নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আশপাশের সবাই আমাকে বলে ইমোশনাল ফুল। বিচার বিবেচনা কিছু করতে পারি না। দুনিয়ার সবাইকে বিশ্বাস করি। এমনকি আমাদের পাড়ার একটা ভাই ( ইলেভেনএ পড়ে) , তাকে যদি রাখীতে রাখী পড়িয়ে বলি, ' আমি দিদি, প্রণাম কর! ' ও' প্রতিবারই উত্তর দেয় ' তাতে কি? নেক্সট টাইম ভাববো। আমি বেশী ম্যাচিওর। কারণ তোমার বিচারবুদ্ধি কিছু নেই। ' তারপর, আমার অপারগতার ব্যাখ্যা দেয়। যাক, সে কথা।
তবে এসব কারণে শিরোনামের প্রশ্ন গুলো আমায় খুব ভাবায়। সেই ভাবনাটা এবার আপনাদের সাথে শেয়ার করি। সাধারণ মতে সম্পর্ক তৈরী করাটা খুব সহজ নয়। হয়ত ঠিক। বিশেষ করে মানুষ যখন একে অন্যকে শিকার বা শিকারি ভাবে, তখন শত্রু, মিত্র বোঝাটা কঠিন। আর এর কারণটা বোধহয় অহম। ' অহম'ই বলে যে, আমি সবথেকে বেশী নিজের ভালো বুঝি । একমাত্র যখন খুব অসহায় অবস্থা হয়, আর কোনো উপায় থাকে না, তখনই ভাবি অন্য কেউও আমার ভালো করতে পারে আর তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হই! কিন্তু এটা পাশবিক ধর্ম নয় কি? পশুরা নিজেরা বেঁচে থাকার জন্য অর্থাৎ খাদ্য ও নিরাপত্তার জন্য একে অন্যকে মারে। শত্রু বা মিত্র বিচার করার ক্ষমতা তাদের নেই। মানুষেরও খাদ্য ও নিরাপত্তা দরকার।তবে কিভাবে তা করবে তা বিচার সে করতে পারে। তাদের চিন্তা শক্তি বা কল্পনা শক্তি আছে। আর আছে সহমর্মিতা। অন্যের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা। কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়। আর মানুষ সেটাই করতে চায়। কারণ সে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
এখন বিশ্বাস কি? বিশ্বাসকে মাপা যায়না । প্রমাণ ও করা যায় না। হয় তা আছে নাহলে নেই। এর মাঝামাঝি কোনো জায়গা নেই। বিশ্বাস যদি কোনো জ্ঞান বা ধারণার উপলব্ধি হয়, তবে সহমর্মীতা , অন্যের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। রামায়ণএর সীতা চরিত্রটা বিশ্বাস ও সহমর্মীতার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। একটু বিশ্লেষণর চেষ্টা করি।
সীতা প্রথম দূর থেকে রামকে দেখেন এবং পছন্দ করেন। তখন তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন যেন , রামই হরধনুতে গুণ পড়াতে পারেন। মানে তিনি দৈবে বিশ্বাস রাখলেন। আর কি অপশন ছিল তাঁর হাতে? ১. সীতা, পিতা জনককে বলতে পারতেন। কিন্তু তখন সয়ম্বরে অংশ নেবেন বলে অংশগ্রহণকারীরা চলে এসেছেন। এই অবস্থায় তাঁকে ( জনককে ) বিব্রত করতে চাইলেন না। ২.রামকে বলতে পারতেন। তাও তিনি বললেন না। এমন নয় যে তাঁর প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় ছিল। যা সাধারণত মানুষর থাকে। কারণ অহম। সে ভাবে প্রত্যাখ্যাত হলে বোধহয় ছোটো হয়ে যাবে! ঋষি বিশ্বামিত্র জনকের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন । আর গুরুর সাথে রাম ও লক্ষ্মণ ছিলেন। রামের বাবা দশরথ জানতেন না যে তিনি মিথিলায়। রামের কাছে বাবার সম্মতি বা অসম্মতি কোনোটাই ছিল না। তাই এখানে সীতা তাঁকে দ্বিধায় ফেলতে চাননি।
আমার পছন্দ যদি অন্যকে অসুবিধায় না ফেলে, তবেই তা হয়ে ওঠে ধর্ম মানে মানবিকতা।
অন্যের অসুবিধার বিনিময়ে যদি নিজের পছন্দ পেতে চাই তবে তা অধর্ম বা অমানবিকতা।
রামকে নিজের ইচ্ছের কথা না বলাটা যে তাঁর সহমর্মীতা, পরবর্তীতে বিশ্বামিত্র সেটা প্রমাণ করেন। রাম সয়ম্বর শুধু দেখছিলেন। যখন কেউ হরধনু তুলতেই পারলো না তখন বিশ্বামিত্র রামকে যেতে বললেন। সাথে এও বলেন সীতা ভূমিজা। জনকের বীর্যশুক্লা নন। তুমি বিবাহ করতে প্রস্তুত তো? উত্তরে রাম বলেন ' আমি ক্ষত্রিয়। ক্ষেত্র বা ভূমিকে রক্ষা করাই আমার কাজ। তাই যিনি ভূমিজা তাঁর দায়িত্ব নিতে আমি প্রস্তুত আছি । '
বিবাহের পর সীতা প্রথম কথাতে রামকে কাব্যগীত শোনাতে বলেন। উত্তরে রাম বললেন ' তুমি যেমন প্রকৃতিকে দেখো, আমি সেভাবে দেখিনা। আমি রাজকুমার। ছোটো থেকে অস্ত্রবিদ্যা শিখেছি। প্রকৃতিকে দেখলে মনে হয়, কিভাবে অস্ত্র দিয়ে তাকে রক্ষা করবো। তবে আমি সামনের জন্মে অবশ্যই তোমায় গীত শোনাবো। ' এখনকার নায়িকা হলে হয়ত বলতো তবে এখন বাই, সামনের জন্মে হাই বলবো। কিন্তু এটা রামা্যণ , সীতা একথা মানলেন। বুঝলেন তিনি জোড় করে যোদ্ধাকে কবি বানাতে পারবেন না। তারপর রাম বলেন তবে তোমার প্রতি প্রেম স্বরূপ আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আজীবন একম পত্নী ব্রত পালন করবো। দ্বিতীয় বিবাহ করবো না। সীতা একথা আজীবন বিশ্বাস করেছেন । তাই সূর্পনখা যখন রামকে বিয়ের কথা বলেন তখনও তিনি অবিচল থেকেছেন । কিন্তু যখন লক্ষ্মণ সূর্পনখার নাক কেটে দেন তখন সীতা সহমর্মীতা দেখিয়ে তাকে উপাচার লাগান । তখন সীতা ভাবেননি একটু আগেই সূর্পনখা তাঁকে মারতে এসেছিল বা এই সহমর্মীতার মর্ম সে বুঝবে কিনা ! সত্যিই সে বোঝেনি আর ফল ভালো হয়নি । এরপর সন্ন্যাসীরূপী রাবণকে বিশ্বাস করেও তিনি ফল ভালো পাননি । তবে পাত্র যেই হোক না কেনো সীতা বিশ্বাস ও সহমর্মীতার ধর্ম থেকে সরেননি । তাঁর সহমর্মীতা ছিল বলেই পুরো রামায়ণে কোথাও রামকে দোষারোপ করেননি । রামের বাধ্যবধকতাকে বুঝেছেন । তাই রাম যখন তাঁকে বনবাসে পাঠাচ্ছেন তখনও তিনি রামের প্রতি বিশ্বাস রাখছেন আর বলছেন ' আমি পরিতাজ্য হতেই পারিনা ।' কারণ রাম বলেছিলেন যে তিনি ' একম পত্নী ব্রত 'পালন করবেন । অবশ্য সত্যিই রাম পরিশেষে বলেন ' আমি অযোধ্যার রানীকে বনবাসে পাঠিয়েছি । নিজের পত্নীকে পরিত্যাগ করিনি । '
এতো গেলো নীতি গল্প । আমি পরিশেষে আবার ব্যক্তিগততে আসি । কারণ এ গল্প আমার ফ্রেন্ডদের শোনালে বলে এসব শুধুই গল্প । বাস্তবে এসব হয় না । ঈশ্বর এসবের মূল্য দেন না । যারা এসব রাস্তায় চলে না তাদেরকেই উনি ভালোবাসেন । হয়ত ঠিক । আর আমার সাথে ঈশ্বরের সম্পর্কের কথা কি বলবো ? মানে , আমি একের সাথে এক যোগ করতে পারিনা উনি আমাকে দেন ক্যালকুলাস করতে ! এদিকে এমনভাবে আমাকে তৈরী করেছেন যে মাথা দিয়ে ভাবতে পারিনা । আবেগই সর্বস্ব । আবেগী হয়ে কারো ভালো চেয়ে , কষ্টই পাই । তাই ভেবে দেখলাম উনি আমায় ভালোবাসেন না ! তারপরে ভাবলাম , এরকম কষ্ট পেতে থাকলে কি হবে ? কষ্ট যদি অসহ্য হয় তবে মৃত্যু হবে । আর মৃত্যু মানে তো মুক্তি । সব কষ্ট থেকে । তবে কি ঈশ্বর আমাকেও ভালোবাসেন ? তারমানে আবেগ , বিশ্বাস ও সহমর্মীতা থাকাটা নির্বুদ্ধিতা নয় । আপনারা কি ভাবেন ?
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৯
নীলপরি বলেছেন: অাপনার লেখাটাও লিখেছেন অনেক আবেগপ্রবল হয়েই -- একদম ঠিক ধরেছেন । আপনার মতো আবেগী লেখকই এমন কথা ধরতে পারেন । আসলে দুদিন ধরে যে কোনো কারণেই হোক মনের মধ্যে এলোমেলো প্রশ্ন এসে ভীড় জমাচ্ছে । চেষ্টা করছি লিখতে । লেখাও হয়ে উঠছে না । পারছি না । ভালোও লাগছে না ! একটু আগেই লেখাটা শেষ করলাম । এরকম আগে লিখিনি ।সামুতে পোষ্ট দেওয়া যাবে নাকি সেটাও বুঝতে পারছিলাম না । তারপর দিয়েই ফেললাম ।
আপনিও যে আবেগী , সেটা আপনার কবিতা পড়লেই বোঝা যায় । একথা আগেও বলেছি ।
আমি সরলতার মাঝে বোকামি খুঁজি না, বিশ্বাস করে হেরে যাওয়ার মাঝে দুর্বলতা দেখি না। -- কথাটা খুব ভালো বলেছেন ।
যাক , আমরা তাহলে একই নৌকার যাত্রী !
নিরন্তর অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: অাবেগ, বিশ্বাস, সহমর্মীতা আছে বলেই আমরা মানুষ। এইগুণগুলোর জন্যই আজকের এই অালোঝলমল পৃথিবী। যদি বিশ্বাসই না থাকত পাথরে পাথরে ঘোঁষা দিলে অাগুন লাগবে। অাগুন পেতাম কোথা থেকে? এগুলো মরে যাওয়া মানে অাত্মার মৃত্যু।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
নীলপরি বলেছেন: ভালো বলেছেন । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব রাম-সীতা বাদ দেন, এগুলো সুখের গল্প ও চরিত্র; আপনাকে কেহ একজন ভালোবাসবে, সেটার জন্য অপেক্ষা করেন।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
নীলপরি বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্য পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো । আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
তবে রাম-সীতার গল্প এতো শুনেছি , পড়েছি যে এগুলো রক্তে মিশে গেছে ।
অনেক ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৭
মিঃ মোস্তাফিজ বলেছেন: হিজিবিজি ভাবনায় অস্থির লেখা
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০২
নীলপরি বলেছেন: হুম । ঠিকই ধরেছেন । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনি নীল পরি হতে যাবেন কেন ?
বলুন নীল মানবী, শিশুকাল থেকে এইরকম চিন্তাভাবনা আমিও করেছি, মানব জীবনের ইতিহাস, নারীপুরুষের সম্পর্ক ,সামাজিক জটিল দর্শন ও সর্ম্পকের মারপ্যাচঁ আমাদের সহজ সরল মনটাকে বিভ্রান্ত করে, সেই সুযোগে কিছু চালাক,ধরিবাজ মানুষ আমাদের বোকা বলে। আপনি যদি জাপান, সিঙ্গাপুর ঘুরেন তবে দেখবেন এইসব চালাক,ধরিবাজ মানুষ সন্মান পায় না বা ভন্ডামি ছেড়ে ভাল সাধু হয়ে যায়। সুতরাং নিজের মানসিক অবস্হান দৃঢ় করুন, ভালো ভালো বই পড়ুন এবং সমমনা বন্ধুদের নিয়ে "আলোচনার ফোরাম" গড়ে তুলুন ,জীবনের অনেক রহস্যের সমাধান মিলবে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৮
নীলপরি বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম । ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষণ । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রতিমন্তব্য পড়ে অনেক আনন্দিত আপু। কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারছিনা।
দোআ করবেন আপু, ব্যক্তি জীবনে যেন এমনই থাকতে পারি। ভেবেছি এক আর হয়েছে আরেক এভাবে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাকে, বিশ্বাস করে অনেক ঠকেছি, তবে আল্লাহ্ সবকিছু থেকেই আমাকে রক্ষা করেছেন। স্রষ্টা সবার মনের খবরই রাখেন।
বাস্তব সময়ের স্রোতে ছোট ছোট অনেক ভুল হয়েই যায়, আমি ছোট বড় সব ভুলই শুধরে চলার চেষ্টা করে যেতে চাই।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৯
নীলপরি বলেছেন: স্রষ্টা সবার মনের খবরই রাখেন। -- সহমত ।
তবে যেগুলোকে আমরা ভুল ভাবি সেগুলো আদৌ ভুল ছিল ?
কাজটা আমার হাতে । তার ফল কিন্তু অন্যের উপর নির্ভর করে । যেখানে আমাদের কন্ট্রোল নেই ।
যাই হোক , এরকমই হৃদয়বান মানুষ থাকুন । এমনটাই আশা করবো । প্রার্থনা করবো ।
আবারো ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিটি মানুষের সীমাবদ্ধতা থাকে, আর এই সীমাবদ্ধতার বাহিরে চিন্তা করতে গেলে মানুষকে একটু ভাবায়। প্রতিটি ক্ষেত্রে ,জেনে বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধি মানের কাজ । আর আপনার সমীবদ্ধতা আসলে কি ! তা আপনি নিশ্চয় ভালো করে জানেন। জ্ঞানী লোক সবসময় তার সীমাবদ্ধতা সমন্ধে আইডিয়া রাখেন। এখানে কাউকে সহমর্মীতা দেখানোটা কখনো নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ নয়। বরং তার ব্যক্তিত্বের মহৎ লক্ষণ । কারণ, বিশ্বাস আর ভালবাসার উপরে পৃথিবীটা টিকে আছে; পৃথিবীতে কাউকে না, কাউকে তো বিশ্বাস করতে হবে ! বিশ্বাসের সঙ্গে মূল্যবোধ ও ভালোমন্দ বিচারও ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। এ বিশ্বাসের মর্যাদা কেউ রাখুক আর না, রাখুক সেটা তার ব্যপার । প্রতিটি মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে । সবসময় বিশ্বাস মানুষকে শান্তি দেয়। তবে সাবধান, কারো প্রতি অন্ধবিশ্বাস আবার মানুষকে অশান্তিতে ফেলে এবং অলীক কিছু বিশ্বাস করাও ঠিক না। এটা আবার স্কিসোফ্রিনিয়া রোগের লক্ষণ। দুঃস্বপ্ন কখনো স্বপ্ন নয়, তা কখনো সত্যও হয় না।
পজেটিভ স্বপ্ন দেখুন আর কোন কিছুতে আত্মবিশ্বাসী হারাবেন না। । আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা কোন কাজে মোটেও ভয় পান না।কখনো সে ভেঙ্গে পরে না, সফলতা শুধুমাত্র তার জন্য অপেক্ষা করে । ধন্যবাদ ,
ভালো থাকুন ।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
নীলপরি বলেছেন: খুব যত্ন করে বিশ্লেষণ করেছেন । ভালো লাগলো । উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১৯
পুলক ঢালী বলেছেন: প্রতিটা মানুষ তার স্বকীয়তা নিয়ে জন্মগ্রহন করে । প্রানীর জন্মের মধ্যেই প্রতিযোগীতা রয়েছে (কয়েক কোটি স্পার্মের মধ্যে দৌড়ের প্রতিযোগীতায় যে জেতে সেই ভ্রুনকে নিষিক্ত করতে পারে) জন্মের পর থেকেই সবাই প্রতিযোগীতায় নেমে যায় কে কার আগে যাবে কে কার চেয়ে বেশী অর্জন করতে পারে এটাই পৃথিবীর প্রথম কথা। মানুষ নিজের প্রানটাকে সবার আগে ভালবাসে তারপর অন্য কিছু সুতরাং আশা আকাংখা প্রত্যাশার ক্ষেত্রে পাশের জনের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের সাথে কিছু কমন বিষয়ের মিল থাকলে তার সাথে হয়তো সুখদুঃখে (আপেক্ষিক) জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব।এর বেশী আশা করা যায়না। শুধু আবেগ অথবা শুধুই রিয়েলিটি দিয়ে জীবন চালানো কঠিন উভয়ের সমপরিমান মিথস্ক্রিয়া জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে পারে।
তবে কি ঈশ্বর আমাকেও ভালোবাসেন ? তারমানে আবেগ , বিশ্বাস ও সহমর্মীতা থাকাটা নির্বুদ্ধিতা নয় । আপনারা কি ভাবেন ?
ঈশ্বরে বিশ্বাস এক জিনিষ আর হতাশা থেকে মৃত্যু কামনায় মুক্তির পর ঈশ্বরে বিশ্বাসের কথা বলা অন্য জিনিষ কন্ট্রাডিক্টরি কারন ঈশ্বরে যারা বিশ্বাস করেন তারা হতাশা কাটিয়ে ওঠার জন্য ঈশ্বরের কোলে আশ্রয় নিতে চান মৃত্যু কামনা করেন না। আবেগ মানুষকে আরো ভাল মানুষ করে তোলে তবে শুধুই আবেগের কোন মূল্য নেই যদি না তাতে বাস্তবের ছোঁয়া থাকে। আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলতে চাই আপনার শেষ উক্তিগুলি অগোছালো বা বিভ্রান্ত ভাবনার ফসল। আগে সেন্টিমেন্ট নিয়ন্ত্রন করুন দেখবেন সবকিছুই কি অপরূপ কি মূল্যবান। ভাল থাকুন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
নীলপরি বলেছেন: আপনি আপনার অমূল্য সময় দিয়ে এতো সুন্দর করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো । আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না । আমি নিজেই তো বলেছি লেখাটা আমার এলোমেলো চিন্তার ফসল । আমি তো ব্যস আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছি ।
তবে সেচ্ছামৃত্যু কোনো কোনো রিলিজনে বা দেশে লিগ্যাল । যদিও সেটা বিতর্কিত ।
ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
আপনিও ভালো থাকুন ।
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: বিশেষ করে মানুষ যখন একে অন্যকে শিকার বা শিকারি ভাবে, তখন শত্রু, মিত্র বোঝাটা কঠিন। আর এর কারণটা বোধহয় অহম। ' লাইনটি সত্য নীলপরি ।
+
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৪
নীলপরি বলেছেন: আপনিও একমত জেনে ভালো লাগলো ।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঈশ্বর সবাইকেই ভালোবাসে, আবেগ , বিশ্বাস ও সহমর্মীতা থাকাটা নির্বুদ্ধিতা নয়। বরং আবেগ , বিশ্বাস ও সহমর্মীতা না থাকাটা নির্বুদ্ধিতা।
আমিও মানুষকে খুব দ্রুত বিশ্বাস করে ফেলি এবং ভালোই ধরা খাই, তারপরও কোনো অভিযোগ নেই! বিশ্বাস না করলে তো আর সামনে আগানো যাবে না!!
বিশ্বাস প্রমান করা যায়, না হলে বিশ্বাস ঘাতকের সাথে পার্থক্য বের করা যাবে না।
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে +++
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
নীলপরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ।
আমার এই এলোমেলো চিন্তার অগোছালো ভাবনাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম । উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
সনেট কবি বলেছেন: ঈশ্বর সবাইকেই ভালোবাসেন, সেটা বুঝতে হলে যথাযথ অনুসন্ধান প্রয়োজন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
নীলপরি বলেছেন: একমত আপনার সাথে ।
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জুন বলেছেন: বিশেষ করে মানুষ যখন একে অন্যকে শিকার বা শিকারি ভাবে, তখন শত্রু, মিত্র বোঝাটা কঠিন। আর এর কারণটা বোধহয় অহম। ' লাইনটি সত্য নীলপরি ।
একি মত
পাঠে বিমুগ্ধতা,,,
ছড়া প্রাপ্য কিন্তু মাথা আজ খেলছেনা।মুড নেই।অন্য কখনো কভু আলবাৎ................
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৯
নীলপরি বলেছেন: একমত জেনে ভালো লাগলো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনার ছড়ার অপেক্ষায় থাকলাম । কারন সেটা আমার ব্লগ পাতার সম্পদ হবে ।
আপনার বিমুগ্ধতা , আমার কিছুটা হতোদ্যম চিন্তার এই লেখাটাকে আত্মবিশ্বাস দিল । অনুপ্রেরণা পেলাম ।
ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: উচিৎ/অনুচিৎ।
মানুষ ভেদে এগুলোও ভিন্ন। নির্বুদ্ধিতা হলো তাই যা আবেগ এবং অন্যের উপর আরোপিত। এবং তাই না যা আবেগ এবং নিজের ব্যক্তিগত।
বিশ্বাস কখনোই দোষের না। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে তার প্রতিমূল্য পেতে দেরী হয়। হয়তো অনেক দেরী। সেখানে ধৈর্য্য হারানোটা দোষ। যাকে বিশ্বাস করেছ তাকে বিশ্বাস করো এবং করতেই থাকো যতক্ষণ সে তাকে না ভাঙে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
নীলপরি বলেছেন: হুম । কিছুটা মানলাম ।
কিন্তু -- যাকে বিশ্বাস করেছ তাকে বিশ্বাস করো এবং করতেই থাকো যতক্ষণ সে তাকে না ভাঙে। -- তাহলে আর কি হোলো ? সে এমনিতেই মানুষ করবে । ভাঙার পর কষ্টই পাবো ? লিটমাস টেস্ট টাইপ কিছু আছে কি ? যাতে আগে থাকতে বোঝা যায় ।
নির্বুদ্ধিতা হলো তাই যা আবেগ এবং অন্যের উপর আরোপিত। -- এর মানে কি যে আবেগ দিয়ে অন্যকে কন্ট্রোল করতে চায় ? তাহলে তো তারা নির্বোধ নয় । হয় জঙ্গী নাহয় ক্রিমিনাল ! একমাত্র তারাই সবাইকে নিজের মতো করে চালাতে চায় ।
খাদে পড়ে যাচ্ছে এমন কোনো মানুষকে একজন আবেগী মানুষ কোনো কিছু না ভেবেই বাঁচাবে । এবারে সেই মানুষটা তখন আবেগী মানুষটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতেই পারে । কারন একশনটা হাতে আছে , রিএকশনটা নেই । কিন্তু পড়ে গেলেও আবেগী মানুষটা জানবে , ঐ মানুষটা ( যে তাকে ধাক্কা দিয়েছে )একদিন বুঝবে সে কাকে ধাক্কা দিয়েছে ! বুঝতে তাকে হবেই । এটা হোলো বিশ্বাস । আমি তাই মনে করি । যা অন্যের উপর নির্ভর করে না । তবে কেনো এতো দুঃখ ? সেটা বোধহয় সেন্ট হয়ে উঠতে পারিনি বলে !
আই আম নট র্যাশনাল ক্রিচার হু ফিলস , আই আম ইমোশোনাল ক্রিচার হু র্যাশনালাইজেস ।
শুভকামনা ।
১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখাটির সাথে একাত্ম হয়ে গেলাম , প্রিয়তে গেল ।
অতি সত্য একটি কথা বলেছেন
একমাত্র যখন খুব অসহায় অবস্থা হয়, আর কোনো উপায় থাকে না, তখনই ভাবি অন্য কেউও আমার ভালো করতে পারে আর তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হই!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪০
নীলপরি বলেছেন: একমত হয়েছেন দেখে আপ্লুত হলাম । উৎসাহ দিয়ে প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা নিলাম আর আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ।
১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: সত্যিই তাই। অসাধারণ আপনার ভাবনা আর বিশ্লেষণ! আপনি যেভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করলেন আপনার সেই আবেগময় লেখা প্রমাণ করে আপনি ইমোশনাল ফুল নহেন। আপনি অতিশয় মানবিক আর আন্তরিক। তবে, কাউকে বিশ্বাস করার আগে আবেগের কাছে পরাজিত না হওয়াই বেটার।ভালো থাকুন। এই সুন্দর আবেগময় লেখার জন্য অভিনন্দন।। ভালো থাকুন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৭
নীলপরি বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্য পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
আপনিও ভালো থাকুন ।
১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,
সম্ভবত বিক্ষিপ্ত অবস্থার আবেগপ্রসুত লেখা । নীলপরি বেদনায় নীল হয়েছেন মনে হয় !
মানতেই হবে মানুষ সামাজিক জীব । ইচ্ছেয় হোক কিম্বা অনিচ্ছায়, মানুষকে অন্য মানুষের উপর কমবেশি নির্ভর করতে হয় । আবার পাত্র ভেদে এই নির্ভরতার ভেতরে থাকতে পারে ভরসার জায়গাটি, থাকতে পারে নিরাপত্তাবোধের নিশ্চয়তা । এর সাথে সঙ্গ, আস্থা, আনুগত্য, আকর্ষণ, নিবেদনের মতো মানবিক কিছু কিছু চাওয়া তো থাকতেই পারে । তবে সবকিছু ছাপিয়ে এই নির্ভরতার যে জোরালো রূপ তা “বিশ্বাস” নামের ইটে গাঁথা । আপনিও বলেছেন -- "আবেগ , বিশ্বাস ও সহমর্মীতা থাকাটা নির্বুদ্ধিতা নয় ।" মোটেই নয় । এটা মানবিক গুনাবলীর একেকটা ধারা যা জীবন মরুতে জলসিঞ্চন-ই করে ।
জানিনে, আপনি জীবনকে নিয়ে আসলেই কি ভাবেন ! যাই-ই ভাবুন না কেন আমার মনে হয় , যেখানে যেতে চেয়েছিলেন সেখানে হয়তো যেতে পারেন নি, কিন্তু যেখানে পৌঁছেছেন বলে মনে করেন সেখানে যাওয়াই আপনার প্রয়োজন ছিলো ।
এখানে মন্তব্যকারী প্রায় সবাই-ই চমৎকার চমৎকার কথা বলেছেন । অনেকের মন্তব্যেই আপনি আপনাকে ঢেলে সাজানোর শক্তি পাবেন । শিরোনামের প্রশ্নের জবাবে একবাক্যে বেশি ভালো বলেছেন নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন -----" আমি সরলতার মাঝে বোকামি খুঁজি না, বিশ্বাস করে হেরে যাওয়ার মাঝে দুর্বলতা দেখি না। "
শুভেচ্ছান্তে ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৫
নীলপরি বলেছেন: প্রায় ঠিকই ধরেছেন স্যর । বাকি চিঠিগুলোর সাথে আপনার এই চিঠিটাও যত্নে রেখে দিলাম ।
হুম । প্রত্যেকেই যত্ন নিয়ে ,সময় দিয়ে মন্তব্য করেছেন । আর আমিও সহব্লগার নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন এর এই লাইনটার সাথে একমত ।
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ।
১৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বিশ্বাস ও সহমর্মীতা থাকাটা নির্বুদ্ধিতা নয় । আপনারা কি ভাবেন ?
বিশ্বাস ছাড়া আমার কাছে বেঁচে থাকা কঠিন। আর সহমর্মীতা না থাকলে মানুষ মানুষ হয় কিভাবে।
আমি মানুষকে সহজেই বিশ্বাস করি। আপনি যত সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতে পারবেন আপনি ততই ভাল থাকবেন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন । পাশে থাকার জন্য
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৪
গার্থ বলেছেন: আমার পছন্দ যদি অন্যকে অসুবিধায় না ফেলে, তবেই তা হয়ে ওঠে ধর্ম মানে মানবিকতা।
অন্যের অসুবিধার বিনিময়ে যদি নিজের পছন্দ পেতে চাই তবে তা অধর্ম বা অমানবিকতা।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
নীলপরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিউত্তরের ধন্যবাদ ।
আহমেদ জী এস, ভাই বলেছেনঃ
জানিনে, আপনি জীবনকে নিয়ে আসলেই কি ভাবেন ! যাই-ই ভাবুন না কেন আমার মনে হয় , যেখানে যেতে চেয়েছিলেন সেখানে হয়তো যেতে পারেন নি, কিন্তু যেখানে পৌঁছেছেন বলে মনে করেন সেখানে যাওয়াই আপনার প্রয়োজন ছিলো ।
আপনি কি জীবনের প্রতি বা কারো প্রতি কি বিরক্ত ? সবার জীবনের কাছে কিছু চাওয়ার থাকে; যদি তা অপূর্ণ থাকে তাহলে, সত্যিই অসহ্য লাগে । মানুষ তার ভাগ্য ও দারিদ্রতার কাছে সবচেয়ে বড় অসহায় !! মানুষ কখন ইশ্বরের প্রতি আঙ্গুল তুলে বা সন্ধেহ প্রকাশ করে। বিশ্বাসীগন, এ কথাটা অনেকে স্বীকার করতে না চাইলে এটাই বাস্তব ; যখন তার কিছু করার থাকে না. ঠিক তখন। আমি জানি না, আপনার এর সঠিক কি কারণ লুকিয়ে আছে। আপনি কি জানেন; পৃথিবীতে আজও ১ বিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত এবং আজও দাসী প্রথা রয়ে গেছে । নিশ্চয়, তাদের মধ্যে আপনার নাম নেই। এ ক্ষেত্রে আপনি সত্যিকারের অর্থে অতি সৌভাগ্যবান নয় কি ? সুতরাং, সবসময় ঈশ্বরের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যাপন করা উত্তম।
নিক ভুইয়টসিক এর নাম শুনেছেন নিশ্চয়। ওর কিন্তু হাত ও পা নেই ! তারপরেও সে একজন অস্ট্রেলিয়ান খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারক এবং অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা । তারও সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক প্রশ্ন ছিল । যদি ঈশ্বর আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসবেন। তবে,কেন আমাকে এভাবে সৃষ্টি করবেন। তার জীবনী পড়ে দেখতে পারেন ।
তাই ভেবে দেখলাম উনি আমায় ভালোবাসেন না ! তারপরে ভাবলাম , এরকম কষ্ট পেতে থাকলে কি হবে ? কষ্ট যদি অসহ্য হয় তবে মৃত্যু হবে । আর মৃত্যু মানে তো মুক্তি ।সব কষ্ট থেকে । তবে কি ঈশ্বর আমাকেও ভালোবাসেন ?
ঈশ্বরের প্রতি কখনো কনফিউজড হওয়া উচিৎ না । আর, যারা স্বগে যেতে চান, এমন কি তারও কখনো মরে চেয়ে চান না,বেঁচে থাকতে চান কিন্তু প্রতিটি জীবের মৃত্যু একাট চিরন্তন সত্য ।
ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন এবং আপনাকে সৃষ্টি করার কারণ খুঁজে বের করুন । আপনি কোন কাজটি সবচেয়ে ভালো করতে পারেন , সেই কাজ করুন। সফলতাকে ছড়িয়ে দিন।
আমার পছন্দ যদি অন্যকে অসুবিধায় না ফেলে, তবেই তা হয়ে ওঠে ধর্ম মানে মানবিকতা।
অন্যের অসুবিধার বিনিময়ে যদি নিজের পছন্দ পেতে চাই তবে তা অধর্ম বা অমানবিকতা।
আমি ঠিক জানি না, এ লেখাটার উদ্দেশ্য কি ,এটাকে অনেক ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় । পোষ্টটা আপনার এলোমেলো চিন্তার প্রতিফলন হলেও । মনে হচ্ছে , জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছেন ।
রাম-সীতার গল্প দিয়ে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন । আমি মনে করি, এখন আধুনিক যুগ। বংশের পরম-পরা রীতি-নীতির বিরুদ্ধে অনেক নজিরবিহীন ঘটনা তো ঘটে। জাত বা উচু-নিচু কোন ব্যপার না। শুধুমাত্র নিজের ভালো লাগার জন্য । আমার ধারণা ভুল হতে পারে । ।যাইহোক, অনেক কথা বলে ফেললাম.........
ধন্যবাদ ।
শুভ কামনা রইলো ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৯
নীলপরি বলেছেন: শুধু আবার এসেছেন বলে নয় , এতো আন্তরিক ভাবে মন্তব্য করেছেন যে আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই ।
তবু প্রথমেই ধন্যবাদ বলছি ।
ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন -- হুম সেটা আমার পরিপূর্ণ আছে । তবে সাথে রাগ ও অভিমানও আছে । আচ্ছা উনি ঈশ্বর বলে কি আমি মানুষ নই ?
আপনি কোন কাজটি সবচেয়ে ভালো করতে পারেন , সেই কাজ করুন। সফলতাকে ছড়িয়ে দিন।
-- একথাগুলো খুব ভালো লাগলো । সে চেষ্টাই করতে চাই ।
আমার পছন্দ যদি অন্যকে অসুবিধায় না ফেলে, তবেই তা হয়ে ওঠে ধর্ম মানে মানবিকতা।
অন্যের অসুবিধার বিনিময়ে যদি নিজের পছন্দ পেতে চাই তবে তা অধর্ম বা অমানবিকতা।
- -
এই লাইন গুলো আমার রামায়ণ থেকে পাওয়া উপলব্ধি । এভাবে চলারই চেষ্টা করি ।
রামায়ণ হোলো চিরকালীন । রামও কিন্তু জাত মানেনি । ভূমিজা , পিতৃপরিচয়হীনা সীতাকে বিবাহ করেছিলেন ।
আপনি কি জানেন; পৃথিবীতে আজও ১ বিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত এবং আজও দাসী প্রথা রয়ে গেছে । --
আমরা যখন ছোটো থাকি তখন সবাই ক্লাসে যে ফার্স্ট হয় তার উদাহরণ দে্য় । তার মতো হতে বলে । কেউ কিন্তু যে ফেল করে তার দৃষ্টান্ত দেয় না ! আচ্ছা আপনি বলুন তো বড়ো হলে সব উল্টে যায় কেনো ? ( জাস্ট জোকিং । আশাকরি বুঝবেন । তাই বললাম )
পরিশেষে আবারো অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা সযত্নে নিলাম । আপনাকেও শুভকামনা ।
২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
সুমন কর বলেছেন: আবেগ, বিশ্বাস ও সহমর্মীতা না থাকলে তো রবোট হয়ে যাবো !! আর আমাদের আমিত্ব তো সব শেষ করে দিচ্ছে।
মাঝের কাহিনীটি শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ। শুভ দুপুর।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নীলপরি বলেছেন: একমত আপনার সাথে ।
রামায়ণের কাহিনী তো ? সে তো সবাই জানে । আমি শুধু আমার মতো করে বলেছি । বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ।
শুভ সন্ধ্যা ।
২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আবেগ, সহমর্মিতার কথা বলবো না, কারণ এগুলোকে আমি নিঃসার্থভাবেই দেখি । তাই কেউ আবেগ বা সহমর্মীতার মূল্য না দিলেও আমি কিছু মনে করি না ।
বিশ্বাসটাতে কিছু স্বার্থ জড়িত । আমাদেরকে কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করে চলতে হয় । এবং অনেকের সাথেই আমাদের বিশ্বাসের সম্পর্ক বজায় রাখতে হয় । আর বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আমি মনে করি বিশ্বাস ভঙ্গকারীরই ক্ষতিগ্রস্থ এবং একটু ঘেটে দেখলে তা বোঝাও যায় ।
বিশ্বাস ছাড়া আমরা চলতে পারি না, কিন্তু বিশ্বাস ভঙ্গকারী ছাড়া আমরা দিব্যি চলতে পারি ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
নীলপরি বলেছেন: এতো সময় দিয়ে , সহজ করে বুঝিয়ে উত্তর দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো । পাশে থাকার জন্য
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারমানে আবেগ , বিশ্বাস ও সহমর্মীতা থাকাটা নির্বুদ্ধিতা নয় ।
অবশ্যই নয়!
তবে প্রকাশের মাত্রাটা বাঞ্চনীয়। অপাত্রে অমূল্য রতন যেমন মানায় না, তেমনি রাখা বা দেয়াও অনুচিত।
এই মাত্রাবোধটা আপনাকে নিয়ন্ত্রন করবে । অযাচিত দু:খ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন অনায়াসে।
আর তৃতীয় জনের কথার পেরেশানী বা কি বলবে ভাবনা ঝেড়ে ফেলে দিন! নিজের মতে দৃঢ়তায় এগিয়ে যান।
আবেগ, বিশ্বাস আর সহমর্মীতার বিশাল হৃদয় নিয়ে।
++++
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
নীলপরি বলেছেন: মন দিয়ে পড়লাম আপনার মন্তব্যটা । আপ্লুত হলাম । আপনার পরামর্শ মতো চলার চেষ্টা করবো ।সবসময় পাশে থাকার জন্য
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা ।
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন -- হুম সেটা আমার পরিপূর্ণ আছে । তবে সাথে রাগ ও অভিমানও আছে । আচ্ছা উনি ঈশ্বর বলে কি আমি মানুষ নই ?
রাগ,অভিমান হল বোকা বা র্নিবোধের প্রধাণ হাতিয়ার! নিশ্চয়, আপনি তাদের দলের না। ঈশ্বর যা পারেন । আপনি কি তা পারেন? তিনি ভালো ও মন্দ সব তিনি জানেন। কিন্তু সে আমাদের ক্ষমতা নেই। জীবনে চলার সবার প্রয়োজন আছে কিন্তু কিছু প্রয়োজনের চেয়ে নিজের সম্মান বড়। আবার জীবন চালাতে গেলেও অপ্রয়োজনী অনেক কিছু বাদ দিতে হয় । কারো জীবনে পূর্নতার পাল্লা ভারী আবার কারো বা অপূর্নতার । এই তো আমাদের জীবন প্রবাহ। সবসময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে ভালোবাসুন। দেখবেন জীবন পরিবর্তন হয়ে গেছে । ঈশ্বর আমাকে কি দিলো না -দিলো সেটা কোন ব্যপার না।আপনি চারিপাশের মানুষকে কি দিলেন.......!!
হিটলার বেটে হওয়ার সত্ত্বেও পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ছিল। যদিও সে অনেক কিছু ধংস করেছে; তারপরে আমি বলবো, সে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে হলেও সে তার লক্ষে পৌছাছে .... সে সফল।। তার জীবনী জানেন নিশ্চয়।
ধরুণ, x এবং y ক্রোমোজোম.....( এ বিষয় নিশ্চয় জানেন, বিস্তারিত লিখলাম না ) বৈজ্ঞানিক ভাবে চিন্তা করলে কি দাঁড়ায় ? আর যদি আপনি আরো ৫০ বছরের আগের লোকদের মত চিন্তা করেন। যে এখানে, নারী দায়ী ! তারে দেও তালাক !! আর এ দিকে মেয়েটার চিন্তার বিষয় হল, সব দোষ আমার ভাগ্যের ! এ বিষয়টা কিভাবে দেখেন ? এটা আমি মানতে রাজি না । আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী ও সেই সাথে লজিকও বিশ্বাসী । কোন কিছু অন্ধবিশ্বাস করি না।
এবার আসি,
একটা গল্পতে।
এক বামণ হাটে গেল, তারপরে একটা পাঠা কিনে বাড়ীর দিকে রওনা হল !! আর, এ দিকে চার ঠকবাজ রাস্তায় বামনের পিছু নিলো । প্রথম ঠকাবাজ বামণকে বললো, আপনার মত বামণ, অত্র জেলায় নেই আর আপনার কাধে কিনা একটা কুকুর ছানা। বামণ তখন তার কথা গুরুত্ব দিল না । তার কিছু দূর যাওয়ার পরে,দ্বিতীয় ঠকাবাজ বামণকে বললো, আপনার মত বামণ ।অত্র থানায় নেই আর আপনার কাধে কিনা কুকুর ছানা, বামণ তখনো তার কথা গুরুত্ব দিল না । আবার কিছু দূর যাওয়ার পরে তৃতীয় ঠকাবাজ বামণকে বললো, আপনার মত বামণ, অত্র ইউনিয়নে নেই আর আপনার কাধে কিনা কুকুর ছানা, বামণ তখনো তারও কথা গুরুত্ব দিল না । আবার কিছু দূর যাওয়ার পরে চুতুর্থ ঠকাবাজ বামণকে বললো, আপনার মত বামণ, অত্র গ্রামে নেই আর আপনার কাধে কিনা কুকুর ছানা, বামণ, তখন রাগে ক্ষোভে তার কাধে থাকা পাঠাটাকে ফেলে দিয়ে বাড়ী দিকে রওনা হল ... তারপরে সেই চার ঠকবাজ মিলে পাঠাটাকে নিয়ে গেলে এবং তারা তা ভূড়ি-ভোজ করে খেলো ।
যদি সবকাজে প্রোএকটিভ না হন, তাহলে আমাদের মাইন্ড বাবাজীও কন্টোল হারিয়ে বামণে মত অবস্থা হয়ে যায়।
আমরা যখন ছোটো থাকি তখন সবাই ক্লাসে যে ফার্স্ট হয় তার উদাহরণ দে্য় । তার মতো হতে বলে । কেউ কিন্তু যে ফেল করে তার দৃষ্টান্ত দেয় না ! আচ্ছা আপনি বলুন তো বড়ো হলে সব উল্টে যায় কেনো ?
এ দেখি ক্যালকুলাস!! জটিল হিসাব ! আপমার পক্ষে মিলানো সম্ভব না। তবে মনে হচ্ছে, আপনার সায়েন্স ব্যগ্রাউন্ড এটা বোঝা যাচ্ছে ।। এখন কথা হচ্ছে ; সাত পাকের পরের একটা জীবন আর আগের আরেকটা জবীন !! এখন আপনি কোন জীবন পার করছেন তা জানি না। তা জানারও দরকার নেই ।সে যাইহোক ধরুণ, আপনার পছন্দের জিনিষ যে আপনার মনের মত হবে, এমন কথা কি, কোথায় আছে কি ? তবুও মনের মত করে যতন করতে হয়। বা অন্য কোন পরিস্থিতির কারণে। যদি আপনার সমস্যার কারণ হয়, তবে তাও আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে । ঠিক তেলাপোকার মত অভিযোজন প্রক্রিয়ায় ,সব পরিবেশে ... !! আর, যদি আগের জীবন হয়, তবে ক্যরিয়ার গঠন করা। এখানে তেমন কিছু বলার নেই । কারণ, আমাদের সিস্টেটেম সমস্যা । মেধাবীদের মূল্যায়ণ কম।
সবশেষে, একটা কথা বলে শেষ করতে চাই !! বুদ্ধিমান সুখে বা স্বর্গে যাওয়ার পথ যানে ! আপনিও বুদ্ধিমানদের দলের একজন । আর, কখনো একমাত্র জিনিষের পিছনে ছুটবে না; পৃথিবীতে একমত্র জিনিষ হল টাকা ! এর বিকল্প নেই । এটা কষ্টের মূল কারণ ।
শুভ কামনা অবিরত
ধন্যবাদ ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
নীলপরি বলেছেন: অনেকবার পড়লাম আপনার মন্তব্যটা । আপনার সহমর্মীতা দেখে অভিভূত হলাম । গল্পটা জানতাম । উদাহরণ হিসাবে ভালো দিয়েছেন ।
সবসময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে ভালোবাসুন। -- তেমনভাবেই চেষ্টা করি চলার ।
নাহ । আমার সায়েন্স ব্যগ্রাউন্ড নাহ ।
খুব ভালো লাগলো আপনার সুচিন্তিত বক্তব্য । চেষ্টা করবো । কেরিয়ারেই কনসন্ট্রেন্ট করতে চাই ।
বন্ধু , এখন কি আর প্রাগৈতাসিক যুগ ?
পথে বিছানো আছে কি ফুল ?
আমিও তাই সতর্ক আজ
এড়িয়ে চলি সব ভুল !
ভাঙলে ভাঙুক প্রাণের ভ্রমর কৌটো
চাই না কারো জিয়ন কাঠি
আমি নিজের রাস্তায় হাঁটি!
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনায় আপ্লুত আর আপনাকেও শুভকামনা ।
২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ।
নাহ । আমার সায়েন্স ব্যগ্রাউন্ড নাহ । হায়, হায়, এখন তাহলে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি ,আমি কবি হলাম কিভাবে !!
বন্ধু ,এখন কি আর প্রাগৈতাসিক যুগ ?
আপনি কি সমাজের বিবর্তনের ধারা বুঝিয়েছেন না, অন্য কিছু ? আপনার সাথে কথা বলে একদম হিপনোটাইজ হয়ে, ঘুমের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আপনার এলোমেলো চিন্তার কোন কিছুর কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছি না । তবে হ্যাঁ, মুক্ত আলোাচনার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে.... আমার রহস্য নিয়ে চিন্তা বা উদঘাটন করতে ভালো লাগে ।
ধন্যবাদ ।
(বিরক্তবোধ না করলে চলুক.......)
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৮
নীলপরি বলেছেন: হুম ,কিছুটা তাই । সমাজের বিবর্তনের ধারাই বুঝিয়েছি । মানে আগে জীবন হয়ত এখনকার চেয়ে , সরল ছিল । এখন একটু সতর্ক হয়ে চলতে হবে । এতোক্ষণ সবার বক্তব্যে যা উঠে এলো । যা বুঝলাম ।
আরে বিরক্তির কি আছে ? এখানে লিখছিই তো আলোচনা করার জন্য ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ।
২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ, বন্ধু ।
সমাজের বিবর্তনের ধারাই বুঝিয়েছি । মানে আগে জীবন হয়ত এখনকার চেয়ে , সরল ছিল । এখন একটু সতর্ক হয়ে চলতে হবে ।
হুমম,ঘরে কি প্রতিদিন চোর আসে ? উত্তরঃ না।
তাহলে, আমার কেন প্রতিদিন ঘরে দরজা লাগিয়ে ঘুমাই !! প্রতিক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষা জরুরি বা আগে। এই বিশ্বাসীদের ভিড়ে আছে অবিশ্বসী লুকিয়ে ......! সবাইকে বিশ্বাস করে হবে আবার সবাইকে করা যাবে না । কখনো, কখনো বিশ্বাস গড়তে বিশ বছরও লাগতে পারে কিন্তু বিশ্বাস ভাঙ্গতে এক মুহর্ত লাগে না ।।
নতুন লেখা লিখুন । কবিতা অথবা এমন একটা বিষয় নিয়ে .........
ধন্যবাদ ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৩
নীলপরি বলেছেন: দারুন বলেছেন । উপমাটাও ভালো ।
হুম , একটা লেখার চেষ্টা করছি ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ।
২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: বিশেষ করে মানুষ যখন একে অন্যকে শিকার বা শিকারি ভাবে, তখন শত্রু, মিত্র বোঝাটা কঠিন।
ভালো লাগল কথাগুলো। ধন্যবাদ
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩১
নীলপরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।
২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সহমর্মিতা দেখানোর মতো লোক সংসারে ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
নীলপরি বলেছেন: একমত আপনার সাথে ।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অাপনার লেখাটাও লিখেছেন অনেক আবেগপ্রবল হয়েই। মনে যেমন এসেছে লিখে ফেলেছেন, কোন চতুরতা ছিল না লেখায়। অথচ কত সুন্দর গোছানো কথামালায় সাজিয়েছেন, আমার পড়তে একবারও একটু অংশ ছাড়তে মনে হলো না, পড়ে শেষই করে ফেললাম।
আপনার মতো আমারও এমন প্রশ্ন অনেক ঘুরপাক খায় মনের ভিতর। মানুষকে সহজেই বিশ্বাস করি, কষ্টের কথা শুনে মনে হয় চেষ্টা করি তার কষ্ট কিছুটা যদি কমে, কিন্তু সেখানেও ভুল হয়ে যায়! পাশের লোক জন হাসে, এইভেবে যে আমি কত বোকা! আমি তখন বোকা হয়েই মেনে নেই ক্ষতিটুকু, ভাবি, হয়তো ঠকেছি, তাতে কি, আমি বিশ্বাস করে ঠকেছি, আর সে ছলনা করে জিতেছে আমার ঠকার মাঝেও তখন কেমন যেন একটা তৃপ্তি আসে (যদিও নিজেকে বোকা ভেবে একটু দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি)।
আমি সরলতার মাঝে বোকামি খুঁজি না, বিশ্বাস করে হেরে যাওয়ার মাঝে দুর্বলতা দেখি না।