাথে তাঁকে বললেন ' হে বীরশ্রেষ্ঠ , এবারেও যদি আপনি পরাজিত হন তবে আপনার পত্নী ভ্রূশালী অত্যন্ত ব্যথিত হবেন ! তাঁর ইচ্ছা অন্তত একবার আপনি আমাকে পরাজিত করুন । এইকথা স্মরণে রেখে খেলবেন অঙ্গরাজা । '

সেই খেলায়ই এইসময় চলছে ।আজ ভাসুসেনার কাছে ভানুমতীর পরাজয় সুনিশ্চিত । কিন্তু এই অজেয় পুরুষকেই তিনি একাধিকবার পরাজিত করেছেন ।হোক না তা বীরের আত্মসর্ম্পন ! এই চিন্তা রানীকে আনমনা করে দিল । । রানী দ্যুতক্রিড়া ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন । অঙ্গরাজা রানীকে খেলা ছেড়ে না ওঠার অনুরোধ করলেন । কিন্তু রানী কর্ণপাত করলেন না । তখন রাজা তাঁর অঞ্চলপ্রান্ত ধরে তাঁকে খান্ত করার প্রচেষ্টা করলেন ।তাঁর অনিচ্ছাকৃত তর্জনীস্পর্শে চূর্ণবিচূর্ণ হোলো রানীর দীর্ঘ মুক্তো হার । অষ্ট হাতের শক্তি যাঁর এক হাতে আছে তাঁর তর্জনীস্পর্শে এমন ঘটনাই ঘটতে পারে । ঠিক এই সময় তাঁরা যুবরাজ দুর্যোধনের কক্ষে প্রবেশের সংবাদ পেলেন ।
এই অকিন্চিৎকর ঘটনা কর্ণ ও ভানুমতী দুজনকেই স্তব্ধ করে দিয়েছিলো । কর্ণ যে তাঁর স্বামীর প্রাণাধিক প্রিয় সখা , একথা ভানুমতীর অজ্ঞাত নয় । কিন্তু সেইসঙ্গে তিনি দুর্যোধনের ক্ষাত্র তেজ সম্পর্কেও অবগত আছেন ।

কুরুঅন্তপুরে প্রবেশাধিকার ভাসুসেনা অর্জন করেছেন । কারন তিনি রাজমাতা গান্ধারীর স্নেহধন্য । তাই এই প্রবেশাধিকারকে দুর্যোধনের দান বলা যায় না । দানের ক্ষেত্রে দাতার মহত্ম থাকলেও গ্রহীতার গরিমা থাকে না । আর দাতা কর্ণ দান করেন কিন্তু দান নেন না । একথা সুবিদিত । আজ কি কর্ণের অর্জিত সম্মানে কালিমা লিপ্ত হবে , শুধুমাত্র ভানুমতীর কারনে । এক কুশ্রী ইতিহাসের সাক্ষ্য হবেন তিনি ?
রানীর এহেন চিন্তাধারার মধ্যেই দুর্যোধন কক্ষে প্রবেশ করলেন । একটি মুক্তো তাঁর পদপিষ্ট হতেই এক মুহূর্ত স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ালেন যুবরাজ ।তারপর ভূপতিত একটি মুক্তো নিজের করতলে তুলে নিলেন এবং স্মিত হাস্যের সাথে বললেন ' প্রিয় সখা , তুমি কি নিশ্চেষ্ট থাকবে নাকি আমার প্রিয়তমার মুক্তো হারের মুক্তোগুলো একত্রিত করতে আমায় সাহায্য করবে ? '

কর্ণ ও দুর্যোধনের মিত্রতা আজও রানী ভানুমতীর মুক্তোহারের মতোই শুভ্র , সমুজ্জ্বল ।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কর্ণ ও দুর্যোধনের মিত্রতা আজও রানী ভানুমতীর মুক্তোহারের মতোই শুভ্র , সমুজ্জ্বল
ভাল লাগল , এই লিখাটিও সমুজ্জল হয়ে থাকবে অগনিত পাঠকের মনে ।
শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০১

নীলপরি বলেছেন: এরকম লেখা এই প্রথম লিখলাম । আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ আর উৎসাহ দুটোই পেলাম । :)

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

আপনার শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহন করলাম ।

আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: বাপরে এত কিছু!!!!!!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৪

নীলপরি বলেছেন: নতুন বছরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।

কোনটা বেশী হোলো দি ? :)

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

অনেক শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যদাতার সুখটুকু নেয়ার জন্য তখন সময় নিইনি তাই অল্প কথায় সেরে দিয়েছিলাম। এর মাঝে শায়মাপু এসে হাজির হয়ে গেছেন :) উনি লা্‌ইনে অাছেন জানলে আমি হাজার বছর পরেও আসতে পারতাম তাতে আনন্দ আরো বাড়ত । যাহোক
লিখাটি আবার ভাল করে পাঠ করলাম । প্রথমে একটু তারাহুরা হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু কথা বলা হয়নি । আসলে মহাভারত বললেই আমাদের মনে বহু ঐতিহাসিক চরিত্র এসে ভিড় করে। একদিকে পাণ্ডবদের জীবন সংগ্রাম ও অন্যদিকে প্রভাবশালী কুরু বংশের নানা কীর্তি। এবং সবশেষে ভয়ঙ্কর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। মহাভারতের পরতে পরতে লেগে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্যের এক অনবদ্য ছোঁয়াচ। মহাভারত বহু ছোট-বড় ঘটনাকে মিলে তৈরি হয়েছে। এখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা এখনও অনেকেরই অজানা থেকে গিয়েছে।

আপনি দুর্যোধনের বিশ্বাস নিয়ে সুন্দর করে লিখেছেন । কি সুন্দর করে বলেছেন দুর্যোধনের স্ত্রী ভানুমতী ও কর্ণ একদিন পাশা খেলছিলেন। কর্ণ বসেছিলেন দরজার দিকে পিছন করে। খেলায় হেরে যান ভানুমতী। সেইসময়ই দুর্যোধন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই ভয় পেয়ে ভানুমতী পালিয়ে যেতে যান। সেসময়ে পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটানো অলৌকিক ব্য়াপার ছিল। দুর্যোধন য়ে ঘরে এসে গিয়েছে, কর্ণ তা না বুঝেই পালাতে যাওয়া ভানুমতীর হাত চেপে ধরতে যান। তখন ভানুমতীর গলার মতির হার ছিঁড়ে ছত্রাকার হয়ে যায়। দুর্যোধন সব দেখেও না দেখার ভান করে মতি কুড়োতে ব্যস্ত হয়ে যান। কারণ কর্ণকে তিনি অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন এবং জানতেন তিনি কোনও খারাপ কাজ করতে পারেন না। এই প্রেক্ষিতে গল্পের বাকী অংশ সুন্দরভাবে এগিয়ে গেছে । আবার আসব এই লিখাটির উপরে দারন দারুন উপভোগ্য কমেন্ট দেখে আরো অনেক কিছু জানতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১২

নীলপরি বলেছেন: বোধহয় কোথাও বোঝার ভুল হচ্ছে । ভানুমতী দুর্যোধনের ভয়ে ওঠেননি । হেরে যাচ্ছিলেন বলে উঠতে যাচ্ছিলেন । আর কর্ণ নিয়মিতই ভানুমতীর সাথে পাশা খেলতেন । যেমন আমি বলেছি ঘটনাটা তেমনই ঘটেছিল । অন্তত যেটুকু মহাভারত আমি জানতে পেরেছি ।

জানিনা আপনি এই স্টোরিটা আপনি কোথায় পড়েছেন ।

আশাকরি আমার গল্পটা আমি বোঝাতে পেরেছি । কষ্ট করে আবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।


০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

নীলপরি বলেছেন: কর্ণ কখনোই ভানুমতীর হাত ধরতে যাননি । কারন করস্পৃস্টা নারীকে ধর্মত বিবাহ করতে বাধ্য ছিলেন । তাই কর্ণের মতো ধার্মিক পুরুষ কখনোই ভানুমতীর হাত ধরেননি ।
মহাভারতের আরেকটি ঘটনা মনে করিয়ে দেই । অম্বা ভীষ্মের করস্পৃস্টা ছিলেন বলেই শাল্ব তাঁকে বিবাহ করেননি । আর ক্ল্যাইম্যক্সে ভীষ্মের ইচ্ছামৃত্যুর কারন অম্বাই হয়েছিলেন ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

নীলপরি বলেছেন: আপনি আমার লেখার এতো সুন্দর বিশ্লেষণ করেন আপনাকে বোঝাতে পারলাম না দেখে খুবই খারাপ লাগছে ।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এরকম লেখা এই প্রথম লিখলাম (১ নং প্রতিমন্তব্য) - লেখাটা পড়ার সময় আমিও তাই ভাবছিলাম।
ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যটি (৩ নং) পড়ে বিষয়টা আরেকটু পরিস্কার হলো।
আপনাদের উভয়কে ধন্যবাদ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২১

নীলপরি বলেছেন: স্যর , সময় পেলে ৩ নং এর প্রতিমন্তব্যটা যদি একটু পড়েন তাহলে খুব ভালো হয় । আমার মনে হচ্ছে আমি বোধহয় কিছুই বোঝাতে পারিনি । একটু হতাশই লাগছে । কারন মহাভারত খুব পছন্দের আর খুব কাছের বিষয় ।

তবে আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ । কারন আপনি আর ডঃ আলীর জন্যই ভুল বোঝাটা বুঝতে পারলাম । আশাকরি এবার আমার বক্তব্যটা বোঝাতে পেরেছি ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

অনেক শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৪

সুমন কর বলেছেন: শব্দের ব্যবহার দেখে বুঝা যাচ্ছে, লিখতে সময় নিয়েছেন এবং কষ্ট করেছেন।

কিন্তু, আমার কেন জানি পড়তে ভালো লাগেনি !!! তবে, ৩নং মন্তব্যটি ভালো লেগেছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

নীলপরি বলেছেন: হুম সময় লেগেছে একটু । কিন্তু এখন দেখছি কিছুই হয়নি । আপনাকে ৩নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা পড়ার অনুরোধ করছি ।

আপনার পড়তে ভালো লাগেনি শুনে আমার ততটা খারাপ লাগেনি । আমি আমার লেখার স্টাইল নিয়ে ভাববো চেষ্টা করবো । কিন্তু আমি আমার বক্তব্য বোঝাতে পারলাম না ভেবে খুবই খারাপ লাগছে ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

অনেক শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ডাঃ ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হলাম ।

এভাবে লিখতে থাকুন......

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০

নীলপরি বলেছেন: যদি সময় পান তাহলে নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা পড়বেন । অনুরোধ করছি ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

অনেক শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।
সূর্য ও কুন্তীর পুত্র কর্ণ ছিলেন দুর্যোধনের বিশ্বস্ত ও অকৃত্রিম ঘনিষ্ঠ বন্ধু এ কথা সত্য । তিনি আমৃত্যু নিজের দুর্ভাগ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন। অনেকেই বীরত্ব ও ঔদার্যের জন্য কর্ণকে শ্রদ্ধা করেন, তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা থাকলই ।

আমার লিখাটাতে একটু খেয়াল করলে দেখবেন বলা হয়েছে মহাভারতের পরতে পরতে লেগে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্যের এক অনবদ্য ছোঁয়াচ। মহাভারত বহু ছোট-বড় ঘটনাকে মিলে তৈরি হয়েছে। এখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা এখনও অনেকেরই অজানা থেকে গিয়েছে। তাই হাজার হাজার বছরের পৌরানিক মহাভারতের কাহিণী বিভিন্ন সংস্করণে ও লিখায় , কথায়, সাহিত্যে, মেগা সিরিয়ালে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন বৈচিত্রতায় এসেছে । এমতাবস্থায় মহাভারতে কোন কথাটা অকাট্য শুদ্ধ বর্ণনা তা একান্ত হলফ করে সহজে এখন সনাক্ত করাটা বেশ কস্টকর । মহাভারতের বহু টিভি সিরিয়াল দেখেছি যেখানে বেশ কিছু জায়গায় কিছু বৈচিত্রতা পরিলক্ষিত হয়েছে । খুব সিরিয়াস পাঠক নই বলে এই বিশাল পোরানিক কাহিণী অবলম্বনে কোন একটি লিখায় ঠিকমত ভুল শুদ্ধ যাচাই করতে পারিনি কিংবা ততটুকু গভীরভাবে এটা অনুভব করতে করেনি, এটা আমারই অপারগতা । আপনার লিখাটিকে একটি সাহিত্যিক কর্ম বিবেচনায় এর তাত্বিক দিকটা এতটা খুটিয়ে দেখা হয়নি । তবে মন্তব্যের সুচনা ও উপসংহারে আপনার লিখার মুল বক্তব্যটিকে জোড়ালোভাবেই সমর্থন করে গিয়েছি ।

যাহোক কর্ণ তা না বুঝেই পালাতে যাওয়া ভানুমতীর হাত চেপে ধরতে যান এই অংশ টুকু পরিবর্তন করে দেয়া হল আপনার মত করে তখন রাজা তাঁর অঞ্চলপ্রান্ত ধরে তাঁকে খান্ত করার প্রচেষ্টা করলেন কারণ পোস্টটাতো একান্তই আপনার । লিখক ইজ অলওয়েজ ফার্সট প্রায়োরিটি কারণ একজন লিখক যতখানী বিজ্ঞতা ও দরদ দিয়ে তার লিখা লিখেন তার উপর সাধারণ পাঠক মন্তব্য করেন লিখাটি পাঠের সময় স্মৃতিতে থাকা টুকরো টুকরো কিছু কথা মালা দিয়ে, তাই একটি লিখার মন্তব্যের ঘরে পাঠকের তথ্যগত ভুলভ্রান্তি হতেই পারে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

নীলপরি বলেছেন: আপনি আবার কষ্ট করে এসেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো । এরজন্য আপনাকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই ।

হুম । আমি পুরোপুরি একমত আপনার সাথে । মহাভারত বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে আর হবেও । স্বয়ং ব্যসদেবই একথা বলেছেন আদি পর্বে ।

Poets have told it before, poets are telling it now, other poets shall tell this history on earth in the future.
(The Book of the Beginning)

আমিও সেটাই বলতে চেয়েছি । আমার মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় স্টোরিলাইনটা ঠিকমত বোঝাতে পারিনি । আপনারটা একটু ভিন্নসুর ছিল । সেটা থাকতে পারে । কিন্তু এখানে আমার ভার্সানটা বুঝতে হয়ত পাঠককে বিভ্রান্ত করছিল ।

আর আপনি যেহেতু একজন বিচক্ষণ পাঠক । তাই মনে হচ্ছিল আমি নিজের বক্তব্যটা তুলে ধরতে পারিনি । কারন , আপনার বিশ্লেষণ , সবসময়ই আমাকে ঋদ্ধ করেছে , উৎসাহ দিয়েছে । আবারো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই । আশাকরি এভাবেই আপনার নিরন্তন সমর্থন ও উৎসাহ পাবো । আর আলোচনা আমাদের সমৃদ্ধই করে । :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৩ নং এর প্রতিমন্তব্য তিনটে পড়লাম। এ বিষয়ে আমার জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে বুঝতে অসুবিধে হচ্ছিল, তবে এ নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না। পরবর্তী মন্তব্যগুলোতে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টা আরো স্পষ্ট হচ্ছে/হবে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২২

নীলপরি বলেছেন: হ্যাঁ । ঠিকই বলেছেন । আমারো তাই মনে হচ্ছে ।

আবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার ঐতিহাসিক পোস্ট। আমার কাছে ঐতিহাসিক এই ধরনের লেখা গুলো যেন মিথের মত লাগে, যার কারণে পড়তেও ভাল লাগে। তবে একটা জায়গায় এসে কিছুটা কনফিউশনে পড়ে গেছি নীলপরি। জানা থাকলে শুধরে দেবেন-

'হে বীরশ্রেষ্ঠ, এবারেও যদি আপনি পরাজিত হন তবে আপনার পত্নী ভ্রূশালী অত্যন্ত ব্যথিত হবেন ! তাঁর ইচ্ছা অন্তত একবার আপনি আমাকে পরাজিত করুন। এইকথা স্মরণে রেখে খেলবেন অঙ্গরাজা।'


- বোল্ড করা অংশটা কি বুঝতে পারছেন? আচ্ছা আমিই বলছি! পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝলাম, কর্ণ তো মূলত পাশা খেলতো দূর্যোধনের স্ত্রী ভানুমতির সাথে। তাহলে এখানে দূর্যোধন নিজের কথা বললেন কেন? মানে তিনি তো এভাবে বলতে পারতেন যে, একবার অন্তত আপনি আমার স্ত্রীকে পরাজিত করুন? তা না বলে বললেন, আমাকে পরাজিত করুন? কেন? তাহলে কি কর্ণ দূর্যোধনের সাথেও পাশা খেলতো?

যাহোক, আমাদের এলাকায় একটু বেশি বুদ্ধিমতী মেয়েরা তাদের বুদ্ধি জাহির করার সময় মাঝে-মাঝে বলে- এবার দেখবি ভানুমতির খেল! :) সম্ভাবত তাদের সেই ডায়ালগের সৃষ্টির গল্পটাই বোধহয় এটাই!

খুবই চমৎকার পোস্ট! শুভ কামনা নীলপরি!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

নীলপরি বলেছেন: হুম । আপনি আমার গল্পটা একদম ঠিকই বুঝেছেন । শুধু একটা জায়গা ওভারলুক করে গেছেন । মনে হচ্ছে ! :)

আমি লিখেছি -- তখন দুর্যোধন মহিষী স্মিত হাস্যের সাথে তাঁকে বললেন ' হে বীরশ্রেষ্ঠ , এবারেও যদি আপনি পরাজিত হন তবে আপনার পত্নী ভ্রূশালী অত্যন্ত ব্যথিত হবেন ! তাঁর ইচ্ছা অন্তত একবার আপনি আমাকে পরাজিত করুন । এইকথা স্মরণে রেখে খেলবেন অঙ্গরাজা । '

তাই কথাটা ভানুমতীই বলেছিল ।

শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ঠিক আগে কর্ণের কাছে অনেক অফার নিয়ে গিয়েছিলেন পান্ডব পক্ষে যোগ দেওয়ার জন্য । যার মধ্যে দ্রৌপদীও ছিল । কিন্তু কর্ণ উত্তরে বলেছিলেন ' নহম , পরিত্যয়যে ভার্য্যা .....।' ভার্য্যা অর্থাৎ স্ত্রীকে পরিত্যাগ করবো না । কারন শ্রীকৃষ্ণের অফার একসেপ্ট করলে নীচু কুলের ( সুতকন্যা ) ভ্রূশালীকে ত্যাগ করতে হোতো । কর্ণ আর ভ্রূশালীর এই স্ট্রং বন্ডিংটা ভানুমতী , শ্রীকৃষ্ণের বহু আগেই জানতেন ।
তাই ভানুমতীকে বুদ্ধমতী বলতেই হয় । :)

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

আপনাকেও শুভকামনা ।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সত্যি কথা বলতে কি দিদি, মহাভারত সমন্ধে আমার জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে, এ সমন্ধে তেমন কিছু আমি জানি না । আপনার লেখা আবার পড়লাম এবং সব মন্তব্যগুলোও । যাহোক, সবকিছু রেফারেন্স মাধ্যমে জানা বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করুন ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

নীলপরি বলেছেন: আমার অনুরোধে আপনি আবার এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহঃ আসলেই, ভুলটা আমারই ছিল! আসলে আমি পড়ছিলাম এবং বলা চলে ঐ জায়গাটা বারবারই পড়ছিলাম (আমি সাধারণত পোস্ট সংশ্লিষ্ট কোন প্রশ্ন করতে চাইলে যে বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করবো, সেটা আগে নিজে ভালভাবে বুঝে নিই), কিন্তু "মহিষী" মানে যে রাজপত্নি সেটা স্মরণই ছিল না! :(

তাছাড়া দূর্যোধনের সাথে মহিষী শব্দটা একটানে পড়ার ফলেই হয়তো ব্যাপারটা স্লিপ করে গেছে! আপনার প্রতিউত্তরে লাইক দিলাম! আপনার কাছ থেকে এরকম পোস্ট আরো পাওয়ার প্রত্যাশায় রইলাম!

আর সুন্দর প্রতিউত্তরে আরো কিছু বিষয় এড করার জন্য ধন্যবাদ!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক উৎসাহ পেলাম ।

আর আপনার ভুল নয় একটুও এরকম হতেই পারে । আমারও হয় । অনেক সময় । :)

মহাভারত আমার প্রিয় বিষয় । মহাভারতে পুরো সাদা বা পুরো কালো বলে কোনো চরিত্র নেই । প্রতিটি চরিত্রই কোয়েশ্চেনেবল ! যেমন যুধিষ্ঠির তথাকথিত ধার্মিক হলেও কাহিনী যতো এগোয় বোঝা যায় তিনি আত্মকেন্দ্রিক । উল্টে দুর্যোধনের দাপট চোখে পড়ার মতো । কাস্ট সিস্টেম ভাঙার সূচনা তাঁর হাত ধরেই হচ্ছে । কর্ণকে অঙ্গরাজা বানানোর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল । কারন ভীষ্ম পান্ডবদের ফেভার করত । অর্জুন নন ভীষ্মের প্যারালাল পিলার হিসাবে কর্ণকে বেছেছিলেন । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় তা স্পষ্ট হয় । কিন্তু তারজন্য কর্ণকে ব্ন্ধু না বানালেও চলত । কিন্তু ব্ন্ধুর মর্যাদা দিয়ে তিনি কর্ণকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিয়ে মহনতা দেখিয়েছেন ।
আমারো মহাভারত নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে । :) আর তাতে আপনি অনেক অনুপ্রেরণা দিলেন ।

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্বাস বড় অমূল্য
বন্ধুত্ব তেমনি আনমোল!

দারুন কাহিনী!

ধন্যবাদ জানােনায়

+++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

নীলপরি বলেছেন: হুম । একদম ঠিক বলেছেন ।

প্লাস পেয়ে ভালো লাগলো ।

ধন্যবাদ আমায় ? :) আপনি সময় দিয়ে আমার লেখা পড়েছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে ।

নিরন্তর উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভিন্ন স্বাদের এক লিখা পড়লাম।
দারুণ !!!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

নীলপরি বলেছেন: আপনার দারুন লাগা আমাকে অনুপ্রেরণা দিল ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নীল পরী

কেবল একটা প্লাস!:)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০১

নীলপরি বলেছেন: আমি একটা প্লাসেই খুশি ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর নীলপরি মহাভারত নিয়ে হাজির । খুব ভালোলাগলো সাথে তিন নম্বর মন্তব্য আর প্রতি মন্তব্যে আরো কিছু জানা হলো ।
+

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

নীলপরি বলেছেন: বেশ কয়েকদিন বাদে লিখেছি ঠিকই । তবে মহাভারত নিয়ে এটাই আমার প্রথম লেখা ।

আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

সোহানী বলেছেন: অনেক কঠিন ... মনে হচ্ছিল পরীক্ষার পড়া পড়ছি বাট পড়ার পর ভালো লাগলো..............

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

নীলপরি বলেছেন: আমাকেও কঠিন উপায়ে কঠিই ই ন শব্দ লিখতে হয়েছে ! কঠিন লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । :)

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দারুণ লেখেছেন। শব্দচয়ন ও বাক্যবিন্যাসে মুগ্ধকর পাঠ!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

নীলপরি বলেছেন: আপনার মুগ্ধতার কথা জেনে আমি আপ্লুত হলাম ।


পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

নীলপরি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর লেখা । ভাল লেগেছে । কোন প্রকার সন্দেহকে উপেক্ষা করে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা অটুট ছিলো বলে আরো ভাল লাগলো ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১১

নীলপরি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর কাহিনী পড়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

নীলপরি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগলো ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভানুমতির খেলার ইতিহাস কি এটাই?

কর্ণ আর ভানুমতির পাশা খেলার ঘটনা জানা ছিলো না। আজ জানলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

নীলপরি বলেছেন: আসলে ভানুমতীর খেল বলে কোনো শব্দবন্ধ মহাভারতে নেই । তবে ভানুমতী যে পাশা খেলায় পারদর্শী ছিলেন সেকথা উল্লেখ আছে । তাই পাশা খেলাটাকে ভানুমতীর খেলার ইতিহাস বলা যেতেই পারে ।

এই গল্পটা যদিও কর্ণ ও দুর্যোধনের মিত্রতা ও বিশ্বাসের গল্প হিসাবেই প্রসিদ্ধ ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

নীলপরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: এ তো দেখি মুক্তোর ছড়াছড়ি, এত মুক্তো আমি কোথায় রাখিব? :`>
নতুন আঙ্গিকে লেখা দারুন হয়েছে। :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

নীলপরি বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো । আপনি মনে করে আমার লেখা পড়েছেন দেখে উৎসাহ পেলাম ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।:)

২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভাষাটা একটু কঠিন।

প্রথম পড়ে বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

নীলপরি বলেছেন: আসলে ইচ্ছে করেই ওভাবে লেখার চেষ্টা করেছি ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪২

জেন রসি বলেছেন: আপনার বিভিন্ন লেখায় হিন্দু মিথলজি প্রতিফলন দেখতে পাই। এবং আপনার উপস্থাপনা বেশ ভালো লাগে। :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা জেনে খুব ভালো লাগলো ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: এমন মিত্রতাই তো কাম্য, যে মিত্রে ভালোবাসা থাকবে অফুরন্ত, প্রেম হয়ে থাকবে অনন্তকাল।

ভাল এক অমর মিত্র কাহিনী পড়লাম। লেখকের প্রতি শুভেচ্ছা, আগ্রহে থাকবো এরকম আরও কাহিনী পড়ার জন্য

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

নীলপরি বলেছেন: জেনে খুশি হলাম ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এত লম্বা গেপ কেন , নতুন কবিতা দেখতে এসেছিলাম ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো খোঁজ নিলেন বলে । :)

কবিতা না । তবে আজ একটা পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে । নেহাতই হাবিজাবি যদিও । তবু আপনি দেখলে খুব ভালো লাগবে ।

২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগলো উপস্থাপন।

জ্যেষ্ঠ পাণ্ডবের সাথে জ্যেষ্ঠ কৌরবের মিত্রতা বিশেষ কিছু দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব বহন করে অবশ্যই, তবে অন্যায় যুদ্ধে অভিমন্যু বধে কর্ণের সহিংস অংশগ্রহণ মহাভারতের এক সীমাহীন কলঙ্কিত অধ্যায়, যার কালিমা ভীষণভাবে ম্লান করে দেয় কুন্তীপুত্রের সূর্যসম প্রভাকে।

অবশ্য একান্ত নিজস্ব ভাবনার কথা বললাম আমি। ভিন্ন মত না থাকার কোন কারণ নেই। মহাভারতের নানা আঙ্গিক, নানা সংলাপ, নানা ব্যাখ্যা, ধর্ম- অধর্মের সুক্ষ্ম হিসেব নিকেশের মধ্যেই নিহিত মহাভারতের মহাকাব্যিক মাধুর্য।

অনেক অনেক শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০১

নীলপরি বলেছেন: আরে , এই উত্তরটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বশত দেওয়া হয়নি । আমি দুঃখিত ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো পোষ্টটি পড়ে। ভানুমতীর হারের মতোই শুভ্র ও সচ্ছ হোক সকল ভালোবাসা।


শুভকামনা রইল লেখকের প্রতি

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০২

নীলপরি বলেছেন: এই উত্তরটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বশত দেওয়া হয়নি । আমি দুঃখিত ।

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: এই লেখা পরীদের দ্বারাই সম্ভব। ভালো লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.